সুওয়াল : মন বার বার মহান
আল্লাহ পাক উনার স্মরণ থেকে গাফিল হয়ে যায়। ইবাদতে মন কিছুতেই বসাতে পারি না।
এজন্য আমার জন্য দোওয়া করবেন। আর ইবাদত কিভাবে একাগ্রতার সাথে আদায় করতে পারবো, তা বলে
দিন।
জাওয়াব : একাগ্রতা বা মনোযোগের সাথে ইবাদত করতে হলে ক্বলব ইসলাহ বা শুদ্ধ করতে হবে।
ক্বালব ইসলাহ বা শুদ্ধ ব্যতীত ইবাদতে একাগ্রতা বা মনোযোগ আসবে না। কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আদম
সন্তানের শরীরে এক টুকরা গোশত আছে যদি সেটা শুদ্ধ হয়ে যায় তাহলে সমস্ত শরীর শুদ্ধ
হয়ে যায়। আর যদি সেটা অশুদ্ধ হয়ে যায় তাহলে সমস্ত শরীর বরবাদ হয়ে যায়। সাবধান ওটা
হচ্ছে ক্বলব। (বুখারী শরীফ)
কাজেই ক্বলব ইছলাহ ছাড়া
ইবাদতে একাগ্রতা আসবে না এবং ক্বলব ইসলাহ হবে না, মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির ছাড়া।
সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, সাবধান!
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির দ্বারা দিল ইতমিনান হয়। এবং এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার
ব্যাখ্যায় নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন,
“শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবের উপর বসে, আর যখন
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির থেকে গাফিল হয় তখন শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়।”
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ
এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা এটাই সাবেত হয় যে, যিকির ব্যতীত দিল ইছলাহ বা
ইতমিনান হবে না এবং শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচা যাবে না। কাজেই যিকির করতে হবে।
আর যিকির কতে হলে কোনো হক্কানী শায়েখ বা পীরানে তরীক্বত উনার নিকট বাইয়াত হয়ে
ছোহবত ইখতিয়ার করতে হবে। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “হে
ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।”
কাজেই একাগ্রতার সাথে
ইবাদত করতে হলে পীর ছাহেবের ছোহবত ইখতিয়ার করে বেশি বেশি যিকির করতে হবে এবং যিকির
করে দিল ইসলাহ কতে হবে। তাহলেই একাগ্রতার সাথে ইবাদত করা যাবে অন্যথায় সম্ভব নয়।
আবা-৫
0 Comments:
Post a Comment