সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, না, তা নয়। যুবক বললো, আপনাদের মধ্যে কি আবদে মানাফ আছেন, যিনি সকল ওসীয়তের
কেন্দ্রবিন্দু এবং সকল সাইয়্যিদ উনাদের সাইয়্যিদ? সাইয়্যিদুনা
হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, না নেই।
যুবক বললো, তবে আপনাদের মধ্যে কি আমর ইবনে আবদে মানাফ হাশিম
আছেন, যিনি নিজ গোত্র ও মক্কাবাসীদের জন্যে রুটি ছারীদ
খাওয়াতেন? উনার সম্পর্কে কবি বলেছেন,
عمرو العلا هشم الثريد لقومه – ورجال مكة مسنتون عجاف
উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আমর নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের ছারীদ দিয়ে আপ্যায়িত করেছেন।
পবিত্র মক্কা শরীফ উনার লোকজন তখন ছিলেন ক্ষুধার্ত, নিরন্ন ও শীর্ণকায়।
سنوا اليه الرحلتين كليهما – عند الشناء ورحلة الاصياف
তারা শীত ও গ্রীষ্ম উভয় সময়ে উনার নিকট আসার জন্য কাফিলা পরিচালনা করতো।
كانت قريش بيضة فتفلقت – فالمخ خالصة لعبد مناف
কুরাইশ বংশ ছিলো একটি শিরস্থানের ন্যায়। এরপর সেটি বিভিন্নভাবে বিভক্ত হয়ে
পড়লো। সেটির শীর্ষ অংশ নির্ধারিত থাকলো একান্তভাবে আবদে মানাফ গোত্রের জন্যে।
الرايشين وليس يعرف رايش – والقائلين
هلم للاضياف
আবদে মানাফ গোত্রের লোকজন সকলেই সৎকর্মশীল। উনাদের ন্যায় সৎকর্মশীল লোক সচরাচর
দেখা যায় না। উনারা মেহমানদের উদ্দেশ্যে বলে থাকেন আসুন আসুন অতিথ্য গ্রহণ করুন।
والضار بين الكبش يبرق بيضه – والمانعين
البيض بالاسياف
চমৎকার ও চিত্তাকর্ষক রংয়ের ভেড়াকে তারা বিনা দ্বিধায় মেহমানদের জন্যে যবেহ
করে দেন। তরবারী দ্বারা শত্রু পক্ষকে প্রতিহত করেন উনার নিজেদের শিরস্থান ও মুকুট
রক্ষা করেন।
لله – درك لو نزلت بدارهم – منعوك من أزل ومن اقراف
খোশ আমদেদ আপনি যদি উনাদের মহল্লায় যান তবে, উনারা সকল প্রকারের অপমান-লাঞ্ছনা ও মিথ্যা অপবাদ থেকে আপনাকে
রক্ষা করবেন।
فقال حضرت أبوبكر عليه السلام لا. قال فمنكم عبد المطب شيبة الحمد، وصاحب عير مكة، ومطعم طير السماء والوحوش والسباع فى الفلا الذى كأن وجهه قمر يتلألأ فى الليلة الظلماء؟ قال لا.
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, না তিনি আমাদের লোক নন।
যুবক বললো, আপনাদের মধ্যে কি
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি আছেন, যিনি শায়বাতুল হামদ বা সকল সুনামের যোগ্য পাত্র। যিনি মক্কী কাফিলার
সাইয়্যিদ বা সরদার, যিনি শূন্যে বিচরণকারী পাখী এবং মাঠে
প্রান্তরে বিচরণকারী জীব জন্তুকে খাদ্য দানকারী, যাঁর মুখম-ল
মুবারক অন্ধকার রাতে চকচক করে মোতি বিকিরণ করতো। সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর
আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, না, তিনি
আমাদের গোত্রভুক্ত নন।
قال أفمن أهل الافاضة أنت؟ قال لا. قال أفمن أهل الحجابة أنت؟ قال لا. قال أفمن أهل الندوة أنت؟ قال لا. قال أفمن أهل السقاية أنت؟ قال لا قال أفمن أهل الرفادة أنت؟ قال لا. قال فمن المفيضين أنت؟ قال لا. ثم جذب حضرت أبوبكر عليه السلام زمام ناقته من يده، فقال له الغلام:
صادف در السيل در يدفعه – يهيضه حينا وحينا يرفعه.
ثم قال أما والله يا أخا قريش لوثبت لخبرتك أنك من زمعات قريش ولست من الذوائب. قال فاقبل الينا رسول الله صلى الله عليه وسلم يتبسم.
যুবকটি বললো, তাহলে কি আপনারা
আরাফাতের অধিবাসী? হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম
তিনি বললেন, না, তা নয়। সে বললো,
আপনি কি বায়তুল্লাহ শরীফ-এর তত্ত্বাবধানকারীদের গোত্র? তিনি বললেন, না, তা নয়। সে
বললো তবে আপনি কি নাদওয়া ও পরামর্শদাতা সদস্যদের দলভুক্ত? তিনি
বললেন, না, তাও নয়। সে বললো, তবে কি হাজীদের পানি পরিবেশনকারীদের গোত্রভুক্ত? তিনি
বললেন, না, তাও নয়। সে বললো, তবে কি হাজীদের সেবাকারীদের দলভুক্ত? তিনি বললেন,
না, তাও নয়। সে বললো, তবে
কি আপনি হাজীদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব পালনকারীদের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেন, না, তা নয়। এবার
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, যুবকের হাত থেকে উনার উটের লাগাম টেনে নিলেন। যুবকটি উনাকে উদ্দেশ্য করে
বললেন,
صادف در السيل در يدفعه – يهيضه حينا وحينا يرفعه.
“বন্যায় ভেসে আসা ঝিনুক প্রতিযোগিতায় নেমেছে অপর ঝিনুকের সাথে। প্রবাহ কখনো
এটিকে উপরে উঠায় কখনো বা নিচে নামায়।”
তারপর সে বললো, মহান আল্লাহ পাক
উনার ক্বসম! হে কুরাইশ বংশীয় ব্যক্তি! আপনি যদি একটু অপেক্ষা করেন, তবে আমি আপনাকে সম্যক বলে দিতে পারবো যে, আপনি
কুরাইশের মূল বংশ মুবারকের অন্তর্ভুক্ত, শাখা গোত্রের নন।”
বর্ণনাকারী বলেন, এবার সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের দিকে তাকালেন এবং মুচকি
হাসলেন। সুবহানাল্লাহ!
قال فاقبل اليناحضرت
رسول الله صلى الله عليه وسلم يتبسم-
বর্ণনাকারী বলেন, এবার সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের দিকে তাকালেন এবং মুচকি
হাসলেন।” সুবহানাল্লাহ!
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় জিলদ ১৪৩ ও ১৪৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
قال ثم انتهينا إلى مجلس عليه السكينة والوقار واذا مشايخ لهم اقدار وهيئات، فتقدم حضرت أبوبكر عليه السلام فسلم- قال حضرت على عليه السلام وكان حضرت أبو بكر عليه السلام مقدما فى كل خير- فقال لهم حضرت أبو بكر عليه السلام ممن القوم؟ قالوا من بنى شيبان بن ثعلبة، فالتفت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال بابى أنت وأمى ليس بعد هؤلاء من عز فى قومهم،
অর্থ: “বর্ণনাকারী সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম
তিনি বলেন, তারপর আমরা একটি
মাজলিসে উপস্থিত হলাম। সেটি একটি গুরু-গম্ভীর ও শান্ত মাজলিস। সেখানে
ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতৃস্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস
সালাম তিনি সামনে গিয়ে মাজলিসের লোকদের সালাম দিলেন। বস্তুত সকল ভালো কাজেই হযরত
ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন অগ্রগামী।
হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আপনারা কোন সম্প্রদায়ের লোক? তারা বললো,
বনু শায়বান ইবনে ছা’লাবা গোত্রের লোক। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস
সালাম তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে তাকিয়ে
বললেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্যে কুরবান হোক, তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে এদের চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন আর কেউ নেই।
وفى رواية ليس وراء هؤلاء عذر من قومهم، وهؤلاء غرر فى قومهم، وهؤلاء غرر الناس. وكان فى القوم مفروق ابن عمرو، وهانىء بن قبيصة، والمثنى بن حارثة، والنعمان بن شريك. وكان أقرب القوم إلى حضرت أبى بكر عليه السلام مفروق بن عمرو، وكان مفروق بن عمرو قد غلب عليهم بيان ولسانا، وكانت له غدير تان تسقطان على صدره. فكان أدنى القوم مجلسا من حضرت أبى بكر عليه السلام فقال له حضرت أبو بكر عليه السلام كيف العدد فيكم؟ فقال له إنا لنزيد على الف، ولن تغلب الف من قلة. فقال له فكيف المنعة فيكم؟ فقال علينا الجهد ولكل قوم جد. فقال حضرت أبو بكر عليه السلام فكيف الحرب بينكم وبين عدوكم؟ فقال مفروق إنا أشد ما نكون لقاء حين نغضب، وإنا لنؤثر الجياد على الاولاد، والسلاح على اللقاح، والنصر من عند الله. يديلنا مرة ويديل علينا، لعلك أخو قريش؟ فقال حضرت أبو بكر عليه السلام إن كان بلغكم أنه رسول الله صلى الله عليه وسلم فها هو هذا فقال مفروق قد بلغنا أنه يذكر ذلك،
এক বর্ণনায় আছে যে, তাদের সম্প্রদায়ের
মধ্যে এরা ছাড়া এমন কেউ নেই, যাদের ওযর গ্রহণ করা যায়। এরা
তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্প্রদায়। ওই মাজলিসে মাফরূক ইবনে আমর, হানী ইবনে কুবায়সা, মুছান্না ইবনে হারিছা, নু’মান ইবনে শুরায়ক প্রমুখ নেতা ছিলো। মাফরূক বিন আমরের সাথে হযরত
ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার অধিকতর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। বগ্মিতা ও ভাষা
সৌকর্যে মাফরূক ছিলো তাদের সবার থেকে অগ্রগামী। তার চুলের দুটো বেনী ঝুলে থাকতো
বুক পর্যন্ত। সে বসেছিলো, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস
সালাম উনার নিকটে। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তোমাদের সংখ্যা কতো? সে বললো, আমাদের
লোক সংখ্যা এক হাজারের উপরে। এ সংখ্যাকে দয়া করে কম মনে করবেন না। আমাদের হাজার
লোকের এই দল কখনো পরাজিত হয় না। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন,
তোমাদের নিরাপত্তা পদ্ধতি কেমন। সে বললো, আমরা
অভাব অনটনে আছি। তবে আমাদের প্রত্যেকেই কঠোর পরিশ্রমী এবং নিজ নিজ নিরাপত্তা
রক্ষায় সচেষ্ট। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে এবং তোমাদের শত্রুদের মাঝে যুদ্ধ বিগ্রহের ফলাফল কেমন?
মাফরূক বললো, আমরা যখন ক্রুদ্ধ হই, তখন আমরা প্রচ-ভাবে শত্রুর মুকাবিলা করি। আমরা ছেলে মেয়েদের চাইতে বলিষ্ঠ
অশ্বদলকে প্রাধান্য দেই। দুগ্ধবর্তী ঊষ্ট্রীর চাইতে যুদ্ধাস্ত্রকে, সাহায্য তো আসে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে। কখনো আমরা বিজয়ী হই,
কখনো হই পরাজিত। আমার মনে হয় আপনি কুরাইশ বংশীয় লোক। হযরত
ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তোমরা শুনে থাকতে
পারো যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ নিয়েছেন। এই যে,
উনি সেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম। মাফরূক বললো, আমরা অবশ্যই শুনেছি যে, তিনি তা বলে থাকেন।
ثم التفت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فجلس وقام حضرت أبوبكر عليه السلام يظله بشوبه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أدعوكم إلى شهادة أن لا إلا الله وحده لاشريك له وأنى رسول الله صلى الله عليه وسلم، وأن تؤوونى وتنصرونى حتى أؤدى عن الله الذى أمرنى به، فان قريشا قد تظاهرت على أمر الله وكذبت رسوله واستغنت بالباطل عن الحق والله هو الغنى الحميد.
এবার সে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে তাকালো।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসন মুবারকে
বসলেন। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নিজ চাদর মুবারক দ্বারা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ছায়া মুবারক
দিতে লাগলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন,
আমি তোমাদের আহ্বান করছি, যাতে তোমরা সাক্ষ্য
দাও যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোনো মা’বুদ নেই। তিনি
একক, লা-শারীক। আর একথা সাক্ষ্য দাও যে, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল বা হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তোমরা যেনো আমার খিদমতের আঞ্জাম দাও এবং গোলামী করো যাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি
আমাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন আমি তা লোকদের নিকট প্রকাশ করতে পারি। কুরাইশরা মহান আল্লাহ
পাক উনার যে নির্দেশ মুবারক সেই নির্দেশ মুবারক অনুসরণ না করে বিরোধীতা করছে। তারা
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং হক্ব বা সত্যকে বাদ দিয়ে মিথ্যার মধ্যে
নিমজ্জিত রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি বেমেছাল প্রসংশিত।
قال له وإلى ما تدعو أيضا يا أخا قريش؟ فتلا رسول الله صلى الله عليه وسلم ( قل تعالوا أتل ما حرم ربكم عليكم ألا تشركوا به شيئا وبالوالدين
احسانا) إالى قوله (ذلك وصا كم به لعلكم تتقون)
মাফরূক বললো, হে কুরাইশী মহান
আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আর কোন বিষয়ে দাওয়াত দেন? জবাবে
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তিলাওয়াত
করলেন,
قُلْ تَعَالَوْاْ
أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ أَلاَّ تُشْرِكُواْ بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَلاَ تَقْتُلُواْ أَوْلاَدَكُم مِّنْ إمْلاَقٍ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ وَلاَ تَقْرَبُواْ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَلاَ تَقْتُلُواْ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ- وَلاَ تَقْرَبُواْ مَالَ الْيَتِيمِ إِلاَّ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّى يَبْلُغَ أَشُدَّهُ وَأَوْفُواْ الْكَيْلَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ لاَ نُكَلِّفُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا وَإِذَا قُلْتُمْ فَاعْدِلُواْ وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَى وَبِعَهْدِ اللّهِ أَوْفُواْ ذَلِكُمْ وَصَّاكُم بِهِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ- وَأَنَّ هَـذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُواْ السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَن سَبِيلِهِ ذَلِكُمْ وَصَّاكُم بِهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
অর্থ: হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি বলুন, এসো তোমাদের রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্যে যা
নিষিদ্ধ করেছেন তোমাদেরকে তা পাঠ করে শুনাই। উহা এই যে, তোমরা
উনার সাথে কাউকে শরীক করবে না। পিতা-মাতাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। দ্যরিদ্র্যের
আশঙ্কায় তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না। আমিই তোমাদেরকে এবং তাদেরকে
রিযিক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্য হোক কিংবা গোপনে হোক অশ্লীল আচরণের নিকটেও যাবে না,
মহান আল্লাহ পাক তিনি যা হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ
ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করবে না। তোমাদেরকে তিনি এই নির্দেশ দিলেন যাতে তোমরা
অনুধাবন করো। ইয়াতীম বয়প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সুদুদ্দেশ্য ছাড়া তার সম্পত্তির
নিকটবর্তী হবে না এবং পরিমাণ ও ওযন ন্যায্যভাবে পুরোপুরি দেবে। আমি কাউকে তার
সাধ্যাতীত ভার অর্পণ করি না। যখন তোমরা কথা বলবে, তখন
ন্যায্য কথা বলবে স্বজনের সম্পর্ক হলেও এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত অঙ্গীকার
পূর্ণ করবে। এভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ মুবারক দিলেন যে,
তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো এবং এ পথই আমার সরল পথ। সুতরাং এরই অনুসরণ
করবে এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে না। করলে সেটি উনার পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে
মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ মুবারক দিলেন, যেনো
তোমরা সাবধান হও।” (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক- ১৫১-১৫৩)
فقال له مفروق وإلى ما تدعو أيضا يا أخا قريش؟ فوالله ما هذا من كلام أهل الارض، ولو كان من كلامهم لعرفناه، فتلا رسول الله صلى الله عليه وسلم (إن الله يأمر بالعدل والاحسان وإيتاء ذى الفربى وينهى عن الفحشاء والمنكر والبغى يعظكم لعلكم تذ كرون) فقال له مفروق دعوت والله يا أخا قريش إلى مكارم الاخلاق ومحاسن الاعمال، لقد أفك قوم كذبوك وظاهروا عليك، وكأنه أحب أن يشركه فى الكلام هانىء بن قبيصة فقال وهذا هانئ بن قبيصة شيخنا وصاحب ديننا. فقال له هانئ قد سمعت مقالتك يا أخا قريش وصدقت قولك، وإنى أرى أن تركنا ديننا واتباعنا إياك على دينك لمجلس جلسته الينا ليس له أول ولا اخر لم نتفكر فى أمرك، وننظر فى عاقبة ما تدعو اليه زلة فى الرأى، وطيشة فى العقل، وفلة نظر فى العاقبة وإنما تكون الزلة مع العجلة، وإن من ورائنا قوما نكره أن نعقد عليهم عقدا. ولكن ترجع ونرجع وتنظر وننظر،
মাফরূক বললো, হে কুরাইশী,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আর কোন
বিষয়ের প্রতি আহ্বান করেন? মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! এটি
তো দুনিয়ার কোনো মানুষের কথা নয়। তাদের কারো কথা হলে আমরা অবশ্যই জানতাম। এবার
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তিলাওয়াত
মুবারক করলেন,
إِنَّ اللّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ
وَالإِحْسَانِ وَإِيتَاء ذِي الْقُرْبَى وَيَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَالْبَغْيِ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি বেমেছালভাবে ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ মুবারক দেন এবং তিনি
নিষেধ মুবারক করেন অশ্লীলতা, অসৎ কার্য ও সীমালঙ্ঘন। তিনি
তোমাদেরকে নির্দেশ মুবারক করেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো।” (পবিত্র সূরা নাহল
শরীফ : আয়াত শরীফ মুবারক ৯০)
মাফরূক বললো, হে কুরাইশী,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তো সবচেয়ে
সুন্দর, সর্বোত্তম চরিত্র মুবারক এবং মহৎ কাজের দিকে আহ্বান
করছেন। যারা আপনাকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং আপনার বিরুদ্ধাচারণ করছে, তারা নিশ্চয়ই আপনার প্রতি অপবাদ দিচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিলো যে,
হানী ইবনে কাবাসীকে সে এই আলোচনায় শামিল করতে চাচ্ছিলো। বস্তুত সে
বললো, ইনি হানী ইবনে কাবীসাহ। আমাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ও
ধর্মীয় প্রধান।
হানী বললো, হে কুরাইশী,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার আলোচনা
মুবারক শুনেছি। আপনি যা বলেছেন তা সবই সত্য বলেছেন। তবে শুধু একটি মাজলিসে বসেই
আপনার পেশকৃত বিষয় যাচাই বাছাই না করে আমরা যদি আপনার এবং আপনার ধর্মের অনুসরণ
শুরু করি তবে তা হবে আমাদের পদস্খলন ও ত্রুটিপূর্ণ মতামত প্রদান। তা হবে আমাদের
স্থুলবুদ্ধি ও অপরিণামদর্শিতার পরিচায়ক। নাঊযুবিল্লাহ! তাড়াতাড়ি যে কোনো কাজ করলে
ত্রুটিই হয়। আমরা ছাড়া আমাদের নিজ এলাকায় অনেক লোক রয়েছে। তাদের উপর কোনো সিদ্ধান্ত
আমরা চাপিয়ে দিতে চাই না। বরং এবারের মতো আমরাও ফিরে যাই, আপনিও
ফিরে যান। আপনি অপেক্ষা করুন, আমরাও অপেক্ষা করি। দেখি শেষ
পর্যন্ত কি হয়।
وكأنه أحب أن يشركه فى الكلام المثنى بن حارثة فقال وهذا المثنى شيخنا وصاحب حربنا. فقال المثنى قد سمعت مقالتك واستحسنت قولك يا أخا قريش، وأعجبنى ما تكلمت به. والجلواب هو جواب هانئ بن قبيصة واتركنا ديننا وتباعنا إياك لمجلس جلسته الينا وإنا إنما تزلنا بين صريين أحدهما اليمامة، والا خر السماوة. فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم وما هذان الصريان؟ فقال له أما أحدهم فطفوف البر وأرض العرب، وأما الاخر فارض فارس وأنهار كسرى وإنما نزلنا على عهد أخذه علينا كسرى أن لا نحدث حدثا، ولا نؤوى محدثا. ولعل هذا الأمر الذى تدعونا اليه مما تكرهه الملوك، فاما ما كان مما يلى بلاد العرب فذنب صاحبه مغفور، وعذره مقبول، وأما ما كان يلى بلاد فارس فذنب صاحبه غير مغفور، وعذره غير مقبول. فان أردت أن ننصرك ونمنعك مما يلى العرب فعلنا.
মনে হচ্ছিলো যে, সে মুছান্না ইবনে
হারিছার আলোচনায় শরীক করতে চায়। সে বললো, ইনি মুছান্না
আমাদের প্রবীণ ব্যক্তি ও সামরিক নেতা। মুছান্না বললো, হে
কুরাইশী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! আপনার আলোচনা মুবারক আমি শুনেছি, তা আমাকে মুগ্ধ
করেছে। হানী ইবনে কাবীসা আপনাকে যে জবাব দিয়েছে আমার জবাবো তাই। আপনার সাথে একটি
মজলিস করেই যদি আমরা আমাদের দ্বীন, ধর্ম ত্যাগ করে আপনার
অনুসরণ করি, তবে তা হবে আমাদের নির্বুদ্ধিতা। আমাদের অবস্থান
দুটো জনপদের মধ্যখানে। একটি ইয়ামাম অপরটি সামাওয়া। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ওই দুটো কি? সে বললো, একটি উন্মুক্ত মরু প্রান্তর ও আরব ভূখ- আর
অপরটি পারস্য স¤্রাজ্য ও তথাকার নীরাভূমি, আমরা এখন পারসিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছি। পারস্য স¤্রাটের সাথে আমাদের অঙ্গীকার রয়েছে যে, আমরা যেনো নতুন
কোনো পক্ষের সাথে যোগ না দেই এবং নতুন মতবাদ প্রচারকারী কাউকে যেনো আমরা আশ্রয় না
দেই। আপনি যে মতামত প্রচার করছেন, তার অনুসরণকারীগণ নিশ্চয়ই
রাজা-বাদশাদের কোপানলে পড়বে। বস্তুত আরব অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় কেউ একাজ করলে সে
দোষের ক্ষমা পাবে এবং তার ওযর গ্রহণ করা হবে। পক্ষান্তরে পারসিক অঞ্চল সংলগ্ন
এলাকায় যে আপনার ধর্মমতের অনুসরণ করবে তার অপরাধ ক্ষমা করা হবে না এবং তার ওযর
আপত্তি গ্রহণ করা হবে না। আপনি যদি চান, তবে আরব অঞ্চল
সংলগ্ন এলাকায় আমরা আপনার খিদমতের আঞ্জাম দিবো এবং আপনার পাহারাদারী তথা ডিউটি
করবো।
فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ ما أسأتم الرد إذ افصحتم بالصدق إنه لا يقوم بدين الله الا من حاطه من جميع جوانبه. ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أرأيتم ان لم تلبثوا الا يسيرا حتى يمنحكم الله بلادهم وأموالهم ويفرشكم بناتهم أتسبحون الله وتقدسونه؟
فقال له النعمان ابن شريك اللهم وإن ذلك لك يا أخا قريش! فتلا رسول الله صلى الله عليه وسلم (إنا أرسلناك شاهدا ومبشرا ونذيرا وداعيا الى الله بأذنه وسراجا منيرا)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করলেন, সত্য কথা বলে তোমরা অপরাধ করনি। বস্তুত যে ব্যক্তিই
মহান আল্লাহ পাক উনার দ্বীন প্রচার ও প্রসারে নেমেছে, তার
উপর চারিদিক থেকে নির্যাতন নেমে এসেছে। অতঃপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আচ্ছা তোমরা
বলোতো অল্পকিছুদিনের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি ওদের ধন-সম্পদগুলো তোমাদের
হাতে দিয়ে দেন এবং ওদের কন্যাদেরকে তোমাদের সাথে বিবাহ দেয়, তবে
কি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার তাছবীহ পাঠ ও পবিত্রতা বর্ণনা করবে? নু’মান ইবনে শুরায়ক বললো, হে কুরাইশী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তেমন পরিস্থিতি কি
হবে? তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি এ আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করলেন,
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ
شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا - وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُّنِيرًا
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি
সাক্ষীরূপে এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। মহান আল্লাহ পাক উনার অনুমতিক্রমে
উনার দিকে আহ্বানকারীরূপে এবং সমুজ্জ্বল প্রদীপরূপে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ :
পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৫-৪৬)
ثم نهض رسول الله صلى الله عليه وسلم قابضا على يدى حضرت أبوبكر عليه السلام. قال حضرت على عليه السلام ثم التفت الينا رسول صلى الله عليه وسلم فقال يا حضرت على عليه السلام أيه أخلاق للعرب كانت فى الجاهلية- ما أشرفها- بها يتحاجزون فى الحياة الدنيا.
قال ثم دفعنا الى مجلس الأوس والخزرج، مما تهضنا حتى بايعوا النبى صلى الله عليه وسلم. قال حضرت على عليه السلام وكانوا صدقاء صبراء فسر رسول الله صلى الله عليه وسلم من معرفة حضرت أبى بكر عليه السلام بانسابهم. قال فلم يلبث رسول الله صلى الله عليه وسلم الا يسيرا حتى خرج الى أصحابه فقال لهم. احمدوا الله كثيرا فقد ظفرت اليوم أبناء ربيعة بأهل فارس. فقلوا ملوكهم واستباحوا
عسكرهم وبى نصروا. قال وكانت الوقعة بقراقر الى جنب ذى قار وفيها
এরপর হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারক ধরে হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখান থেকে উঠে আসলেন। হযরত কাররামাল্লাহু
ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তারপর সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রতি তাকিয়ে বললেন,
হে হযরত আলী আলাইহিস সালাম জাহিলী যুগে আরবরা কোন মহান চরিত্রের
মাধ্যমে পরস্পর দ্বন্দ্ব সংঘাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতো? এবার
আমরা আওস ও খাজরাজ গোত্রের মসলিসে উপস্থিত হলাম। উনারা কাল বিলম্ব না করে
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারকে
বাইয়াত গ্রহণ করলেন। হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন,
উনারা ছিলেন সত্যবাদী ও ধৈর্য্যশীল। ওই সকল লোকজনের বংশ পরিচিতি
সম্পর্কে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি অবগত ছিলেন বলে সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি হলেন। এর কিছুক্ষণ পর
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার ছাহাবায়ে
কিরাম উনাদের নিকট ফিরে গেলেন।
0 Comments:
Post a Comment