হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ৫৮৫-৭৫০) (জ)



স্মরণীয় যে, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সঙ্গে নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীর্ঘক্ষণ ধরে অনেক অনেক আলাপ-আলোচনা হয়। উম্মতের প্রয়োজন অনুযায়ী তা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। আর খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একান্ত হাবীব ও মাহবুব। এ জন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবস্থান, তায়াল্লুক, মুবারক দীদার ও ছোহবত সব কিছুই দায়িমীভাবে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে। যার মধ্যে বিন্দুমাত্র ফাঁক নেই।
হাদীছ শরীফ-এ এসেছে,
عن حضرت جابر رضى الله تعالى تعالى عنه قال قلت يا رسول الله صلى الله عليه و سلم بابى انت وامى اخبرنى عن اول شىء خلق الله تعالى قبل الاشياء قال يا جابر ان الله تعالى قد خلق قبل الاشياء نور نبيك من نوره فجعل ذلك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالى ولم يكن فى ذلك الوقت لوح ولا قلم ولاجنة ولا نار ولا ملك ولاسماء ولا ارض ولاشمس ولا قمر ولاجنى ولا انسى.
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হয়ে যাক, আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সব কিছুর পূর্বে আপনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক উনাকে সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর এই নূর মুবারক খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ঘূর্ণায়মান ছিলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যেখানে চান সেখানে। ওই সময় লাওহ, কলম, বেহেশত, দোযখ, ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, সূর্য, চাঁদ, জিন ও ইনসান ইত্যাদি কোন কিছুই ছিল না।” (মসনদে আব্দুর রাজ্জাক, দালায়েলুন নবুওওয়াত, আফজালুল ক্বোরা, মুতালিউল মাসাররাত, তারীখুল খামীছ, মাওয়াহেব, শরহে যুরক্বাণী, মাদারেজুন নুবুওওয়াহ, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফতওয়ায়ে হাদীসিয়্যাহ, নশরুবতী ইত্যাদি)
এ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রতীয়মান হলো যে, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াতে তাশরীফ আনার পূর্বে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক-এ তথা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক দীদার, ছোহবত মুবারক-এ অবস্থান করতেন। এখনো খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক-এই অবস্থান করছেন এবং অনন্তকাল ধরে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক তথা ছোহবত মুবারক-এ থাকবেন।
তবে মি’রাজ শরীফ-এ যে মুবারক দীদার ও ছোহবত মুবারক লাভের কথা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে তা শুধু আনুষ্ঠানিক দীদার মুবারক মাত্র। যেমন খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরু থেকেই নবী-রসূল, অথচ দুনিয়াবী দৃষ্টিতে চল্লিশ বৎসর বয়স মুবারক-এ আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াতের প্রকাশ ঘটানো হয়েছে।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
عن حضرت ميسرة الفجر رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كنت نبيا وادم بين الروح والجسد.
অর্থ: “হযরত মাইসারাতুল ফাজর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি রূহ ও শরীর মুবারক-এ ছিলেন।” (আহমদ, তা’রীখে বুখারী, আলহাবী, ইত্তেহাফুচ্ছাদাত, তাযকিরাতুল মাউজুয়াত, কানযুল উম্মাল, দায়লামী, ত্ববরানী, আবূ নাঈম, মিশকাত ইত্যাদি)
অর্থাৎ প্রথম মানব, প্রথম নবী ও প্রথম রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার যখন অজুদ বা অস্তিত্ব মুবারক ছিল না, তখনো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নবীই ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
অন্য হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে,
كنت نبيا وادم بين الماء و الطين
“সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি পানি ও মাটিতে ছিলেন।” (মিরকাত শরীফ, জিলদ-১১ পৃষ্ঠা ৫৮)
আরো ইরশাদ হয়েছে,
كنت نبيا بين الروح والطين م ادم
অর্থ: “আমি তখনো নবী, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি উনার রূহ মুবারকও মাটিতে ছিলেন।” (ইবনে সা’দ, কানযুল উম্মাল)
আরো এসেছে,
كنت نبيا ولاماء ولاطين
অর্থ: “আমি তখনো নবী ছিলাম যখন পানিও ছিলো না মাটিও ছিলো না।” (মিরকাত শরীফ, জিলদ-১১ পৃষ্ঠা-৫৮)
অর্থাৎ নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখনো নবী ছিলেন, যখন পানি-মাটি, আসমান-যমীন, জান্নাত-জাহান্নাম, গ্রহ-নক্ষত্র, আরশ-কুরসী, লৌহ-কলম, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাত ইত্যাদি কোনো কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না। তখন ছিলেন খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি ওই অবস্থায় খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক তথা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক দীদার ও ছোহবতে অবস্থান করতেন। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,
كنت كنزا مخفيا فاحببت ان اعرف فخلقت الخلق لاعرف.
অর্থ: “আমি গুপ্ত ভা-ার ছিলাম। যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশিত হই, তখনই আমি প্রকাশ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করলাম মহানতম সৃষ্টি অর্থাৎ আমার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।” (হাদীছে কুদসী শরীফ, দাকায়িকুল আখবার)
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
اول ما خلق الله نورى وخلق كل شىء من نورى.
অর্থ: “খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন এবং সেই নূর মুবারক থেকেই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেন।” (নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল ইনসানুল কামিল, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে,
عن عبد الله بن عمر رضى الله تعالى عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اول شىء خلق الله القلم من نور واحد.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রথমে কলম সৃষ্টি করেন একখানা নূর মুবারক হতে।” (ইবনে আবি হাতিম ১/৪৯, আহমদ ৫/২১৭১, আত্তায়ালিসি ৫৭৭, তিরমিযী ২/২৩, দায়লামী/২ ইত্যাদি)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ‘নূরুও ওয়াহিদ’, একখানা নূর মুবারকই হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, যা আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, লৌহ-কলম, জান্নাত-জাহান্নাম এবং কলম- এক কথায় সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টির পূর্বেই মহান খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে সৃষ্টি করেছেন। আর তিনিই হচ্ছেন সকল সৃষ্টির মূল বা উৎস।
সেই নূর মুবারকই সর্বপ্রথম খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তৈরি করে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর কুদরতীভাবে স্বীয় আরশে আযীমে ময়ূর ও তারকারূপে রেখেছেন। সেই নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি সত্তর হাজার বছর পর পর উদিত হয়ে সত্তর হাজার বছর অস্তমিত থাকা অবস্থায় বাহাত্তর হাজার বার দেখেছেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়েই খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার বরকতময় কুদরতের মধ্যেই তথা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ছোহবতেই অবস্থান করেছেন, এখনো করছেন অনন্তকাল ধরে সেই মুবারক কুদরতের মধ্যেই অবস্থান করবেন।
মূলত খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটি বিষয় যেমন মুবারক কুদরত উনার অন্তর্ভুক্ত অনুরূপভাবে উনার ইসরা শরীফ, মি’রাজ শরীফ, বরকতময় মুবারক দীদার ও ছোহবত ইত্যাদি সবকিছুই মুবারক কুদরত উনার অধীন। এক কথায় খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক নন; এছাড়া সবদিক থেকে তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার গুণ মুবারক-এ গুণান্বিত। উনার স্থান খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই। সুবহানাল্লাহ!
যেমন, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় আবু জেহেল, আবু লাহাব, ওতবা, শাইবা, মুগীরা এরাও এই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনাকে বিশ্বাস করেনি। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে যে বরকতময় মুবারক দীদার মুবারক হয়েছেন, তারা সেটা বিশ্বাস করেনি। কিন্তু বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি কাফিরদের মুখ থেকে শোনার পরও তিনি বিনা চু-চেরায় বিশ্বাস করলেন যে, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মি’রাজ শরীফ হয়েছে এটা একশতে একশ সত্য। এজন্য খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে ছিদ্দীক্বে আকবার লক্বব মুবারক হাদিয়া দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ তাশরীফ আনলেন; তখন খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমার জন্য কি নিয়ে এসেছেন?” তখন খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন:
التحيات لله والصلوات والطيبات.
“আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াছ ছলাওয়াতু ওয়াত্ব ত্বয়্যিবাত”
অর্থ: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক আপনার জন্য আমার মৌখিক, শারীরিক, আর্থিক বা জবানী, জিসমানী ও মালী সর্বপ্রকার ইবাদত-বন্দেগী ও প্রশংসা হাদিয়াস্বরূপ পেশ করছি।”
জাওয়াবে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সালাম দিয়ে বললেন,
السلام عليك ايها النبى ورحمة الله وبركاته.
“আস সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ”
অর্থাৎ “হে আমার প্রিয় হাবীব! আপনার উপর সালাম, রহমত ও বরকত।”
উক্ত সালামের জাওয়াবে নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন,
السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين.
“আস সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছলিহীন”
অর্থাৎ “হে বারে ইলাহী! আপনার সালাম আমাদের উপর এবং সমস্ত ছলিহীন (নেককার) বান্দাদের উপরও সালাম।” অর্থাৎ এখানে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার উম্মতদের ভুললেন না। সমস্ত উম্মতকে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সালাম; রহমত, বরকত ও নিছবতে সংযুক্ত করে নিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমস্ত উম্মত তথা একলক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুইলক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, সমস্ত ওলীআল্লাহ, গাউছ, কুতুব, আবিদ, আবদাল, নকীব, নুকাবা রহমতুল্লাহি আলাইহিম তথা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সমস্ত নেককার বান্দা উনাদের উপরও সালাম। সুবহানাল্লাহ!
যখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি ও আরশের মুকাররাবীন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সঙ্গে নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিগূঢ় মুবারক দীদার-এ খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দর্শন, সালাম বিনিময়, মুবারক কথোপকথন শুনে বলে উঠলেন,
اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله
.“আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ও রসূলুহু”
অর্থাৎ “আমি তথা আমরা প্রত্যেকেই সাক্ষ্য দিচ্ছি, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয়তম হাবীব ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে অবশ্যই অবশ্যই দেখেছেন; যা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দ্বারা প্রমাণিত। কুরআন শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,
ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى - فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى
অর্থ: “অতঃপর তিনি নিকটবর্তী হলেন এবং আরো ঝুঁকে গেলেন। ব্যবধান ছিল দু’ধনুক বা তার চেয়েও কম।” (সূরা নজম: আয়াত শরীফ ৮, ৯)
উপরোক্ত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত শারিক ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, “খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত উনার নিকটবর্তী হলেন এবং আরো ঝুঁকে গেলেন। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ব্যবধান ছিলো দু’ধনুক বরং তার চেয়েও কম।” (তাফসীরে মাযহারী : জিলদ ৯, পৃষ্ঠা ১০৫)
পবিত্র সূরা নজম শরীফ উনার ১৭ নম্বর আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন,
مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَمَا طَغَى
অর্থ: “উনার দৃষ্টি মুবারক ভ্রষ্ট হয়নি, দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি।”
অর্থাৎ খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক দীদার বা দর্শন মুবারক লাভে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দৃষ্টি মুবারক ভ্রম ঘটেনি, ডানদিকেও না বাম দিকেও না। আর খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দর্শন মুবারক-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিন্দুমাত্র ভুলও হয়নি। বরং নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাক্বীক্বীভাবে খালিক্ব, মালিক, রব মহান
কাজেই উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে, নিশ্চয়ই খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক বা দর্শন মুবারক লাভ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উনার ইরশাদ হয়েছে,
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما قال قال حضرت رسول الله صلى الله عليه وسلم رايت ربى عز وجل فى احسن صورة-
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি আমার মহান রব উনাকে উত্তম ছূরত মুবারকে দেখেছি।” (মুসতাদরিকে হাকিম)
কাজেই খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাক্বীক্বীভাবে উত্তম ছূরত মুবারকে দেখেছেন; যা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, তাফসীর গ্রন্থ এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদাভুক্ত কিতাবসমূহে এ বিষয়ে বিশুদ্ধ দলীলভিত্তিক আলোচনা রয়েছে।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে অবশ্যই দেখেছেন। তবে মি’রাজ শরীফ-এ কি রকম বা কোন সুরত মুবারক তিনি দেখেছেন তা বর্ণনা করেননি।
উল্লেখ্য, অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুল বাশার, মাশুকে মাওলা, ছাহিবে মি’রাজ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাক্বীক্বীভাবে উত্তম ছূরত মুবারকে দেখেছেন।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন, কিন্তু প্রশ্ন হতে পারে- দুনিয়াতে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখা যায় কিনা? আর দেখা গেলে তা কি করে দেখা যায়? সে প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় যে, দুনিয়াতে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখা যায়। যেমন পবিত্র হাদীছে জিবরীল উনার মধ্যে বলা হয়েছে,
اخبرنى عن الاحسان قال ان تعبد الله كانك تراه
“হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি ইহসান সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জাওয়াবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “তুমি এমনভাবে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত কর যেন তুমি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখছো।”
কাজেই অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা একথা স্পষ্ট হয়ে যায়- খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখা সম্ভব। যেটা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার মেছালী ছূরত। যেমন খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার মেছালী ছূরত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে,
رأيت نورا انى اراه
অর্থ: “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে নূর হিসেবে দেখেছি।”

0 Comments: