৬৩ নং-সুওয়াল: ২য় বর্ষ ১ম ও ২য় সংখ্যায় মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগে ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার তরফ থেকে “তাহাজ্জুদ নামায জামাতে পড়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যেয়াহ” শিরোনামে যে হ্যান্ডবিল ছাপা হয়েছে তাতে তাহাজ্জুদ নামায জামাতে পড়া মাকরূহ তাহরীমী উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তারাবীহ নামাযকে নফল বলা হয়েছে। অথচ আমরা তারাবীহ নামাযকে সুন্নতে মোয়াক্কাদা হিসেবে জানি। এটার সঠিক ফয়সালা কি জানতে বাসনা রাখি।


সুওয়াল: ২য় বর্ষ ১ম ও ২য় সংখ্যায় মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগে ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার তরফ থেকে তাহাজ্জুদ নামায জামাতে পড়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যেয়াহশিরোনামে যে হ্যান্ডবিল ছাপা হয়েছে তাতে তাহাজ্জুদ নামায জামাতে পড়া মাকরূহ তাহরীমী উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তারাবীহ নামাযকে নফল বলা হয়েছে। অথচ আমরা তারাবীহ নামাযকে সুন্নতে মোয়াক্কাদা হিসেবে জানি। এটার সঠিক ফয়সালা কি জানতে বাসনা রাখি।
 জাওয়াবঃ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আছে,
جعل الله صياهه فريضة رقيام ليله تطوع.
অর্থঃ- মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র রমযান শরীফ উনার রোযা ফরজ করেছেন আর তারাবীহ (রাত্রের নামায) কে নফল (সুন্নতে মোয়াক্কাদাহ) করেছেন।
এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ও আরও অন্যান্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে তাত্বাওওয়াশব্দ দ্বারা তারাবীহ নামাযকে বুঝানো হয়েছে। আর তাত্বাওওয়াশব্দের আভিধানিক অর্থ হলো নফল। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নামায এবং অন্যান্য ইবাদতসমূহ দুইভাগে বিভক্ত ছিল। যথা- ফরজ ও নফল। যেমন পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাযগুলি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ফরজ ছিল, যেটা আমাদের উপরও ফরজ। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর অন্যান্য নামাযগুলো নফল ছিল যা আমাদের জন্য তাকিদ অনুযায়ী ইমাম মুজতাহিদগণ ওয়াজিব, সুন্নতে মোয়াক্কাদাহ, সুন্নতে যায়েদাহ (মুস্তাহাব) ও নফল ইত্যাদি ভাগে ভাগ করেছেন। সুতরাং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উক্ত নফলসমূহের এক প্রকার নফল হলো তারাবীর নামায। যা ইমাম-মুজতাহিদগণ আমাদের জন্য সুন্নতে মোয়াক্কাদাহ হিসেবে সাব্যস্ত বা ফয়সালা করেছেন। পবিত্র রমযান শরীফ মাসে যে নফল নামায জামায়াতে পড়ার এজাযত দেয়া হয়েছে তা হলো তারাবীহ নামায যা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নফল ছিল এবং আমাদের জন্য সুন্নতে মোয়াক্কাদাহ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। আরও উল্লেখ্য যে, বিত্র নামায আমাদের জন্য ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও রমযান মাসে জামাতে পড়া মুস্তাহাব আর রমযান ব্যতীত অন্যান্য সময় জামায়াতে পড়া মাকরূহ। যেহেতু পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে তারাবীহ নামাযকে তাত্বাওওয়া শব্দ দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে, যার অর্থ নফল সেহেতু আমারা আমাদের ফতওয়াতে তারাবীহ নামাযকে নফল হিসেবে উল্লেখ করেছি। কিন্তু মূল ফতওয়া  হলো- তারাবীহ নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ যা আমরাও ফতওয়া দিয়ে থাকি।
 আবা-৯


0 Comments: