সুওয়াল: টাই পড়া কি? আজকাল
দেখা যায় অফিসে বয়স্ক লোকেরা ও কোর্টে উকিল সাহেবেরা আর কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে
ছাত্ররা এমনকি কিন্ডার গার্ডেনের ছোট ছোট বাচ্চারা টাই পরে থাকে। এটা কি মুসলমানের
ব্যবহারযোগ্য? ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে এর ফায়সালা কি?
জাওয়াব: টাই পরিধান করা
হারাম। মূলত: এর ইতিহাস না জানার কারণে প্রায় সর্বস্তরের মুসলমানরা এটা ব্যবহার
করে থাকে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যারা বিশ্বাস করে যে, হযরত ঈসা
আলাইহিস সালাম উনাকে ত্রুশে বিদ্ধ করে শহীদ করা হয়েছে। তারা হযরত ঈসা আলাইহিস
সালাম উনার শাহাদাত বরণকে স্মরণ রাখার জন্য উনার সন্মানার্থে ক্রুশকে টাই উনার
ছুরতে নিদর্শন বা সম্মানের প্রতীক হিসেবে গলায় ব্যবহার করে থাকে। আমরা মুসলমান
যারা, তারা বিশ্বাস করি যে,
মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে আকাশে
তুলে নিয়েছেন। এটা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমানিত। মহান
আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আন নিসা শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তারা
ক্বতলও করে নাই বা ক্রুশে বিদ্ধ করে নাই বরং সন্দেহের মধ্যে রয়েছে।” অন্যত্র
ইরশাদ মুবারক করেন,
“তারা অবশ্যই ক্বতল করে নাই বরং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে
তুলে নিয়েছেন।”
পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান
আল্লাহ পাক তিনি হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম উনাকে আকাশে তুলে নিয়েছেন এবং
ক্বিয়ামতের পূর্বে হযরত ইমাম মেহেদী আলাইহিস সালাম উনাকে খিলাফতের কাজে সাহায্য
করার জন্যে ও দজ্জালকে হত্যা করা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হিসেবে উনাকে প্রেরণ করবেন।
কাজেই খ্রিস্টানদের আক্বীদা শুদ্ধ নহে। অবশ্য মুসলমান নামধারী কাফির কাদিয়ানী
সম্প্রদায় যারা নবুওওয়াতের দরজা বন্ধ হওয়ার পরেও নবী দাবী করে তারাও খ্রিস্টানদের
আক্বীদায় বিশ্বাসী। তাই এটা মুসলমানের ব্যবহারযোগ্য নয়। কেননা এটা পবিত্র কুরআন
শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আক্বীদার পরিপন্থী এবং বিজাতীয় পোশাক। কাজেই এটা
ব্যবহার করা হারাম এবং ব্যবহারকারী করিবা গুনাহে গুনাহগার হবে। টাই ব্যবহার করা
থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব।
আবা-৭
0 Comments:
Post a Comment