ওলীয়ে মাদারজাদ,
মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল
হক্ব, গরীবে নেওয়াজ,
আওলাদে রসূল,
আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা
উনার দিকে প্রস্থান-
তিন
দিনব্যাপী অঝোর ধারার বৃষ্টি
নেক
দুআ’র উসীলায় নিমিষেই বন্ধ
সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস
সালাম তিনি রোগীর লেখাপড়া, পেশা ও কাজকর্মসহ তার
সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে চান। আমি আমার জানা তথ্যাদি সবিনয়ে উনাকে অবহিত করি।
তিনি বিরক্তির সঙ্গে বলেন: “ঐ ব্যক্তি
একজন যালিম ও যাহিল। তার মানসিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং তার জীবন মন্দ কাজে
ভরপুর। তার পরিণতি ভালো নয়। কেন তুমি তাকে এখানে নিয়ে এসেছিলে? মহান আল্লাহ পাক তিনি দয়াপরবশ হয়ে তাকে ক্ষমা করে দিতেই
পারেন, তা’ ভিন্ন বিষয়। কিন্তু মানুষের তো তা’ জানা নেই।”
সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যবান মুবারক থেকে এসব শুনে আমি শঙ্কিত
হই। আমি নম্রতার সঙ্গে জানাই: “দাদা হুযূর
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আপনার ক্বদম মুবারকে আমি ক্ষমা চাই। ঐ লোকের (রোগী) এসব
বিষয়ে আমি অজ্ঞাত। তার সম্পর্কে আমার ধারণা স্বচ্ছ নয়। তার সম্পর্কে আমার উপলব্ধি
মিশ্র ধরণের। তাকে আমার চেনা-জানার পরিধি একান্তই অগভীর। পরিচিত ব্যক্তি হিসেবে
তার সঙ্গে আমার এক ধরণের সাধারণ সম্পর্ক। তার অনুরোধে আমি তাকে সাইয়্যিদুনা মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারকে নিয়ে এসেছিলাম। শুধু তার
কেন, কোন মানুষেরই ভেতর-বাহির চেনা-জানার
যোগ্যতা তো আমার নেই। হে দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আপনি তো আপনার
অন্তর্দৃষ্টিতে সবকিছুই দেখেন, জানেন ও
বুঝেন। মুবারক অন্তর্দৃষ্টির গভীরতায় আপনি যাহির ও বাতিন প্রত্যক্ষকরণে সক্ষম।
ঘটনার কার্যকারণ, ঘটনার প্রবাহ ও পরিণতি
আপনার মুবারক উপলব্ধি ও দৃষ্টিতে একাকার। এসবে আমার বা অন্যের যোগ্যতা কোথায়?”
আমার
বিন¤্র দৃষ্টি ওলীয়ে মাদারজাত, আওলাদুর রসুল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার
মুবারক চেহারার দিকে নিবদ্ধ। তিনি বলেন: “মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় জীবন পরিচালিত না হলে মানুষ কোপানলগ্রস্ত হয়ে জাহান্নামে যাবার
উপযোগী হয়। জীবনব্যাপী বদ্ আক্বীদাযুক্ত একজন মানুষের কৃত অপরাধ, অনাচার, অবিচার ও
অত্যাচার জীবন থেকে কোথাও হারিয়ে যায় না। ক্রমান্বয়ে তা’ মন ও মস্তিষ্কের সকল জায়গা জুড়ে স্থায়ী বসতি স্থাপন করে এবং
শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সংক্রমিত হয়। দ্রুত অথবা বিলম্বে হলেও ঐ মানুষ হতাশাগ্রস্ত
হয়। তার জীবন দুর্বিষহ হয়। মন ও মগজে লালিত পাপরাশির বিকট চিত্র অজান্তেই তার
চেহারা ও শরীরে স্পষ্টরূপে ফুটে উঠে। কোন কিছুই আর লুকনো থাকে না। সূক্ষ্মদর্শী
মানুষের নিকট সে জঘন্য একজন হিসেবে চিহ্নিত হয়। বিরূপ আক্বীদা, আমল, অনাচার ও
অত্যাচারে অভ্যস্ত মানুষের মৃত্যুর সময় তাদের চেহারা বিকৃত হওয়ার এটিই মূল কারণ।”
ওলীয়ে
মাদারজাত, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি
বলতে থাকেন: “সীমা লঙ্ঘনকারীরা অনুক্ষণ পাপ
পঙ্কিলতায় ডুবে থাকে। কলুষিত অন্তরে লালিত অপরাধপ্রবণতা তাদেরকে পাপ পথে ধাবিত
করে। সজ্ঞানে ও অজ্ঞানে সবসময় পাপে নিমজ্জিত থাকাই তাদের মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত
হয়। এরূপ অবস্থা অধঃপতনের শেষ স্তর। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার
খাছ মেহেরবানী না হলে এখান থেকে কেউ পরিত্রাণ পায় না। পরিণতিতে চরম দুর্ভোগ ও
সীমাহীন আযাব-গযব তাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়ায়।” তিনি আরো বলেন: “তুমি যাকে (রোগী) নিয়ে এসেছিলে, তার মধ্যে ভালো কোন লক্ষণ নেই। সে গুরুতর অপরাধী। তার শেষ
অবস্থা ভালো হওয়ার কথা নয়।” (চলবে)
আবা-২১০
0 Comments:
Post a Comment