১৪১ নং-সুওয়াল ঃ - আমাদের ইউনিয়নে ইদানীং একটি গার্লস হাই স্কুল চালু করা হয়েছে, তারা ফিৎরা ও বায়তুল মাল হতে টাকা সংগ্রহ করছে এবং অনেকে তাদেরকে টাকা দিচ্ছে। এ নিয়ে আমাদের অঞ্চলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। এখন জিজ্ঞাস্য - উক্ত ফান্ড হতে গার্লস স্কুলকে টাকা দেয়া যাবে কিনা? কুরআন, হাদীছ ও ফিক্বহের আলোকে উত্তর দিয়ে আমাদের সন্দেহ দূর করতে অনুরোধ রইল।

সুওয়াল ঃ - আমাদের ইউনিয়নে ইদানীং একটি গার্লস হাই স্কুল চালু করা হয়েছে, তারা ফিৎরা ও বায়তুল মাল হতে টাকা সংগ্রহ করছে এবং অনেকে তাদেরকে টাকা দিচ্ছে। এ নিয়ে আমাদের অঞ্চলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। এখন জিজ্ঞাস্য - উক্ত ফান্ড হতে গার্লস স্কুলকে টাকা দেয়া যাবে কিনা? কুরআন, হাদীছ ও ফিক্বহের আলোকে উত্তর দিয়ে আমাদের সন্দেহ দূর করতে অনুরোধ রইল। 


জাওয়াব ঃ- যাকাত, ফিৎরা, মান্নত, কুরবানীর চামড়া, কাফ্ফারা ইত্যাদি ইয়াতীম-মিসকীনদের হক্ব। তাদের (ইয়াতীম) খাওয়া-পরা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারযোগ্য। ইয়াতীম মিসকীনদেরকে উক্ত টাকা দিয়ে দিতে হবে অথবা মালিক করে দিতে হবে। এরপর তারা যদি ঐ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে দান করে, সেটা তাদের ইচ্ছা। তবে এমন কোন স্থানে দান করা ঠিক হবে না, যেখানে বেপর্দা, বেশরা, বেহায়াপনা ইত্যাদি গুণাহের কাজ হয়। মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ ফরমান,
تعاوتوا على البر والتقوى ولا تعاو نوا على الاثم والعدوان.
অর্থঃ- “তোমরা নেকি ও পরহেযগারীর কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর, পাপ ও শত্রুতার মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করোনা।” সুতরাং উপরোক্ত আয়াত শরীফের হুকুম অনুসারে ঐ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে উল্লেখিত টাকা দিয়ে সাহায্য করা ঠিক হবে না। হ্যাঁ, তবে যদি মেয়েদের এমন কোন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়, যাতে বেপর্দা, বেহায়া, বেশরা, উলঙ্গপনা ইত্যাদি শরীয়তের খেলাফ কোন প্রকার কাজ সংঘঠিত না হয় এবং দ্বীনী তা’লীম দেয়া হয়, তবে তাতে উপরোল্লেখিত টাকা দিয়ে সাহায্য করা যাবে। 
আবা-১৫

0 Comments: