সুওয়াল :
কোন মসজিদের নিকটবর্তী কোন স্থানে অন্য কোন মসজিদ, নামায ঘর, কিম্বা খানকা তৈরি করা এবং একই সাথে নামাযের জামায়াত আদায় করা জায়িয আছে কিনা জানাবেন।
জাওয়াব :
কোন স্থানে যদি কোন মসজিদ থাকে এবং সেখানে রীতিমত জামায়াত চালু থাকে, তবে সেই
মসজিদকে বিরান করার অথবা সেই জামায়াতকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে যদি তার পাশে কোন
মসজিদ তৈরি করা হয়,
তাহলে সেটা মসজিদে জেরারের অন্তর্ভুক্ত হবে, যা
সম্পূর্ণরূপে হারাম। আর যদি কেউ জরুরতে অর্থাৎ স্থান সংকুলানের অভাবে অথবা
দূরত্বের কারণে অন্য কোন মসজিদ তৈরি করে, যাতে পুরানা মসজিদ বিরানও হবে না
এবং জামায়াতেরও ক্ষতি হবেনা, তাহলে জায়িয রয়েছে। তদ্রুপ যদি মসজিদের নিকটবর্তী কোন অফিস
কিম্বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি তৈরি হয়, তথায় চাকুরীরত ব্যক্তিগণ অথবা
ব্যবসায়ীগণের প্রত্যেকের উচিত ছিল উক্ত মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায় করা। তবে তাদের
ব্যস্ততার জন্য মসজিদে জামায়াত আদায় করার অক্ষমতার কারণে, তাদের
অফিস কিম্বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জামায়াতে নামায আদায় করার জন্য কোন নামাযের
স্থানের ব্যবস্থা করা হয়,
তবে তা জায়িয হবে।
অনুরূপ মসজিদের নিকটবর্তী কোন খানকা শরীফ নির্মাণ করা হলে সে খানকা শরীফ এর
লোকদেরও উচিৎ ছিল মসজিদে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করা। তবে যদি খানকার সমস্ত
লোকের পক্ষে মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে
যাদের পক্ষে মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায আদায় করা সম্ভব হবে না, তাদের
জন্য জামায়াতে নামায আদায় করার লক্ষে উক্ত খানকাতে যদি আলাদা জামায়াতের ব্যবস্থা
করা হয়, তবে তা জায়িয হবে। কারণ জামায়াতে নামায আদায় করা হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বা
ওয়াজিবের নিকটবর্তী। তবে অবশ্যই এটা প্রত্যেককেই খেয়াল রাখতে হবে যে, তাদের
গাফলতির কারণে যেন অফিস,
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, খানকাতে জামায়াতের ব্যবস্থা না
করা হয়। একমাত্র সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ আদায় করার লক্ষেই যেন জামায়াতের ব্যবস্থা করা
হয়।
লক্ষ্যণীয়
যে, মসজিদের জামায়াতের নির্দিষ্ট সময়ে উপরোল্লিখিত কোন স্থানে জামায়াতের ব্যবস্থা
করা উচিৎ হবে না। জরুরত অনুযায়ী আগে বা পরে করা যেতে পারে।
আবা-৩৪
0 Comments:
Post a Comment