ত্বায়িফ থেকে প্রত্যাবর্তন এবং জিনদের উপস্থিতি
ত্বায়িফ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কয়েকদিন নাখলা নামক স্থানে অবস্থান করেন। এক
রাত্রিতে তিনি নামায পড়ছিলেন ইত্যাবসরে নাসীবীন-এর সাতজন জিন ওই পথে যাচ্ছিলো।
তারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কুরআন শরীফ
তিলাওয়াত শ্রবণ করে। তাদের কথা উল্লেখ করে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি
নাযিল করেন,
وَإِذْ صَرَفْنَا
إِلَيْكَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنصِتُوا فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَى قَوْمِهِم مُّنذِرِينَ- قَالُوا يَا قَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنزِلَ مِن بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُّسْتَقِيمٍ- يَا قَوْمَنَا أَجِيبُوا دَاعِيَ اللَّهِ وَآمِنُوا بِهِ يَغْفِرْ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُجِرْكُم مِّنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ- وَمَن لَّا يُجِبْ دَاعِيَ اللَّهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِي الْأَرْضِ وَلَيْسَ لَهُ مِن دُونِهِ أَولِيَاء أُوْلَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
অর্থ: স্মরণ করুন! আমি আপনার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে। যাঁরা কুরআন
শরীফ শুনছিলো। যখন তারা উনার নিকট উপস্থিত হলো, তখন তারা বললো, চুপ করে শ্রবণ করো। যখন
কুরাআন শরীফ তিলাওয়াত শেষ হলো তারা তাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেলো
সকর্তকারীরূপে। তারা বলছিলো, হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা এমন
এক আসমানী কিতাব তিলাওয়াত শ্রবণ করেছি, যা অবতীর্ণ হয়েছিলো
হযরত মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উপরে। ইহা উহার পূর্ববর্তী আসমানী
কিতাবকে সমর্থন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। হে আমাদের সম্প্রদায়!
মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে আহ্বানকারী উনার প্রতি সাড়া দাও এবং উনার প্রতি ঈমান
আনো। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দিবেন
এবং মর্মন্তুদ শাস্তি থেকে তোমাদের রক্ষা করবেন। কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার
দিকে আহ্বানকারী তথা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ডাকে সাড়া না
দেয়, তবে সে পৃথিবীতে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার
অভিপ্রায় ব্যর্থ করতে পারবে না এবং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত
তাদের কোনো সাহায্যকারী থাকবে না। আর তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত হবে।” সূরা
আহক্বাফ : আয়াত শরীফ ২৯-৩২)
অর্থাৎ ওই সমস্ত জিন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যবান মুবারক থেকে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত শুনে
মুসলমান হয়ে যান এবং উনাদের সম্প্রদায়ের নিকট গিয়ে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দেন।
উনারা বলেন, যদি তোমরা ইসলাম গ্রহণ করো তাহলে খালিক্ব মালিক
রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। অতঃপর দেখা গেলো উনাদের আহ্বানে
সত্তরজন জিন একযোগে ঈমান এনে মুসলমান হয়ে গেলেন এবং সকলে মিলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারকে উপস্থিত হন। তখন নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বুহতা
নামক স্থানে ছিলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে
কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে শুনান। ফরয হুকুমসমূহ পালন করে যেতে বলেন এবং বিরত থাকতে
বলেন নিষিদ্ধ বিষয়াবলী থেকে। (তাফসীরে মাযহারী)
যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মক্কা শরীফ-এর
নিকটে পৌঁছলেন, তখন হযরত যায়িদ ইবনে হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি আরয করলেন, মক্কা শরীফ-এ কিভাবে আমরা
প্রবেশ করবো? মক্কাবাসীরা তো আমাদেরকে বের করে দিয়েছে?
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন,
হে হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! খালিক্ব মালিক রব মহান
আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই এ মুছীবত থেকে উদ্ধারের কোনো পন্থা বের করে দিবেন। আর
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই উনার দ্বীন ইসলামের অভিভাবক ও সাহায্যকারী
এবং অবশ্যই তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবার উপর
বিজয়ী করবেনই করবেন। (সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এ প্রসঙ্গে হযরত উমাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মাগাযী’ গ্রন্থে উল্লেখ
করেন,
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث أريقط إلى الاخنس بن شريق فطلب منه أن يجيره بمكة. فقال إن حليف قريش لا يجير على صميمها. ثم بعثه إلى سهيل بن عمرو ليجيره فقال إن بنى عامر بن لؤى لا تجير على بنى كعب بن لؤى. فبعثه إلى المطعم بن عدى ليجيره فقال نعم! قل له فليأت. فذهب اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فبات عنده تلك الليلة، فلما أصبح خرج معه هو وبنوه ستة - أوسبعة - متقلدى السيوف جميعا
অর্থ: অতঃপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হেরা গুহায়
পৌঁছে মক্কা শরীফ-এ প্রবেশের ব্যাপারে উনার খিদমতের আঞ্জাম দেয়ার প্রস্তাব সহকারে
আরীকাত্ব নামের এক ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিলেন আখনাস ইবনে শুরায়কের নিকট। সে বললো,
আমরা কুরাইশ কাফির-মুশরিক গোত্রের মিত্র! কুরাইশ বংশে বিপর্যয় ও
অশান্তি সৃষ্টিকারী কোনো ব্যক্তির আমরা খিদমত করতে পারি না। নাঊযুবিল্লাহ! এরপর
খিদমতের আঞ্জাম দেয়ার লক্ষ্যে তিনি দূত পাঠালেন সুহাইল ইবনে আমরের নিকট। সে বললো,
আমরা আমির ইবনে লুওয়াই-এর বংশধর। ইবনে লুওয়াই-এর বিরুদ্ধাচরণকারী
কোনো ব্যক্তির আমরা এই খিদমতের আঞ্জাম দিতে পারি না। এরপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রস্তাব পাঠালেন মুতঈম ইবনে আদীর নিকট। মুতঈম বললো,
তাই হবে উনাকে মক্কা শরীফ-এ প্রবেশ করতে বলুন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নিকট গেলেন এবং সেখানে রাত্রি যাপন করলেন। সকাল বেলা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুতঈমকে সাথে
নিয়ে বের হলেন। মুতঈমের সঙ্গী হলো উনার পুত্ররা। তারা ছয়জন অথবা সাতজন। সবাই
তরবারী সজ্জিত।
فدخلوا المسجد وقال لرسول الله صلى الله عليه وسلم طف واحتبوا بحمائل سيوفهم فى المطاف، فاقبل حضرت أبوسفيان رضى الله تعالى عنه إلى مطعم. فقال أمجير أو تابع؟ قال لا بل مجير. قال إذا لا تخفر. فجلس معه حتى قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم طوافه، فلما انصرف النصرفوا معه. وذهب حضرت أبوسفيان رضى الله تعالى عنه إلى مجلسه. قال فمكث أياما ثم أذن له فى الهجرة، فلما هاجر رسول الله صلى الله عليه وسلم الى المدينة توفى مطعم بن عدى بعده بيسير فقال حسان بن ثابت والله لأرثينه فقال فيها قال:
উনারা মসজিদুল হারামে প্রবেশ করলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে মুতঈম বললেন, দয়া
করে আপনি তাওয়াফ করুন। উনারা সকলে তরবারী উঠিয়ে তাওয়াফের এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এলেন (তিনি তখন
মুসলমান হননি) মুতঈমের নিকট। তিনি বললেন, আপনি কি উনার
খিদমতের আঞ্জামদাতা, নাকি উনার ছাহাবী? মুতঈম বললেন, আমি উনার খাদিম। হযরত আবূ সুফিয়ান
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, তবে আপনার খিদমতকে
অবমাননা করা হবে না। হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কিছুক্ষণ
মুতঈমের নিকট বসলেন। ইতোমধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি তাওয়াফ শেষ করলেন, তিনি হুজরা শরীফ-এ ফিরে
এলেন। উনারাও ফিরে এলেন। হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি চলে
গেলেন উনার সাথীদের নিকট। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি কিছুদিন মক্কা শরীফ-এ অবস্থান করলেন। এরপর মদীনা শরীফ-এ হিজরত করার
নির্দেশ এলো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিজরতের অল্প
কিছুদিন পর মুতঈম ইবনে আদী ইন্তিকাল করেন। তখন হযরত হাসসান ইবনে সাবিত
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার
ক্বসম! আমি অবশ্য উনার শোকগাথা পাঠ করবো।
তিনি পাঠ করলেন,
فلو كان مجد مخلد اليوم واحد - من الناس نحى مجده اليوم مطعما
মানব জাতির কোনো ব্যক্তি যদি এককভাবে চিরদিনের জন্য মর্যাদাবান হন, তবে সেই একক ব্যক্তি হলেন মুতঈম। তিনি উনার মর্যাদাকে সমুন্নত
করেছেন।
أجرت رسول الله منهم فاصبحوا - عبادك ما لبى محل وأحرما
“হে মুতঈম! আপনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করে,
সম্মান করে খিদমতের আঞ্জাম দিয়েছেন। ফলে শত্রুরা সবাই চিরদিনের
জন্যে তথা যতদিন হাজী ছাহিবান ইহরাম বাঁধা ও খোলার জন্যে তালবিয়া পাঠ করবেন,
ততদিনের জন্যে আপনার আনুগত্য স্বীকার করলো।
فلو سئلت عنه معد بأسرها - وقحطان أو باقى بقية جرهما
মা’দ গোত্র, কাহত্বান গোত্র এবং
জুরহুম গোত্রের অবশিষ্ট লোকদেরকে যদি উনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়-
لقالوا هو الموفى بخفرة جاره - وذمته يوما إذا ما تجشما
তবে তারা সকলে বলবে যে, তিনি প্রতিবেশীর
নিরাপত্তা বিধানকারী, দায়িত্ব পালনকারী এবং অঙ্গীকার
রক্ষাকারী।
وما تطلع الشمس المنيرة فوقهم - على مثله فيهم أعز وأكرما
যাদের উপর সূর্য উদিত হয় তাদের মধ্যে উনার মতো সম্মানিত ও মর্যাদাবান
দ্বিতীয়জন নেই।
إباء إذا يأبى وألين شيمة - وأنوم عن جار اذا الليل أظلما
তিনি যখন কিছু প্রত্যাখ্যান করেন তখন প্রত্যাখ্যান করেনই। স্বভাব চরিত্রে তিনি
ন¤্র ও ভদ্র। অন্ধকার রাতে তিনি প্রতিবেশীর নির্বিঘেœ ঘুমের নিশ্চয়তা দানকারী। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
মুতঈমের এ খিদমতের কারণে বদর জিহাদের দিন যুদ্ধবন্দীদের প্রসঙ্গে সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
لو كان المطعم بن عدى حيا ثم كلمنى فى هؤلاء التى لتركتهم له.
“যদি আজ মুতঈম ইবনে আদী জিবিত থাকতেন আর এই বন্দিদের সম্পর্কে কিছু বলতেন, তা হলে আমি উনার খাতিরে এদের সবাইকে বিনা শর্তে মুক্তি দিয়ে
দিতাম।” (সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উয়ূনুল
আসার)
0 Comments:
Post a Comment