সুওয়াল: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নাত মুবারক উনার আলোচনা প্রসঙ্গে কেউ যদি বলে, এত
সুন্নত উনার প্রয়োজন নেই। এ ধরণের বক্তব্য প্রসঙ্গে ইসলামী শরীয়ত উনার ফয়সালা কি?
জাওয়াব: “এত সুন্নাত মুবারক উনার প্রয়োজন নেই”-এ ধরণের কথা কুফরীর অন্তর্ভূক্ত।
কেননা এ ধরণের কথা সরাসরি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধী। মহান
আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
ومااتاكم الرسول فخزوه وما نهكم عنه فنته.
অর্থঃ- “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
তোমাদের জন্য যে আদেশ মুবারক করেছেন, তা তোমরা গ্রহণ করো। আর যা থেকে
বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাক।”
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে,
كل
امتى يدخلون الحينة الامن ابى قيل ومن ابى يا رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:
من اطا عنى دخل الجنة ومن عصانى فقد ابى.
অর্থঃ- “আমার প্রতিটি উম্মত বেহেশতে যাবে, তবে যে যেতে অসম্মত সে ব্যতীত।
জিজ্ঞাসিত হলেন- কে সে, যে যেতে অসম্মত? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করলেন, যে আমার ইত্তেবা করেছে, সে বেহেশতে
যাবে এবং যে আমার অবাধ্য হয়েছে, সে বেহেশতে যেতে অসম্মত।” (বুখারী শরীফ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
فمن رغب عن سنتى فليس منى.
অর্থঃ- “যে আমার সুন্নত মুবারক উনাকে অস্বীকার করলো, সে আমার
উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়।”
পবিত্র কুরআনুল করীমে মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন,
لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة.
অর্থঃ- “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।” (পবিত্র সূরা
আহযাব শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক
হয়েছে,
من
احب سنتى فقد احبنى ومن احبنى كان معى فى الجنة.
অর্থঃ- “যে আমার সুন্নত মুবারককে মহব্বত করে (অর্থাৎ অনুসরণ করে) সে যেন আমাকে মহব্বত
করে। আর যে আমাকে মহব্বত করে, বেহেশতে সে আমার সাথে থাকবে।” (তিরমিযী শরীফ)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ
হতে বুঝা যায় যে, সুন্নাত পালনই হলো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বতের একমাত্র নিদর্শন। আর এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন
শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে হুকুম রয়েছে। সুতরাং যারা বলবে যে, এত সুন্নত উনার আমল করতে হয়না, তাদের কথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনাদের বিরোধী। তাই এ ধরণের কথা বলা কুফরীর অন্তর্ভূক্ত।
আবা-১৬
0 Comments:
Post a Comment