সুওয়াল : জনৈক খতিব উনার নাম লিখতে *** লিখেন। এই নাম দর্শনে কতিপয় আলিম ও ব্যাকরণ
বিশারদ ব্যাঙ্গোক্তি করেছে। ফলে মৌলভী শায়েখ হামিদী নামক ব্যক্তি বিব্রতকর অবস্থার
সম্মুখীন হয়েছেন। উক্ত নামের আসল আভিধানিক অর্থ কি? এবং শরীয়ত অনুযায়ী ** এ নামকরণ
বৈধ কিনা, কিতাবের হাওলাসহ জানতে চাই।
জাওয়াব : ** শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো মুরুব্বী, সর্দার, আঁকা
ইত্যাদি। আর পবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে * শব্দের অর্থ হলো বুযূর্গ, আলিম, ফক্বীহ, দ্বীনদার
শরীয়তের পাবন্দ। * এর আভিধানিক অর্থ হলো বৃদ্ধ। আর পবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে *
শব্দের অর্থ হলো বুযূর্গ,
পীর, ওলী,
পেশোয়া, মুর্শিদ ইত্যাদি। * এর অর্থ হলো যার প্রশংসা করা হয়েছে। ‘হামিদ’ মহান
আল্লাহ পাক উনার একটি ছিফতী নাম মুবারকও। হামিদী শব্দের * ইয়ায়ে নিছবতী যে ইয়া সম্পর্কে বুঝায়)। যদি কোনো ব্যক্তির নাম
শায়খ হয় আর সে আলিম হয়,
তবে তাকে মৌলভী শায়খ বলা যায়। আর হামিদী শব্দ যেমন কেউ যদি
হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম উনার বংশধর হয় তবে তিনি ছিদ্দীক্বী, কেউ যদি
হযরত উমর ফারুক আলাইহিস সালাম উনার বংশধর হয়, তবে তিনি ফারুকী লিখেন। আবার কেউ
যদি দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ে তবে সে কাসিমী লিখে। কারণ, দেওবন্দ
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার নাম হলো মাওলানা কাসেম ছাহেব।
মৌলভী শায়েখ হামীদি এর পূর্ব পুরুষগণের মধ্যে
কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম যদি ‘হামীদ’ বা ‘আব্দুল হামীদ’
থেকে থাকে অথবা তার কোনো উস্তাদের নাম যদি ‘হামীদ’ বা ‘আব্দুল
হামীদ’ হয়, তবে তার সাথে নিসবত বা সম্পর্ক বুঝানোর জন্যে যদি * রেখে থাকে তবে ঠিক আছে।
অথবা মৌলভী শায়েখ হামীদী সাহেব যে স্থানে থাকে সে স্থানের নাম হামীদপুর বা এ ধরনের
কোনো নাম হয়ে থাকে তবে হামীদী লেখা শুদ্ধ হবে। যেমন, দিল্লীর বাসিন্দা হলে দেহলভী, কাশ্মিরের
বাসিন্দা হলে কাশ্মিরী ও সিলেটের বাসিন্দা হলে সিলেটি ইত্যাদি সম্বন্ধসূচক শব্দ
অনেকে তাদের নামের সাথে ব্যবহার করে থাকে।
কাজেই মৌলভী শায়েখ হামীদি
ছাহেবের নাম তার পূর্ব পুরুষগণের কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি অথবা তার কোনো উস্তাদ অথবা
কোনো স্থানের নামের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে মৌলভী শায়েখ হামীদ অথবা
মৌলভী শায়েখ আব্দুল হামীদ লেখাটাই যুক্তিযুক্ত। (লিসানুল আরব, আল কামুস আল মুহিত, মিসবাহুল লুগাত, আল মুনজিত,
লুগাতে হীরা, সাইদী, ফিরোজুল লুগাত।)
আবা-৪
0 Comments:
Post a Comment