قال حضرت ابن اسحاق رحمة الله عليه وحدثنى حضرت عبد الله بن أبى بكر رضى الله تعالى عنه أنهم أتوا أبى بن سلول فقالوا مثل ماذكر حضرت كعب رضى الله تعالى عنه من القول فقال لهم إن هذا الامر جسيم ما كان قومى ليتفرقوا على مثل هذا وما علمته كان. قال فانصرفوا عنه. قال ونفر الناس من منى فتنطس القوم الخبر فوجدوه قد كان، فخرجوا فى طلب القوم فادركوا حضرت سعد بن عبادة رضى الله تعالى عنه باذا اخرو حضرت المنذر بن عمرو رضى الله تعالى عنه أخا حضرت بنى ساعدة بن كعب بن الخزرج رضى الله تعالى عنه وكلاهما كان نقيبا، فأما حضرت المنذر رضى الله تعالى عنه فاعجز القوم، وأما حضرت سعد بن عبادة رضى الله تعالى عنه فاخذوه فربطوا يديه إلى عنقه بنسع رحله ثم أقبلوا به حتى أدخلوه مكة يضربونه ويجذبونة بجمته- وكان ذا شعر كثير- قال حضرت سعد رضى الله تعالى عنه فوالله إنى لفى أيديهم إذ طلع على نفر من قريش فيهم رجل وضئ أبيض شعشاع حلو من الرجال، فقلت فى نفسى إن يك عند أحد من القوم خير فعند هذا. فلما دنا منى رفع يده فلكمنى لكمة شديدة فقلت فى نفسى لا والله ما عندهم بعد هذا من خير،
অর্থ: “হযরত ইবনে
ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে
আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমাকে বলেছেন যে, উনারা মুনাফিক উবাই ইবনে সলুলের নিকট গিয়েছিলেন এবং হযরত কা’ব
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যা উল্লেখ করেছেন তা তাকে জানালেন। উবাই ইবনে সলুল
বললো, এ বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার সম্প্রদায়ের
লোকজন বিচ্ছিন্ন হয়ে এমন কাজ করলেন অথচ আমি তার কিছুই জানি না। বর্ণনাকারী বলেন,
এরপর উনারা তার কাছে থেকে ফিরে এলেন। আমাদের লোকজন মীনা ছেড়ে চলে
গেলেন। অন্যদিকে কুরাইশ কাফিরেরা এই ঘটনা সম্পর্কে গোপনে খোঁজ-খবর নিলো। তারা
ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করলো। তারা আমাদেরকে খুঁজতে লাগলো। ইযখির ঘাসসহ তারা হযরত
সা’য়াদ ইবনে উবাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আটক করলো। হযরত মুনযির ইবনে
আমর যিনি বনু সায়ীদা ইবনে কা’ব ইবনে খাযরাজ গোত্রের মিত্র ছিলেন, উনাকেও তারা খুঁজে পেলো। উনারা দু’জনই ওই রাতে নকীব মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু
হযরত মুনযির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাদের চোখের আড়ালে চুপিচুপি করে চলে
আসেন। তারা সাওয়ারীর রশি দিয়ে হযরত সা’য়াদ ইবনে উবাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার হাত মুবারক গলা মুবারকের সাথে বেঁধে উনাকে নিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার দিকে
যাত্রা করলো। তারা উনাকে প্রহারে প্রহারে জর্জরিত করে মাথা মুবারকের চুল মুবারক
টেনে ধরে পবিত্র মক্কা শরীফ নিয়ে এলো। উনার মাথা মুবারকে উনার চুল মুবারক অনেক
ছিলো। হযরত সা’য়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান
আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমি তাদের হাতে বন্দি ছিলাম। তখন দেখি সেখানে উপস্থিত এক
কুরাইশী লোক। তাদের মধ্যে একজন খুব সাদা চেহারা বিশিষ্ট নেতৃস্থানীয় লোক। আমি মনে
মনে বললাম, এদের মধ্যে যদি কারো নিকট কোনো উপকার পাওয়া যায়,
তবে এই লোকের নিকট পাওয়া যাবে। সে যখন আমার কাছাকাছি এলো, তখন তার হাত উপরে তুলে আমাকে প্রচ- এক ঘুষি দিলো। তখন আমি আপন মনে বললাম,
মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! এরপর তাদের কারো নিকট আর কোনো
সহানুভূতি আশা করা যায় না।
فوالله إنى لفى أيديهم يسحبوننى إذ أوى لى رجل ممن معهم. قال ويحك أما بينك وبين أحد من قريش جوار ولا عهد؟ قال قلت بلى والله لقد كنت أجير لجبير بن مطعم تجاره وأمنعهم ممن أراد ظلمهم ببلادى. وللحارث بن حرب بن أمية بن عبد شمس. فقال ويحك فاهتف باسم الرجلين واذكر ما بينك وبينهما، قال ففعلت وخرج ذلك الرجل اليهما فوجدهما فى المسجد عند الكعبة فقال لهما إن رجلا من الخزرج الا ن ليضرب بالابطح ليهتف بكما، قالا ومن هو؟ قال حضرت سعد بن عبادة رضى الله تعالى عنه. قالا صدق والله إن كان ليجير لنا تجارنا ويمنعهم أن يظلموا ببلده، قال فجا فخلصا سعدا من أيديهم، فانطلق. وكان الذى لكم سعدا سهيل بن عمرو. قال حضرت ابن هشام رحمة الله عليه وكان الذى أوى له أبو البخترى بن هشام.
মহান আল্লাহ পাক
উনার ক্বসম! আমি তাদের হাতে বন্দি ছিলাম। তারা আমাকে টানা হেঁচড়া করতে থাকে।
মাটিতে ফেলে টানতে থাকে। হঠাৎ তাদের এক ব্যক্তি আমার প্রতি সহানুভুতিশীল হয়। সে
বললো, আপনার সাথে কি কুরাইশদের কোনো একজন লোকের সাথেও আশ্রয় চুক্তি
ও মৈত্রী চুক্তি নেই? আমি বললাম, হ্যাঁ
আছে, আমি তো আমার শহরে জুবাইর ইবনে মুতঈম-এর ব্যবসায়ী
কাফিলাকে আশ্রয় দিতাম এবং কেউ তাদের উপর যুলুম করতে চাইলে তাদেরকে রক্ষা করতাম এবং
পবিত্র মক্কা শরীফ উনার লোক হারিছ ইবনে হারব ইবনে উমাইয়া ইবনে আবদে শামস-এর সাথেও
তো আমি একই আচরণ করতাম। লোকটি আমাকে বললো, তাড়াতাড়ি আপনি ওই
দু’জনের নাম ধরে চিৎকার দিন। তাদেরকে ডাকুন এবং তাদের সাথে আপনার যে সম্পর্ক
চিৎকার করে তা সবাইকে জানিয়ে দিন। হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
আমি তাই করলাম। ওই লোক দ্রুত ওই দু’জনের নিকট রওয়ানা করলো। তিনি
তাদেরকে পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নিকট মসজিদে দেখতে পেলেন। সে তাদেরকে বললো,
পবিত্র মক্কা শরীফ উনার সমতল ভূমিতে খাযরাজ গোত্রের একজন লোককে
প্রচ-ভাবে মারাপিট করা হচ্ছে। তিনি আপনাদের নাম ধরে ডাকছেন। তারা বললো, লোকটি কে? সে বললো, লোকটি হলো
হযরত সা’দ ইবনে উবাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। জুবাইর ইবনে মুতঈম ও হারিছ ইবনে
হারব বললো তিনি তো ঠিকই বলেছেন। নিজ শহরে তিনি আমাদের ব্যবসা করে থাকেন, আশ্রয় দিতেন এবং তাদের উপর কেউ যুলুম করতে চাইলে তিনি তাদেরকে রক্ষা
করতেন। এরপর তারা দু’জন এলো এবং হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে অত্যাচারী
কাফির কুরাইশীদের হাত থেকে রক্ষা করলো। হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি
আপন পথে চলে গেলেন। হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাকে যে ব্যক্তি
ঘুষি মেরেছিলো সে ছিলো সুহাইল ইবনে আমর। হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আরাইহি তিনি
বলেন, যে ব্যক্তি হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
প্রতি সমানুভুতি দেখিয়েছিলো, সে হলো আবুল বুখতারী ইবনে
হিশম।”
আরো বর্ণিত রয়েছে,
ورواى البيهقى بسنده عن حضرت عيسى بن أبى عيسى بن جبير رحمة الله عليه قال سمعت قريش قائلا يقول فى الليل على أبى قبيس
:
অর্থ: “হযরত ইমাম বাইহাক্বী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আপন সনদে হযরত ঈসা ইবনে আবূ ঈসা ইবনে জুবাইর রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, এক রাত্রিতে আবূ কুবাইস পাহাড় থেকে এক ঘোষণাকারী ঘোষণা দিয়েছিলেন, কুরাইশগণ তা শুনেছিলেন।
ঘোষণাকারী বলেছিলো-
فان يسلم السعدان يصبح حضرت محمد صلى الله عليه وسلم - بمكة يخشى خلاف المخالف
হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
ব্যক্তিদ্বয় উনারা যদি ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে এমন
অবস্থায় পৌঁছে যাবেন যে, কোনো বিরোধিতাকারীর বিরোধিতাকে
তিনি ভয় করবেন না।
فلما أصبحوا قال حضرت أبو سفيان رضى الله تعالى عنه من السعدان؟ أسعد بن بكر أم سعد بن هذيم؟ فلما كانت الليلة الثانية سمعوا قائلا يقول
:
সকালে হযরত আবূ
সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, (তখনও
তিনি ঈমান গ্রহণ করেননি) ওই দু’ সা’দ কে? সা’দ ইবনে বকর,
নাকি সা’দ ইবনে হুযায়ম? দ্বিতীয় রাতে তারা
শুনতে পেলো ঘোষণাকারী ঘোষণা দিয়ে বলছেন,
أيا سعد سعد الاوس كن أنت ناصرا - وياسعد سعد الخزرجين الغطارف
হে হযরত সা’দ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আউস গোত্রের সা’দ আপনি সাহায্যকারী তথা খিদমতকারী হয়ে
যান এবং হে রদ্বিয়ায়াল্লাহু তায়ালা আনহু আপনি সুন্দর ও চালাক গোত্র খায়রাজ গোত্রের
সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
أجيبا إلى داعى الهدى وتمنيا - على الله فى الفردوس منية عارف
আপনারা দু’জন সাড়া
দিন হিদায়েতের পথে আহ্বানকারী উনার ডাকে। আর মহান আল্লাহ পাক উনার পরিচয় লাভকারী
ব্যক্তি।
فان ثواب الله للطالب الهدى - جنان من الفردوس ذات رفارف
নিশ্চয়ই হিদায়েত
অন্বেষণকারীদের জন্যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে পুরস্কার হলো ফিরদাউসের
বাগানসমূহ, যেগুলোতে রয়েছে সবুজ আসন।
فلما أصبحوا قال حضرت أبو سفيان رضى الله تعالى عنه هو والله حضرت سعد بن معاذ رضى الله تعالى عنه و حضرت سعد بن عبادة رضى الله تعالى عنه.
ভোর হওয়ার পর হযরত
আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আলোচ্য
দু’ সা’দ হলেন- হযরত সা’দ ইবনে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সা’দ
ইবনে উবাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
পবিত্র হাদীছ শরীফ
উনার মধ্যে রয়েছে,
قال حضرت ابن اسحاق رحمة الله عليه فلما رجع الانصار الذين بايعوا رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة العقبة الثانية إلى المدينة أظهروا الاسلام بها، وفى قومهم بقايا من شيوخ لهم على دينهم من الشرك منهم؛ حضرت عمرو بن الجموح بن زيد بن حرام بن كعب بن غنم بن كعب بن سلمة رضى الله تعالى عنه، وكان ابنه حضرت معاذ بن عمرو رضى الله تعالى عنه ممن شهد العقبة، وكان عمرو بن الجموح من سادات بنى سلمة و اشرافهم، وكان قد اتخذ صنما من خشب فى داره يقال له مناة كما كانت الاشراف يصنعون يتخذه إلها يعظمه ويظهره، فلما أسلم فتيان بنى سلمة؛ ابنه حضرت معاذ رضى الله تعالى عنه، و حضرت معاذ بن جبل رضى الله تعالى عنه كانوا يدلجون بالليل على صنم عمرو ذلك فيحملونه فيطرحونه فى بعض حفر بنى سلمة وفيها عذر الناس منكسا على رأسه، فاذا أصبح عمرو قال ويلكم من عدا على إلهنا هذه الليلة؟ ثم يغدو يلتمسه حتى إذا وجده غسله وطيبه وطهره ثم قال أما والله لو أعلم من فعل بك هذا لأخزينه.
অর্থ: “হযরত ইবনে
ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, পবিত্র আক্বাবা উনার
দ্বিতীয় বাইয়াতের রাতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বাইয়াত
সম্পন্ন করে হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পবিত্র
মদীনা শরীফ উনার মধ্যে ফিরে আসার পর সেখানে প্রকাশ্যে দ্বীন ইসলাম প্রচার শুরু
করেন। উনাদের মধ্যে কতক বয়োবৃদ্ধ লোক ছিলেন যারা তখনও তাদের পিতৃধর্মের অনুসারী
ছিলো। তাদের একজন হলেন, আমর ইবনে জামুহ ইবনে যায়দ ইবনে হারাম
ইবনে কা’ব ইবনে গানাম ইবনে কা’ব ইবনে সালামা। উনার পূত্র হযরত মুয়ায ইবনে আমর
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র আকাবার বাইয়াত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে
বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন। আমর ইবনে জামূহ ছিলেন বনূ সালামা গোত্রের অন্যতম নেতা ও
শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি। তার গৃহে সে কাঠের তৈরী একটি মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। সেটির
নাম মানাত। শিরকবাদী সম্ভ্রান্ত লোকেরা তাই করতো। এক একটি মূর্তি নির্মান করে তারা
তার পূজা করতো, সেটিকে ভক্তি শ্রদ্ধা করতো। নিবেদন করতো। বনু
সালামা গোত্রের দু’যুবক ইসলাম গ্রহণ করলেন। একজন আমরের পূত্র হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু অন্যজন হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনারা রাতের
অন্ধকারে আমরের পূজনীয় মূর্তির নিকট যেতেন। সেটিকে তুলে এনে বনূ সালামা গোত্রের
একটি কুয়োর মধ্যে উপুড় করে ফেলে দিতেন। কুয়োটিতে লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলতো। সকালে
ঘুম থেকে উঠে আমর বলতেন, ‘তোমার জন্যে ধ্বংস আসুক, গত রাতে আমাদের মূর্তির উপর চাড়াও হলেন কে? এরপর সে
মূর্তি খুঁজতে বের হতো। খুঁজে পাওয়ার পর সেটিকে গোসল করিয়ে খুশবু লাগিয়ে পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন করে যথাস্থানে রাখতেন এবং বলতেন মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! কে আমার
মূর্তিকে এমন করেছে তা যদি আমি জানতে পারতাম, তবে উনাকে আমি
চরমভাবে অপমানিত করতাম।
فاذا أمسى ونام عمرو عدوا عليه ففعلوا مثل ذلك، فيغده فى مثل ما كان فيه من لاذى فيغسله ويطيبه ويطهره، ثم يعدون عليه إذا أمسى فيفعلون به مثل ذلك، فلما أكثروا عليه استخرجه من حيث ألقوه يوما فغسله وطهره وطيبه. ثم جاء بسيفه فعلقه عليه ثم قال له إنى والله ما أعلم من يصنع بك ما أرى، فان كان فيك خير فامتنع، هذا السيف معك. فلما أمسى ونام عمرو عدوا عليه فاخذوا السيف من عنقه ثم أخذوا كلبا ميتا فقرنوه به بحبل ثم القوه فى بئر من ابار بنى سلمة فيها عذر من عذر الناس وغدا عمرو بن الجموح فلم يجده فى مكانه الذى كان به، فخرج يتبعه حتى إذا وجده فى تلك البئر منكسا مقرونا بكاب ميت،
অতঃপর সন্ধ্যা বেলা
আমর ঘুমিয়ে পড়লেন তিনি হযরত মুয়ায ইবনে আমর ও মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমা উনারা মূর্তির নিকট আসতেন এবং পূর্ব রাতে যা করেছেন এ রাতেও তা
করলেন। সকালে আমর মূর্তির খোঁজ করতেন এবং ময়লা আবর্জনা মিশ্রিত অবস্থায় তুলে গোসল
করিয়ে খুশবু লাগিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে যথাস্থানে রাখতেন। আবার সন্ধ্যা হলে
তিনি ঘুমাতে যেতেন। উনারা এসে মূর্তি নিয়ে পূর্বের ন্যায় আচরণ করতেন। বহুদিন এভাবে
চলার পর একদিন তিনি ময়লা আবর্জনা থেকে সেটিকে তুলে এনে যথাস্থানে স্থাপন করেন।
তারপর সেটির গলায় একটি তরবারী ঝুলিয়ে দিয়ে বলেন, মহান
আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! কে যে তোমার এই অবস্থা করেন তা আমি জানি না। মূলত তোমার
মধ্যে যদি কোনো কল্যাণ থাকে, তবে এই তরবারী তোমার সাথে রইলো,
এটি দিয়ে তুমি নিজেকে রক্ষা করো। সন্ধ্যায় আমর তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন।
উনারা মূর্তির উপর চড়াও হলেন। সেটির গলা থেকে তলোয়ারটি খুলে দিলেন। একটি মৃত কুকুর
এনে রশি দিয়ে সেটিকে মূর্তির সাথে মিলিয়ে বাঁধলেন। তারপর মূর্তি ও কুকুরটি বনূ
সালামা গোত্রের আবর্জনা নিক্ষেপের কুয়াতে ফেলে দিলেন। সকালে এসে আমর মূর্তিটিকে
যথাস্থানে পেলেন না। খুঁজতে গিয়ে তিনি দেখতে পেলেন মৃত কুকুরের সাথে একই রশিতে
বাঁধা অবস্থায় ওই কুয়োতে সেটি উপুড় অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
فلما راه أبصر شأنه وكلمه من أسلم من قومه فأسلم برحمة الله وحسن إسلامه فقال حين أسلم، وعرف من الله ما عرف، وهويذكرصنمه
ذلك وما أبصر من أمره ويشكر الله الذى أنقذه مما كان فيه من العمى والضلالة ويقول :
এ অবস্থা দেখে
মূর্তিটির আসল পরিচয় তথা অক্ষমতা তিনি উপলব্ধি করলেন। উনার সম্প্রদায়ের মধ্যে
যাঁরা দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, উনারাও উনার সাথে
কথাবার্তা বললেন। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার দয়ায় তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং
পরিপূর্ণভাবে পবিত্র ইসলামে দাখিল হয়ে যান। মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খালিছ
সন্তুষ্টি হাছিল করেন। পরবর্তীতে উনার মূর্তির প্রকৃত অবস্থা ফাঁস এবং অন্ধত্ত্ব
গোমরাহী থেকে মহান আল্লাহ পাক উনাকে যে হিফাযত করলেন।
তার শুকরিয়া আদায়
কল্পে তিনি বলেন,
والله لو كنت إلهالم تكن - أنت وكلب وسط بئر فى قرن
মহান আল্লাহ পাক
উনার ক্বসম! হে মূর্তি! তুমি যদি প্রকৃতই ইলাহ ও উপাস্য হতে, তবে
তুমি মৃত কুকুরের সাথে মিলিতভাবে কুয়োর মধ্যে পড়ে থাকতে না।
اف لملقاك إلها مستدن - الا ن فتشناك عن سوء الغين
দুঃখ হয় তোমার
নিক্ষিপ্ত হওয়া দেখে। তুমি তো লাঞ্ছিত উপাস্য। মন্দতম প্রতারণার বশবর্তী হয়ে আমি
তোমাকে বরণ করেছিলাম।
الحمد لله العلى ذى المنن - الواهب الرزاق ديان الدين
সকল প্রশংসা মহান
আল্লাহ পাক উনার, যিনি সর্বোচ্চ, অনুগ্রহশীল,
দাতা, রিযিক প্রদানকারী এবং সকল দ্বীন ও
ধর্মের ¯্রষ্টা।
هو الذى أنقذنى من قبل أن - أكون فى ظلمة قبر مرتهن
সেই মহান আল্লাহ
পাক তিনি আমাকে হিফাযত করেছেন কবরের অন্ধকারে আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার পূর্বে।
(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া
২য় জিলদ ১৬৫ ও ১৬৬ পৃষ্ঠা)
স্মরণীয় যে, পবিত্র
আকাবা শরীফ মাজলিসে কতজন আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ঈমান
এনেছিলেন সে সম্পর্কে আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় জিলদ ১৬৬, ১৬৭
ও ১৬৮ পৃষ্ঠা ও অন্যান্য ছীরত গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে,
فمن الاوس أحد عشر رجلا؛ حضرت أسيد بن حضير رضى الله تعالى عنه أحد النقباء، و حضرت أبو الهينم بن التيهان بدرى رضى الله تعالى عنه أيضا، و حضرت سلمة بن سلامة بن وقش بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت ظهير بن رافع رضى الله تعالى عنه، و حضرت أبو بردة بن دينار بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت نهير بن الهيم بن نابى بن مجدعة بن حارثة رضى الله تعالى عنه، و حضرت سعد بن خيشمة أحد النقباء بدرى رضى الله تعالى عنه وقتل بها شهيدا، و حضرت رفاعة ابن عبد المنذر بن زنير نقيب بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت عبد الله بن جبير بن النعمان بن أمية بن البرك بدرى رضى الله تعالى عنه، وقتل يوم أحد شهيدا أميرا على الرماة، و حضرت معن بن عدى بن الجد بن عجلان بن الحارث بن ضبيعة البلوى رضى الله تعالى عنه حليف للاوس شهد بدرا وما بعدها وقتل اليمامة شهيدا، و حضرت عويم بن ساعدة شهد بدرا رضى الله تعالى عنه وما بعدها.
আওস গোত্রের ১১ জন।
উনারা হলেন, ১। হযরত উসাইদ ইবনে হুদ্বাইর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু, তিনি রাতে একজন নকীব হিসেবে মনোনীত হন। ২। হযরত
আবূ হায়ছাম ইবনে তাইহান বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩। হযরত সালামা ইবনে
সা’লামা ইবনে ওয়াকশ বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়অলা আনহু। ৪। হযরত যাহীর ইবনে রাফি
রদ্বিয়াল্লাহু তায়অলা আনহু। ৫। হযরত আবূ যুরদাহ ইবনে দীনার বদরী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
আওস গোত্রের ছিলেন
১১ জন। উনারা হলেন, ১। হযরত উসায়দ ইবনে হুদ্বায়র রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু, সেই রাতে মনোনীত একজন নকীব। ২। হযরত আবু হায়ছাম
ইবনে তায়হান বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ৩। হযরত সালামা ইবনে সালামা ইবনে
ওয়াকশ বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৪। হযরত যাহীর ইবনে রাফি’ রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু। ৫। হযরত আবু বুরদাহ ইবনে দীনার বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৬।
হযরত নাহীর ইবনে হায়ছাম ইবনে নাবী ইবনে মাজদাআ ইবনে হারিছা। ৭। হযরত সাআদ ইবনে
খায়ছামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, ওই রাতে মনোনীত একজন
নকীব। বদর যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। ৮। হযরত ফিফাআ ইবনে আব্দুল মুনযির ইবনে যানীর বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, ওই রাতে মনোনীত একজন নকীব। ৯।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর ইবনে নু’মান ইবনে উমাইয়া ইবনে বারক বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উহুদ যুদ্ধে তীরন্দাজ বাহিনীর
নেতা ছিলেন। ওই যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। ১০। হযরত মা’ন ইবনে আদী ইবনে জাদ্দ ইবনে
আজলান ইবনে হারিছ ইবনে দ্বাবীআ বালাভী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি আওস
গোত্রের মিত্র। বদর ও অন্যান্য যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে। ইয়ামামার যুদ্ধ তিনি শহীদ
হন। ১১। হযরত উওয়াইম ইবনে সায়িদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি বদর ও অন্যান্য
যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
ومن الخزرج اثنان وستون رجلا؛ حضرت أبو أيوب خالد بن زيد رضى الله تعالى عنه وشهد بدرا وما بعدها ومات بأرض الروم زمن حضرت معاوية رضى الله تعالى عنه شهيدا، و حضرت معاذ بن الحرث رضى الله تعالى عنه. وأخواه حضرت عوف رضى الله تعالى عنه و حضرت معوذ رضى الله تعالى عنه وهم بنو عفراء بدريون، و حضرت عمارة بن حزم رضى الله تعالى عنه شهد بدرا وما بعدها وقتل باليمامة،
و حضرت أسعد بن زرارة رضى الله تعالى عنه أبوأمامة أحد النقباء مات قبل بدر، و حضرت سهل بن عتيك بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت أوس بن ثابت بن المنذر بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت أبوطلحة زيد بن سهل بدرى رضى الله تعالى عنه ، و حضرت قيس بن أبى صعصعة عمرو بن زيد بن عوف بن مبذول بن عمرو بن غنم بن مازن رضى الله تعالى عنه كان أميرا على الساقة يوم بدر، و حضرت عمرو بن غزية رضى الله تعالى عنه، و حضرت سعد بن الربيع رضى الله تعالى عنه أحد النقباء شهد بدرا وقتل يوم أحد، و حضرت خارجة ابن زيد رضى الله تعالى عنه شهد بدرا وقتل يوم أحد، و حضرت عبد الله بن رواحة رضى الله تعالى عنه أحد النقباء شهد بدرا وأحد والخندق، وقتل يوم مؤتة أميرا، و حضرت بشير بن سعد بدرى رضى الله تعالى عنه،
উক্ত অনুষ্ঠানে
খাযরাজ গোত্রের ৬২ জন আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম তিনি
উপস্থিত ছিলেন। উনারা হলেন- ১। হযরত আবু আইয়ুব খলিদ ইবনে যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু। তিনি বদর ও অন্যান্য যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন। হযরত মুআবিয়া
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফত আমলে রোমান রাজ্যে শহীদ হয়েছেন। ২। হযরত মুআয
ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩। উনার ভাই হযরত আওফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু । ৪। উনার ভাই হযরত মা’ওয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনারা তিনি জন আফরার
পুত্র। উনারা সকলে বদর যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন। ৫। হযরত আম্মারা ইবনে হাযম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি বদর ও অন্যান্য যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ইয়ামামার
যুদ্ধে শহীদ হন। ৬। হযরত আসআদ ইবনে যুরারাহ আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
মনোনীত অন্যতম নকীব। তিনি বদর যুদ্ধের পূর্বে বিছাল শরীফ লাভ করেন। ৭। হযরত সাহল
ইবনে আতীক বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৮। হযরত আওস ইবনে ছাবিত ইবনে মুনযির
বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৯। হযরত আবু তালহা যায়িদ ইবনে সাহল বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ১০। হযরত কায়স ইবনে আবু ছা’ছায়া আমর ইবনে যায়েদ ইবনে
আওফ ইবনে মাবযূল ইবনে আমর ইবনে গানাম ইবনে মাযিন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। বদরের
যুদ্ধে পশ্চাৎবর্তী বাহিনীর সরদার ছিলেন। ১১। হযরত আমর ইবনে গাযয়াহ। ১২। হযরত সাআদ
ইবনে রাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ওই রাতে মনোনীত একজন নকীব। বদর যুদ্ধে অংশ
গ্রহণ করেন এবং উহুদের যুদ্ধে শহীদ হন। ১৩। হযরত খারিজা ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু। বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। উহুদের যুদ্ধে শহীদ হন। ১৪। হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ওই রাতে মনোনীত একজন অন্যতম
নকীব। বদর, উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
মুতার যুদ্ধে সেনাপতির দায়িত্ব পালনকালে শহীদ হন। ১৫। হযরত বাশীর ইবনে সাআদ বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
و حضرت عبد الله بن زيد بن ثعلبة بن عبد ربه رضى الله تعالى عنه الذى أرى النداء وهو بدرى، و حضرت خلاد بن سويد بدرى رضى الله تعالى عنه أحدى خندقى وقتل يوم بنى قريظة شهيدا طرحت عليه رحى فشدخته فيقال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن له لأجر شهيدين و حضرت أبو مسعود عقبة بن عمرو البدرى رضى الله تعالى عنه قال حضرت ابن اسحاق رحمة الله عليه وهو أحدث من شهد العقبة سنا ولم يشهد بدرا، و حضرت زياد بن لبيد بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت فروة بن عمرو بن ودفة رضى الله تعالى عنه، و حضرت خالد بن قيس بن مالك بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت رافع بن مالك رضى الله تعالى عنه أحد النقباء، و حضرت ذكوان بن عبد قيس بن خلدة بن مخلد بن عامر بن زريق رضى الله تعالى عنه، وهو الذى يقال له مهاجرى أنصارى لانه أقام عند رسول الله صلى الله عليه وسلم بمكة حتى هاجر منها وهو بدرى قتل يوم أحد،
১৬। হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে যায়িদ ইবনে ছা’লাবা ইবনে আবদ রাব্বিহী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে স্বপ্নে আযানের কালাম দেখিয়েছিলেন। বদর যুদ্ধে উপস্থিত
ছিলেন। ১৭। হযরত খাল্লাদ ইবনে সুওয়াইদ বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ওহুদ ও
খন্দকের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। বনু কুরায়যা যুদ্ধের দিন তিনি শহীদ হন। উনার মাথায়
একটি যাঁতা ফেলে দিয়ে শহীদ করা হয়। কথিত আছে যে, উনার
সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “উনার জন্যে দু’শহীদের সমান
ছওয়াব থাকবে। ১৮। হযরত আবু মাসউদ উকবা ইবনে আমর বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
ইবনে ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আকাবায় যারা
উপস্থিত ছিলেন উনাদের মধ্যে তিনি বয়সে সর্বকণিষ্ঠ ছিলেন। বদরের যুদ্ধে তিনি হাযির
হননি। ১৯। হযরত যিয়াদ ইবনে লাবীদ বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ২০। হযরত ফারওয়া
ইবনে আমর ইবনে ওয়াদাফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ২১। হযরত খালিদ ইবনে কায়স ইবনে
মালিক বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ২২। হযরত রাফি’ ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু। সে রাতের মনোনীত একজন নকীব। ২৩। হযরত যাকওয়ান ইবনে আবদ কায়স ইবনে
খালদা ইবনে মাখলাদ ইবনে আমির ইবনে যুরায়ক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনাকে মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আনছারী
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দু’উপাধিতে ভূষিত করা হয়। কারণ, তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে দীর্ঘদিন অবস্থান করেছিলেন এবং সেখান থেকে পবিত্র
মদীনা শরীফ উনার মধ্যে হিযরত করেন। তিনি বদরী ছাহাবী। উহুদের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
و حضرت عباد بن قيس بن عامر بن خالد ابن عامر بن زريق بدرى رضى الله تعالى عنه، و أخوه حضرت الحارث بن قيس بن عامر بدرى رضى الله تعالى عنه أيضا، و حضرت البراء بن معرور رضى الله تعالى عنه أحد النقباء و أول من بايع فيما تزعم بنو سلمة وقد مات قبل مقدم النبى صلى الله عليه وسلم المدينة وأوصى له بثلث ماله فرده رسول الله صلى الله عليه وسلم على ورثته، و ابنه حضرت بشر بن البراء رضى الله تعالى عنه وقد شهد بدرا وأحدا والخندق ومات بخيبر شهيدا من أكله مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من تلك الشاة المسمومة رضى الله تعالى عنه، و حضرت سنان بن صيفى بن صخر بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت الطفيل بن النعمان بن خنساء بدرى رضى الله تعالى عنه، قتل يوم الخندق، و حضرت معقل بن المنذر بن سرح بدرى رضى الله تعالى عنه، وأخوه حضرت يزيد بن المنذر بدرى رضى الله تعالى عنه،
২৪। হযরত আব্বাদ
ইবনে কায়স ইবনে আমির ইবনে খালিদ ইবনে আমীর ইবনে যুরায়ক বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু। ২৫। উনার ভাই হযরত হারিছ ইবনে কায়স ইবনে আমির বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু। ২৬। হযরত বারা ইবনে মারূর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। অন্যতম নকীব, বনু
সালামা গোত্রের দাবী হলো হযরত বারা ইবনে মারূফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিই
সর্বপ্রথম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারকে
বায়াত গ্রহণ করেছিলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা
শরীফ উনার মধ্যে আসার পূর্বে বিছাল হয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্যে তিনি সম্পত্তির এক তৃতীয় অংশ ওসীয়াত করে গিয়েছিলেন।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার ওয়াসিয়ত
করা সম্পত্তি উনার ওয়ারিসদের ফেরত দিয়ে দেন। ২৭। হযরত বারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু উনার পুত্র বিশর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, তিনি বদর,
উহুদ এবং খন্দকের জিহাদে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। খায়বারের জিহাদে গিয়ে
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেয়া ইহুদীর
বিষ মাখানো বকরীর গোশত খেয়ে তিনি শহীদ হন। ২৮। হযরত সিনান ইবনে ছায়ফী ইবনে সাখর
বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ২৯। হযরত তুফায়ল ইবনে নু’মান ইবনে খানসা বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি খন্দকের যুদ্ধে শহীদ হন। ৩০। হযরত মা’কিল ইবনে
মুনযির ইবনে সারা বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩১। উনার ভাই হযরত ইয়াযীদ ইবনে
মুনযির বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
و حضرت مسعود بن زيد بن سبيع رضى الله تعالى عنه، و حضرت الضحاك بن حارثة بن زيد بن ثعلبة بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت يزيد بن خذام بن سبيع رضى الله تعالى عنه، حضرت جبار بن صخر بن خنساء بن سنان بن عبيد بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت الطفيل بن مالك بن خنساء بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت كعب بن مالك رضى الله تعالى عنه، و حضرت سليم بن عامر بن حديدة بدرى رضى الله تعالى عنه و حضرت قطبة بن عامر بن حديدة بدرى رضى الله تعالى عنه، وأخوه حضرت أبو المنذر يزيد بدرى رضى الله تعالى عنه أيضا، و حضرت أبو اليسر كعب بن عمرو بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت صيفى بن سواد بن عباد رضى الله تعالى عنه، و ثعلبة بن غنمة بن عدى بن نابى بدرى رضى الله تعالى عنه، و استشهد بالخذدق، و اخوه حضرت عمر بن غنمة بن عدى رضى الله تعالى عيه، و حضرت عبس بن عامر بن عدى بدرى رضى الله تعالى عنه و حضرت خالد بن عمرو بن عدى بن نابى رضى الله تعالى عنه، و حضرت عبد الله بن أنيس رضى الله تعالى عنه حليف لهم من قضاعة، و حضرت عبد الله بن عمرو بن حرام رضى الله تعالى عنه أحد النقباء بدرى واستثهد يوم أحد، وابنه حضرت جابر بن عبد الله رضى الله تعالى عنه، و حضرت معاذ بن عمرو بن الجموح بدرى رضى الله تعالى عنه،
৩২। হযরত মাসউদ
ইবনে যায়েদ ইবনে সাবী’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু । ৩৩। হযরত দ্বাহহাক ইবনে হারিছা
ইবনে যায়দ ইবনে ছা’লাবা বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩৪। হযরত ইয়াযীদ ইবনে
খুযাম ইবনে সাবী’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩৫। হযরত জাব্বার ইবনে সাখর ইবনে
উমাইয়া ইবনে খানসা ইবনে সিনান ইবনে উবায়দ বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩৬।
হযরত তুফায়ল ইবনে মালিক ইবনে খানসা বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩৭। হযরত কাআব
ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩৮। হযরত সুলায়ম ইবনে আমির ইবনে হাদীদা
বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৩৯। হযরত কুতবা ইবনে আমির ইবনে হাদীদা বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৪০। উনার ভাই হযরত আবু মুনযির ইয়াযীদ বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৪১। হযরত আবুল ইয়াসার কাআব ইবনে আমর বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৪২। হযরত সায়ফী ইবনে সাওয়াদ ইবনে আব্বাদ। রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু ৪৩। হযরত ছা’লাবা ইবনে গানামা ইবনে আদী ইবনে নাবী বদরী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু। তিনি খন্দকের যুদ্ধে শহীদ হন। ৪৪। উনার ভাই হযরত আমর ইবনে গানামা
ইবনে আদী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৪৫। হযরত আবাস ইবনে আমির ইবনে আদী বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৪৬। হযরত খালিদ ইবনে আমর ইবনে আদী ইবনে নাবী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৪৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উনায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু। কুযাআ গোত্রের মিত্র। ৪৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে হারাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ওই রাতে মনোনীত একজন নকীব। বদরের জিহাদে অংশ নিয়েছিলেন
এবং উহুদের জিহাদে শহীদ হয়েছেন। ৪৯। উনার পুত্র হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৫০। হযরত মুয়ায ইবনে আমর ইবনে জামুহ বদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
و حضرت ثابت بن الجذع بدرى رضى الله تعالى عنه وقتل شهيدا بالطائف، و حضرت عمير بن الحرث بن ثعلبة بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت خديج بن سلامة رضى الله تعالى عنه حليف لهم من بلى، و حضرت معاذ بن جبل رضى الله تعالى عنه شهد بدرا وما بعدها، و مات بطاعون عمواس فى خلافة عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه، و حضرت عبادة ابن الصامت رضى الله تعالى عنه، احد النقباء شهد بدرا وما بعدها، و حضرت العباس بن عبادة بن نضلة رضى الله تعالى عنه وقد أقام بمكة حتى هاجر منها فكان يقال له مهاجرى أنصارى أيضا وقتل يوم أحد شهيدا، و حضرت أبو عبد الرحمن يزيد ابن ثعلبة بن خزمة بن أصرم رضى الله تعالى عنه حليف لهم من بلى، و حضرت عمرو بن الحارث بن كندة رضى الله تعالى عنه، و حضرت رفاعة بن عمرو بن زيد بدرى رضى الله تعالى عنه، و حضرت عقبة بن وهب بن كلدة رضى الله تعالى عنه حليف لهم بدرى وكان ممن خرج إلى مكة فاقام بها حتى هاجر منها فهو ممن يقال له مهاجرى أنصارى أيضا، و حضرت سعد بن عبادة بن دليم رضى الله تعالى عنه أحد النقباء، و حضرت المنذر بن عمرو رضى الله تعالى عنه نقيب بدرى احدى وقتل يوم بثر معونة أميرا وهو الذى يقال له أعتق بموت،
৫১। হযরত ছাবিত
ইবনে জাযা’ বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি তাইফের জিহাদে শহীদ হন। ৫২। হযরত
উমায়র ইবনে হারিছ ইবনে ছা’লাবা বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৫৩। হযরত খাদীজ
ইবনে সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। বালী গোত্রের মিত্র। ৫৪। হযরত মুয়ায ইবনে
জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। বদর ও অন্যান্য জিহাদে অংশ নিয়েছিলেন। উমর ইবনুল
খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাসনামলে আমওয়াসের প্লেগ রোগে বিছাল লাভ
করেন। ৫৫। হযরত উবাদা ইবনে সামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ওই রাতে মনোনীত নকীব।
বদর ও অন্যান্য জিাহদে অংশগ্রহণকারী। ৫৬। হযরত আব্বাস ইবনে উবাদা ইবনে নাযলা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান করেছিলেন।
অবশেষে সেখান থেকে মদীনায় হিযরত করেন। তাই উনাকেও মুহাজির আনসারী ছাহাবী বলা হয়।
উহুদের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। ৫৭। হযরত আবু আব্দুর রহমান ইয়াযীদ ইবনে ছা’লাবা ইবনে
খাযামা ইবনে আসরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। বালী গোত্রের মিত্র। ৫৮। হযরত আমর
ইবনে হারিছ ইবনে কিনদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৫৯। হযরত রিফাআ ইবনে আমর ইবনে
যায়িদ বদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ৬০। হযরত উকবা ইনে ওহাব ইবনে কালদা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি খাযরাজীদের মিত্র ছিলেন। প্রথমে পবিত্র মক্কা
শরীফ উনার মধ্যে চলে এসেছিলেন। সেখানে অবস্থান করছিলেন। পরে পবিত্র মক্কা শরীফ
থেকে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে হিজরত করেন। তাই তিনিও একই সাথে মুহাজির ও
আনছারী নামে পরিচিত। ৬১। হযরত সাআদ ইবনে উবাদা ইবনে দালীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু। ওই রাতে মনোনীত একজন নকীব। ৬২। হযরত মুনযির ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু। ওই রাতে মনোনিত নকীব। বদর ও উহুদ জিহাদে শরীক হন। বি’রে মাঊনা দিবসে
সংশ্লিষ্ট কাফেলার সরদার হিসেবে শহীদ হন। উনাকে শহীদ আলিঙ্গনকারী নামে আখ্যায়িত
করা হয়।
আকাবার দ্বিতীয়
শপথের রাতে উপস্থিত মহিলা দু’জন হলেন- ১। হযরত উম্মু আম্মারা নাসীবা বিনতে কাআব
ইবনে আমর ইবনে আওফ ইবনে মাবযুল ইবনে আমর ইবনে গানাম ইবনে নাযিন ইবনে নাজ্জার
মাযিনিয়্যা নাজ্জারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। হযরত ইবনে ইসহাক বলেন, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বহু জিহাদে উপস্থিত ছিলেন।
উনার বোন এবং স্বামী হযরত যায়িদ ইবনে আসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও জিহাদে
উপস্থিত ছিলেন। উনার দু’পুত্র হযরত খুবায়ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত
আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে জিহাদে শরীক ছিলেন। উনার পুত্র
হযরত খুবায়ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে ভ- নবী মুসায়লামাতুল কাযযাব শহীদ
করেছিলো। মুসায়লানা উনাকে বলেছিলো, আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ
পাক উনার রসূল? হযরত খুবায়ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি
বললেন, হ্যাঁ, আমি তো ওই সাক্ষ্যই দেই।
এবার মুসায়লামা বললো, আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল? তিনি বললেন, না, আমি ওই সাক্ষ্য দেই না। তুমি ভালো করে শুনে নাও
যে, আমি ওই সাক্ষ্য দেই না। ফলে সে একটি একটি করে উনার
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদি কাটতে থাকে। ওই অবস্থায় মুসায়লামার হাতেই তিনি শাহাদাত বরণ করেন
তিনি অবিরত বলে যাচ্ছিলেন, না আমি তোমার কোনো কথাই শুনছি না।
উনার মা উম্মা আম্মারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি মুসলমানদের সাথে ওই জিহাদে
অংশ গ্রহণ করেছিলেন। যাতে মুসায়লামা তিনি নিহত হয়। জিহাদ শেষে তিনি যখন বাড়ি ফিরে
এলেন, তখন উনার দেহে তীর ও ছুরির আঘাত মিলিয়ে প্রায় ১২টি
ক্ষত চিহ্ন ছিলো।
আকাবার শপথে
উপস্থিত অপর মহিলা হলেন- হযরত উম্মু মানী’ আসমা বিনতে আমর ইবনে আদী ইবনে নাবী ইবনে
আমর ইবনে সাওয়াদ ইবনে গানাদ ইবনে কাআব ইবনে সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের সকলের প্রতি প্রসন্ন হোন।
0 Comments:
Post a Comment