৪২৯ নং- সুওয়াল - যদি কেউ আপন ফুফুর দুধ পান করে থাকে, সে কি তার ঐ ফুফুর মেয়ে অর্থাৎ তার ফুফাতো বোনকে বিবাহ করতে পারবে? যদি বিবাহ করে ফেলে, তবে এখন তার করণীয় কি? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।

সুওয়াল - যদি কেউ আপন ফুফুর দুধ পান করে থাকে, সে কি তার ঐ ফুফুর মেয়ে অর্থাৎ তার ফুফাতো বোনকে বিবাহ করতে পারবে? যদি বিবাহ করে ফেলে, তবে এখন তার করণীয় কি? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।

 জাওয়াব - দুধ বোনকে বিবাহ করা হারাম। দুধ বোন ফুফাতো, চাচাতো, খালাতো, মামাতো কিম্বা অনাত্মীয়াদের মধ্যে যেকোন মেয়ে হোক না কেন, তাকে বিবাহ করা হারাম। মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা নিসার ২৩নং আয়াত শরীফে বলেন,
حرمت عليكم امها تكم وبناتكم و بناتكم واخواتكم و عماتكم وخالاتكم وبناب الاخ وبنات الاخت و امهاتكم التى اوضعكم واخواتكم من الرضاعة وامهات نشائكم وربائبكم التى فى حجوركم من نسائكم التى دخلتم بهن فان لم تكونوا دخلتم بهن فلاجناح عليكم وحلائل ابنائكم الذين من اضلابكم وان تجمعوا بين الاختين الا ماقد سلف- ان الله كان غفورا رحيما.

অর্থঃ- “তোমাদের জন্য (বিবাহ করা) হারাম করা হয়েছে। তোমাদের মাতাগণকে, তোমাদের মেয়েগণকে, তোমাদের ভগ্নিগণকে, তোমাদের ফুফীগণকে, তোমাদের খালাগণকে, তোমাদের ভাইয়ের মেয়েগণকে, তোমাদের বোনের মেয়েগণকে এবং তোমাদের ঐ মাতাগণকে, যারা তোমাদেরকে দুধ পান করায়েছেন এবং তোমাদের দুধ বোনদেরকে এবং তোমাদের শ্বাশুড়ীগণকে এবং তোমাদের স্ত্রীগণ, যাদেরকে তোমরা ব্যবহার করেছ, তাদের মেয়েগণকে, যারা তোমাদের তত্বাবধানে আছে। আর যদি তোমরা তাদেরকে ব্যবহার না করে থাক, তবে তাদের মেয়েগণকে বিবাহ করাতে কোন গুণাহ্ নেই এবং তোমাদের ঔরশজাত পুত্রগণের স্ত্রীগণকে এবং দু’বোনকে একত্রে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করাও হারাম। তবে যা অতীত হয়ে গিয়েছে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।” এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
يحرم من الرضاعة ما يحرم على الو لا دة ان الله حرم من الرضاعة ما حرم من النسب.
অর্থঃ- “জন্মগত কারণে যাদেরকে বিবাহ করা হারাম, দুধপানের কারণেও তাদেরকে বিবাহ করা হারাম। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি দুধপান করার কারণে বিবাহ হারাম করেছেন, যেমন বংশগত সম্পর্কের কারণে হারাম করেছেন।” অতএব যদি কেউ তার ফুফাতো বোনকে বিবাহ করে থাকে, আর সে যদি তার দুধ বোন হয়, তাহলে এটা জানা মাত্রই বিবাহ ছিন্ন করা ওয়াজিব এবং ফরজ। আর এ জন্যই শরীয়তের মাসয়ালা হলো- বিবাহের পূর্বে তাহ্ক্বীক্ব করে বিবাহ করা। 
আবা-২৭

0 Comments: