৩৩৮ নং- সুওয়াল - ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে, তিনি একাধারে চল্লিশ বছর ইশার ওযু দিয়ে ফজরের নামায পড়েছেন এবং ৯৯ বার মহান আল্লাহ্ তায়ালা উনাকে স্বপ্নে দেখেছেন। জনৈক আলেম এক মাহ্ফিলে বললেন, এগুলো নাকি মস্তিষ্ক বিকৃত কথা, এর কোন দলীল নেই। দয়া করে দলীলসহ সহীহ্ তথ্য জানালে উপকৃত হব।

সুওয়াল - ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে, তিনি একাধারে চল্লিশ বছর ইশার ওযু দিয়ে ফজরের নামায পড়েছেন এবং ৯৯ বার মহান আল্লাহ্ তায়ালা উনাকে স্বপ্নে দেখেছেন। জনৈক আলেম এক মাহ্ফিলে বললেন, এগুলো নাকি মস্তিষ্ক বিকৃত কথা, এর কোন দলীল নেই।  দয়া করে দলীলসহ সহীহ্ তথ্য জানালে উপকৃত হব।

জাওয়াব - ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কিত উপরোক্ত দু’টি বর্ণনাই সঠিক এবং দলীল ভিত্তিক। উনার নির্ভরযোগ্য সীরত গ্রন্থসমূহে এর বর্ণনাসমূহ উল্লেখ আছে।
হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উপরোক্ত বর্ণনা দু’টো আশ্চর্য্যজনক নয় বরং এরূপ অনেক বর্ণনা কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- তিনি প্রতি রাত্রে দু’রাকায়াত নামাযে কুরআন শরীফ খতম করেছেন এবং যেখানে তিনি শাহাদতবরণ করেছেন, জীবদ্দশায় নিজেই সেখানে মাত্র দুই বছরে (প্রায়) পাঁচ হাজার বার কুরআন শরীফ খতম করেন। তিনি ৫৫ বার হজ্ব করেন। শুধু তাই নয়, উনি এত অধিক ইলমের অধিকারী ছিলেন যে, যাঁর সম্পর্কে ইমাম শাফী  রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “পৃথিবীর সমস্ত মানুষই ইল্মের তুলনায় উনার সন্তান তুল্য।” এটাই শেষ নয়, এমনকি উলুল আ’যম, জলীলুল ক্বদর রাসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি পুণরায় দুনিয়ায় আগমন করবেন, তখন তিনি নিজেই ইজতিহাদ করে চলবেন। কিন্তু মানুষ মনে করবে যে, উনি হানাফী মায্হাবের অনুসরণ করে চলছেন। হাক্বীক্বত উনার ইজতিহাদ হযরত ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইজতিহাদের সাথে মিলে যাবে। যা মকতুবাতে হযরত মুজাদ্দিদে আল্ফে সানী  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। এর দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে, উনি কতবড় ফক্বীহ, মুজতাহিদ এবং বুযুর্গ ছিলেন, তা ভাষায় প্রকাশ করাই দূরুহ ব্যাপার।  
অতএব, যে মাওলানা ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কিত উপরোক্ত বর্ণনাকে মস্তিষ্ক বিকৃত কথা হিসেবে অভিহিত করেছে, প্রকৃতপক্ষে তারই মস্তিষ্ক  বিকৃত হয়েছে  এবং যে
قلت علم- قلت فهم.
অর্থাৎ  কম  জ্ঞান  ও  কম  বুঝের কারণে এরূপ উক্তি করেছে মূলতঃ উনার শানে এরূপ উক্তি করা চরম বেয়াদবী ও ফাসেকীর লক্ষণ। এ সকল ওলামায়ে “ছূ”দের ক্ষেত্রেই  হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে যে, “যারা মনগড়া অর্থাৎ দলীল বিহীন কথা বলে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের জিহ্বা কেটে দেয়া হবে।
আবা-২৩

0 Comments: