সুওয়াল : আপনাদের “মাসিক আল
বাইয়্যিনাত”-উনার ৩৩তম সংখ্যায় সুওয়াল-জাওয়াব
বিভাগে দেখতে পেলাম “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সকল অনুসরণীয়
ইমাম-মুজতাহিদগণের মতে শিয়া সম্প্রদায় ৭২টি বাতিল ফেরকার অন্তর্ভূক্ত এবং অমুসলিম।
আর শিয়াদের কথিত ইমাম খোমেনীও সে সমস্ত কুফরী আক্বীদা পোষণকারী।” অথচ বাইতুশ শরফ কমপ্লেক্স-এর আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ থেকে প্রকাশিত “মাসিক দ্বীন-দুনিয়া পত্রিকায়” বর্তমান বিশ্বে ইসলামী বিপ্লবের
শ্রেষ্ঠ রূপকার”
কলামে শিয়াদের কথিত ইমাম খোমেনীর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
উক্ত কলামে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, “ইসলামী দেশ সমূহে যারা শিয়া ও
সুন্নীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তারা হলো সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল।” এবং বলা হয়েছে- “লা-শিয়া ওয়ালা-সুন্নী, নাহনু মুসলিমুন। আমরা শিয়াও না সুন্নীও না আমরা মুসলমান।”
আমি জানি
“দ্বীন-দুনিয়া” একটি হক্ব সিলসিলা ভূক্ত পত্রিকা। কিন্তু শিয়াদের সমর্থন
করে উক্ত বক্তব্য প্রচারের কারণে তাদের হক্ব হওয়ার ব্যাপারে আমি সন্দিহান। এখন
আামার প্রশ্ন হচ্ছে, “মাসিক দ্বীন-দুনিয়ার” উক্ত
লেখা কতটুকু সঠিক হয়েছে। বিস্তারিত দলীলসহ জানালে আমার মত অগণিত লোকের
ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হতো।
জাওয়াব : হ্যাঁ, আমাদের “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকার ৩৩তম সংখ্যার
সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগে স্বল্প পরিসরে সংক্ষিপ্তভাবে সাড়ে নয় পৃষ্ঠা ব্যাপী ফতওয়া প্রদান
করা হয়েছে যে,
আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সকল অনুসরণীয় মুহাক্কিক, মুদাক্কিক,
ইমাম, মুজতাহিদগণের মতে শিয়া সম্প্রদায় ৭২টি
বাতিল ফেরকার অন্তর্ভূক্ত। ঐ সকল মুসলমান নামধারী লোক, ইসলামের
ছদ্মাবরণে ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু, মুনাফিক, শিয়া ও
রাফেজী সম্প্রদায়ের হাক্বীক্বী পরিচয় হচ্ছে, তারা
অমুসলিম বা কাফির। যার
স্বপক্ষে পবিত্র কুরআন
শরীফ,
পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও
ক্বিয়াস উনাদের অসংখ্য
দলীল প্রমাণ রয়েছে। শিয়াদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিশিয়া (شيعة) শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- অনুসারী বা অনুবর্তী দল।পারিভাষীক
অর্থে বলা হয়,
মহান আল্লাহ পাক
উনার রসূল, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরবর্তী সময়ে, যারা হযরত আলী কাররামাল্লাহু
আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ অবলম্বন করে উনারই অনুসারী বলে দাবী করেছিল, তাদের মধ্য থেকেই কিছু লোক
পরবর্তীতে শিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে।প্রকাশ থাকে যে, হযরত আলী
র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস
সালাম উনার খেলাফতকালে আব্দুল্লাহ্ বিন সাবা ও মুনাফিকদের গভীর
ষড়যন্ত্রের কারণে হযরত আলী কাররামাল্লাহু
আলাইহিস সালাম এবং কাতিবেওহী,
হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মধ্যে সিফফীন নামক স্থানে একটি যুদ্ধ সংঘটিত
হয়। সেই যুদ্ধে মুনাফিকরা মতভেদ সৃষ্টি করে, যারফলে
সেখানে যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
তাদের মধ্যে একটি ভাগ হযরত ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনাদের সকলের প্রতি সুধারণা পোষণ করেন এবং
তাদের মধ্যে একটি অংশ হযরত আলী কাররামাল্লাহু
আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ অবলম্বন করেন ও অন্য অংশটি হযরত
মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পক্ষ অবলম্বন করেন। যাঁরা সবাই হক্ব ও আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত-এর
অন্তর্ভূক্ত। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় দলটি, যারা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনাদের পক্ষ ত্যাগ করে নিজেদের তৈরী
করা মতবাদ নিয়ে জীবন যাপন করে, তারাই পরবর্তীতে খারেজী নামে মশহুর
হয়।
আর তৃতীয়
দলটি,
যারা হযরত আলী কাররামাল্লাহু
আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ অবলম্বন করে, উনার একনিষ্ঠ অনুসারী বলে দাবী করে।
সাথে সাথে অন্যান্য সকল ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে মুরতাদ বা কাফির হিসেবে আখ্যায়িত করে। কালের
আবর্তনে পরবর্তী সময়ে তারাই শিয়া বা রাফেজী নামে পরিচিতি লাভ করে। মূলত
তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সম্পূর্ণই বিপরীত। অর্থাৎ কুফরীতে পরিপূর্ণ। যার কারণে
আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমাম, মুজতাহিদ ও হক্কানী
ওলামা-ই-কিরামগণ “শিয়া বা রাফেজীদেরকে” ৭২টি
বাতিল ফেরকার একটি ও অমুসলিম বলে রায় দেন। অথচ ইলম-আমল শুণ্য দুনিয়ালোভী নামধারী
কিছু সংখ্যক “ওলামায়ে ছূ”
দুনিয়াবী সামান্য ফায়দা লুটার জন্যে শিয়া বা রাফেজীদের
কুফরী আক্বীদাসমূহ গোপন রেখে শিয়াদেরকে হক্ব প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালায়। তবে এ
ব্যাপারে তারা কখনোই সফলকাম হতে পারবেনা (ইনশাআল্লাহ)।
কারণ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قل جاء الحق وزهق الباطل ان البا طل كان زهوقا-
অর্থ :“বলুন, সত্য
এসেছে,
আর মিথ্যা অপসৃত হয়েছে, মিথ্যা
অপসৃত হবেই হবে।” তাদের মিথ্যাবাদীতা ও প্রতারণাকে সমূলে অপসৃত বা উৎপাটন করার লক্ষ্যে নিম্নে
শিয়া বা রাফেজীদের কথিত ইমাম, খোমেনীর কুফরী আক্বীদাসমূহ উল্লেখ
করা হলো- কথিত ইমাম খোমেনী ও শিয়াদের
কুফরী আক্বীদাসমূহশিয়াদের কথিত ইমাম খোমেনী একজন স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত শিয়া ও
শিয়াদের কুফরীমূলক আক্বীদায় পরিপূর্ণ বিশ্বাসী এবং তাদের একনিষ্ঠ অনুসারী। সে
মূলতঃ মানুষদেরকে শিয়াদের কুফরীমূলক আক্বীদার অনুসারী করার জন্য সুরতান বা বাহ্যিক
কিছু দ্বীনী কাজ করেছিল। আর সুরতান বা বাহ্যিক কিছু দ্বীনী কাজ করলেই মুসলমান হওয়া
যায়না। মুসলমান হওয়ার জন্য ঈমান-আক্বীদা শুদ্ধ থাকা পূর্ব শর্ত। অথচ খোমেনীর
আক্বীদা কুফরীতে পরিপূর্ণ। যার অকাট্য প্রমাণ আমাদের কাছে মওজুদ রয়েছে। যেমন-
শিয়াদের কথিত ইমাম খোমেনীর লেখা আল হুকুমাতুল ইসলামীয়া নামক কিতাবের ৫২ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ করা হয়েছে,
وان
من ضروريات مذهبنا ان لا نمتنا مقاما لا يبلغه ملك مقرب ولا نبى مرسل- (الحكومة
الاسلامية- ৫২)
অর্থ : “আমাদের মাযহাবের জরুরী আক্বাইদের অন্যতম এই যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্তবা ও স্তর রয়েছে, যে
মর্তবা বা স্তর কোন নৈকট্যশীল ফেরেশ্তা এবং নবী রাসূলদের নেই।” খোমেনী পন্থী শিয়া সম্প্রদায় হযরত ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ
সম্পর্কেও কুফরীমূলক আক্বীদা পোষণ করে। এ সম্পর্কে তারা তাদের পুস্তকে উল্লেখ
করেছে,
كان
الناس اهل ردة بعد النبى صلى الله عليه وسلم الا ثلثة فقلت ومن الثلاث قال المقداد
بن الاسود وابو ذر الغفارى وسلمان الفارسى رحمة الله عليهم بركاته (الجامح الكافى-
الروضة- ১১৫)
অর্থ :“রাসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার ওফাত মুবারকের পর তিনজন ব্যতীত (ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুগণ) সকলেই মুরতাদ, ধর্মত্যাগী হয়ে যান। (রাবী বলেন)- আমি আরজ করলাম, সে তিনজন কে? তিনি বলেন, মেকদাদ ইবনুল আসওয়াদ, আবু জর গিফারী এবং সালমান ফারসী, তাদের প্রতি আল্লাহ পাক উনার
রহ্মত ও বরকত হোক। (আল জামিউল কাফী, কিতাবুর রওজা, পৃঃ-১১৫)
শুধু তাই
নয়, তারা আরো মনে করে যে, ১। হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক
আলাইহিস সালাম, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম ও হযরত উসমান যিন নূরাইন আলাইহিস সালাম ছিলেন
দুশ্চরিত্রসম্পন্ন, ক্ষমতালোভী ও মুনাফিক। যার কারণে প্রস্তাব দেয়া সত্বেও উনাদের নিকট হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বিবাহ
দেয়া হয়নি। (নাউযুবিল্লাহ্) (রজইয়্যাহ্, নিউজ লেটার)
২।
উম্মুল মু’মিনীন,
হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম ও হযরত হাফসাআলাইহাস সালাম
হত্যাকারিনী। কারণ উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিষ খাইয়ে শহীদ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ)
৩।
বর্তমান পবিত্র কুরআন
শরীফ পরিবর্তীত ও বিকৃত। মূলতঃ আসল কুরআন শরীফ উনার মধ্যে সতর হাজার আয়াত ছিল, যাতে হযরত আলী কাররামাল্লাহু
ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার ইমামতের কথা ছিল, সেগুলো পবিত্র কুরআন
শরীফ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ্) (উছূলুল কাফী)
৪।
মুত্য়া (বা কন্ট্রাক্ট বিবাহ) জায়েয তো অবশ্যই বরং মর্যাদা লাভের কারণ। হযরত উমর
ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম এ বিবাহকে হারাম বলার কারণে প্রকাশ্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিরোধিতা করে কাফের হয়েছেন।
(নাউযুবিল্লাহ) (ইরানী ইনক্বেলাব আওর ইমাম খোমেনী, কাশফুল
আসরার)
৫।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে
কিরামরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, ইমাম,
মুজতাহিদ তথা আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী কোন ব্যক্তির নামাজ হয়নি বা হয়না, কারণ উনারা
নামাজে হাতের উপর হাত রাখেন ও স্বেচ্ছায় সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর আমীন বলেন এবং
র্আদ বা মাটির উপর সিজদা করেন না। (নাউযুবিল্লাহ) (তাহরীরুল উসীলা)
৬। নিজের
পরিচয় বা দোষ গোপন করা এবং অপরকে ধোকা দেয়ার উদ্দেশ্যে “তাক্বিয়া” বা মিথ্যার আশ্রয় নেয়া জায়েয।
৭।
প্রাণীর ছবি আকা হারাম, আর তোলা জায়েয। উক্ত তোলা ছবি ঘরে
রাখা ও তার উপস্থিতিতে নামাজ পড়াও জায়েয। (নিউজ লেটার)
এছাড়া
তাদের আরো অনেক কুফরী আক্বীদা রয়েছে, যা তাদেরই লিখিত নিম্নোক্ত
কিতাবসমূহে রয়েছে- বেলায়েতে ফক্বীহ, ফাছলুল খিতাব ফী ইছবাতি তাহ্রীফি
কিতাবি রাব্বিল আরবাব, মোস্তাদরিকুল ওসায়েল,
হামলা হায়দারী, ইহতিজাজে তবরিযী, নহ্জুল বালাগাহ, রিজালকুশী, হায়াতুল কুলূব, তাফসীরে ছাফী, হক্বুল ইয়াক্বীন, জিলাউল উয়ূন, উছূলুল কাফী, ফুরুয়ে কাফী, আল জামিউল কাফী, যাদুল মায়াদ লি মজলিসী, তারীখে তরাযে মাযহাবে শিয়া, মাওয়ায়েনে হুসাইনিয়াহ, তোহ্ফাতুল আওয়াম, মিরআতুল উকূদ, দিস্তানে মাযাহেব, বেহারুল আনোয়ার (২৫ খন্ড), মিনহাজুল কিরামাহ্ ফী মা’রিফাতিল ইমামাহ, তাজাল্লিয়াতে সাদাকাত, আহসানুল ফাওয়ায়িদ ফী শরহিল আকাইদ, তাফসীরে জামিউল বয়ান। শিয়াদের
উপরোক্ত কিতাব সমূহে বর্ণিত কুফরী আক্বীদা সমূহের পরিপ্রেক্ষিতে আহ্লে সুন্নত ওয়াল
জামায়াতের আলেমগণ তাদেরকে কাফের বা অমুসলিম বলে ঘোষণা দেন, যা
নিম্নোক্ত বিশ্বখ্যাত ও সর্বজনমান্য কিতাবসমূহে উল্লেখ আছে, তাফসীরে ইব্নে কাছীর, খাযেন, বাগবী, ই’তেছাম,
মুসাওয়া, শরহে মুয়াত্তা, আল ফাস্ল লি ইব্নে হাযম, কিতাবুশ শেফা, মেরকাত শরহে মেশকাত, মোযাহেরে হক্ব, ফাতহুল ক্বাদীর, ফতওয়ায়ে আলমগীরী, রদ্দুল মোহ্তার, মিন্হাজুস সুন্নাহ্, আস্ সারিমুল মাসলূল, রদ্দে রাওয়াফেজ, গুনিয়াতুত তালেবীন, ফাওয়াতিহুর
রাহমূত,
তালবীসুল ইবলীস, ইমদাদুল ফতওয়া, ফতওয়ায়ে আযীযী, আল মাজুয়াতুস্ সুন্নিয়া, ইযালাতুল
খফা, কুররাতুল আইনাইন, তোহ্ফায়ে ইছনা আশারিয়া, মিলাল
ওয়ান নেহাল ইত্যাদি কিতাবসমূহে রাফেজী বা শিয়াদেরকে অমুসলিম ও জাহান্নামী বলে
উল্লেখ করা হয়েছে। উপরোক্ত নির্ভরযোগ্য বিশ্ববিখ্যাত কিতাব সমূহের বর্ণনা দ্বারা
সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, আহ্লে সুন্নত ওযাল জামায়াতের
দৃষ্টিতে শিয়াদের কথিত ইমাম খোমেনী কুফরী আক্বীদসমূহে বিশ্বাসী হওয়ার কারণে
অমুসলিম ও গোমরাহ্। সুতরাং খোমেনী যেখানে অমুসলিম ও গোমরাহ্ প্রমাণিত, সেখানে খোমেনীকে ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ...... ইত্যাদি বলে ভূয়সী প্রশংসা করা
কি করে জায়েয বা শরীয়তসম্মত হতে পারে? অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
من
وقرعلى صاحب بدعة فقد اعان على هدم الاسلام.
অর্থ :“যে ব্যক্তি কোন বিদয়াতী ব্যক্তিকে সম্মান করলো, সে যেন ইসলামকে ধ্বংস সাধনে সাহায্য করলো” (মেশকাত, বায়হাক্বী,
মেরকাত, শরহুত্ ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ্, লুময়াত) অন্য
পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اذا مدح الفاسق اهتزله العرش.
অর্থ :“যখন কোন ফাসিকের প্রশংসা করা হয, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার আরশ কেঁপে উঠে।” (মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, শরহুত্
ত্বীবী,
লুময়াত, তা’লীকুছ
ছবীহ্) অতএব,
যদি বিদয়াতীকে সম্মান করলে ও ফাসেকের প্রশংসা করলে দ্বীন ধ্বংস হয় ও মহান আল্লাহ পাক উনার আরশ কাঁপে, তবে যারা কাফির, ইসলাম উনার চির
দুশমন,
বিদয়াতী ও ফাসিকের চেয়ে ইসলাম উনার জন্য অত্যাধিক ক্ষতিকর, তাদের সম্মান বা প্রশংসা করলে কি হবে? তা
বিশেষভাবে অনুধাবণীয়। মূলতখোমেনী বা
শিয়াদের প্রশংসা করাতো যাবেই না বরং তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ, মুহব্বত ও প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকা ফরয/ওয়াজিবের অন্তর্ভূক্ত। কারণ তারা একান্তভাবেই
হযরত ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনাদের চরম বিদ্বেষী। তাই তাদের
সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যেইরশাদ মুবারক হয়েছে যে,
سياتى
قوم يسبونهم ويستنقصونهم فلا تجالسو هم ولا تا كلو هم ولا تنا كحو هم ولا تصلوا
معهم ولا تدعو لهم.
অর্থ :“অতি শীঘ্রই একদল বের হবে, যারা হযরত ছাহাবায়ে
কিরামরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণকে গালি দিবে ও অপূর্ণ বলবে। সুতরাং তোমরা তাদের
নিকট বসবেনা,
তাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করবেনা, তাদের
নিকট মেয়ে বিয়ে দিবেনা, তাদের মেয়ে বিয়ে করবেনা, তাদের পিছনে নামাজ পড়বেনা ও তাদের জন্য দোয়া করবেনা।” এখানে
উল্লেখ্য যে,
স্বয়ং হযরত আলী কাররামাল্লাহু
আলাইহিস সালাম শিয়া বা রাফেজীদেরকে কাফির বা মুশরিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ
প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে,
حضرت
ابو سلیان ھمدانی کھتے ھین کہ حضرت علی
کرم اللہ علیہ السلام سے روایت ھے کہ آخر زمانہ مین ایک قوم ھوگی جو ھمارے
شیعۃ دوست دار ھونا ظاھر کرین گے بدگوئی کریگے وہ رافضہ کھلائین گے وہ لوگ ھرگز
ھمارے شیعہ نھین ھین انگی پھچان یہ ھے کہ وہ لوگ حضرت ابو بکر علیہ السلام و حضرت
عمر فاروق علیہ السلام کو برا کھین گے- انکو تم جھان کھین پاؤ قتل کرنا- کیونکہ وہ
لوگ مشرک ھے (تلبیس ابلیس لابن جوزی صفہ১৩৬)
অর্থ : হযরত আবু সোলায়মান রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বলেন, হযরত আলী কাররামাল্লাহু
ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত যে, “শেষ যামানায় একদল লোক আমার পক্ষীয় এবং বন্ধু বলে দাবী করবে, খারাপ কাজ করবে এবং রাফেজী (শিয়া) বলে পরিচয় দিবে, তারা
কখনো আমার পক্ষীয় নয়। তাদের (মূল) পরিচয় হলো- তারা আমীরুল মু’মিনীন,
হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ইবনুল
খত্তাব আলাইহিস সালাম উনাদেরকে খারাপ বলবে, তোমরা তাদেরকে যেখানে পাবে হত্যা করবে, কারণ তারা মুশরিক।” (তালবীসে ইবলিস লি ইবনে জাওজী- পৃঃ ১৩৬) শুধু
তাই নয়,
নিম্মোক্ত সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণও শিয়াদেরকে
সুন্নীদের থেকে আলাদা মনে করতেন, যার কারণে তাদেরকে ৭২টি বাতিল
ফেরকার একটি ও অমুসলিম বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- ইমামে আযম, হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আহ্মদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি
আলাইহি,
মাহ্বুবে সোবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউসুল আযম,
শায়খ, সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল
ক্বাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী রহমতুল্লাহি
আলাইহি,
হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি, শাহ্ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহ্লভী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম
ইবনে হাযম রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ক্বাজী আয়ায মালেকী রহমতুল্লাহি
আলাইহি,
আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, আল্লামা কামালুদ্দীন ইবনুল হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, আল্লামা
ইবনে আবেদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ প্রায় সকল ইমাম-মুজতাহিদরহমতুল্লাহি আলাইহিগণ
উনাদের
স্ব-স্ব কিতাবে শিয়া-রাফেজীদেরকে সুন্নী থেকে আলাদা করেছেন। শিয়া বা রাফেজীরা
মুসলমান নয় বরং তারা কাফের বলে উল্লেখ করেছেন।
এ
প্রসঙ্গে একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাহলো- শ্রেষ্ঠ মাযহাব, হানাফী
মাযহাবের ইমাম, ইমামে আযম,
সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন,
হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট এক শিয়া এসে বললো, হুযূর আমার দু’টি মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে, আপনার
নিকট তো অনেক লোকজন এসে থাকে, যদি দয়া করে দু’টো ভাল ছেলের ব্যবস্থা করে দিতেন, তবে খুব উপকৃত হতাম। ইমামে আ’যম, হযরত আবূ
হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন- ঠিক আছে, তুমি
কিছুদিন পরে এসো। ইমামে আ’যম, আবূ
হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কথামত উক্ত শিয়া কিছুদিন পর উনার সাথে দেখা করলো। তখন ইমামে আ’যম, আবূ
হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, তোমার মেয়ের জন্যে দু’টি ছেলে ঠিক করেছি। সে বললো- তারা কোন বাড়ীর? ইমামে আ’যম,
আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, অমুক বাড়ীর। তখন শিয়া লোকটি আশ্চর্য হয়ে বললো- হুযূর বলেন কি, তারা তো ইহুদী! তার এ কথার জবাবে ইমামে আ’যম, আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “কেন, অসুবিধা
কি? স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামযদি এক ইহুদীর (হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) নিকট উনার দু’মেয়েকে বিয়ে দিতে পারেন, তবে তুমি পারবেনা কেন? তোমরা (শিয়ারা) না বলে থাক, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার দু’মেয়েকে
ইহুদীর নিকট অর্থাৎ হযরত উসমান আলাইহিস সালাম উনার নিকট বিয়ে দিয়েছেন। একথা শুনে শিয়া লোকটি লজ্জিত হলো এবং শিয়া মতবাদ থেকে
খালেছ তওবা করলো। (সীরতে ইমামে আ’যম)
উপরোক্ত
ঘটনার দ্বারা একথাই প্রমাণিত হয় যে, শিয়াদের আক্বীদা মতে হযরত উসমান যিন নুরাইন আলাইহিস সালাম হলেন, ইহুদী।
(নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) আরো প্রমাণিত
হলো যে,
ইমামকুল শিরোমনী, ইমামে আযম, আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিও শিয়া বা রাফেজীদেরকে ৭২টি বাতিল ফেরকার একটি ও
গোমরাহ্ বলে জানতেন। কাজেই “মাসিক
দ্বীন-দুনিয়া”
পত্রিকায় যে লিখেছে, “যারা
ইসলামী দেশসমূহে শিয়া-সুন্নীদের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি করেছে, তারা সাম্রাজ্যবাদের দালাল।” যদি তাই হয়ে থাকে, তবে মাসিক “দ্বীন দুনিয়ার” কথা মোতাবেক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন, সাম্রাজ্যবাদের
প্রথম দালাল। (নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক) কারণ তিনি বলেছেন, “আমার
উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একদল জান্নাতে যাবে, ৭২টি দল যাবে জাহান্নামে (তন্মধ্যে শিয়ারাও অন্তর্ভুক্ত)। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রসুল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্ব প্রথম শিয়া-সুন্নীর মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি করেছেন। দ্বিতীয় সাম্রাজ্যবাদের
দালাল হলেন,
হযরত আলী আলাইহিস
সালাম (নাউযুবিল্লাহ্)। কারণ তিনিও শিয়াদেরকে মুশরিক বা কাফির আখ্যায়িত করে সুন্নীদের থেকে
প্রভেদ করেছেন।দ্বীন-দুনিয়ার বক্তব্য মুতাবেক সাম্রাজ্যবাদের তৃতীয় দালাল হলেন, আহ্লে
সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সর্বজন মান্য ও অনুসরণীয়, বিশ্ব
সমাদৃত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে
কিরামরহমতুল্লাহি আলাইহিগণ (নাউযুবিল্লাহ্)। কারণ উনারা প্রায় সকলেই শিয়া-সুন্নীর
মধ্যে প্রভেদ করেছেন এবং শিয়াদেরকে বাতিল, গোমরাহ্
ও অমুসলিম বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এক কথায়
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ সকল উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সাম্রাজ্যবাদের দালাল। (নাউযুবিল্লাহ্)
মূলত
মাসিক “দ্বীন দুনিয়ার” উক্ত বক্তব্য সুক্ষ্ম কুফরীর অন্তর্ভূক্ত। হাক্বীক্বতে
তারাই সাম্রাজ্যবাদের দালাল, যারা বিদেশী প্রভূদের পদলেহনকারী, উচ্ছৃষ্টভোগী ও শিয়াদের গুণ-কির্তন করে দুনিয়াবী ফায়দা লুক্তনকারী, তারাই শিয়াদেরকে সুন্নীদের থেকে আলাদা মনে করে না, তাদের
অমুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়না।সুতরাং “মাসিক দ্বীন দুনিয়া” কর্তৃপক্ষ যদি তাদের হক্ব সিলসিলাকে হক্ব হিসেবে বজায় রাখতে চান, তাহলে তাদের উচিত হবে উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য হতে তওবা করা এবং শিয়াদের
বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কেননা
যে শিয়া সম্প্রদায় তাদের ইমামকে নবী-রাসূলের চেয়ে অধিক মর্যাদা সম্পন্ন মনে
করে, কয়েকজন সাহাবী ব্যতীত সকল ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণকে মুরতাদ
বা কাফের হিসেবে ফতওয়া দেয়, উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনাদের প্রতি
মিথ্যা অপবাদ দেয়, পবিত্র কুরআন শরীফ পরিবর্তন হয়েছে বলে বিশ্বাস করে এবং
বিশেষ করে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারুক আলাইহিস সালাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, উনাদেরদেরকে দুঃশ্চরিত্র সম্পন্ন, ক্ষমতালোভী,
মুনাফিক বলে আখ্যা দেয়, তারা কি
করে মুসলমান হতে পারে? যাদের অন্তরে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার প্রতি
সামান্যতম মুহব্বত আছে, তারা কখনো এ সমস্ত আক্বীদা পোষণ
করতে পারেনা। বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
حب
ابى بكر وعمر رض الله عنهما ايمان وبغضهما كفر.
অর্থ :“হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক আলাইহিস
সালাম ও হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনাকেমুহব্বত করা ঈমানের অঙ্গ, আর উনাদের প্রতি
বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।”
মূলত
আমরাও “মাসিক দ্বীন-দুনিয়া” পত্রিকাকে হক্ব সিলসিলা ভূক্ত মনে
করতাম। তবে এখন তারা গোমরাহদের অনুসারী হওয়ার কারণে সঠিক সমঝ বা সঠিক বুঝ হারিয়ে ফেলেছে। মূলত যখন কোন লোক ইলমে
তাসাউফ থেকে দূরে সরে গিয়ে গোমরাহ্দের অনুসারী হয়, তখন
তাদের মধ্যে এসে যায় নফসানিয়াত। তারা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নফ্সের অনুসারী হয়। যার ফলশ্রুতিতে তাদের ইলম
থাকার পরেও গোমরাহীতে দৃঢ় থাকার কারণে, তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক গোমরাহীতে নিমজ্জিত
করেন। বস্তুতঃ এটা তাদেরই কর্মফল। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
افرأيت من اتخذ الهه هواه واضله الله على علم.
অর্থ :“আপনি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য
করেছেন?
যে তার নফ্স বা প্রবৃত্তিকে স্বীয় উপাস্য স্থির করেছে? মহান আল্লাহ পাক (তাকে গোমরাহীর উপর দৃঢ় থাকার কারণে) জেনে-শুনে পথভ্রষ্ট
করেছেন।”
(পবিত্র সূরা জাছিয়া
শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
সুতরাং
প্রত্যেকের জন্য একান্ত কর্তব্য হচ্ছে- যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্যশীল বান্দা, উনাদের ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যেমে ইলমে তাসাউফ হাছিল করে
নিজেদের ঈমান-আক্বীদা হিফাযত করা। সাথে সাথে যারা অর্থের মোহে মোহগ্রস্থ হয়ে, দুনিয়াবী ফায়দা হাছিল করার জন্য শিয়াদের কুফরীমূলক আক্বীদা সমূহকে কুফরী
হিসেবে স্বীকৃতি দেয়না, তাদের সহিত আঁতাত করে অগণিত
মুসলমানদের ঈমান-আমল বরবাদ করছে, তাদের সোহ্বত (সংস্পর্শ) থেকে
দূরে থাকা।
[শিয়া বা রাফেজীদের
সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৩৩তম সংখ্যা পাঠ করুন।]
আবা-৩৭
0 Comments:
Post a Comment