হাদীছ শরীফ-এ এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, হে হিজরতকারী ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনাদের প্রতি মুবারকবাদ এবং আপনারা যাঁর পক্ষ থেকে হিজরত করে এসেছেন উনার প্রতিও। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, অবশ্যই তিনি আখিরী নবী, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তিনি সেই সুমহান ব্যক্তি তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাঁর আগমনের সুসংবাদ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি দিয়েছেন। আমি যদি রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বে না থাকতাম তবে আমি অবশ্যই উনার খিদমতে হাজির হতাম এবং উনার পাদুকাদ্বয় মুবারক-এ বুছা দিতাম। আপনারা আমার রাজ্যের যেখানে ইচ্ছা বসবাস করুন। তিনি উনার কর্মচারিদেরকে আমাদের খাদ্য ও পোশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি দেয়ার নির্দেশ দিলেন। অন্যদিকে কুরাইশ কাফির প্রতিনিধিদের উপহার সামগ্রী ফেরত দেয়ার আদেশ করলেন। (আল বিদায়া ওয়া নিহায়া)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,
قال فلما هاجر رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى المدينة وظهر بها قلناله إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قد ظهر وهاجر إلى المدينة، وقتل الذين كنا حدثناك عنهم، وقد أردنا الرحيل اليه، فردنا. قال نعم! فحملنا وزودنا. ثم قال أخبر صاحبك بما صنعت اليكم، وهذا صاحبى معكم أشهد أن لا إله إلا الله وأنه رسول الله صلى الله عليه وسلم، وقل له يستغفر لى.
অর্থ: হযরত জা’ফর ইবনে আবু ত্বলিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, পরবর্তীতে আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন হিজরত করে মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ নিলেন এবং সেখানকার সমস্ত কিছু দেখা শুনার দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করলেন আর যে, কাফির নেতাদের কথা আমরা আপনাকে বলেছিলাম হে নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি! ওরা সবাই নিহত হয়েছে। এখন আমরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে মিলিত হতে চাই! আপনি আমাদের যাওয়ার অনুমতি দিন। হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন; ঠিক আছে, এখন আপনারা যেতে পারেন। তিনি আমাদের যানবাহনের ব্যবস্থা করে দিলেন এবং আমাদের প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জাম দিয়ে দিলেন। তারপর বললেন, আমি যে, আপনাদের সঙ্গে সৎ ব্যবহার করেছি উনাকে তা খুলে বলবেন। আর এই ব্যক্তি আমার প্রতিনিধি, সে আমার প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের সাথে যাবে। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং নিশ্চয় তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আপনারা যিনি রসূল হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলবেন, তিনি যেনো আমার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
قال حضرت جعفر رضى الله تعالى عنه فخرجنا حتى أتينا المدينة فتلقانى رسول الله صلى الله عليه وسلم واعتنقنى، ثم قال ما أدرى أنا بفتح خيبر أفرح أم بقدوم حضرت جعفر رضى الله تعالى عنه ؟ ووافق ذلك فتح خيبر، ثم جلس فقال رسول حضرت النجاشى رحمة الله عليه هذا حضرت جعفر رضى الله تعالى عنه فسله ما صنع به صاحبنا؟ فقال نعم فعل بنا كذا وكذا وحملنا وزودنا، وشهد أن لا إله إلا الله وأنك رسول الله صلى الله عليه وسلم. وقال لى قل له يستغفرلى. فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فتوضأ، ثم دعا ثلاث مرات اللهم اغفر للنحاشى رحمة الله عليه فقال المسلمون امين. ثم قال حضرت جعفر رضى الله تعالى عنه فقلت للرسول انطلق فاخبر صاحبك بما رأيت من رسول الله صلى الله عليه وسلم.
হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আমরা আবিসিনিয়া থেকে রওয়ানা করে মদীনা শরীফ-এ এসে পৌঁছলাম। আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমাদের সাক্ষাত মুবারক হলো। তিনি আমাকে উনার বক্ষ মুবারক-এ জড়িয়ে ধরলেন। তারপর বললেন, এখন আমি খায়বার জিহাদে বিজয়ের আনন্দে বেশি আনন্দিত, নাকি হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আগমনে আমি বেশি আনন্দিত, তা বলতে পারছিনা। এটা ছিলো খায়বার বিজয়কালীন ঘটনা। এরপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসন মুবারক-এ বসলেন। হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতিনিধি বললেন, এই যে হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দয়া করে জিজ্ঞাসা করুন। আমাদের রাজা উনার সাথে কেমন ব্যবহার করেছেন? হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই বাদশাহ নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমাদের সাথে এরূপ এরূপ সদাচারণ করেছেন। আমাদের যানবাহন ও পাথেয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আর হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ও হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি আমাকে বলেছেন, আমি যেনো আপনাকে বলি উনার জন্য দোয়া করতে। এসব শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আসন মুবারক থেকে দাঁড়ালেন এবং ওযূ মুবারক করলেন। এবং দোয়া করলেন-
اللهم اغفر للنجاشى-
‘হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি নাজ্জাশীকে ক্ষমা করুন।’ এরূপ তিনি তিনবার দোয়া করলেন। প্রতিবারই উপস্থিত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ‘আমীন’ বললেন। অতপর হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতিনিধিকে বললেন, আপনি এবার আপনার দেশে ফিরে যেতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার রাজাকে আখিরী রসূল, নবী সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ যা লক্ষ্য করেছেন সে সম্পর্কে অবহিত করবেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় জিলদ, ৭২ পৃষ্ঠা) (ইনশাআল্লাহ চলবে)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে,
عن حضرت ابى امامة رضى الله تعالى عنه قال قدم وفد حضرت النجاشى رحمة الله عليه على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقام يخدمهم، فقال أصحابه نحن نكفيك يا رسول الله صلى الله عليه و سلم. فقال انهم كانوا لاصحابى مكرمين وانى احب ان اكافيهم.
অর্থ: হযরত আবূ উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পাঠানো প্রতিনিধি দল যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফ-এ উপস্থিত হলো- তখন তিনি স্বয়ং তাদের মেহমানদারী করতে লাগলেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ! ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের মেহমানদারীর জন্য আমরাই যথেষ্ট। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তারা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করেছে আমি পছন্দ করি যে, তার বিনিময় আমি নিজ হাতে তাদের দিতে চাই। সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় জিলদ, ৭৮ পৃষ্ঠা)
‘বুখারী শরীফ-এ’ আবিসিনিয়ায় হিজরত, অধ্যায়ে একটি হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবূ মূসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মক্কা শরীফ থেকে মদিনা শরীফ-এ হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন- আমরা এ সংবাদ অবগত হলাম। আমরা তখন ইয়ামেনে। এরপর আমরা সেখানকার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ মদীনা শরীফ-এ হিজরতের উদ্দেশ্যে একটি নৌকায় আরোহন করি। নৌকা আমাদেরকে আবিসিনিয়ায় হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট নিয়ে পৌঁছায়। সেখানে হযরত জা’ফর ইবনে আবূ ত্বলিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়। আমরা উনার সাথে সেখানেই অবস্থান করতে থাকি। অবশেষে আমরা মদীনা শরীফ-এ সকলে ফিরে আসি খায়বার বিজয়কালে। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে আমাদের দীদার বা সাক্ষাৎ মুবারক হয়। আমাদের উদ্দেশ্য করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘হে নৌকায় আরোহনকারী! আপনারা দু’টো হিজরতের মুহাজির।’ সুবহানাল্লাহ!
বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ-এ এসেছে
عن حضرت أبى هريرة رضى الله تعالى عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نعى حضرت النجاشى رحمة الله عليه فى اليوم الذى مات فيه وخرج بهم إلى المصلى فصف بهم وكبر أربع تكبيرات.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে, যেদিন হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন সেদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার বিছাল শরীফ বা বিদায়ের সংবাদ ঘোষণা করেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নিয়ে জানাযার নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে আসেন। এরপর সবাইকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে চার তাকবীরের সাথে জানাযার নামায আদায় করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায় ২য় জিলদ, ৭৭ পৃষ্ঠা)
বুখারী শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت جابر رضى الله تعالى عنه. قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم- حين مات حضرت النجاشى رحمة الله عليه - مات اليوم رجل صالح فقوموا فصلوا على أخيكم أصحمة.
“হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছাল শরীফ লাভ করলেন। তখন আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন; আজ একজন নেককার ব্যক্তি ইনতেকাল করেছেন। আপনারা সকলেই প্রস্তুত হন আপনাদের ভাই আসহামাহ উনার জন্য জানাযার নামায পড়–ন। এছাড়াও হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহু, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও অন্যান্য অনেক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে এরূপ বর্ণনা এসেছে। কোনো কোনো বর্ণনায় আছে যে, হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম মুবারক মুসহিমা। তবে তিনি মূলত, আসহামাহ ইবনে আবহুর রহমতুল্লাহি আলাইহি। আর নাজ্জাশী হলো আবিসিনিয়ার রাজাদের উপাধি।
যেমন- রোমের রাজাকে বলা হয় কায়সার। পারস্য সম্রাটের উপাধি কিসরা। সমগ্র মিসরের স¤্রাটের উপাধি ফিরাউন। আলেকজান্ডিয়ার রাজার উপাধি মুকাওকিস। ইয়ামেন ও শাহারর রাজার উপাধি তুব্বা। আবিসিনিয়ার রাজার উপাধি নাজ্জাশী। গ্রীস এবং কারো কারো মতে ভারত বর্ষের স¤্রাটের উপাধি বাতলীমূস এবং তুর্কদের স¤্রাটের উপাধি খাকান ইত্যাদি।
কাজেই হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ঈমান এনে মুসলমান হয়েছিলেন যার কারণে তিনি আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যথাযথভাবে খিদমতের আঞ্জাম দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ইবনে ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনারসূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিছাল শরীফ-এর পর সর্বত্র আলোচিত হতো যে, উনার কবরের উপর সর্বদা নূর বা জ্যোতি ও আলো দেখা যেতো। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ইমাম আবূ দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন যে, যখন হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিছাল শরীফ হয় তখন আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম যে, উনার কবরের উপর সর্বদা নূর বা আলো ও জ্যোতি দৃশ্যমান হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)
0 Comments:
Post a Comment