সুওয়াল: আমরা আলেমগণের মুখে শুনেছি যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেজোড় সংখ্যা পছন্দ করতেন, এটার কারণ কি বিস্তারিতভাবে জানতে ইচ্ছা পোষণ করি।
জাওয়াব: হাদীছ শরীফ-এ আছে: অর্থ- মহান আল্লাহ পাক বেজোড় এবং তিনি বেজোড়কে পছন্দ করেন। হাদীছ শরীফ-এ দেখা যায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায় সময় বেজোড়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে কাজ করতেন। যেমন পানি পান করার সময় তিন চুমুকে পান করতেন। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাবার পূর্বে তিন, পাঁচ, সাত ইত্যাদি বেজোড় সংখ্যক খেজুর বা খুরমা খেয়ে ঈদগাহে যেতেন। প্রতি মাসে কমপক্ষে তিনটি রোযা রাখতেন, কোরতা তিনটি, টুপি তিনটি রাখতেন, তিন আঙ্গুলে খেতেন, সুরমা বেজোড় সংখ্যকবার দিতেন, অজুর সময় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তিনবার দৌত করতেন ইত্যাদি প্রায় প্রত্যেকটি কাজেই আমরা বেড়োড়ের প্রাধান্য দেখতে পাই। পরবর্তীতে আমরা আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের জীবনীতে দেখতে পাই সুন্নতকে অনুসরণ করে উনারা বেজোড়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন, হযরত মুজাদ্দিদে আল ফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার এক খাদেমকে লবঙ্গ আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে ছয়টি লবঙ্গ নিয়ে আসে তখন তিনি বললেন আমার খাদেমের জন্য আফসোস সে এটাও জানে না যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি বেজোড় এবং তিনি বেজোড়কে পছন্দ করেন।
আমাদের মূল বিষয় হলো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুরসণ করা। সীহাহ-এ সিত্তাহ ও অন্যান্য হাদীছ শরীফ-এর কিতাবে দেখা যায় যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায় কাজেই বেজোড়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনি বেজোড়। সুতরাং আমাদেরও উচিত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে সমস্ত কাজে বেজোড়কে প্রাধান্য দিয়েছেন সে সকল কাজে বেজোড়কে প্রাধান্য দেয়া। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ, মকতুবাত শরীফ, হুজ্জাতুল্লাহীল বালেগা ও অন্যান্য কিতাবসমূহ)
আবা-১০
0 Comments:
Post a Comment