১৪৪ নং- সুওয়াল ঃ কোন একটি রুমের মধ্যে মানুষের ছবি থাকলে সে রুমে নামায ও কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা জায়েয হবে কিনা? উত্তর ঃ - জায়েয হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, নামাজের সময় ছবি যেন সামনে না থাকে এবং নামাযরত ব্যক্তির দৃষ্টিতে না আসে। এটা জায়েয কি?

সুওয়াল ঃ - মাসিক মদীনার মে, ১৯৯৪ সংখ্যায় নিম্নোক্ত প্রশ্নোত্তর ছাপা হয়। প্রশ্ন ঃ - কোন একটি রুমের মধ্যে মানুষের ছবি থাকলে সে রুমে নামায ও কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা জায়েয হবে কিনা? উত্তর ঃ - জায়েয হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, নামাজের সময় ছবি যেন সামনে না থাকে এবং নামাযরত ব্যক্তির দৃষ্টিতে না আসে। এটা জায়েয কি? 

জাওয়াব ঃ - মদীনা পত্রিকার উক্ত উত্তর সম্পূর্ণই ভুল হয়েছে। কোন রুমের মধ্যে নামাজির সামনে, ডানে, বামে, পিছনে, উপরে, নীচে যেখানেই ছবি থাকুক না কেন নামায মাকরূহ্ তাহ্রীমী হবে। হেদায়া কিতাবে উল্লেখ আছে,
يكره ان يكون فوق راس فى السقف او بين يديه او بحذائه تصاوير ار صورة معلقة.
অর্থঃ - নামাযীর মাথার উপর ছাদে, সামনে, ডানে, বায়ে অথবা অন্য যে কোন অবস্থায় যদি ছবি ঝুলন্ত বা লটকানো থাকে, তাহলে নামায মাকরূহ্ তাহ্রীমী হবে। (১ম খন্ড পৃঃ১৪২ কাজী খান, এছাড়া আলমগীরী, তাতার খানিয়া, আইনুল হেদায়া, ফতহুল ক্বাদীর, বেনায়া ইত্যাদি কিতাবসমূহেও উপরোক্ত ফতওয়া দেওয়া হয়েছে) (ছবি সম্বন্ধে বিস্তারীত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার ১ম বর্ষ পঞ্চম, ষষ্ঠ ও দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম, দ্বিতীয় সংখ্যা পড়ুন এতে ৩৫৩টি নির্ভরযোগ্য কিতাবের দলীল দেয়া আছে) 

আবা-১৫

0 Comments: