৪৩৭ নং- সুওয়াল - আমাদের মহল্লার একটি জামে মসজিদের ইমাম সাহেবের শরীয়ত বিরোধী যথেষ্ট রকমের কার্যকলাপ, যেমন- (১) মসজিদে বেগানা মহিলাদের সাথে সাক্ষাত ও কথাবার্তা বলার অভ্যাস। (২) বেগানা যুবতীদের সাথে অহেতুক গল্প-গুজব করার সখ ও অভ্যাস। (৩) মিথ্যা বলার অভ্যাস। (৪) আত্ম গরিমায় অভ্যস্ত। (৫) দলাদলি করার মনোভাব সম্পন্ন। (৬) সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত। প্রকাশ হওয়ার প্রেক্ষিতে মসজিদের মোতওয়াল্লিদের নেতৃত্বে উনাকে ইমামতীর দায়িত্ব হতে তথা মসজিদ হতে বিদায় করে দেয়া হয়। যথারীতি উনি চলে যান। বর্তমানে একই মহল্লার আর একটি জামে মসজিদের মোতওয়াল্লিসহ কিছু সংখ্যক লোক ঐ বিতর্কিত ইমামকে তাদের মসজিদে নিয়োগ দানের জন্য জোর চিন্তা ভাবনা করছেন। এতে মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লীৗ আপত্তি উত্থাপন করেন। এখন প্রশ্ন হলো- (১) এমন পরিস্থিতিতে শরীয়তের বিধান মতে উল্লেখিত ব্যক্তিকে একই মহল্লার পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম হিসাবে নিয়োগ করা যাবে কিনা এবং (২) উক্ত ইমামের পিছনে জানামতে মুসল্লীগণের নামাযে এক্তেদা করাতে শরীয়তের কোন বাধা আছে কিনা, সনদসহ বিস্তারিত জানাতে অনুরোধ করছি।

সুওয়াল - আমাদের মহল্লার একটি জামে মসজিদের ইমাম সাহেবের শরীয়ত বিরোধী যথেষ্ট রকমের কার্যকলাপ, যেমন- (১) মসজিদে বেগানা মহিলাদের সাথে সাক্ষাত ও কথাবার্তা বলার অভ্যাস। (২) বেগানা যুবতীদের সাথে অহেতুক গল্প-গুজব করার সখ ও অভ্যাস। (৩) মিথ্যা বলার অভ্যাস। (৪) আত্ম গরিমায় অভ্যস্ত। (৫) দলাদলি করার মনোভাব সম্পন্ন। (৬) সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত। প্রকাশ হওয়ার প্রেক্ষিতে মসজিদের মোতওয়াল্লিদের নেতৃত্বে উনাকে ইমামতীর দায়িত্ব হতে তথা মসজিদ হতে বিদায় করে দেয়া হয়। যথারীতি উনি চলে যান। বর্তমানে একই মহল্লার আর একটি জামে মসজিদের মোতওয়াল্লিসহ কিছু সংখ্যক লোক ঐ বিতর্কিত ইমামকে তাদের মসজিদে নিয়োগ দানের জন্য জোর চিন্তা ভাবনা করছেন। এতে মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লীৗ আপত্তি উত্থাপন করেন। এখন প্রশ্ন হলো- (১) এমন পরিস্থিতিতে শরীয়তের বিধান মতে উল্লেখিত ব্যক্তিকে একই মহল্লার পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম হিসাবে নিয়োগ করা যাবে কিনা এবং (২) উক্ত ইমামের পিছনে জানামতে মুসল্লীগণের নামাযে এক্তেদা করাতে শরীয়তের কোন বাধা আছে কিনা, সনদসহ বিস্তারিত জানাতে অনুরোধ করছি।

 জাওয়াব - আপনাদের উল্লেখিত অভিযোগসমূহ যদি কোন ইমাম সাহেবের মধ্যে থাকে, তাহলে সে ইমাম হওয়ারই উপযুক্ত নয়। তা আপনাদের মহল্লার মসজিদে হোক অথবা পৃথিবীর যেকোন মসজিদেই হোক না কেন। আপনাদের অভিযোগসমূহের প্রথম অভিযোগ দু’টির ভাবার্থ হচ্ছে যে, তথাকথিত ইমাম বেগানা যুবতি মেয়েদের সাথে দেখা সাক্ষাত ও গল্প-গুজব করে, অর্থাৎ পর্দার খেলাফ কাজ করে। অথচ পর্দা করা ফরজে আইন, যা  কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফের দ্বারা সাবেত বা প্রমাণিত। পর্দা সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ অনেক জায়গায় উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে সূরা আহ্যাব ও সূরা নূরের মধ্যে বিশেষ আহ্কাম বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ‘সূরা নূর’-এর ৩০নং আয়াত শরীফ-এ উল্লেখ করেন,
قل للمؤمنين يغضوا من ابصارهم ويحفظوا فروجهم ذالك ازكى لهم- ان الله خبير بما يصنعون.  অর্থঃ- “মু’মিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং হিফাজত করে তাদের লজ্জাস্থানকে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ তায়ালা তিনি জানেন, তারা যা করে।” আর ‘সূরা আহ্যাব’-এর ৫৩নং আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন,
واذا سألتموهن متاعا فاسنلو هن من وراء حجاب ذالكم اطهر لقلو بكم وقلو بهن.
অর্থঃ- “যখন তোমরা মহিলাদের কাছে কিছু চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিক পবিত্রতার কারণ।” আর হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
يا على رض لا تتبع النظر فان لك الاولى وليست لك الاخرة. অর্থঃ- “হে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! দৃষ্টিকে অনুসরণ করোনা। প্রথম দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে, কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টিকে ক্ষমা করা হবেনা।” হাদীছ শরীফে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, لعن الله الناظر والمنظور اليه.  অর্থঃ- “যে মহিলাকে দেখে, আর যে মহিলা নিজেকে প্রদর্শন করে, উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ্ পাক উনার লা’নত।”  অর্থাৎ তাদের (বেগানা যুবতী মেয়েদের) প্রতি প্রত্যেক দৃষ্টিতে এক একটি করে কবীরা গুণাহ্ লেখা হবে। যতবার, যত সময় দৃষ্টি করবে, ততবার, তত সময় অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে-সেকেন্ডে, প্রতি মিনিটে-মিনিটে কবীরা গুণাহ্ লেখা হতেই থাকবে। মূলতঃ পর্দার খেলাফকারী হচ্ছে সর্বোচ্চ কবীরা গুণাহে গুণাহ্গার। আরো উল্লেখ্য যে, যারা মসজিদের ইমামতী করার সাথে সাথে মেয়েদের স্কুল ও কলেজে চাকুরী করে, তারাও উপরোক্ত হুকুমের অন্তর্ভূক্ত হবে। অবশ্য তারা বলতে পারে, মসজিদে ইমামতী করার বিণিময়ে যে ভাতা দেয়া হয়, তা সংসারের খরচ নির্বাহের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই আমরা মেয়েদের স্কুল-কলেজে চাকুরী করে থাকি।  তাদের এ প্রশ্নের উত্তর হলো- যদি মসজিদের ভাতা তাদের জন্য যথেষ্ট না হয়, তাহলে তাদের উচিৎ মসজিদের ইমামতী ছেড়ে দেয়া। কারণ তাদের ইমামতীর জন্য মুসল্লীগণের নামায মাকরূহ্ তাহ্রীমী হচ্ছে, যা দোহ্রায়ে পড়া ওয়াজিব। অথচ এটা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং যারা হারাম পেশা থেকে বিরত থেকে মসজিদের ভাতাতেই সন্তুষ্ট থাকবে, তারাই ইমামতী করবে। আর মসজিদ কমিটির উপর ওয়াজিব, উক্ত ইমামের সংসার নির্বাহের সম্পূর্ণ খরচ দিয়ে রাখা। আর যদি মসজিদ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভাতা দিতে না পারে, তবে মসজিদ কমিটির প্রতি উক্ত ইমাম সাহেবকে অন্যকোন হালাল পেশার বন্দোবস্ত করে দেয়াও ওয়াজিব, যাতে ইমাম সাহেবকে হারাম পেশায় মশগুল হতে না হয়। অনেকে বলতে পারে, অনেক মাদ্রাসায়- যেখানে দ্বীনি ইল্ম শিক্ষা দেয়া হয়, অথচ সেখানে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পর্দা রক্ষা করা হয়না। তাহলে কি মসজিদের ইমাম সাহেব সে সমস্ত মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতে পারবেনা? এর উত্তর হলো- মাদ্রাসা যেহেতু দ্বীনি প্রতিষ্ঠান এবং সেখানে দ্বীনি ইল্ম শিক্ষা দেয়া হয়। আর প্রত্যেকের জন্য উক্ত ইল্ম শিক্ষা গ্রহণ করাও ফরজের অন্তর্ভূক্ত। যেমন হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
طلب العلم فريضة على كل مسلم ومسلمة.  অর্থঃ- “ইল্ম তলব করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ।” কাজেই যদি কোন মাদ্রাসায় পর্দার ব্যবস্থা না থেকে থাকে, তাহলে উক্ত মাদ্রাসা কমিটি ও মাদ্রাসার শিক্ষকগণের উপর ওয়াজিব ও ফরজ, তারা যেন মাদ্রাসার মধ্যে পর্দার ব্যবস্থা করে দ্বীনি ইল্ম শিক্ষা দেয়। যদি পর্দার ব্যবস্থা না করে, তাহলে তারাও কবীরা গুণাহে গুণাহ্গার হবে এবং তথায় চাকুরীরত ইমামদের পিছনেও নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী হবে। তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, সে মিথ্যাবাদী। অথচ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি মিথ্যাবাদীদের সম্পর্কে ‘সূরা হজ্ব’-এর ৩০নং আয়াত শরীফ-এ বলেন,
واجتنبوا قول الزور. অর্থঃ- “তোমরা মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাক।” মহান আল্লাহ্ পাক তিনি সূরা বাক্বারা-এর ১০নং আয়াত শরীফ-এ আরো বলেন,
ولهم عذاب اليم بما كانوا يكذبون.
অর্থঃ- “তাদের মিথ্যারোপের কারণে তাদের জন্য কঠিন, যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।” আর হাদীছ শরীফ-এ বলা হয়েছে, انما الكذب لكل الذنوب ام.  অর্থঃ- “নিশ্চয়ই মিথ্যা সমস্ত গুণাহের মূল।” আর মিথ্যা বলা হলো কবীরা গুণাহ্। মিথ্যাবাদী হলো-চরম পর্যায়ের ফাসিক ও গুমরাহ্। চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়েছে যে, সে আত্মগরীমায় অভ্যস্ত, অর্থাৎ অহংকারী। অথচ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কুরআন শরীফে ‘সূরা নিসা’-এর ৩৬নং আয়াত শরীফ-এ অহংকারীদের সম্পর্কে বলেন,
ان الله لا يحب من كان مختالا فخورا.  অর্থঃ- “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি দাম্ভিক, অহংকারীদের পছন্দ করেন না।” আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, 
من كان فى قلبه مثقال ذرة من كبر لا يدخل الجنة.
অর্থঃ- “যার অন্তরে এক র্জরা পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে বেহেশ্তে প্রবেশ করতে পারবে না।” অর্থাৎ অহংকারীদেরকে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি পছন্দ করেন না এবং তারা জাহান্নামী। পঞ্চম ও ষষ্ঠ অভিযোগে যা বলা হয়েছে, তার ভাবার্থ হচ্ছে- সে ফাসাদকারী এবং বিচ্ছিন্নবাদী। অথচ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি সূরা বাক্বারার ১১নং আয়াত শরীফ-এ বলেন,
لاتفسدوا فى الارض.  অর্থঃ- “তোমরা যমীনে ফাসাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করোনা।” সূরা মায়েদার ৬৪নং আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আরো বলেন,
والله لا يحب المفسدين. অর্থঃ- “মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ফাসাদকারীদের পছন্দ করেন না।” সূরা বাক্বারার ১৯১নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আরো বলেন,
الفتنة اشد من القتل.
অর্থঃ- “ফিৎনা-ফাসাদ করা ক্বতলের চাইতেও মারাত্মক।” আর হাদীছ শরীফ-এও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ফাসাদকারীকে পছন্দ করেন না।” অর্থাৎ ফাসাদকারী ব্যক্তি মহান আল্লাহ্ পাক  উনার ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অপছন্দনীয় এবং গুমরাহ্। অতএব, উপরোক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফসমূহের দ্বারা এটাই সাবেত বা প্রমাণিত হয়, যে ব্যক্তি পর্দার খেলাফ করে, বেগানা যুবতী মেয়েদের সাথে সাক্ষাত করে, মিথ্যা বলে, অহংকার করে এবং ফিৎনা-ফাসাদ করে, সে ব্যক্তি চরম ফাসেক, গোমরাহ্, নাফরমান, কবীরা গুণাহে গুণাহ্গার, নেফাকে জর্জরিত এবং মালউন (অভিশপ্ত)। কাজেই এ ধরণের দোষত্রুটি সম্পন্ন ব্যক্তি কোন প্রকারেই ইমাম হতে পারেনা। সে সম্পূর্ণই ইমামের অযোগ্য। এ ধরণের লোকদের পিছনে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী। যদি কেউ এ ধরণের ইমামের পিছনে নামায পড়েই ফেলে, তবে তার জন্য ওয়াজিব হবে- সে যেন তার নামায দোহ্রায়ে পড়ে। অন্যথায় নামাযী ব্যক্তিও কঠিন গুণাহে গুণাহ্গার হবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের যেকোন মসজিদেই এ ধরণের ইমাম যদি ইমামতীর দায়িত্বে থাকে, তবে মসজিদ কমিটির উপরে ওয়াজিব, এ ধরণের ইমামকে ইমামতী থেকে অব্যাহতি দেয়া। অন্যথায় কমিটির লোক কঠিন গুণাহে গুণাহ্গার হবে। আর যদি কমিটির লোক উক্ত ইমামকে অব্যাহতি না দেয়, তবে মহল্লাবাসী তথা মুসল্লীদের ওয়াজিব হবে, উক্ত কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করা এবং উক্ত ইমামকে অব্যাহতি দেয়া। অন্যথায় সকলেই কঠিন গুণাহে গুণাহ্গার হবে। বিশেষ স্বরণীয় যে, ইমাম সাহেব হচ্ছেন-  হাদী ও অনুসরণীয় ব্যক্তি। আর তাঁর কাছ থেকে মুসলমানগণ দ্বীন তথা দ্বীনি ইল্ম গ্রহণ করে থাকে। কাজেই তাকে তার আমল-আখলাক, সীরত-সূরত অবশ্যই শুদ্ধ করে নিতে হবে। কেননা হাদীছ শরীফে রয়েছে,
انظروا عمن تأخذون دينكم.  অর্থঃ- “তোমরা লক্ষ্য কর, কার নিকট থেকে তোমরা দ্বীন (দ্বীনি ইল্ম) গ্রহণ করতেছ।” হাদীছ শরীফে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বলেন,
حسنات الابرار سيئات المقربين. অর্থঃ- “সাধারণ ব্যক্তিদের জন্য যেটা নেকী, খাছ বা বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য সেটা গুণাহের কারণ।” অতএব, কাউকে ইমামতীর দায়িত্ব দেয়ার পূর্বে যথেষ্ট চিন্তা-ফিকির করে দিতে হবে। (আলমগীরী, ফতহুল ক্বাদীর, শামী, আইনুল হেদায়া, কাজীখান, তাফসীরে কুরতুবী, আহ্কামুল  কুরআন- আবূ বকর জাচ্ছাস, তাফসীরে রুহুল মায়ানী ইত্যাদি কিতাবসমূহ)
আবা-২৭

0 Comments: