ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্
দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ,
ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল,
আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে
মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
বন্য পশুরাও উনার তাঁবেদার
সুলত্বানুল হিন্দ, সুলত্বানুল আরিফীন, মাহবূবে সুবহানী,
ছাহিবুল আসরার, মাখযানুল মা’রিফাত, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন,
গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি ওলীয়ে মাদারজাদ। তিনি ৭ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ। তিন মহান আল্লাহ পাক উনার
এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাদের আখাছছুল খাছ লক্ষ্যস্থল সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহ। তিনি বেমেছাল মর্যাদাসম্পন্ন
মুজাদ্দিদ। বিজন প্রান্তরে ঘরে বসে থাকা বুযুর্গ ব্যক্তি তিনি যে নছীহত মুবারক করলেন,
তা উনার অজানা ছিল না। এ মুবারক নছীহতের মাধ্যমে সুলুকের বিভিন্ন স্তর অতিক্রমণে সালিকের
যে অপরিহার্য গুণ-বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক, তার প্রকাশ ঘটেছে। মুবারক নছীহত শেষে সুলত্বানুল
হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন
হাসান চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ওই বুযুর্গ ব্যক্তির নিকট থেকে চলে আসেন। আসার
পর ঘর মুবারক উনার দু’প্রান্তে বসে থাকা দুটি বাঘ মাথা
নত করে উনাকে সালাম জানায়। সুবহানাল্লাহ!
বাঘ মাথা নত করে উনাকে সালাম করেছে, এটি উনার মুবারক মর্যাদা
পরিমাপের মানদ- নয়। মূল যা কথা তা আমরা অনতিপূর্বেই আলোচনা করেছি।
তা হলো :
من له الـمولى فله الكل
অর্থ : “যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হয়ে
যান, সমস্ত মাখলুক্বাত উনার অধীন হয়ে যায়।” সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক
সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত ও নিগূঢ় নৈকট্য যিনি যত বেশি হাছিল করেন, তিনি তত বড় ওলীআল্লাহ,
উনার মর্যাদা ও মাক্বাম তত উপরে।
এমন মুবারক মর্যাদা, মান, শান ও গুণ-বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন সূক্ষ্মদর্শী
ওলীআল্লাহ উনার প্রতি জগৎ-সংসার, সমগ্র সৃষ্টি একান্তভাবেই আজ্ঞাবহ। মহান আল্লাহ পাক
উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় ফানা-বাক্বা হওয়া দুনিয়া ও আখিরাত বিরাগী
এমন নৈকট্য হাছিলকারী ওলীআল্লাহ উনাদের প্রতি বন্য পশুরাও ফরমাবরদার হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
প্রেক্ষিত কারণে ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, মুসতাজাবুদ
দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, ছাহিবে ইসমে
আ’যম, লিসানুল হক্ব, ফখরুল আউলিয়া, গরীবে নেওয়াজ, সাইয়্যিদুনা
দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম
উনার মুবারক নির্দেশে দার্জিলিংয়ের গহীন জঙ্গলের বন্য পশুরা উনার তাঁবেদার হবে, এটিই
তো স্বাভাবিক ও সঙ্গত। জগৎসংসার, কুল-কায়িনাত পরিচালনার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে হাক্বীক্বী তায়াল্লুক-নিসবতপ্রাপ্ত
নৈকট্যধন্য এমন মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদেরকেই নিয়ামক মাধ্যম বানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ মর্মে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
“মাহবূব ওলীআল্লাহগণ উনাদের মুবারক উসীলায় মানুষ বেঁচে থাকে,
মানুষের ইন্তিকাল হয়, বৃষ্টি হয়, ফসল হয় এবং মানুষের বালা-মুছীবত দূর হয়।” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে
“এরূপ চল্লিশ জন মানুষ থেকে জমিন কখনো খালি থাকে না, যাঁদের
মাধ্যমে মানুষ বৃষ্টি পায়, সাহায্যপ্রাপ্ত হয় এবং রিযিকলাভ করে থাকে।” সুবহানাল্লাহ! মাহবূব ওলীআল্লাহগণ উনাদের বেমেছাল মান-শান সম্পর্কে
অন্য হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “উনাদের মাধ্যমেই মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশ্বজগতের কার্যাবলী সম্পাদন
করেন। অর্থাৎ কায়িনাত পরিচালনা করেন।” সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২২৪
0 Comments:
Post a Comment