উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন যে, আপনারা মহান আল্লাহ
পাক উনার বেশি বেশি ছানা-ছিফত করুন। কারণ আজ রবীআর বংশধর উনারা পারসিকদের বিরুদ্ধে
বিজয় লাভ করেছেন। উনারা উনাদের কাফির রাজা-বাদশাহদের অবিলম্বে হত্যা করবেন। তাদের
সৈন্যদের রক্তপাত বৈধ মনে করবেন এবং আমার উছীলায় উনারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবেন।
বর্ণনাকারী বলেন, এ ঘটনা ঘটেছিলো যুকারের পার্শ্ববর্তী
কারাকির নামক স্থানে।
يقول الاعشى:
এ সম্পর্কে কবি আ’শা বলেন,
فدى لبنى ذهل بن شيبان ناتى – ورا كبها عند اللقاء وقلت
অর্থ: “বনু যূহল ইবনে শায়বান গোত্র যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মুখোমুখি হয়ে যে
নৈপুণ্য দেখিয়েছেন, তার জন্য আমার
উষ্ট্রী আরোহী উাদের প্রতি উৎসর্গ হোক।
هموا ضربوا بالحنو حنو قراقر – مقدمة الهامرز حتى تولب
শত্রু পক্ষকে উনার আক্রমণ করেছেন কারাকির অঞ্চলে। শত্রুদের নেতৃত্বে ছিলো
হামরূয। শেষ পর্যন্ত তারা পালিয়ে গিয়েছিলো।
فلله عينامن رأى من فوارس – كذهل بن شيبان بها حين ولت
তাদের পালিয়ে যাওয়ার সময় যুহল ইবনে শায়বানের মতো অশ্বরোহীকে যারা দেখেছে তাদের
দু’চোখ সার্থক বটে।
فثاروا وثرنا والمودة بيننا – وكانت علينا غمرة فتجلت
ওরা আক্রমণ করেছে আমরা ও আক্রমণ করেছি। আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়েছে।
একসময় আমাদের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ ছিলো। এখন সে অবস্থা দূর হয়েছে।
অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে,
وقد ورد هذا من طريق أخرى وفيه أنهم لما تحاربوا هم وفارس والتقوا معهم بقراقر- مكان قريب من الفرات – جعالوا شعارهم اسم حضرت محمد صلى الله عليه وسلم فنصروا على فارس بذلك، وقد دخلوا بعد ذلك فى الاسلام.
আওস খাযরাজ গোত্র যখন পারসিকদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন এবং ফোরাত নদীর
নিকটবর্তী কারাকির অঞ্চলে যুদ্ধ অব্যাহত ছিলো। তখন তারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক-এ উনাদের পতাকা বানালেন। ফলে
উনারা পারসিকদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করলেন। পরবর্তীকালে উনারা পবিত্র ইসলাম গ্রহণ
করলেন। সুবহানাল্লাহ!
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় জিলদ ১৪৫ ও ১৪৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
وقال حضرت الواقدى رحمة الله عليه أخبرنا حضرت عبد الله بن وابصة العبسى رحمة الله عليه عن أبيه عن أبيه عن جده قال جاءنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فى منازلنا بمنى ونحن ثازلون بازاء الجمرة الاولى التى مسجد الخيف وهو على راحلته مردفا خلفه زيد بن حارثة، فدعانا فدعانا فوا الله ما اسجبنا له ولا خير لنا، قال وقد كنا سمعنا به وبدعائه المواسم، فوقف علينا يدعونا فلم نستجب له، وكان معنا حضرت ميسرة بن مسروق العبسى رضى الله تعالى عنه. فقال لنا أحلف بالله لوقد صدقنا هذا الرجل وجملناه حتى نحل به وسط بلادنا لكان الرأى. فأحلف بالله ليظهرن أمره حتى يبلغ كل مبلغ. فقال القوم دعنا منك لاتعرضنا لما لاقبل لنابه.
অর্থ: “হযরত ওয়াকিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াবিস আবাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
উনার পিতা থেকে উনার পিতা দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিনাতে আমাদের
তাঁবুতে তাশরীফ নিলেন। আমাদের তাঁবু ছিলো পবিত্র মসজিদে খায়ফ উনার পাশে জামরাতুল
উলা উনার বিপরীতে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আগমন করলেন
উনার সাওয়ারী মুবারক উনার মধ্যে আরোহণ করে। পেছনে বসিয়ে ছিলেন হযরত যায়েদ ইবনে
হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার
প্রতি আহবান করলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আসার জন্যে দাওয়াত দিলেন। মহান
আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমরা উনার আহ্বানে সাড়া দেইনি। হায়! আমাদের কল্যাণ আমরা
নষ্ট করেছি।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুবারক ও
উনার আহ্বান মুবারক আমরা পবিত্র হজ্জ উনার মওসুমে শুনেছি। তিনি আমাদের নিকট তাশরীফ
এনেছেন এবং আমাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে আহ্বান করেছেন। আমরা উনার আহবানে
সাড়া দেইনি। হযরত মায়সারা ইবনে মাসরূক আবাসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি
আমাদের সাথে ছিলেন। হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমরা যদি উনাকে সত্য বলে মেনে নেই এবং আমাদের সাথে করে স্বদেশে নিয়ে যাই
তবে তা হবে আমাদের বিচক্ষণতার পরিচায়ক। আমি মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম করে বলছি,
অবশ্যই উনার দ্বীন ছড়িয়ে পড়বে এবং অবশ্যই সর্বত্র পৌঁছে যাবে।
লোকজন বললো, আপনি একটু থামুন। উনাকে আয়ত্বে আনার সামর্থ্য
আমাদের নেই, উনাকে আপনি আমাদের সাথে জড়াবেন না।
নাঊযুবিল্লাহ!
وطمع رسول الله صلى الله عليه وسلم فى حضرت ميسرة رضى الله تعالى عنه فكامه فقال حضرت ميسرة رضى الله تعالى عنه ماأحسن كلامك وأنوره، ولكن قومى يخالفونى وإنما الرجل بقومه فاذا لم يعضدوه فالعدى أبعد فانصرف رسول الله صلى الله عليه وسلم وخرج القوم صادربن إلى أهليهم. فقال لهم حضرت ميسرة رضى الله تعالى عنه مياوا نأنى فدك فان بها يهودا نسائلهم عن هذا الرجل، فمالوا إلى يهود فاخرجوا سفرالهم فوضعوه ثم درسوا ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم النبى الأ مى العربى يركب الحمار ويبتزى بالكسرة ليس بالطويل ولا بالقصير، ولا بالجعد ولا بالسبط، فى عينيه حمرة مشرق اللون.
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মায়সারা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রতি মুহব্বত প্রকাশ করলেন এবং উনার সাথে কথা
মুবারক বললেন। হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, “আপনার কথা মুবারক কতই না সুন্দর থেকে সুন্দরতম। কতই না দীপ্তিময়। কিন্তু
আপনার বিষয়ে আমার স্বজাতি আমার বিরোধিতা করছে। বস্তুত স্বজাতির লোকজনকে নিয়েই
ব্যক্তির অবস্থান। সম্প্রদায়ের লোকজন সহযোগিতা না করলে অনেক অসুবিধা সৃষ্টি হয়।”
এরপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখান থেকে
চলে এলেন। লোকজন নিজ নিজ পরিবারের নিকট ফিরে গেলো। হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আসো সকলে ফাদাক নামক স্থানে যাই।
সেখানে কতক ইহুদী আছে ওই ব্যক্তি তথা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি। তারা ইহুদীদের নিকট গেলো। ইহুদীরা তাদের সম্মুখে
একটি লিপি পেশ করে তা পাঠ করতে লাগলো। তাতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক ও ছানা-ছিফত মুবারক ছিলো। তিনি উম্মী তথা
সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল ও আরব বংশীয় নবী, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি গাধার পিঠে আরোহণ
করবেন। তিনি সামান্য খাদ্যে সন্তুষ্ট থাকবেন। তিনি খুব লম্বাও নন বেঁটেও নন। উনার
চুল মুবারক কোকড়ানোও নয়, একেবারে সোজাও নয়। উনার দু’চোখ
মুবারক সূর্যোদয়কালীন লালীমা তথা নূর মুবারক-এ পরিপূর্ণ তথা নূরে মুজাসসাম।
فان كان هو الذى دعا كم فاجيبوه وادخلوا فى دينه فانا نحسده ولا نتبعه، وإنا {منه} فى مواطن بلاء عظيم ولا يبقى أحد من العرب الا اتبعه والا قاتله فسكونوا ممن يتبعه. فقال ميسرة يا قوم ألا {إن} هذا الأمر بين، فقال القوم نرجع الى الموسم ونلقاه فرجعوا الى بلادهم وأبى ذلك عليهم رجالهم فلم يتبعه أحد منهم فلما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة مهاجرا وحج حجة الوداع لقاي ميسرة فعرفه. فقال يا رسول الله صلى الله عليه وسلم والله ما زلت حريصا على اتباعك من يوم أنخت بنا حتى كان ما كان وأبى الله الا ما ترى من تأخر اسلامى،
ইহুদীরা এটাও বলে দিলো যে, তোমাদেরকে যিনি
আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি যদি এই লিপিতে বর্ণিত ব্যক্তি হন, তবে
তোমরা উনার আহ্বানে সাড়া দাও এবং উনার পবিত্র দ্বীন গ্রহণ করো। আমরা উনাকে হিংসা
করি। আমরা উনার অনুসরণ করবো না। উনার কারণে আমরা বিপদগ্রস্ত। নাঊযুবিল্লাহ! আরবের
লোকেরা দু’ভাগে বিভক্ত হবে। একদল উনার অনুসরণীয় হবেন। অপর দল উনার বিরুদ্ধে লড়াই
করবে। তোমরা উনার অনুসরণকারী উনাদের দলে থাকেন। এবার হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি বললেন, হে আমার সম্প্রদায়! জেনো রেখো,
এ বিষয়টি এখন সুস্পষ্ট। উনার সম্প্রদায়ের লোকজন বললো তবে আগামী
পবিত্র হজ্জ উনার মওসুমে আমরা আবার পবিত্র মক্কা শরীফ যাবো এবং উনার সাথে সাক্ষাৎ
করবো। তারা তাদের দেশে ফিরে গেলো। হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি
তাদের এই আচরণ সমর্থন করলেন না। বস্তুত তাদের কেউই এ যাত্রায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করেনি বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেনি। এরপর
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মদীনা শরীফ
হিজরত মুবারক করে এলেন। পরে পবিত্র বিদায় হজ্জ সম্পাদন করলেন। তারপর একদিন
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত
মুবারক-এ হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে দেখেন। হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া
হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যেদিন
আপনি আমাদের নিকট তাশরীফ এনেছিলেন সেদিন থেকে আমি আপনার অনুসরণ করার জন্যে উদগ্রীব
হয়ে আছি। কিন্তু যা হবার তা হয়ে গেছে। আমার পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণে বিলম্ব হয়ে
গেলো।
وقد مات عامة النفر الذين كانوا معى فأبن مدخلهم يارسول الله صلى الله عليه وسلم؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل من مات على غير دين الاسلام فهو فى النار فقال الحمد لله الذى أنقذنى. فأسلم وحسن إسلامه، وكان له عند أبى بكر مكان.
আমাকে ক্ষমা করুন। সাথে সাথে তখন যারা ছিলো তাদের শেষ বাসস্থান কোথায় ইয়া
রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি বললেন, “পবিত্র দ্বীন ইসলাম আসার পর অন্য
ধর্মানুসারী হয়ে যারা মৃত্যু বরণ করেছে সে জাহান্নামে যাবে।”
হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার। যিনি আমাকে হিফাযত
করেছেন। এরপর হযরত মায়সারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং
সুন্দরভাবে ইসলামী জীবন যাপন করলেন। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি
উনাকে বিশেষ চোখে দেখতেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ওয়াকীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পৃথক পৃথকভাবে সকল গোত্রের আলোচনা
করেছেন। বনু আমির গোত্র, গাসসান গোত্র,
বনু ফাযারা, বনু মুররা, বনু
হানীফা, বনু সুলায়ম, বনু আবাস, বনু নাযর ইবনে হাওয়াযিন, বনু ছা’লাবা ইবনে ইকাবা
কিনদাহ, কালব, বনু হারিছ ইবনে কা’ব,
বনু আযরা, বনু কায়স ইবনে হাতীম ও অন্যান্য
গোত্রের নিকট সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ
এনেছিলেন এবং তাদেরকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি আহ্বান করেছেন। অনেকে
তাৎক্ষণিক পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছেন অনেকে ইসলাম গ্রহণে বিলম্ব করেছেন। (আল
বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় জিলদ ১৪৬ পৃষ্ঠা)
0 Comments:
Post a Comment