৫২ নং-সুওয়াল: আজকাল অনেক মসজিদে এবং যে সমস্ত স্থানে তারাবীহ নামায হয়, সে সমস্ত স্থানে রমযান মাসে তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতের মাধ্যমে আদায় করা হয়। এটা কতটুকু ইসলামী শরীয়ত সম্মত?


সুওয়াল: আজকাল অনেক মসজিদে এবং যে সমস্ত স্থানে তারাবীহ নামায হয়, সে সমস্ত স্থানে রমযান মাসে তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতের মাধ্যমে আদায় করা হয়। এটা কতটুকু ইসলামী শরীয়ত সম্মত?
জাওয়াব: তারাবীহ, সূর্যগ্রহণ (কুসুফ) ও ইস্তেসকা এই তিন প্রকার নফল নামায ছাড়া অন্য কোন নফল নামায হানাফী মাযহাব মোতাবেক জামায়াতে আদায় করা মাকরূহে তাহরিমী। অবশ্য যদি কচিৎ কোন সময় কোন ব্যক্তি পবিত্র রমযান শরীফ উনার মধ্যে হোক আর গায়ের পবিত্র রমযান শরীফ উনার মধ্যে হোক একাকী চুপে চুপে তাহাজ্জুদ বা অন্য কোন নফল পড়াকালীন তার পেছনে এক বা দুইজন ইক্তদা করে, তবে মাকরূহে তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারে ইখতেলাফ আছে। আর যদি চারজন হয়, সর্ববাদীসম্মত মতে মাকরূহে তাহরীমী। আর যদি ঘোষণা দিয়ে বা আহবান করে তাহাজ্জুদ বা অন্য কোন নফল নামায জামায়াতের সাথে আদায় করে, তা মাকরূহে তাহরীমী হবে। কোন কোন ফিকাহের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে পবিত্র রমযান শরীফ ব্যতীত অন্য সময়ে জামায়াতের সাথে নফল নামায আদায় করা জায়েয নয়। এ উক্তির কারণে অনেকে মনে করে থাকেন, পবিত্র রমযান শরীফ মাসে তাহাজ্জুদ ও অন্য কোন নফল নামায জামায়াতে আদায় করা জায়েয। এখানে পবিত্র রমযান মাসে জামায়াতের সাথে নফল নামায পাঠ করনা জায়েয বলতে তারাবীহ উনার নামাযকে বুঝানো হয়েছে। কারণ, অন্য সময়ে তারাবীহ নামায পড়তে হয় না। যেমন বিতর নামায পবিত্র রমযান মাসে জামায়াতে পড়া মোস্তাহাব। অন্য সময়ে বেতের নামায জামায়াতে পড়া কারো কারো মতে মাকরূহে তানযীহী। আর কারো কারো মতে মাকরূহে তাহরীমী। [ফতওয়ায়ে সিরাজীয়া, ফতওয়ায়ে গিয়াসীয়া, ফতওয়ায়ে খোলাসা, ফতওয়ায়ে শাফীয়া, বাহরূর রায়েক, আলমগীরী, খানিয়া, মকতুবাত শরীফ ইত্যাদি ও অন্যান্য ফিক্বাহর কিতাবসমূহ]
আবা-৭

0 Comments: