ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্
ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত
দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
তিন দিনব্যাপী অঝোর ধারার বৃষ্টি
নেক দুআ’র উসীলায় নিমিষেই বন্ধ
হাসপাতাল থেকে তাকে
মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার
ক্বদম মুবারক-এ নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুরূহ। বিষয়টি তাকে আমি বারবার বুঝাতে চেষ্টা
করি। কিন্তু তিনি অনড়। অবশ্য তিনি নিজেও তার শারীরিক-মানসিক দুরবস্থা সম্পর্কে
অবিদিত নন। সুস্থ অবস্থায় সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার
সম্পর্কে আমার বলা অনেক কথা, অনেক নছীহত হয়তো অজান্তেই তার মনে রেখাপাত করেছে। তাই হয়তো
মুমূর্ষু অবস্থায় উনার ক্বদম মুবারক-এ যাওয়ার জন্য তার এত ব্যাকুলতা। আমি তার
অন্তিম বাসনাকে উপেক্ষা করতে পারি না। হাসপাতালে উপস্থিত তার স্বজনরাও এ ব্যাপারে
আমাকে আন্তরিক অনুরোধ করেন।
কঠিন রোগ-ব্যাধিতে জীবনের
সব আশা আর আকাঙ্খা একে একে যখন ফুরিয়ে যেতে থাকে, তখন আরো কিছুকাল বেঁচে থাকার জন্য
মানুষের কত প্রয়াস! কত আয়োজন! সুমহান ওলীআল্লাহ, মুজাদ্দিদগণ উনাদের কৃপা দৃষ্টি
তখন অনেকেরই মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। অন্তিম দশার কল্যাণকামিতায় মানুষের কত আকুলতা!
জীবন ও যৌবনে অবারিত সুযোগে হিদায়েতের পথে অগ্রসর না হয়ে যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে, মুমূর্ষুকালে
সিরাতুল মুস্তাক্বিমে অধিষ্ঠিত হয়ে সার্বিক কল্যাণলাভে আমাদের শত ব্যস্ততা ও
ব্যাকুলতা! এমন সঙ্কটাপন্ন মুহূর্তে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং
উনার প্রিয়তম হাবীব,
নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরম সন্তুষ্টিলাভে অনেকে হয়তো
কামিয়াব হয়। হয়তো অনেকে হয় না। না হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটি মূল কারণ হলো, খালিছ
তওবা করার ক্ষেত্রে মানুষের সজ্ঞানতা ও সচেতনতা তখন অনেকাংশে লোপ পায়। এসব নানা
কিছু ভেবে রোগীর অন্তিম ইচ্ছার পূর্ণতা দেয়া আমার কর্তব্যকর্ম হয়ে দাঁড়ায়। তার
কৃতকর্ম এবং তার মনের খবর মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন। মহান আল্লাহ পাক এবং
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সদয় বখশিশে এসব
গোপন সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহগণ উনাদেরও অগোচর নয়।
রোগীকে জানাই: “আমি
আপনাকে নিয়ে যাবো। কিন্তু আপনার অবর্ণনীয় কষ্ট হবে।” তার জবাব: “পথে যদি
মরেও যাই, তবুও আমি যাবো। আর দেরি না করে সত্বর আমাকে নিয়ে চলুন।” অন্যদের
সহায়তায় একান্ত কষ্টে তাকে মাগরিবের পূর্বে রাজারবাগ পাক দরবার শরীফ-এ নিয়ে আসি।
এসে দেখি খলীফাতুল্লাহ,
খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত, ইমামুল
আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ,
কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে মাদারজাদ, মুজাদ্দিদে
আ’যম, মুর্শিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, ফারুক্বে আ’যম, ইমামে আ’যম, হাবীবে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম,
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে
রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পাক দরবার
শরীফস্থ সুন্নতী মসজিদে মুবারক নছীহত করছেন।
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সরাসরি সামনে উপবিষ্ট রয়েছেন উনারই বুযূর্গ
পিতা ওলীয়ে মাদারজাদ,
মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, মিছদাক্বে
কুরআন ওয়াল হাদীছ ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে
বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর
রসূল, আলহাজ্জ শাহ ছূফী সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান
আলাইহিস সালাম তিনি। পীর ভাইদের কাছে জানলাম, তিনি কিছুক্ষণ পূর্বে সেখানে
মুবারক তাশরীফ এনেছেন। (চলবে)
আবা-২০৮
0 Comments:
Post a Comment