সুওয়াল : সম্প্রতি হক পয়গাম পত্রিকার মে-৯৩ সংখ্যায়
প্রশ্নোত্তর বিভাগে বলা হয়েছে, মৌসুমের চাহীদা অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাদাসিধাভাবে যেরূপ পোশাক পেতেন তাই পরতেন।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে ফাড়া এবং গোল কোর্তা উভয়টাই সুন্নত। মূলতঃ তারা লেবাসের
সুন্নত সম্বন্ধে উল্লেখ করেছেন যা ঢিলাঢালা নেছফসাক, বিধর্মীদের সাথে সাদৃস্যপূর্ণ এবং
চাই জোব্বা হোক বা কর্লিদার ফাড়া হোক, এতে কোন ভেদাভেদ নেই। অথচ আমরা
জানি কোনাবদ্ধ নেছফসাক জামাই সুন্নত। এটার সঠিক ফয়সালা কি জানায়ে বাধিত করবেন।
জাওয়াব : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
من كذب على متعمدا فاليتبؤا مقعده من النار.
অর্থঃ- “যে
স্বেচ্ছায় আমার নামে মিথ্যা কথা বলে, সে যেন দুনিয়ায় থাকতে তার স্থান
জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।” সুতরাং কেউ যদি বলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মৌসুমের চাহীদা অনুযায়ী সাদাসিধাভাবে যেরূপ
পোশাক পেতেন তাই পড়তেন,
তাহলে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, অমূলক, বানোয়াট
কথা হবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহান আল্লাহ পাক উনার
নির্দেশ ছাড়া কোন কাজই করতেন না। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ মুবারক বলেন,
وما ينطق عن الهراء ان هوالا هحى يوحى.
অর্থঃ- “ওহী ব্যতীত
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের থেকে কোন কথা বলতেন না।”
নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নেছফসাক কোনাবন্ধ, মিশরীয় সূতী, গুটলীওয়ালা
কামীজ (জামা) সবসময় পরিধান করতেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জীবনে কখনও ফাড়া জামা
পরিধান করেননি এবং কেউ যদি বলে যে, উনি ফাড়া জামা পরিধান করেছেন, তাহলে
এটার স্বপক্ষে সে একটা দলীলও পেশ করতে পারবে না। এবং যারা এই ফাড়া জামা সুন্নত বলে
থাকে, তারা বানোয়াট,
মিথ্যা, ভ্রান্তিপূর্ণ, মনগড়া কথা বলে থাকে। বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ,
সিহাহ সিত্তাহ শরীফ ও অন্যান্য আরও বহু পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনাদের কিতাবে অনেক হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বলা
হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক কামীছ পরিধান করে
(লুঙ্গি ব্যতীত) নামায পড়েছেন। যদি কামীছ ফাড়াই হতো তাহলে এক কামীছ পরিধান করে
নামায পড়লে কিভাবে ছতর আবৃত হতো? বরং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার কামীছ ছিল কোনাবন্ধ, নেছফসাক সুতী, গুটলীওয়ালা।
(সিহাহ সিত্তাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ,
ফতহুল বারী শরীফ, উমদাতুল ক্বারী শরীফ, শামী শরীফ)
আবা-১১
0 Comments:
Post a Comment