১৩২ নং-সুওয়াল :স্বামী-স্ত্রী একত্রে জামাতে নামায পড়লে নামায আদায় হবে কিনা, এ নিয়ে আমাদের মাঝে জটিল আকার ধারণ করেছে। সুতরাং দলীল সহ সঠিক উত্তর দিলে খুশী হব?


সুওয়াল : মাসিক মদীনা ফেব্রুয়ারী-৯৪ সংখ্যায় নিম্নলিখিত প্রশ্ন-উত্তর ছাপানো হয়।
প্রশ্নঃ- স্বামী-স্ত্রী একত্রে জামাতে নামায পড়লে নামায আদায় হবে কিনা, এ নিয়ে আমাদের মাঝে জটিল আকার ধারণ করেছে। সুতরাং দলীল সহ সঠিক উত্তর দিলে খুশী হব?
উত্তরঃ যে কোন স্ত্রীলোক পুরুষ ইমামের পিছনে জামাতে নামায আদায় করলে  নামায আদায় হয়ে যাবে; স্ত্রীলোকেরা ইচ্ছা করলে এবং ফরজ পর্দায় ব্যাঘাত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে মসজিদের জামাতে গিয়েও শামিল হতে পারেন; এ মাসয়ালা ফেকাহ্ ও ফতওয়ার সব কিতাবেই রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বামী বেচারীর এমন কি দোষ হলো যে, তার পিছনে স্ত্রীর এক্তেদা অর্থাৎ একসাথে নামায পড়ার প্রশ্ন নিয়ে আপনাদের মাঝে জটিল আকার ধারণকরতে পারে। বাজারে অতি প্রচলিত বেহেশ্তী জেহরনামক কিতাবখানা দেখেও কি এ জটিল আকারএর সমাধান করা যায় না? উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তরে মদীনা পত্রিকায় যা বলা হয়েছে, তা শুদ্ধ কিনা?
জাওয়াব: উপরোক্ত উত্তর একাংশ শুদ্ধ হয়েছে, যেমন স্ত্রী স্বামীর পিছনে ইক্তেদা করতে পারবে, এটা আরো খোলাছা হওয়া উচিৎ ছিল। তাহলো- স্ত্রী যদি একা ইক্তেদা করে, তখন স্বামীর সাথে পাশাপাশি না দাঁড়িয়ে পিছনের কাতারে দাঁড়াতে হবে। দ্বিতীয়তঃ স্ত্রী লোকেরা ইচ্ছা করলে এবং ফরজ পর্দায় ব্যাঘাত হওয়ার আশংঙ্কা না থাকলে মসজিদের জামায়াতে গিয়েও শামিল হতে পারেন। এ মাসয়ালা ফিক্বহ্ ও ফতাওয়ার সব কিতাবেই রয়েছে। একথা সম্পূর্ণ ভুল, অশুদ্ধ ও অজ্ঞতা ব্যতীত আর কিছুই নয়। যারা মেয়েদের জামায়াত জায়েয বলেন, তারা কোন নির্ভরযোগ্য কিতাব হতে দলীল পেশ করতে পারে নাই এবং পারবেও না। কাজেই যে বিষয়ে যার তাহক্বীক নাই, সে বিষয়ে তার কথা না বলাই উচিৎ। মেয়েদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে  নামায পড়া যে মাকরূহ্ তাহরীমী, তার প্রমাণ হলো নিম্নলিখিত কিতাবসমূহ- আইনী, শরহে হেদায়া ১/৭৩৯ পৃঃ, হেদায়া মায়াদ দেরায়া ১/১২৬ পৃঃ, মবসুত লিসুরুখসী ২/৪১ পৃঃ, ফতহুল ক্বাদীর ১/৩১৭ পৃঃ, আলমগীরী, নেহায়া, এনায়া, কেফায়া নূরুল হেদায়া ইত্যাদি কিতাবে উল্লেখ আছে। এছাড়াও কাফী, তাবয়ীন, বাহরোর রায়েক, শরহে সেকায়া, মারাকিউল ফালাহ্, জওহারাতুন নাইয়ারাহ্, মুহীত, ফতওয়ায়ে দেওবন্দ ইত্যাদি কিতাবসমূহে মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে  নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী বলা হয়েছে। বিস্তারীত জানার জন্য মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার ১১তম সংখ্যা পড়ুন, সেখানে মহিলাদের জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহরীমীবিষয়ক ফতওয়া দেয়া হয়েছে। যাতে ৬৫টি নির্ভরযোগ্য কিতাবের দলীল রয়েছে।
 আবা-১৪

0 Comments: