ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্
দা’ওয়াত,
আফযালুল ইবাদ,
ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত,
ফখরুল আওলিয়া,
ছূফীয়ে বাতিন,
ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল
হক্ব, গরীবে নেওয়াজ,
আওলাদে রসূল,
আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
তিন দিনব্যাপী অঝোর ধারার বৃষ্টি
নেক দুআ’র উসীলায় নিমিষেই বন্ধ
পরবর্তীতে অনুকূল সময়ে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে খাদিম নিবেদন
করেন: æহে শায়েখ আমার! আমার ধুয়ে
দেয়া মুবারক জামাখানি আপনি একবারও ব্যবহার করেননি। জামাখানি পানিতে ভেজা
সম্পর্কে দয়া করে আমাকে যদি বলেন, তবে আমার
ভাবনা দূর হতো। আমি ইতমিনান লাভ করতাম।” শায়েখ বলেন: æহে খাদিম আমার! বিষয়টি একান্তভাবেই আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত
এবং বিষয়টি সূক্ষ্ম। এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য তোমার উপলব্ধির কাছাকাছি নয়। তুমি বুঝবে কী
করে? খাদিমের পুনরায় নিবেদন: æআপনি দয়া করে বুঝিয়ে দিলে আমি বুঝবো। আমার উপলব্ধি জাগ্রত হবে। আমার মাধ্যমে
বিষয়টি জেনে মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিলে মানুষের
অগ্রযাত্রা সাধিত হবে। হে শায়েখ আমার! মেহেরবানী করে বিষয়টি জানিয়ে আমাকে ইতমিনান
দান করুন, ইহসান করুন।”
খাদিমের বিনীত নিবেদনে শায়খ দয়ার্দ্র হন। তিনি বলেন: æহে খাদিম! মন দিয়ে শোন এবং বুঝতে চেষ্টা করো। গতকাল রাতে
সমুদ্রে যাত্রী বোঝাই একটি জাহাজ আচমকা প্রবাল দ্বীপে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনায় পতিত
হয়ে জাহাজের যাত্রীদের জীবন নাশের আশঙ্কা দেখা দেয়। বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক
সুবহানাহূ ওয়া তা’য়ালা তিনি আমাকে জানিয়ে
দেন। এমন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় সমুদ্রে নেমে আমার পিঠ মুবারক দিয়ে ওই
জাহাজে ধাক্কা দিয়ে জাহাজ এবং সকল যাত্রীর প্রাণ রক্ষা করা আমার দায়িত্ব হয়ে
দাঁড়ায়। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের অপরিসীম দয়া ও ইহসানে আমি সে দায়িত্ব পালন করি। যে জামা মুবারকখানা আমার
শরীর মুবারকে ছিলো, তা’ পানিতে ভিজে যায়। তুমি তাই ধুয়ে দিয়েছো। আমার পিঠ মুবারক দেখো, সেখানে দাগ রয়েছে।” সদয় নির্দেশ মতে খাদিম দেখেন, সত্যি শায়খের পিঠ মুবারকে লাল দাগ পড়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!
এ মুবারক ঘটনা জানার পর বিষয়টি আমি (লেখক) ঢাকা রাজারবাগ
পাক দরবার শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা মুর্শিদ ক্বিবলা, প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা, গাউছুল আ’যম, ফারূক্বে আ’যম, ইমামে আ’যম, রাহবারে আ’যম, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, মুজাদ্দিদে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিদমতে পেশ করি
এবং সবিনয়ে এর তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে চাই। তিনি বলেন: æএ মুবারক ঘটনা সত্য ও সঠিক। তবে এর উপরেও নিগূঢ়
নৈকট্যধন্য মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদের মাক্বাম রয়েছে, যা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদেরই মহান দান ও বখশিশ।” খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুজাদ্দিদে মিল্লাত
ওয়াদদ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল
ইসলাম, ক্বাইয়্যূমুয্ যামান, রসূলে নো’মা, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, সুলত্বানুল আরিফীন, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, জামিউল আলক্বাব, মুজাদ্দিদে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি বলতে থাকেন: æকায়িনাতে কোথাও এ ধরনের
কোন কাজ বা ঘটনা সংঘটিত হওয়ার উপক্রমে কোন মাহবূব ওলীআল্লাহ তিনি ব্যবস্থা নেয়ার
ইচ্ছা পোষণ করলে উনার ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। লক্ষ্যস্থল ওই মাহবূব
ওলীআল্লাহ উনার মুবারক সম্মানের কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা
আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে, অর্থাৎ
কুদরতীভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয় সমাধা করে নৈকট্যশীল ওলীআল্লাহ উনাকে জানিয়ে দিয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত ঘটনায় সমঝদার মানুষের ফিকিরের বিষয় রয়েছে। ওলীয়ে
মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আওলাদুর রসূল, আবুল মুজাদ্দিদিল আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা
হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার
মুবারক ইচ্ছে পোষণের সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টি থেমে গিয়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বন্ধ
থাকবে, এটি অতি স্বাভাবিক বিষয়। বর্ণিত ঘটনার
আলোকে বিষয়টি বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়।
(চলবে)
আবা-২১৬
0 Comments:
Post a Comment