জাওয়াব :
আখিরী যোহর বা ইহতিয়াতুযযুহর পড়া মুস্তাহাব। মূলতঃ ইহতিয়াতুযযুহর পড়ার আদেশ ইমাম
মুজতাহীদগণ এ কারণেই দিয়েছেন যে, যেহেতু ইমাম আবু হানীফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন যে, একস্থানে একের অধিক জায়গায় জুমুয়া জায়িয নেই। তবে শহর যদি বড় হয় এবং শহরের
মধ্যখান দিয়ে যদি নদী-নালা প্রবাহিত হয়ে থাকে, তাহলে
একের অধিক স্থানে জুমুয়া জায়িয এবং ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, এক শহরে একের অধিক স্থানে জুমুয়া বিনা শর্তে জায়িয। এবং ইমাম মুহম্মদ
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতের উপরই ফতওয়া দেয়া হয়েছে।
উপরোক্ত
ইখতিলাফ বা মতবিরোধের কারণে ইমাম মুজতাহীদগণ ইজতিহাদ করতঃ ফতওয়া দেন যে, ইহতিয়াত বা সাবধানতা এবং সন্দেহ হতে বাঁচার জন্য জুমুয়ার নামায আদায় করার পর
চার রাকায়াত নামায ইহতিয়াতুযযুহর বা আখিরী যুহরের নিয়তে পড়া উত্তম। শরহে বেকায়ায়
ইহতিয়াতুযযুহরকে মুসতাহসান বলা হয়েছে। তবে অবশ্যই এটাকে ফরয-ওয়াযিব মনে করা যাবে
না এবং এটাও মনে করা যাবেনা যে, আমাদের জুমুয়ার নামায সহীহ হয়নি
বিধায় ইহতিয়াতুযযুহর পড়া হচ্ছে। মূলতঃ এটা সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য পড়া হয়।
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন
فسن اتقى اتقى الشبهة استبرء لدينه وعوضه.
অর্থ : “যে ব্যক্তি সন্দেহ হতে বাঁচে, সে তার দ্বীন ও সম্মান হিফাযত
করল।”
(বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
ولذا
قال بعضهم فيما يقض صلوة عمره مع انه لم يفته منها شئ لا يكره لا نه اخذ با لا
حطياط.
(উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মর্ম অনুধাবন করে) কোন কোন মুজতাহীদ ফতওয়া দেন
যে, কারো উপর উমরী ক্বাজা না থাকার পরও যদি কেউ ইহতিয়াত বা সাবধানের জন্য উমরী
ক্বাজা আদায় করে, তাতে কোন প্রকার মাকরূহ হবে না। (শামী)
মোটকথা
হলো- ইহতিয়াতুযযুহর বা আখিরী যুহর পড়া জায়িয অর্থাৎ মুসতাহসান। এটাকে ফরয-ওয়াযিব
মনে করা জায়িয হবে না। এবং জুমুয়া সহীহ হবার ব্যাপারে ও সন্দেহ পোষণ করা যাবে না, তাকওয়ার জন্য পড়া উত্তম। তবে না পড়লেও গুণাহগার হবে না। (রোদ্দুল মোহতার, শামী,
ক্বাফী, কুনিয়াহ, বাহরুর
রায়েক,
আইনী, গায়তুল আওতার, ইত্যাদি) [বিস্তারিত জানার জন্য মাসিক আল বাইয়্যিনাতের ১০ম সংখ্যা পড়ুন।]
আবা-৩৫
0 Comments:
Post a Comment