৬৬৬ নং- সুওয়াল : আমাদের সমাজে কিছু কথা প্রচলিত রয়েছে, যেমন- দূরে কোথাও গেলে অথবা পরীক্ষা দিতে গেলে ডিম বা কলা ইত্যাদি খেতে নিষেধ করা হয় এবং ঘর থেকে বের হওয়ার সময় খালি কলসী দেখলে, জুতা সেন্ডেল উল্টানো দেখলে, রাস্তায় মৃত লাশ দেখলে, ঘর থেকে কোন কাজে বের হওয়ার সময় পায়ে হোঁচট খেলে যাত্রা অশুভ বলা হয়। এগুলো কি শরীয়ত সম্মত?


সুওয়াল : আমাদের সমাজে কিছু কথা প্রচলিত রয়েছে, যেমন- দূরে কোথাও গেলে অথবা পরীক্ষা দিতে গেলে ডিম বা কলা ইত্যাদি খেতে নিষেধ করা হয় এবং ঘর থেকে বের হওয়ার সময় খালি কলসী দেখলে, জুতা সেন্ডেল উল্টানো দেখলে, রাস্তায় মৃত লাশ দেখলে, ঘর থেকে কোন কাজে বের হওয়ার সময় পায়ে হোঁচট খেলে যাত্রা অশুভ বলা হয়। এগুলো কি শরীয়ত সম্মত?

জাওয়াব : ইসলামী শরীয়তে অশুভ লক্ষণ বলতে কিছুই নেই। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
لاعدوى ولا طيرة.
অর্থ :ইসলামে ছোঁয়াচে রোগ ও অশুভ লক্ষণ বলতে কিছু নেই।” (বোখারী শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বলেন,
الطيرة شرك قاله ثلاثا.
অর্থ :অশুভ বা কুলক্ষণ মানা শেরেক, যা তিনবার বললেন।” (আবু দাউদ শরীফ ও তিরমিযী শরীফ)
কাজেই উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ সমূহের বর্ণনা মুতাবেক সুওয়ালে বর্ণিত কুলক্ষণ সমূহ এবং এছাড়াও সমাজে আরো যে সমস্ত কুলক্ষণ রয়েছে, তা পালন করা বা বিশ্বাস করা শেরেকীর অন্তর্ভূক্ত।শেরেক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
ان الله لا يغفر ان يشرك به ويغفر مادون ذالك لمن يشاء.
অর্থ :নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক ক্ষমা করবেন না, যারা শেরেক করে এবং ক্ষমা করবেন তা (শেরেক) ব্যতীত যাকে ইচ্ছা।” (পবিত্র সুরা নিসা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৬)
অতএব, প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে এই প্রকার কুলক্ষণ থেকে বেঁচে থাকা ফর-ওয়াজিবের অন্তর্ভূক্ত। (বোখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, ফতহুল বারী, ওমদাতুল ক্বারী, শরহে নববী, বযলুল মাজহুদ, উরফুস্ সাযী এবং সমূহ আক্বাইদের কিতাব)
আবা-৩৭

0 Comments: