১৪৬ নং- সুওয়াল ঃ - কিছু সংখ্যক ওলামায়ে কিরামের মাধ্যমে জানতে পারলাম, জুময়ার নামাযের সানী আযান মসজিদের দরজায় দেওয়া সুন্নতে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খোলাফা-ই -রাশেদীন -এর সুন্নত এবং তা সহীহ্ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে থাকতে সানী আযান কোথায় দেয়া হতো? ফতওয়ায়ে শামীতে আছে, ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, সহীহ্ হাদীছই আমার মায্হাব। অতএব এ মাসয়ালার ব্যাপারে আপনাদের মতামত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারা সঠিক উত্তর দানে বাধিত করবেন।

সুওয়াল ঃ - কিছু সংখ্যক ওলামায়ে কিরামের মাধ্যমে জানতে পারলাম, জুময়ার নামাযের সানী আযান মসজিদের দরজায় দেওয়া সুন্নতে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খোলাফা-ই -রাশেদীন -এর সুন্নত এবং তা সহীহ্  হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে থাকতে সানী আযান কোথায় দেয়া হতো? ফতওয়ায়ে শামীতে আছে, ইমাম আযম আবূ হানীফা  রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, সহীহ্  হাদীছই আমার মায্হাব। অতএব এ মাসয়ালার ব্যাপারে আপনাদের মতামত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারা সঠিক উত্তর দানে বাধিত করবেন। 

জাওয়াব ঃ - সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত আবু বকর সিদ্দীক  আলাইহিস সালাম, হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনাদের সময়ে একটিমাত্র আযানের প্রচলন ছিল। আর তা মসজিদের দরজায় দেওয়া হতো। সে সময় সানী আযান নামে কোন আযানের অস্তিত্বই ছিলনা। পরবর্তীতে হযরত ওসমান  আলাইহিস সালাম উনার সময় প্রয়োজনে আরো একটি আযান সংযুক্ত হয়, তা দেয়া হতো মসজিদের বাইরে। যাওরা নামক স্থানে, যা পরবর্তীতে প্রথম আযান হিসেবে মশহুর হয়। আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত আবূ বকর সিদ্দীক  আলাইহিস সালাম ও হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব  আলাইহিস সালাম উনার সময়কার আযানকে স্থানান্তরীত করে ইমামের সম্মুখে মিম্বরের সামনে আনা হয়। মূলতঃ এটাই ছিল একমাত্র আযান। কিন্তু কালান্তরে এটা দ্বিতীয় আযান বা সানী আযান হিসেবে মশহুর হয়ে যায়। হযরত ওসমান  আলাইহিস সালাম যে পদ্ধতি চালু করেন, অর্থাৎ মসজিদের বাইরে আযান প্রচলন ও দরজার আযানকে ভিতরে মিম্বরের সামনে স্থানান্তরীত করা, তা সমস্ত ছাহাবা-ই-কিরাম  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনারা মেনে নেন। ফলে তা ইজ্মা হিসেবে পরিগণিত হয়। আর এ ধরণের ইজ্মাকে বলে ইজ্মায়ে আযীমত। আর ইজ্মায়ে আযীমতকে অস্বীকার করা কুফরী।  হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফা  রহমতুল্লাহি আলাইহি যে বলেছেন, “সহীহ্  হাদীছই আমার মায্হাব।” এর অর্থ হলো- হানাফী মায্হাব সমস্ত সহীহ্  হাদীছ শরীফের উপর প্রতিষ্ঠিত। ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফের হাকিম ছিলেন, অর্থাৎ সমস্ত হাদীছসমূহ উনার মুখস্ত ছিল। তিনি কোন মাসয়ালাই জঈফ  হাদীছ শরীফ দ্বারা নিরুপণ করেননি। সানী আযান ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে হলে “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকার ৯ম সংখ্যা পড়ুন, তাতে “জুময়ার নামায ফরজে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” বিষয়ক ৫২টি কিতাবের দলীলসহ বিস্তারীতভাবে ফতওয়া দেয়া হয়েছে।
আবা-১৫

0 Comments: