ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্
ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত
দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
তিন দিনব্যাপী অঝোর ধারার বৃষ্টি
নেক দুআ’র উসীলায় নিমিষেই বন্ধ
ওলীয়ে
মাদারজাত, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল আওলিয়া,
ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, ছাহিবে
ইসমে আ’যম, ছাহিবুল ইলহাম,
ফখরুল আওলিয়া, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, আওলাদুর
রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম
উনার অসংখ্য লক্বব-এর মধ্যে একটি মুবারক লক্বব হলো তিনি “ছূফীয়ে
বাতিন”। উনার বিলায়েত বা ওলীত্বের হাক্বীক্বত উনার ভেতর এমন
গোপনীয়ভাবে বিরাজমান যে,
তিনি নিজেও হয়তো সে সবের পরিমাপ জানেন না। নৈকট্যপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ উনারা কেউই হয়তো জানেন না। অন্যে জানবে কী ভাবে? উনাদের বাহ্যিক অবস্থা সম্পর্কে
উনারা বেখবর।
কেউ একজন
হযরত আবূ বকর শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট সবিনয়ে জানতে চাইলেন: “ হুযূর!
বেয়াদবী ক্ষমা চাই। আপনি তো বেমেছাল মর্যাদা ও
মাক্বাম সম্পন্ন যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ। কিন্তু আপনার মোটা-তাজা শরীর মুবারক তো আপনার মর্যাদা ও মাক্বাম, অর্থাৎ
আপনার ওলীত্বের বিপরীত মনে হয়।” প্রশ্নের উত্তরে হযরত আবূ বকর
শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: “আমার ক্বলব মুহব্বত করছে। কিন্তু আমার মোটা শরীর তার কোন খবরই রাখে না। শরীর যদি বিষয়টি জানতো, সে কখনোই এত মোটা-তাজা হতে পারতো
না।”
মুহব্বত, মা’রিফাত, মর্যাদা, মাক্বাম ও রূহানী কুওওয়াত সম্পর্কে হাক্বীক্বী অবস্থা জানার ক্ষেত্রে অজ্ঞতা ও
অপরাগতা ছাড়া আর কোনো পথই খোলা নেই। এ মর্মে
আফদ্বালুন নাস, বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মুবারক
ক্বওল শরীফ এখানে উল্লেখযোগ্য। তিনি
বলেছেন: “জ্ঞাত হওয়া সম্পর্কে অপারগ ও অসমর্থ হওয়ার নামই হলো জ্ঞাত হওয়া।”
ওলীআল্লাহগণ
উনাদের বিলায়েত বা ওলীত্ব হাবীবুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, ছাহিবুল
ওহী ওয়াল কুরআন, রউফুর রহীম, রহমতুল্লিল আলামীন,
মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নুবুওওয়াত ও রিসালতেরই হিস্যা।
লব্ধ
পরিমিত হিস্যায় সমৃদ্ধ ও পরিশোভিত আখাছছূল খাছ ওলীআল্লাহগণ উনাদের অব্যাহত ধারায়
নিয়ামত প্রাপ্তির পরিমাণ ও পরিমাপ বেমেছাল। মহান
আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের মত ও পথের সঙ্গে নিজের মত ও পথের অভিন্নতার যোগসূত্রে এবং উনাদের সঙ্গে
অবিচ্ছেদ্য নৈকট্য-সংযোগে লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহগণ উনারা যা’ চান তাই
হয়। এ সম্পর্কে হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ
পাক তিনি বলেন: “আমার (মক্ববুল) বান্দা সে যদি আমার কাছে কিছু চায়, তবে
সঙ্গে সঙ্গেই আমি তাকে তা’
দিয়ে থাকি এবং সে যদি আমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে, আমি
নিশ্চয়ই তা’ তাকে দান করি”
(বুখারী শরীফ, ফতহুল বারী, উমদাতুল
ক্বারী)
(চলবে)
আবা-২০৬
0 Comments:
Post a Comment