ওলীয়ে
মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্
যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
তিন দিনব্যাপী অঝোর ধারার বৃষ্টি
নেক দুআ’র উসীলায় নিমিষেই বন্ধ
বৃষ্টি বন্ধের জন্য দুআ’ প্রার্থীর বিনীত নিবেদনের প্রেক্ষিতে
ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, মুসতাজাবুদ
দা’ওয়াত, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনি সকাতর প্রার্থনা
করেন: “হে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন! হে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর
রহীম, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনারাই তো কুলকায়িনাতের মালিক ও
নিয়ন্তা। সমগ্র বিশ্বজাহানের নিয়ন্ত্রক তো
আপনারাই। বৃষ্টি বর্ষণ ও বৃষ্টি বন্ধের জন্য
অপরিসীম দয়া, ইহসান এবং ইচ্ছা ও ক্ষমতাতো আপনাদেরই। বৃষ্টি বন্ধের জন্য লোকেরা আমার দুআ’ চায়। তারা মনে করে, আমি
দুআ’ করলে বৃষ্টি বন্ধ হবে। হে আল্লাহ পাক!
আমার নিজস্ব কোন মত ও পথ নেই। আপনার মত ও ইচ্ছার
সঙ্গে আমার মত ও ইচ্ছাকে আমি পরিপূর্ণরূপে মিলিয়ে দিয়েছি। দুআ’ প্রার্থীরা তাই বিশ্বাস করে, আমার
দুআ’, আমার নিবেদন আপনি দয়া করে ক্ববুল করবেন, নিমিষে বৃষ্টি বন্ধ করবেন। হে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া
তায়ালা! আপনি দয়া করে আপনার প্রিয়তম হাবীব, রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর
রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন মর্যাদা ও সম্মানের কারণে এবং আমার মুবারক আওলাদ, যিনি
মুজাদ্দিদে মাদারজাদ, যিনি ক্বায়িম-মক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় অঝোর ধারার বৃষ্টি বন্ধ
করে দিন। দয়া করে দুআ’ প্রার্থীদেরকে
ইতমিনান দান করুন।”
ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর
রসূল, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ
মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার আনুষ্ঠানিক দুআ’র
পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তিনি বৃষ্টি বন্ধ করে দেন। নিমিষেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা
হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দুআ’ কবুল হবে, তা’ ইলহামের মাধ্যমে পূর্বেই তিনি অবহিত
হয়েছিলেন। তাইতো তিনি দুআ’ প্রার্থীকে
বলেছিলেন: “পানির ট্যাঙ্ক নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ শুরু করার প্রস্তুতি
গ্রহণ করো। বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”
প্রকৃত যা বিষয় তা হলো, সুন্নত
পালনের জন্য দুআ’ করা ছিলো উনার আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এ আনুষ্ঠানিকতার পূর্বেই মহান আল্লাহ
পাক সমীপে উনার সবিনয় নিবেদন করার ইচ্ছে পোষণের মুবারক মুহূর্তেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে
যায়। সুবহানাল্লাহ! চারদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকে। এ চারদিনে পানির ট্যাঙ্ক-এর অবশিষ্ট
নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। অতঃপর পূর্বের মতো আবার অবিশ্রান্ত
বর্ষণ শুরু হয়। এটি ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর
রসূল, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল
কারামত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
উনার অনন্য কারামত। এ কারামতের মহিমা, তাৎপর্য
ও গভীরতা সাধারণের আক্বল, সমঝ্ ও উপলব্ধির সীমাহীন উর্দ্ধে।
এ প্রসঙ্গে একটি মাশহূর ঘটনা
প্রণিধানযোগ্য। তা হলো, একজন মাহবূব ওলীআল্লাহ তিনি একদিন সকালে
উনার খাদিমকে বলেন: “হে খাদিম! তুমি আমার এ জামা মুবারকখানা ধুয়ে দাও।” খাদিম নিবেদন করেন: “হুযূর
বেয়াদবী ক্ষমা চাই। জামা মুবারকখানাতো আমি গতকাল ধুয়েছি। ধোয়ার পর আপনি একবারও ব্যবহার করেননি। আজকে আবার ধোয়ার প্রয়োজন আছে কী? খাদিমের
শায়খ ঐ বুযুর্গ ওলীআল্লাহ তিনি বলেন: “যা আদেশ করেছি তাই করো। কথা বাড়িয়ো না। ব্যবহার করা না করা আমার ইখতিয়ার, তোমার
নয়। যা বলেছি তাই করো। অবিলম্বে ধুয়ে দাও।” খাদিম তৎক্ষণাৎ আদেশ পালনে উদ্যত হন। হাতে ধরে খাদিম দেখেন মুবারক জামাখানা
পানিতে ভেজা। তিনি অবাক হন। মনে মনে ভাবেন: “গতকাল
মুবারক জামাখানাতো আমি ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম। পানিতে
ভিজলো কীভাবে?” শায়খের মুবারক নির্দেশে মুবারক জামা
খাদিম উত্তমরূপে ধুয়ে শুকিয়ে যথাস্থানে রেখে দিলেন। কিন্তু মনের ভাবনা দূর হলো না। না হওয়ারই কথা। কারণ বিষয়টি না জানলেও খাদিম বুঝতে
সক্ষম হয়েছেন যে, এর পেছনে তাৎপর্যপূর্ণ কোন ঘটনা রয়েছে। তাই জানার এতো আগ্রহ। (চলবে)
আবা-২১৫
0 Comments:
Post a Comment