৪১৬ নং- সুওয়াল - নদী ও সমুদ্র পথে, মাঠ, বন-জঙ্গল কিম্বা মরু-প্রান্তর ইত্যাদি স্থান দিয়ে সফরকালে ঘন কুয়াশা, অন্ধকার, মেঘাচ্ছন্ন এবং অতিবৃষ্টি ইত্যাদির কারণে যদি ক্বিবলার সঠিক দিক নির্ণয় করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে সমস্ত স্থানে কিভাবে নামায আদায় করতে হবে?

সুওয়াল - নদী ও সমুদ্র পথে, মাঠ, বন-জঙ্গল কিম্বা মরু-প্রান্তর ইত্যাদি স্থান দিয়ে সফরকালে ঘন কুয়াশা, অন্ধকার, মেঘাচ্ছন্ন এবং অতিবৃষ্টি ইত্যাদির কারণে যদি ক্বিবলার সঠিক দিক নির্ণয় করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে সমস্ত স্থানে কিভাবে নামায আদায় করতে হবে?

জাওয়াব - এ সমস্ত পথে সফরকালে সাধারণতঃ অনেকেই দিক নির্ণয়ের যন্ত্র (কম্পাস) সাথে রাখে। কাজেই যদি দিক নির্ণয় করা সম্ভব না হয়, তাহলে কম্পাস দিয়ে ক্বিবলা নির্ণয় করবে। বিশেষ করে তাদের নিকট যদি কম্পাস না থাকে, তবে লঞ্চের শারেং বা ষ্টীমারের ক্যাপ্টেন-এর নিকট দিক সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে ক্বিবলা ঠিক করে নামায আদায় করতে হবে। কেননা  লঞ্চ-ষ্টীমার ইত্যাদিতে দিক নির্ণয়ের যন্ত্র থাকে। আর যারা স্থল পথে তথা মাঠ, বন-জঙ্গল, মরু-প্রান্তর ইত্যাদিতে সফর করে, তাদের নিকট যদি কম্পাস না থাকে এবং দিকও নির্ণয় করতে না পারে, তবে নিকটবর্তী কোন জনবসতী থাকলে, সেখান থেকে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে ক্বিবলা নির্ধারণ করে নামায আদায় করতে হবে।
আর যদি স্থলপথে সফরকারী কোন ব্যক্তি বা জনবসতী না পায়, যার দ্বারা ক্বিবলার দিক জেনে নিয়ে নামায আদায় করবে, এবং পানি পথে সফরকারী, লঞ্চ-স্টীমারের কম্পাস নষ্ট হওয়ার কারণে ক্বিবলার দিক জানতে না পারে, তবে প্রত্যেকেই আকাশের সূর্য বা চন্দ্র অথবা তারকার মাধ্যমে দিক নির্ধারণের কোশেশ করতে হবে। আর যদি মেঘ অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্নতার কারণে চন্দ্র, সূর্য ও তারকার মাধ্যমেও দিক নির্ধারণ সম্ভব না হয়, আর কম্পাসও না থাকে এবং জিজ্ঞাসা করার মত কোন জনমানবও না থাকে, তখন প্রত্যেকেই অনুমান করে অর্থাৎ তার অন্তর ক্বিবলা হওয়ার জন্য যে দিকে শায় দেয়, সে দিকেই মুখ করে নামায আদায় করবে। যদি সফরকারী অনেক লোক থাকে এবং তাদের মধ্যে একাধিক লোকের অনুমানকৃত ক্বিবলা এক হয়ে যায়, তাহলে তারা ইচ্ছা করলে জামায়াতে নামায আদায় করতে পারবে। আর আদায় করাও উচিত।
আবা-২৬

0 Comments: