ওলীয়ে মাদারজাদ,
মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল
হক্ব, গরীবে নেওয়াজ,
আওলাদে রসূল,
আমাদের সম্মানিত
দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার
দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
দীর্ঘদিন
নিখোঁজ থাকা একজন ছেলের
সুস্থ
অবস্থায় সন্ধান লাভ
বাড়ীতে পৌঁছার পর মুহম্মদ ইউসুফ আলী’র মা এবং আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে মহা-মিলনজনিত যে অনির্বচনীয়
অবস্থার সৃষ্টি হয়, তা, শুধু অনুভব করা যায়। বলা যায় না। ক’দিন থাকার পর ছেলেকে
বাড়ীতে রেখে মুহম্মদ আব্দুর রশীদ তিনি ঢাকা রাজারবাগ পাক দরবার শরীফে চলে আসেন। বয়:বৃদ্ধ
মুহম্মদ আব্দুর রশীদ তিনি এখনো রাজারবাগ দরবার শরীফই রয়েছেন। বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
এবং নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের মুবারক দীদারে নশ্বর দুনিয়া থেকে প্রস্থান করেছেন ১৪১৯ হিজরী সনের ১৩ রবীউল
আউওয়াল শরীফ/ ১৪০৫ ফসলী সনের ২৩ আষাঢ়/ ১৯৯৮ ঈসায়ী সনের ০৭ জুলাই মঙ্গলবার দিবাগত
রাত ১১টা ৩০ মিনিটে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
মুহম্মদ আব্দুর রশীদ তিনি
যাঁর মুবারক খিদমতে এসেছিলেন এবং দীর্ঘকাল যাঁর খিদমতে নিয়োজিত ছিলেন, সে সুমহান ব্যক্তিত্ব সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম তিনিতো নেই। তাহলে মুহম্মদ আব্দুর রশীদ এখনো কেনো এখানে রয়েছেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন: “এখানে ছাড়া কোথাও আমার একটুও ভালো লাগেনা।” এর বেশি কিছু ব্যাখ্যা আর তিনি দিতে
পারেন না। সে যোগ্যতাও তার নেই। ইন্তিকাল অবধি এখানেই তার থেকে যাওয়ার ইচ্ছে। ছেলে মুহম্মদ ইউসুফ আলীও বেঁচে আছে। ভালো আছে। তার বয়স এখন
প্রায় চল্লিশ। সে বাড়ীতে গেরস্থালী কাজে ব্যাপৃত।
আমরা ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, আফদ্বালুল আওলিয়া, ছাহিবে ইসমে আ’যম, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ
মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার অগণিত, অসংখ্য, বেমেছাল কারামত সম্পর্কে
কিঞ্চিৎ আলোচনার কোশেশে বর্তমান পর্যায়ে উনার মুবারক উছীলায় ও সীমাহীন সম্মানার্থে
একজন নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পাওয়ার বিষয়ে এতোক্ষণ ধরে বলছি। উনার বেমেছাল সম্মানার্থে দীর্ঘকাল
নিখোঁজ থাকা ওই ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অনন্য কারামতের অন্তর্ভুক্ত এবং
বিষয়টি একান্তই ফিকিরের। সুবহানাল্লাহ!
বন্য
পশুরাও উনার তাঁবেদার
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তা’য়ালা তিনি অনুগ্রহ করে পারিবারিক সূত্রেই ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, আফদ্বালুল আওলিয়া, ফখরুল আওলিয়া, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, ছাহিবে ইসমে আ’যম, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত
সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান
আলাইহিস সালাম উনাকে পরিমিত স্বচ্ছলতাদান করেন। আর্থিক কারণে আবশ্যক না হওয়া সত্ত্বেও
প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্বের মানুষ হিসেবে উচ্চ শিক্ষালাভের পর আত্মনির্ভরশীল হওয়ার
লক্ষ্যে তিনি চাকুরীতে যোগ দেন। উনার প্রথম কর্মস্থল হয় দার্জিলিং। চাকুরীর সুবাদে সেখানে তিনি অবস্থান
করেন বেশ কিছুদিন। অতঃপর বদলিসূত্রে তিনি চাকুরী করেন আসাম, কোলকাতা, রাজশাহী, বগুড়া, বরিশাল ও
ঢাকায়।
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তা’য়ালা এবং রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের ধ্যানে-খেয়ালে, যিকিরে-ফিকিরে, মুরাক্বাবা-মাশাহাদায়, তায়াল্লাকু-নিসবতে, মুহব্বত-মা’রিফাতে অনুক্ষণ মশগুল থাকার ক্ষেত্রে চাকুরী ও তৎসংশ্লিষ্ট
পরিবেশ-পরিস্থিতি প্রতিকুল হওয়ায় চাকুরীর প্রতি উনার অনীহা ও ঘৃণা জন্মে। এ অবস্থা
বিরাজমান থাকে দার্জিলিং, আসাম, কোলকাতা, রাজশাহী, বগুড়া, বরিশাল ও
ঢাকায়, অর্থাৎ সকল কর্মক্ষেত্রেই। অবশেষে তিনি
চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে প্রতিকূল পরিবেশ-প্রতিবেশের আবিলতা থেকে নিজেকে মুক্ত করেন। প্রিয় পাঠক! এ
বিষয়গুলো আপনারা অনেক পূর্বেই অবহিত হয়েছেন।
(চলবে)
আবা-২২১
0 Comments:
Post a Comment