১৬৭ নং- সুওয়াল: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মি’রাজ শরীফ কি স্বশরীরে হয়েছিল, পবিত্র মি’রাজ শরীফ কতবার হয়েছিল?


সুওয়াল:  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মিরাজ শরীফ কি স্বশরীরে হয়েছিল, পবিত্র মিরাজ শরীফ কতবার হয়েছিল?
জাওয়াব: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মিরাজ শরীফ সর্বমোট ৩৪ বার হয়েছিল। ২০ জনেরও অধিক হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এ পবিত্র মিরাজ সম্পর্কীত পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। আত্মিক যে মিরাজ, তা নবুওওতের পূর্বে ঘটেছিল। সিরাতে হালাবী কিতাব উনার ১ম খণ্ড ৩৯৮ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে- শায়খ আব্দুল ওহাব শারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মিরাজ শরীফ মোট ৩৪ বার হয়েছিল। একবার স্বশরীরে, অবশিষ্টগুলো রূহানীভাবে হয়েছিল।
          পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার ঘটনাবলী দুটি অংশে বিভক্ত। প্রথম হলো- পবিত্র কাবা শরীফ থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ যাওয়া। এটাকে ইসরা বা রাত্রিকালীন ভ্রমন বলা হয়। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে,
سيحان الذى اسرى بعبده ليلا من المسجد الحرام الى المسجد الاقصا الذى بار كنا حوله لنوريه من اياتنا.
অর্থঃ- সেই পবিত্র ও মহিমাম্বিত সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাত্রে মসজিদে হারাম হতে মসজিদে আকসা পর্যন্ত নিয়েছেন, যার চারদিকে বরকত দিয়েছেন, যেন আমি তাকে আমার নিদর্শন দেখিয়ে দেই।(পবিত্র সূরা বণি ইসরাইল)
          দ্বিতীয় হলো- পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ হতে সিদরাতুল মুনতাহা শরীফ হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাৎ ও দীদার, এটাকে পবিত্র মিরাজ শরীফ বলা হয়।
          সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন , নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মিরাজ শরীফ স্বশরীরে হয়েছিল। আর স্বশরীরে হয়েছিল বলেই কাফির ও মুশরিকরা যখন শুনলো যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক রাত্রিতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস ও তথা হতে সাত আসমানের উপর পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন। তারা এটা অস্বীকার করলো এবং বললো- একজন মানুষের পক্ষে এটা কি করে সম্ভব? পবিত্র মিরাজ শরীফ যদি স্বশরীরে না হয়ে রূহানী হবে, তাহলে কাফিররা এ ঘটনা অস্বীকার করলো কেন? রূহানী বা স্বপ্নে তো অনেক কিছুই হতে পারে। একজন সাধারণ মানুষওতো স্বপ্নে অনেক কিছু দেখে যেমন- পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত এক ঘন্টার ঘুমের মধ্যেই ভ্রমন করতে পারে। স্বপ্নের মধ্যে কিছু হওয়া বা ঘটার মধ্যে তো আশ্চর্যের কিছু নেই অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই পবিত্র ইসরা ও পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার ঘটনাকে বিস্ময় ও আশ্চর্য প্রকাশ করেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত সমগ্রবিশ্ববাসিকে দেখিয়ে দিলেন এ আশ্চর্যজনক ঘটনা। মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরাত, নিদর্শন যা শ্রবনে ও দর্শনে মানুষের বিবেক, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা ও অনুভব সবই অকেজো হয়ে যায় এবং সেখানে পৌঁছার আগেই যা নিঃশ্বেষ হয়ে যায় সে ?
          পবিত্র মিরাজ শরীফ যদি রূহানী বা আত্মীকই হবে, তাহলে এতে আশ্চর্যের কি আছে? স্বপ্ন কি আশ্চর্যজনক ঘটনা? এর দ্বারা কি মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করে? আত্মিকভাবে এক নিমিষে সমগ্র সৃষ্টি বেহেশতের আনাচে-কানাচে তো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কেন, উনার উম্মতরাও ভ্রমণ করতে পারে। যেমন হযরত আবু বকর সিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি চার পলকে আরশ, কুরসী, লৌহ, কলম, বেহেশত, দোযখ, আসমান, যমীন ভ্রমন করেছেন।
          কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একবার হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বেহেশত দেখার জন্য অনুমতি চাইলেন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, “আমার বেহেশত এতবড় যে, তা তোমার পক্ষে দেখে শেষ করা সম্ভব নয়।তারপরও হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম বেহেশত দেখার জন্য আরজু করলেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, “বেশ চেষ্টা করে দেখ।তখন হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম তিনি উনার ছয়শত বা ছয় হাজার পাখা নিয়ে ভ্রমণ করা শুরু করলেন। একাধারা ছয় হাজার বছর ভ্রমন করার পরও বেহেশতের সীমানা তো পেলেনই না বরং উনার সমস্ত পাখা ব্যাথা হয়ে গেল। তখন তিনি বিনীতভাবে বললেন যে, “আয় আল্লাহ পাক! দয়া করে আমাকে একটু বিশ্রাম দান করুন।তখন মহান আল্লাহ পাক কুদরতিভাবে উনাকে বিশ্রাম দান করলেন এবং ফিরায়ে নিয়ে আসলেন আর বললেন, “আমি তো আগেই বলেছিলাম, তোমার পক্ষে সম্পূর্ণ বেহেশত দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু মনে রেখ আখিরী নবী, আমার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতগণ চোখের পলকে সমস্ত বেহেশত দেখতে পারবে। সুবহানাল্লাহ! তখন হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, “আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনার কাছে এ ব্যাপারে অনুমতি চাচ্ছি যে, যখন আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসবেন এবং উনার উম্মত হবেন, তখন আমি উনাদের পরীক্ষা করবো।তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, “বেশ, পরীক্ষা করো।অতঃপর, যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওওয়ত প্রকাশ পেল এবং কয়েকজন উনার উম্মত হলেন, তখন হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে বললেন, “আল্লাহ পাক! পূর্বে আমি যে বিষয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতকে পরীক্ষা করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম, সে বিষয়ে পরীক্ষা করার জন্য পূণরায় অনুমতি চাচ্ছি। মহান আল্লাহ পাক পরীক্ষা করার জন্য অনুমতি দিলেন। তখন হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম মানুষের বেশে হযরত আবু বকর সিদ্দীক আলাইহিস সালাম উনার নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন যে, “হে হযরত আবু বকর সিদ্দীক  আলাইহিস সালাম! আপনি কি আমাকে বলতে পারেন, এখন হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম তিনি কোথায় আছেন?” তখন হযরত আবু বকর সিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি চোখ বন্ধ করলেন এবং খুললেন, একবার, দুবার। অতঃপর বললেন, “আমি তো হযরত আবু বকর সিদ্দীক আলাইহিস সালাম, সুতরাং আপনিই হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম।তখন হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, “আপনি এটা কি করে জানলেন?” হযরত আবু বকর সিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, “আমি চোখের পলকে আরশ, কুরসি, লৌহ, কলম, বেহেশ্ত, দোযখ, আসমান, যমীন সবকিছু দেখে এসেছি, কোথাও হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে পাইনি, কাজেই আপনিই হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম।
          হযরত আবু বকর সিদ্দীক  আলাইহিস সালাম শরীফ উনার এ ভ্রমণ ছিল রূহানী বা আত্মিক ভ্রমণ। তাছাড়া উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে --- বলেছেন। শুধু রূহ্কে কখনো --- বলা হয়না বরং রূহ্ ও শরীর উভয়টির সংমিশ্রনের নাম হলো --- এটা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মিরাজ শরীফ স্বশরীরে হয়েছিল। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مازاغ اليصر وما طغى.
অর্থঃ- উনার দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরেনি এবং অন্য কোন কিছুর প্রতি আকৃষ্টও হয়নি।(পবিত্র সূরা নজম শরীফ)
          এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তফসীর মুবারকে বলা হয় যে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখার জন্য সিদরাতুল মুনতাহায় একত্রিত হয়েছিলেন। আরো অন্যান্য যা কিছু আশ্চর্য্যজনক বিষয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দেখেছেন। তা হঠাৎ করে দেখে বিব্রতবোধ করেননি, বরং পরিচিতের মতই ছিলেন। স্বাভাবিক মানুষ অপরিচিত কোথায়ও গেলে কোন নতুনত্ব দেখে দৃষ্টি এদিক-ওদিক হয়। কিন্তু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দৃষ্টিকে তা আকৃষ্ট করতে পারেনি, তিনি ছিলেন স্বাভাবিক।
মিরাজ শরীফ যদি রূহানী বা আত্মীক হবে, তাহলে -- বলা হতোনা। কেননা রূহানভাবে দেখার জন্য --- এর প্রয়োজন নেই, তা ঘুমিয়ে থাকলে ও চোখ বন্ধ করে ধ্যান করেও হাসিল হয়। সুতরাং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মিরাজ শরীফ যে স্বশরীরে হয়েছিল, তা প্রথমোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার --- ও  --- দ্বারা এবং দ্বিতীয় পবিত্র আয়াত শরীফ উনার --- তা প্রমাণ করে। কেননা স্বপ্নে বা রূহানীভাবে ভ্রমণের জন্য শরীরের প্রয়োজন হয়না বরং স্বপ্নে রূহ্ -- ভ্রমণ করে থাকে, শরীর নয়। রূহ্ এবং শরীর উভয়টির নাম -- স্বপ্নে দেখাই যদি হতো, তাহলে দৃষ্টি বিভ্রম বা দৃষ্টি ফিরার কথা বলা হতোনা, স্বপ্ন স্বপ্নই।
          এছাড়া পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বোরাকেআরোহন করানো হয়েছিল। কোন কিছুতে আরোহনের জন্য শরীরের দরকার, রূহানী ভ্রমণের জন্য বাহনের প্রয়োজন নেই। এটা দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, মিরাজ শরীফ স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায়ই হয়েছিল।
          তবে যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্বশরীরে মিরাজকে অস্বীকার করে, তারা হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত মুয়াবিয়া  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে রেওয়ায়েতকৃত একটি হাদীছ শরীফের বরাত দিয়ে থাকে। তারা স্বপ্নে দেখা বা রূহানীভাবে মিরাজ হওয়ার ৩৩টির কোন একটি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হয়ে বলেছিলেন যে, “আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক স্থানান্তরিত হতে দেখিনি। এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দুই অবস্থার একটি হওয়া অপরিহার্য্য-
১। স্বপ্নের কোন পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার ঘটনা শুনে হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনারা হয়তো জিজ্ঞেস করেছিলেন, এ পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার মধ্যে কি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক উর্ধ্বে গমন করেছিলেন। হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বলেছেন, “স্থানান্তরিত হওয়া আমি দেখিনি।
২। স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায় যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মিরাজ শরীফ সংঘটিত হয়, তখন হযরত সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র শাদী মুবারক হয়নি। আর তখন তো তিনি শিশু ছিলেন। সুতরাং কি করে তিনি এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবেন, “আমি উনার শরীর মুবারককে স্থানান্তর হতে দেখিনি।আর এটা তো ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ রেওয়ায়েত যে,  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার রাত্রিতে হযরত উম্মে হানী আলাইহাস সালাম উনার ঘরে ছিলেন।
          অতএব, হযরত সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার রেওয়ায়েতকৃত পবিত্র হাদীছ শরীফটি রূহানী মিরাজ শরীফ সম্পর্কে। তাছাড়া আগেই বর্ণনা করা হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মিরাজ শরীফ স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হওয়ার পবিত্র হাদীছ শরীফ ২০ জনেরও অধিক হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বর্ণনা করেছেন।
 আবা-১৬

0 Comments: