সুওয়াল: আমরা অনেক আলেমের মুখে শুনেছি আযানের সময় অঙ্গুলী চুম্বন বা চোখে বুছা দেয়াকে
সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও মুস্তাহাব।
অথচ হক
পয়গাম মে-৯৩ সংখ্যায় চোখে বুছা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এটা
কোন মারফু ছহীহ্ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়, এ কাজকে
সুন্নত মনে করা ভুল। আর এ আমল তো মুস্তাহাবও নয়। বরং এক ধরণের চিকিৎসা মাত্র।”
এটা
কতটুকু সত্য তার সঠিক ফয়সালা জানালে বাধিত হবো।
জাওয়াব : উপরোক্ত জাওয়াব বিশুদ্ধ হয়নি। কারণ এটা সুন্নতে ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। আযানে প্রথমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শুনে চোখে বুছা দেন হযরত আবু
বকর সিদ্দীক আলাইহিস সালাম,
যিনি
افضل الناس بعد الانبياء.
অর্থাৎ হযরত নবী আলাইহিস
সালামগণ উনাদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ। জেনে রাখা উচিত উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফটিকে কেউ
যয়ীফ বলেছেন, কেউ মওকুফ বলেছেন,
কেউ মওকুফ হিসেবে সহীহ বলেছেন। এছাড়াও দায়লমী শরীফ ও
মারাকিউল ফালাহ কিতাবে মরফু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও
উল্লেখ্য যে, আল্লামা ছাকাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী
রহমতুল্লাহি আলাইহি,
হযরত মোহম্মদ তাহের ফাত্তানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা স্বস্ব
কিতাবে মরফু হিসেবে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।
কিল্লতে
ইলম কিল্লতে ফাহম অর্থাৎ কম জ্ঞান কম বুঝের জন্যই মানুষ ভুল ফতওয়া দেয়। আরও
বিস্তারিত জানতে হলে আপনি মাসিক আল বাইয়্যিনাত ১ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা পত্রিকা সংগ্রহ
করে ভালভাবে পড়ুন। যেটাতে চোখে বুছা সম্পর্কে প্রায় ৪৮টি বিশ্ববিখ্যাত কিতাব থেকে
দলীল দেয়া হয়েছে এবং আরো দলীল আমাদের কাছে রয়েছে, যা জরূরতবশতঃ উল্লেখ করতে পারবো
ইনশাআল্লাহ্।
আবা-১১
0 Comments:
Post a Comment