জাওয়াব - (১) অঙ্গুলিগুলি ক্বিবলামুখী থাকবে, অতঃপর আশ্হাদু আল্লা-এর লা বলার সময় শাহাদাত অঙ্গুলিকে সামান্য উপরের দিকে উঠায়ে যখন ইল্লাল্লাহ্ বলবে, তখন শাহাদাত অঙ্গুলিকে নামিয়ে অন্যান্য অঙ্গুলির মত স্বাভাবিকভাবে ক্বিবলামুখী করে রাখবে নামাযের শেষ পর্যন্ত।
(২) ‘লা’ বলার সময় শাহাদাত অঙ্গুলিকে উপরের দিকে উঠাবে এবং বৃদ্ধা ও মধ্যমা অঙ্গুলির অগ্রভাগ মিলিত করে হালকা বা গোল বানায়ে রাখবে এবং কনিষ্ঠা ও অনামিকা অঙ্গুলিকে গুটায়ে বা আক্দ করে হাতের তালুর সাথে মিলায়ে রাখবে। অতঃপর যখন ইল্লাল্লাহ্ বলবে, তখন শাহাদাত অঙ্গুলিকে নামায়ে রাখবে নামাযের শেষ পর্যন্ত। বৃদ্ধা ও মধ্যমা অঙ্গুলি হালকা এবং অনামিকা ও কনিষ্ঠা অঙ্গুলির আক্দও নামাযের শেষ পর্যন্ত একইভাবে থাকবে।
(৩) ‘লা’ বলার সময় বৃদ্ধা, কনিষ্ঠা, অনামিকা ও মধ্যমা অঙ্গুলিসমূহ মুঠ করে শাহাদাত অঙ্গুলি উপরে উত্তোলন করবে। অতঃপর যখন ইল্লাল্লাহ্ বলবে, তখন শাহাদাত অঙ্গুলিকে নামায়ে রাখবে আর অন্যান্য অঙ্গুলিসমূহ মুঠ করা অবস্থায় থাকবে নামায শেষ করা পর্যন্ত।
অনুরূপ আমল করতে হবে। প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পাঠের সময় বৈঠকের শেষ পর্যন্ত।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত তিনটি নিয়মের মধ্যে প্রথম নিয়মটি আফ্জল বা সবচেয়ে উত্তম। কারণ নামাযের সময় যে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি ক্বিবলামুখী রাখা সম্ভব, সে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি ক্বিবলামুখী রাখাও সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। আর শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করা সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। (আরকানে আরবায়া, মারাকিউল ফালাহ্ বাহ্রুর রায়েক, কবিরী, সগিরী, শামী, দুররুল মোখতার, হাশিয়ায়ে তাহ্তাবী ইত্যাদি)
আবা-২৬
0 Comments:
Post a Comment