৩৫০ নং- সুওয়াল - কোন কোন আলেম রুমাল পরতে নিষেধ করেন। কারণস্বরূপ তারা বলেন এটা মেয়েদের পোশাক। আবার কেউ কেউ বলেন রুমাল পরা জায়েজ বা সুন্নত তবে এটা পাগড়ীর সাথে পরা উচিত নয় বা মাকরূহ তাহ্রীমী। এটার সঠিক ফয়সালা জানালে বাধিত হবো?

সুওয়াল - কোন কোন আলেম রুমাল পরতে নিষেধ করেন। কারণস্বরূপ তারা বলেন এটা মেয়েদের পোশাক। আবার কেউ কেউ বলেন রুমাল পরা জায়েজ বা সুন্নত তবে এটা পাগড়ীর সাথে পরা উচিত নয় বা মাকরূহ তাহ্রীমী। এটার সঠিক ফয়সালা জানালে বাধিত হবো?
জাওয়াব - ‘কিল্লতে ইল্ম ও কিল্লতে ফাহম’ অর্থাৎ কম জ্ঞান ও কম বুঝই ফেতনার মূল। আর এই কম জ্ঞান ও কম বুঝের কারণেই বিভিন্নজন ভুল ফতওয়া দিয়ে থাকেন। মূলতঃ রুমাল পরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। এটা আমরা বিভিন্ন সীরাতগ্রন্থে দেখতে পাই। এটাছাড়া পাগড়ীর সাথে রুমালের ব্যবহারও আমরা কিতাবে দেখতে পাই। কাজেই বিনা তাহ্ক্বীকে কোন কথা বলা ঠিক নয়। মেয়েদের জন্য ছেলেদের পোশাক এবং ছেলেদের জন্য মেয়েদের পোশাক পরা জায়েয নেই। এবং যদি বলা হয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেয়েদের পোশাক পরেছেন, তাহলে এটা কুফরী হবে। এবং এটার থেকে খালেছ তওবা করা উচিত।
কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “জাহান্নামীদের জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা কেন জাহান্নামে গেলে?” তারা বলবে- আমরা  নামায পড়িনি, গরীব মিসকিনকে খাদ্য খাওয়াইনি, আর যারা  কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে আমরা তাদের সাথে কুরআন- হাদীছ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছি এবং পরকাল অস্বীকার করেছি মৃত্যু আসা পর্যন্ত। 
উপরোক্ত আয়াত শরীফ এবং আরও অন্যান্য আয়াত শরীফে আল্লাহ্ পাক, যারা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে তাদের সম্পর্কে কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ‘সুরা হুজরাত’-এ বলেন যে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কাছে যদি কোন সংবাদ আসে তবে তাহ্ক্বীক্ব করে গ্রহণ করো। আর হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হবার জন্য এতটুকুই যথেষ্ঠ যে, সে যা শুনে তাই বলে। সুতরাং আমাদের তাহ্ক্বীক্ব না করে কোন কথা বলা উচিত নয় এবং যারা তাহ্ক্বীক্ব না করে কথা বলে তাদের কথাও গ্রহণ করা উচিত নয় (বুখারী শরীফ, আরবাঈন, আল মুর্শিদুল আমীন)
আবা-২৩

0 Comments: