৫৭৮ নং- সুওয়াল : ৭২টি জাহান্নামী বাতিল ফিরকা কি কি? উল্লেখিত ৭২টি বাতিল ফিরকার অনুসারীদেরকে মুসলমান ভাই বলা যাবে কিনা?


সুওয়াল : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে,
متفترق امتى على ثلاث وسبعين ملة كلهم فى النار الا ملة واحدة- قالوا من هى يارسول الله قال ما انا عليه واصحابى- رواه الترمذى وفى رواية احـمد وابى دارد عن معاربة ثنتان وسبعون فى النار وواحدة فى الـجنة وهى الـجماعة.
অর্থ : অতি শীঘ্রই আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত বাহাত্তরটি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যে একটি দল নাযাতপ্রাপ্ত, সে দলটি কোন দল? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি এবং আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মত ও পথের উপর যারা কায়িম থাকবে, (তারাই নাযাতপ্রাপ্ত দল)।
ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তা বর্ণনা করেন। আর মুসনাদে আহমদ শরীফ ও আবূ দাউদ শরীফ উনাদের বর্ণনায় হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, ৭২টি দল জাহান্নামে যাবে, আর একটি দল জান্নাতে যাবে। মূলত সে দলটিই হচ্ছে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত।
এখন আমার সুওয়াল বা প্রশ্ন হলো- উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে? পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ৭২টি জাহান্নামী বাতিল ফিরকা কি কি? উল্লেখিত ৭২টি বাতিল ফিরকার অনুসারীদেরকে মুসলমান ভাই বলা যাবে কিনা? আর বিশেষ করে শিয়ারা মুসলমান উনাদের অন্তর্ভুক্ত কিনা? এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার দৃষ্টিতে শিয়া বা রাফেজীদের শরয়ী ফায়সালা কি?
আর যদি কোন পীর ছাহিব বলে যে, দুনিয়ার সকল কালিমাগোমানুষ যেমন- শিয়া, জাবারিয়া, মারজিয়্যাহ্, কাদরিয়াহ ইত্যাদি সকলেই আমার মুসলমান ভাইতবে সে হক্বানী পীর হতে পারবে কি? তার নিকট বাইয়াত হওয়া যাবে কি?


জাওয়াব : উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা মূলত এটাই বুঝানো হয়েছে যে, “কালিমা গো মুসলমানই৭৩ দলে বিভক্ত হবে, তন্মধ্যে ৭২টি দলই জাহান্নামী, গোমরাহ্ ও বাতিল, মূলত তারা মুসলমান উনাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর একটি মাত্র দল জান্নাতী, আর সেটা হচ্ছে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত।
এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিছ, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব মিশকাত শরীফ উনার শরাহ্ মিরকাত শরীফ” উনার ১ম জিঃ ২৪৮নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন যে,
نقل الا بهرى ان الـمراد با لامة امة الاجابة عند الاكشر (كلهم فى النار)....... (الاملة) بالنصب اى الا اهل ملة (واحدة قالوا من هى) اى تلك الـملة اى اهلها الناجبة ....... (قال ما انا عليه واصحابى)...... فكذا هتا الـمرادهم الـمهتدون الـمتمسكون بستتى وسنة الخلفاءالراشدين من بعدى فلاشك ولا ريب انهم هم اهل السنة رالجماعة- وقيل التقدير اهلها من كان على ما انا عليه واصحابى من الاعتقاد والقول والفعل فان ذالك يعرف بالاجماع فما اجمع عليه علـماء الاسلام فهو حق وما عداه باطل.
অর্থ : আবহুরী বর্ণনা করেন, নিশ্চয় (পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত) উম্মত শব্দ দ্বারা উম্মতে ইযাবত তথা কালিমাগোদেরকেই বুঝানো হয়েছে। অধিকাংশ আলিম উনাদের এটাই অভিমত। (উম্মতে ইযাবতের) প্রত্যেক দল জাহান্নামী .......... একদল ব্যতীত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, সে দল কোনটি অর্থাৎ নাযাতপ্রাপ্ত দল কোনটি? .................. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি ও আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মত মুবারক ও পথ মুবারক উনাদের উপর যাঁরা কায়িম থাকবেন (উনারাই নাযাতপ্রাপ্ত দল) .......... মূলত এর দ্বারা এটাই বুঝিয়েছেন যে, তারা হিদায়েতপ্রাপ্ত। আমার এবং আমার পর হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত ধারণকারী। অতএব, এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই যে, তারাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত। আর বলা হয়েছে যে, আক্বীদা, ক্বওল ও ফেলের দিক থেকে তারা আমার ও আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসারী হবে। এটা মূলত ইজমা দ্বারা প্রমাণিত, উলামায়ে ইসলাম যার উপর ইজমা করেছেন, সেটাই হক্ব। এছাড়া (অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত ছাড়া) যা রয়েছে, সবই বাতিল।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, উম্মতে ইজাবত তথা কালিমাগোবা কালিমা পাঠকারীদের মধ্যেই আক্বীদা, ক্বওল ও ফেলের ভিত্তিতে ৭৩টি দল হবে, তন্মধ্যে একটি মাত্র দল নাযাতপ্রাপ্ত, জান্নাতী ও হক্ব। আর ৭২টি দল জাহান্নামী, গোমরাহ্ ও বাতিল। এ ব্যাপারে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার অনুসরণীয় সকল ইমাম, মুজতাহিদ, মুহাক্কিক, মুদাক্কিক, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফক্বীহ্ ও হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা একমত।
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় মিরকাত শরীফ উনার উক্ত স্থানে আরো উল্লেখ আছে যে,
واعلـم اصول البدع كما نقل فى الـمواقف ثمايتة
1.     الـمعتزلة ..... وهم عشرون فرقة
2.    والشيعة .... وهم اثنان وعشرون فرقة
3.    والخوارج .... وهم عشرون فرقة
4.    والـمرجنة ...... وهى خمس فرقا
5.    والنـجارية ....... وهم ثلاث فرق
6.    والحبرية ...... فرقة واحدة
7.    والـمشبهة ..... فرقة ايضا
فتلك اثنان وسبقون فرقة كلهم فى النار
8.    والفرقة الناجية هم اهل السنة البيضاء الـمحمدية والطريقة النقية الاحمدية.
অর্থ : জেনে রাখ! (উক্ত ৭৩টি দল) প্রধানত ৮টি দলে বিভক্ত, যা মাওয়াক্বিফকিতাব উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে -
১। মুতাজিলাহ্ .............. এরা বিশ (২০) দলে বিভক্ত,
২। শিয়া  .................. এরা বাইশ (২২) দলে বিভক্ত,
৩। খারিজী  ................. এরা বিশ (২০) দলে বিভক্ত,
৪। মরজিয়্যাহ্  ............... এরা পাঁচ (৫) দলে বিভক্ত,
৫। নাজ্জারিয়্যাহ্ .............. এরা তিন (৩) দলে বিভক্ত,
৬। জাবারিয়্যাহ্ ............. এরা এক (১) দলেই রয়েছে,
৭। মুশাব্বিহা .............. এরাও  এক (১) দলেই রয়েছে,
সুতরাং উল্লেখিত ৭২টি দল, তারা প্রত্যেকেই জাহান্নামী।
৮। আর الناجية নাজিয়াহ্ বা নাযাতপ্রাপ্ত দল, তারা হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পষ্ট পবিত্র সুন্নত ও উজ্জ্বল তরীক্বতের অনুসারী। অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত।
অতএব, বিখ্যাত মুহাদ্দিছ, ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, শিয়াসহ উল্লেখিত ৭২টি দল কালিমাগোহওয়া সত্ত্বেও জাহান্নামী, গোমরাহ্ ও বাতিল তথা অমুসলিম। আর যাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত তথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস ভিত্তিক, একমাত্র তারাই নাযাতপ্রাপ্ত।
এছাড়াও মিশকাত শরীফ উনার শরাহ্, শরহুত্ত্বীবী, আশয়াতুল লুময়াত, তানযীমুল আশতাত, মুযাহিরে হক্ব, তালীকুছ ছাবীহ্, মিরআতুল মানাজীহ্ ও রদ্দে রাওয়াফেজ, তোহ্ফায়ে ইছ্না আশারীয়া, গুনিয়াতুত তালেবীন, তালবীসুল ইবলীস ইত্যাদি আরো অনেক কিতাবেই শিয়া সম্প্রদায়সহ  উল্লেখিত ৭২টি দলকেই
(كلهم فى النار الا ملة وحدة)
এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভিত্তিতে গোমরাহ্, বাতিল ও  জাহান্নামী বলা হয়েছে।
কারণ, তাদের ঈমান-আক্বীদা, আমল-আখলাক সম্পূর্ণই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা শরীফ ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের বিপরীত। অথচ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি পবিত্র কালামে পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, 
والعصر- ان الانسان لفى خسر الا الذين امنوا وعملوا الصالحات.
অর্থ : আছরের সময়ের কসম! সকল মানুষ ধ্বংসপ্রাপ্ত একমাত্র তারা ব্যতীত, যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে।
উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যাদের আক্বীদা ও আমল পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা শরীফ ও ক্বিয়াস শরীফ ভিত্তিক, একমাত্র তারাই নাযাতপ্রাপ্ত ও ধ্বংস হতে মুক্ত। সাথে সাথে এটাও প্রমাণিত হলো যে, সর্বপ্রথম ঈমান বা আক্বীদাকে দুরুস্ত করতে হবে অর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত ভিত্তিক আক্বীদা পোষণ করতে হবে, অতঃপর আমলে সালেহ্করতে হবে।
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,    
تركت فيكم امرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنتى.
অর্থ : তোমাদের নিকট আমি দুটি জিনিস রেখে গেলাম, যতদিন তোমরা এ দুটোকে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে, অর্থাৎ অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তোমরা গোমরাহ্ বা পথভ্রষ্ট হবেনা। সে দুটো হলো- ১। পবিত্র কুরআন শরীফ ও ২। পবিত্র হাদীছ শরীফ।
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
ومن يعش منكم بعدى فسيرى اختلافا كشيرا فعليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين الـمهديين تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ.
অর্থ : আমার পর তোমরা যারা পৃথিবীতে থাকবে, তারা অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। সুতরাং তখন তোমাদের জন্যে আমার সুন্নত ও আমার হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত অবশ্য পালনীয়। তোমরা মাড়ীর দাঁত দিয়ে মজবুত করে তা আঁকড়িয়ে ধর।” (পবিত্র মিশকাত শরীফ)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, নাযাতপ্রাপ্ত তথা খাঁটি মুসলমান হতে হলে সর্বপ্রথম পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিশেষ করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মৌলিক বিষয় সম্পর্কে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত ভিত্তিক সঠিক আক্বীদা পোষণ করতে হবে। অতঃপর আমলে সালেহ্ তথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে। আর তাই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
ما انا عليه واصحابى
অর্থাৎ যাদের আক্বীদা ও আমল, আমি ও আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আক্বীদা ও আমলের ন্যায় হবে, একমাত্র তারাই নাযাতপ্রাপ্ত।
আর যারা উল্লেখিত আক্বীদা ও আমলের অনুসারী, তারাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার অন্তর্ভুক্ত।
যেহেতু উল্লেখিত শিয়াসহ ৭২টি সম্প্রদায়ের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার বিপরীত, সেহেতু ইমাম, মুজতাহিদগণ এ ব্যাপারে ইজমা বা ঐক্যমতে পৌঁছেছেন যে, উল্লেখিত ৭২টি দলই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত জাহান্নামী দল। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার মতে তারা মুসলমান উনাদের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং কাফির।
নিম্নে উল্লেখিত ৭২টি বাতিল ফিরকার মধ্য হতে শিয়া সম্প্রদায়ের কতিপয় কুফরী আক্বীদা উল্লেখ করা হলো-
শিয়াদেরকে রাফেজীও বলা হয়। কারো মতে শিয়া বা রাফেজীরা ২০ দলে বিভক্ত, কারো মতে ৩২ দলে বা শাখায় বিভক্ত। দল যতটাই হোক না কেন, তারা মূলে এক আক্বীদাতেই বিশ্বাসী।
তাদের মূল দল হলো- ইছনা আশারিয়াহ্ শিয়া। খোমেনীসহ বর্তমান ক্ষমতাশীন দল এ ফিরকারই অন্তর্ভুক্ত। নিম্নে শিয়াদের মূল দল ইছ্না আশারিয়া সম্প্রদায়ের কতিপয় জঘণ্য ও কুফরী আক্বীদা তুলে ধরা হলো-
শিয়া ইমাম সম্পর্কে খোমেনীর আক্বীদা
وان من ضرو ريات مذهبنا ان الانمتنا مقاما لا يبلغه ملك مقوبب ولا نبى مرسل (الحكومة الاسلامية ضفه  ৬৫)
অর্থ : আমাদের (শিয়া ইছনা আশারিয়া) মাযহাবের জরুরী আকায়েদের অন্যতম এই যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্তবা ও স্তর অর্জিত আছে, যে মর্তবা বা স্তর কোন নৈকট্যশীল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও নাই। (আল হুকুমাতুল ইসলামিয়াহ, পৃষ্ঠা-৫২)
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে ইছ্না আশারিয়া শিয়াদের আক্বীদা
كان الناس اهل ردة يعد النبى (ص) الا ثلثة فقلت ومن الضلاثة قال الـمقداد بن الاسود وابو ذر الغفارى وسلـمان الفارسى رحمة الله عليهم وبركاته (الجامع الكافى- الروضة صفه ১১৫)
অর্থ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ উনার পর তিনজন ব্যতীত (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা) সকলেই মুরতাদ, ধর্মত্যাগী হয়ে যান। (রাবী বলে) আমি আরজ করলাম সেই তিনজন কে? তিনি বলেন, মিকদাদ ইবনুল আস্ওয়াদ, হযরত আবূজর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত ও বরকত হোক। (আল জামিউল কাফী- কিতাবুর রওজা, পৃষ্ঠা-১১৫)
হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম সম্পর্কে শিয়াদের বিশিষ্ট ইমাম ও মুজতাহিদ খোমেনীর আক্বীদা
ايشان ارزوئى كفته يهود بظاهر كلـمتين كفتند از برا.. طمع اينكة شايد ولايتى وحكومتى حضرت با يشان بدهد ودر با طن كافر بودند- ايات بينات صفه ৭৫، وكذا فى رجمية.
অর্থ : তিনি (হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম) ইহুদির কথা অনুসারে কালিমায়ে তাওহীদ ও কালিমায়ে রিসালত প্রকাশ্যে মূখে উচ্চারণ করেছিল এই আশায় ও লোভে যে, সম্ভবতঃ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে শাসন ক্ষমতা ন্যস্ত করবেন। মনের মধ্যে সে কাফিরই ছিল। (আয়াতে বাইয়্যিনাত পৃষ্ঠা-৮৫ অনুরূপ রজয়্যিাহতে  উল্লেখ আছে)

উদূ লেখা ঢুকবে .........................................................
অর্থ : যদি তুমি বল যে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে স্পষ্টভাবে (হযরত আলী কাররামাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনার ইমামতের কথা উল্লেখ করা হলে শায়খাইন (হযরত আবূ বকর আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম) তার বিরোধিতা করতে পারতো না, তারা এর বিরোধিতা করতে চাইলে সাধারণ মানুষ কুরআন শরীফ উনার বিপরীতে তাদের কথা কবুল করতো না। (খোমেনী বলে) এ ধারণা ভ্রান্ত, কেননা আমরা এ বিষয়ে কয়েকটি উদাহরণ পেশ করেছি, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আবূ বকর আলাইহিস সালাম ও উমর আলাইহিস সালাম উনারা  কোরআনের সুস্পষ্ট বিধানের খিলাফ কাজও করেছেন। এবং সাধারণ মুসলমানগণ তা মেনে নিয়েছেন। (এরপর খোমেনী হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম কর্তৃক নবী ওয়ারিছ সত্ব বাতিল ও হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম কর্তৃক মুত্য়া বিবাহ নিষিদ্ধ করণের সমালোচনা করে) (কাশফুল আসরার পৃষ্ঠা-১১৫)
[ বাংলাদেশস্থ ইরানী দুতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগ থেকে প্রকাশিত তাদের নিউজ লেটারেউল্লেখ আছে- হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনাকে বিবাহ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উনাদের চরিত্র খারাপ বিধায়, হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনাকে উনাদের নিকট বিবাহ দেয়া হয়নি।” (নাউযুবিল্লাহ্)]
মুত্য়া বিবাহ্ সম্পর্কে শিয়াদের আক্বীদা
من تمتع مرة فدرجته كدرجة الحسين (ع) ومن تمتع مر تين فدرجته كدرجة الحسن (ع) ومن تمتع ثلاث مرات فدرجته كدرجة على (ع) ومن تمتع اربع مرات فدرجته كدرجتى- (ايرائى انقلاب اور امام خمينى)
অর্থ : (শিয়াদের মতে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আছে) যে ব্যক্তি একবার মুত্য়া করবে, সে হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মর্তবা পাবে। যে দুইবার মুত্য়া করবে, সে হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা পাবে, যে তিনবার মুত্য়া করবে, সে হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার মর্তবা পাবে, যে চারবার মুত্য়া করবে, সে আমার (অর্থাৎ রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা পাবে। (ইরানী ইনক্বিলাব আওর ইমাম খোমেনী পৃষ্ঠা-২৭) নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক।
হযরত উসমান যিন্ নুরাইন আলাইহিস সালাম ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সম্পর্কে খোমেনীর আক্বীদা
উদূ লেখা ঢুকবে.........................................................
অর্থ : আমরা এরূপ মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করি এবং উনাকেই মান্য করি, উনার সকল কাজ বিবেক ও জ্ঞান অনুযায়ী হয়, আমরা এমন মহান আল্লাহ পাক উনাকে মানিনা, যে আল্লাহ্ অর্চনা, ইনছাফ, দ্বীনদারীর এক আলীশান প্রাসাদ তৈরী করে, অতঃপর ইয়াযীদ, মুয়াবিয়া ও উসমানের ন্যায় জালেম, দুশ্চরিত্রদেরকে শাসন ক্ষমতা প্রদান করে নিজেই তা বরবাদ বা ধ্বংস করে দেয়। (কাশফুল আসরার পৃষ্ঠা-১০৭)
হযরত উসমান আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে শিয়াদের জঘণ্য কুফরী আক্বীদার প্রমাণ
শ্রেষ্ঠ মাযহাব, হানাফী মাযহাব উনার ইমাম, ইমামে আযম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট এক শিয়া এসে বললো, হুযূর আমার দুটি মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে, আপনার নিকট তো অনেক লোকজন এসে থাকে, যদি দয়া করে দুটো ভাল ছেলের ব্যবস্থা করে দিতেন তবে খুব উপকৃত হতাম।
ইমামে আযম, হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, ঠিক আছে তুমি কিছুদিন পরে এসো। ইমামে আযম, আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কথামত উক্ত শিয়া কিছুদিন পর উনার সাথে দেখা করলো। তখন ইমামে আযম, আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তোমার মেয়ের জন্যে দুটি ছেলে ঠিক করেছি। সে বললো- তারা কোন বাড়ীর? ইমামে আযম, আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, অমুক বাড়ীর। তখন শিয়া লোকটি আশ্চর্য হয়ে বললো- হুযূর বলেন কি, তারা তো ইহুদী! তার একথার জবাবে ইমামে আযম, আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “কেন, অসুবিধা কি? স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদি এক ইহুদীর (হযরত উসমান আলাইহিস সালাম) নিকট উনার দুমেয়েকে বিয়ে দিতে পারেন তবে তুমি পারবেনা কেন?
তোমরা (শিয়ারা) না বলে থাক, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার দুমেয়েকে ইহুদীর নিকট অর্থাৎ হযরত উসমান আলাইহিস সালাম উনার নিকট বিয়ে দিয়েছেন। একথা শুনে শিয়া লোকটি লজ্জিত হলো এবং শিয়া মতবাদ থেকে খালিছ তওবা করলো। (সীরতে ইমামে আযম)
উপরোক্ত ঘটনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, শিয়াদের আক্বীদা মতে হযরত উসমান যিন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি হলেন, ইহুদী। (নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)

উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম সম্পর্কে খোমেনীপন্থী শিয়াদের আক্বীদা
উদূ লেখা ঢুকবে................................................
অর্থ : যখন আমাদের ক্বায়িম (হযরত মাহ্দী আলাইহিস সালাম) আত্মপ্রকাশ করবেন, তখন আয়িশা আলাইহাস সালাম উনাকে জীবিত করে শাস্তি দিবেন এবং আমাদের ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনার প্রতিশোধ নিবেন। (হক্কুল ইয়াক্বীন, পৃষ্ঠা-১৩৯, অনুরূপ ইলালুশ্ শারায়েতে উল্লেখ আছে।)
খোমেনী তার কাশফুল আসরার কিতাবে উক্ত কিতাবদ্বয়ের প্রশংসা করে ও কিছু রেওয়ায়েত উল্লেখ করে উক্ত বক্তব্যকে সমর্থন করে।

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ব্যাপারে খোমেনীপন্থী শিয়াদের আক্বীদা
ان القران الذى جاء به جبرئيل عليه السلام الى محمد صلى الله عليه واله وسلـم سبعة عشرالف اية- (اصول الكافى باب فضل القران صفه ৬৭২)
অর্থ : হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম তিনি যে কুরআন শরীফ নিয়ে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নাযিল হয়েছিলেন, তাতে সত্তর হাজার আয়াত ছিল। (উছূলুল কাফী, ফাদলুল কুরআন অধ্যায় পৃঃ-৬৭১)
ما ادعى احد من الناس انه جمع القران كله كما انزل الاكذاب وما جمعة وحفظه كما انزله الله الاعلى بن ابى طالب والائمة من بعده. (اصول الكافى صفه ১৩৯)
অর্থ : যে ব্যক্তি দাবী করে যে, তার নিকট সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ রয়েছে যেভাবে তা নাযিল হয়েছিল, সে মিথ্যাবাদী। মহান আল্লাহ্ পাক উনার নাযিলকৃত কুরআন শরীফ শুধু আলী ইবনে আবী তালিব এবং তার পরে ইমাম উনারাই সংকলন ও সংরক্ষণ করেছেন। (উছূলুল কাফী পৃষ্ঠা-১৩৯)
ومن يطع الله ورسوله فقد فاز فوزا عظيما.
অর্থ : যে কেউ মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আনুগত্য করবে, সে বিরাট সফলতা লাভ করবে।
এ পবিত্র আয়াত শরীফ প্রসঙ্গে উছূলে কাফীর ২৬২নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে, উক্ত পবিত্র আয়াত খানা এভাবে নাযিল হয়েছিল-
ومن يطع الله ورسوله فى ولاية على والائمة من بعده فقد فاز فوزا عظيما.
অর্থ : যে কেউ আলী কাররামাল্লাহু আলাইহিস সালাম ও উনার পরবর্তী ইমাম উনাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার রাসূল উনার আনুগত্য করবে, সে বিরাট সফলতা লাভ করবে।
এ ব্যাপারে তাদের আক্বীদা বা বক্তব্য হলো- এ পবিত্র আয়াত শরীফ হযরত আলী ও তার পরবর্তী সকল ইমাম উনাদের ইমামত বর্ণিত হয়েছিল। কিন্তু উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে হযরত আলী কাররামাল্লাহু আলাইহিস সালাম ও উনার পরবর্তী ইমাম উনারা কথাগুলো বাদ দেয়া হয়েছে, যা বর্তমান পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নেই। (নাউযুবিল্লাহ্)

নামাযের মাসয়ালা সম্পর্কে খোমেনীপন্থী শিয়াদের আক্বীদা
ثانيها التكفير وهو صنع احدى اليديى على الاخرى نحوما يصنعه عنير يا ولا باس حال التقيه= (تحرير الوسيلة جصفه ১৭৬)
অর্থ : দ্বিতীয় যে কাজ নামাযকে বাতিল করে দেয়, তা হচ্ছে- নামাযে এক হাতের উপর অপর হাত রাখা, যেমন আমাদের শিয়ারা ব্যতীত অন্যরা করে, তবে তাকিয়ার অবস্থায় এরূপ করলে দোষ নেই। (তাহ্রীরুল উসীলাহ্ ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১৮৬)
تاسعها تعمد قول امين بعد اتمام الفاتحة الامع التقيه فلا باس به. (تحرير الوسيلة ج صفه ১৯০)
অর্থ : নবম যে কাজ দ্বারা নামায বাতিল হয়ে যায়, তা হচ্ছে- সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করার পর ইচ্ছাকৃতভাবে আমীনবলা তবে তাকিয়ার জন্যে বললে দোষ নেই। (তাহ্রীরুল উসীলাহ্ ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১৯০)

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি শিয়াদের সূক্ষ্ম কুফরী তোহমত
এটা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, শিয়ারা নামায পড়ার সময় আরদ্ বা মাটির উপর সিজদা করে থাকে, যার কারণে তারা পকেটে এক টুকরা মাটি বা পাথর রেখে দেয়। নামায পড়ার সময় উক্ত মাটি বা পাথরের টুকরাখানা সিজদার স্থানে রেখে উহার উপর সিজদা দেয়। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হলো- আর্দ বা মাটির উপর সিজদা না করলে নামায হবেনা।
মূলত শিয়াদের উপরোক্ত বক্তব্যখানা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সূক্ষ্ম কুফরীর নামান্তর অর্থাৎ তারা উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা এটাই বুঝাতে চাচ্ছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাটাইর উপর, চটের উপর, কম্বলের উপর, চাদরের উপর, চামড়ার তোশকের উপর, কাঠের উপর নামায আদায় করেছেন। অতএব, উনি যে নামাযগুলো আর্দ বা মাটিতে আদায় করেননি, উনার সেই নামাযগুলো হয়নি। (নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)
উপরোক্ত বক্তব্যসমূহের দ্বারা তারা মানুষের মধ্যে সূক্ষ্মভাবে এ কুফরী প্রবেশ করাচ্ছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নামায হয়নি। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত যে, তিনি নামাযে হাতের উপর হাত রেখেছেন এবং পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করার পর আমীনবলেছেন এবং আর্দ বা মাটির উপর সিজদা দেননি। সুতরাং হয় উনার নামাজ হয়নি অথবা উনি তাকিয়া বা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ্ মিন্ যালিক)

শিয়াদের নিকট তাক্বিয়ার গুরুত্ব
তাক্বিয়াশিয়াদের নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিয়ারা নিজের দোষ গোপন রাখার জন্যে এবং অপরকে ধোকা দেয়ার উদ্দেশ্যে যেকোন সময় যেকোন স্থানে তাক্বিয়াবা মিথ্যার আশ্রয় নেয়। তাদের ইমামরাও স্থান বিশেষে তাক্বিয়ার আশ্রয় নেয়। তাই শিয়া মাযহাবে তাক্বিয়া করা জায়িয তো বটেই বরং স্থান বিশেষে অবশ্য কর্তব্য।
অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
من غش فليس منا
অর্থ : যে ধোকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
الكذب لكل ذنوب ام.
অর্থ : মিথ্যা সকল গুনাহর মা বা মূল।
শরীয়ত উনার ফায়সালা হলো- ধোঁকা দেয়া ও মিথ্যা বলা হারাম, আর হারামকে হালাল বা জায়িয মনে করা কুফরী। অতএব, “তাক্বিয়াবিশ্বাস করা ও তাক্বিয়াকে জায়িয মনে করা কুফরী।

প্রাণীর ছবি সম্পর্কে শিয়াদের আক্বীদা
শিয়াদের মতে প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম আর তোলা জায়িয।আর উক্ত তোলা ছবি ঘরে রাখা, তার উপস্থিতিতে নামায পড়াও জায়িয। তাই শিয়ারা তাদের ইমামদের ছবি ঘরে, অফিস-আদালতে এমনকি মসজিদেও লটকিয়ে রাখে।
অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য বা আক্বীদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদার সম্পূর্ণ খিলাফ। কারণ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদা হলো- প্রাণীর ছবি আঁকা, তোলা, ঘরে রাখা সম্পূর্ণই হারাম। যা অসংখ্য, অগণিত সহীহ্ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত। আর পূর্বেই বলা হয়েছে, হারামকে হালাল আর হালালকে হারাম বলা কুফরী।
অতএব প্রাণীর ছবি সম্পর্কে শিয়াদের উপরোক্ত আক্বীদাও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
উপরে বর্ণিত শিয়াদের কুফরী আক্বীদাসমূহের মূল বিষয় বস্তু হচ্ছে-
১। তাদের ইমামদের মর্যাদা হযরত নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের, এমনকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হতেও বেশী। (নাউযুবিল্লাহ্)
২। হযরত আলী কাররামুল্লাহু আলাইহিস সালাম, মিকদাদ ইবনুল আস্ওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, আবূজর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা ব্যতীত সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা কাফির। (নাউযুবিল্লাহ্)
৩। বিশেষ করে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম ও হযরত উসমান আলাইহিস সালাম ছিলেন দুশ্চরিত্রসম্পন্ন, ক্ষমতালোভী ও মুনাফিক। যার কারণে প্রস্তাব দেয়া সত্ত্বেও উনাদের নিকট হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বিবাহ দেয়া হয়নি। (নাউযুবিল্লাহ্)
৪। উম্মুল মুমিনীন, হযরত আয়িশা আলাইহাস সালাম ও হযরত হাফসা আলাইহাস সালাম উনারা হত্যাকারিনী। কারণ উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিষ খাওয়ায়ে শহীদ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ্)
৫। বর্তমান পবিত্র কুরআন শরীফ পরিবর্তীত ও বিকৃত। মূলত আসল পবিত্র কুরআন শরীফ সত্তর হাজার আয়াত ছিল, যাতে হযরত আলী কাররামাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনার ইমামতের কথা ছিল, সেগুলো পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ্)
৬। মুত্য়া (বা কন্ট্রাক বিবাহ) জায়িয তো অবশ্যই বরং মর্যাদা লাভের কারণ। হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম তা হারাম বলার কারণে প্রকাশ্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিরোধিতা করে কাফির হয়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ্)
৭। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, ইমাম, মুজতাহিদ তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার অনুসারী কোন ব্যক্তির নামায হয়নি বা হয়না, কারণ উনারা নামাযে হাতের উপর হাত রাখেন ও স্বেচ্ছায় পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করার পর আমীন বলেন এবং আর্দ বা মাটির উপর সিজদা করেন না। (নাউযুবিল্লাহ)
৮। নিজের পরিচয় বা দোষ গোপন করা এবং অপরকে ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে তাক্বিয়াবা মিথ্যার আশ্রয় নেয়া জায়িয। (নাউযুবিল্লাহ)
৯। প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম, আর তোলা জায়িয। উক্ত তোলা ছবি ঘরে রাখা ও তার উপস্থিতিতে নামায পড়াও জায়িয। (নাউযুবিল্লাহ)
অতএব, শিয়াদের উপরোক্ত কুফরী আক্বীদাসমূহের ভিত্তিতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদার ভিত্তিতে, ইছনা আশারা দল উপদল সকলই কাফির। কারণ তারা সকলেই উল্লেখিত কুফরী আক্বীদাসমূহে পূর্ণ বিশ্বাসী।

শিয়া বা রাফেজীদের সম্পর্কে স্বয়ং হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার বক্তব্য নিম্নরূপ

উদূ লেখা ঢুকবে.........................
অর্থ : হযরত আবূ সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত যে, “শেষ যামানায় একদল লোক আমার পক্ষীয় এবং বন্ধু বলে দাবী করবে, খারাপ কাজ করবে এবং রাফেজী (শিয়া) বলে পরিচয় দিবে, তারা কখনো আমার পক্ষীয় বন্ধু নহে। তাদের (মূল) পরিচয় হলো- তারা আমীরুল মুমিনীন, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম উনাদেরকে খারাপ বলবে। তোমরা তাদেরকে যেখানে পাবে হত্যা করবে, কারণ তারা মুশরিক।(তালবীসে ইবলীস লি ইবনে জাওযী পৃষ্ঠা-১৩৬)
সুতরাং অকাট্য ও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, শিয়া বা রাফেজী সম্প্রদায়ের সকলেই কাফির। ৭২টি বাতিল ও জাহান্নামী দলের একটি। নিম্নলিখিত কিতাবগুলোতেও শিয়া-রাফেজীদের কুফরী আক্বীদাসমূহ উল্লেখ আছে- বেলায়েতে ফক্বীহ, ফাছলুল খিতাব ফী ইছবাতি তাহরীফি কিতাবি রাব্বিল আরবাব, মুস্তাদ্রেকুল উসায়েল, হামলা হায়দারী, ইহ্তিজাজে তবরিযী, নহ্জুল বালাগাহ, রিজালকুশী, হায়াতুল কুলূব, তাফসীরে ছাফী, হক্বুল ইয়াক্বীন, জিলাউল উয়ূন, উছূলুল কাফী, ফুরুয়ে কাফী, আল জামিউল কাফী, যাদুল মায়াদ লি মজলিসী, তারীখে তরাযে মাযহাবে শিয়া, মাওয়ায়েনে হুসাইনিয়াহ, তোহ্ফাতুল আওয়াম, মিরআতুল উকূদ, দিস্তানে মাযাহেব, বেহারুল আনোয়ার (২৫ খন্ড), মিনহাজুল কিরামাহ্ ফী মারিফাতিল ইমামাহ, তাজাল্লিয়াতে সাদাকাত, আহসানুল ফাওয়ায়িদ ফী শরহিল আকাঈদ, তাফসীরে জামিউল বয়ান।
উপরোল্লিখিত কিতাবসমূহে বর্ণিত শিয়া বা রাফেজীদের কুফরী আক্বীদাসমূহের ভিত্তিতে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার অনুস্বরণীয় ইমাম, মুজতাহিদ উনাদের সর্বসম্মত মতে- শিয়া বা রাফেজীরা কাফিরহওয়ার অকাট্য প্রমাণ-
১। ইমাম ইবনে হাযম আন্দালুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর অভিমত- খৃষ্টানদের বক্তব্য- রাফেজীরা দাবী করে, কুরআন শরীফ বিকৃত বা পরিবর্তীত হয়েছে” -খৃষ্টানদের এ কথার জবাব এই যে, “রাফেজীরা/ শিয়ারা মুসলমান নয়, তারা আসলে অমুসলিম” (আল ফাসল লি ইবনে হাযম ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৭৮)
২। ক্বাজী আয়ায মালেকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অভিমত- যে ব্যক্তির কথা দ্বারা সকল উম্মত গোমরাহ্ এবং সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কাফির বলে প্রতীয়মান হয়, তাকে আমরা নিঃসন্দেহে কাফির হিসাবে গণ্য করবো।(কিতাবুশ শিফা ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৮৬)
তিনি আরো বলেন, “তেমনিভাবে আমরা ওই ব্যক্তিকেও অকাট্যরূপে কাফির বলে সাব্যস্ত করবো, যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফ অস্বীকার করে, এর কোন হরফ (অক্ষর) অস্বীকার করে, এর কোন শব্দ বদলে দেয় অথবা এতে কোন কিছু সংযোগ করে।(কিতাবুশ শিফা ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৮৯)
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো লিখেন- এবং অনুরূপভাবে আমরা ওই গালী শিয়াদেরকেও অকাট্য কাফির সাব্যস্ত করবো, যারা তাদের ইমামদের মর্যাদা হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের চেয়ে বেশী বলে আক্বীদা পোষণ করে।(কিতাবুশ শিফা ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৯০)
এখানে উল্লেখ্য যে, ইছনা আশারিয়া শিয়া বা খোমেনীপন্থী শিয়ারা একান্তভাবে উল্লেখিত কুফরী আক্বীদাসমূহে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী। যেটা পূর্বে বর্ণিত শিয়াদের কিতাবের বর্ণনা দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অতএব, আল্লামা ক্বাজী আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে শিয়ারা কাফির।
৩। আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অভিমত- আর যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফ অথবা উনার কোন পবিত্র সূরা বা পবিত্র আয়াত শরীফই হোক অবিশ্বাস করে, সে দ্বীন ইসলাম উনার গন্ডি বহির্ভূত।
হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মিরকাত শরহে মিশকাত উনার বরাত দিয়ে মুযাহিরে হক্ব” উনার পরিশিষ্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এরা (শিয়ারা) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত তথা অধিকাংশ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে কাফির বলে বিশ্বাস করে, অতএব এদের কাফির হওয়া সম্পর্কে সকলেই একমত, এতে কোন দ্বিমত নেই।
৪। আল্লামা কামালুদ্দীন ইবনুল হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অভিমত- রাফেজীদের (শিয়াদের) সম্পর্কে শরীয়ত উনার বিধান এই যে, তারা যদি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে প্রথম তিন খলীফা উনাদের চেয়ে কেবল বেশী মর্যাদাবান মনে করে, তবে তারা বিদয়াতী। আর তারা যদি হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনাদের খিলাফতকে অস্বীকার করে, তবে তারা কাফির।(ফাতহুল ক্বাদীর ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-৩০৪)
৫। ফতওয়ায়ে আলমগীরীর রায়- এরা (রাফেজী/শিয়ারা) দ্বীন ইসলাম বহির্ভূত এবং ইসলামী শরীয়ত উনার আলোকে তাদের বিধান মুরতাদের ন্যায়। (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৬৮-২৬৯)
৬। আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অভিমত- যে দুরাচার! উম্মুল মুমিনীন, হযরত আয়িশা আয়িশা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি অপবাদ দেয় অথবা হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার ছাহাবিত্বকে অস্বীকার করে, তাকে নিঃসন্দেহে কাফির বলা যায়। (রদ্দুল মুহতার ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-২৯৪)
তাছাড়াও তাফসীরে ইবনে কাছীর, খাযিন, বাগবী, ইতেছাম, মুসাওয়া, শরহে মুয়াত্তা, মিনহাজুস সুন্নাহ্, আস্ সারিমুল মাসলূল, রদ্দে রাওয়াফেজ, গুনিয়াতুত তালেবীন, ফাওয়াতিহুর রাহমূত, তালবীসুল ইবলীস, ইমদাদুল ফতওয়া, ফতওয়ায়ে আযিযী, আল মাজুয়াতুস্ সুন্নিয়া, ইযালাতুল খফা, কুররাতুল আইনাইন, তোহ্ফায়ে ইছনা আশারিয়া, মিলাল ওয়ান নেহাল ইত্যাদি কিতাবসমূহে রাফেজী বা শিয়াদেরকে অমুসলিম ও জাহান্নামী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপরোক্ত নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য কিতাবসমূহ উনাদের বর্ণনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ইজমা বা ঐক্যমতে শিয়া, ইছনা আশারী শিয়া, খোমেনীপন্থী শিয়ারা কাফির।
[বিঃদ্রঃ- কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় উপরোল্লেখিত বক্তব্যের আরবী ইবারতগুলো দেয়া হলোনা]
সুতরাং যারা অকাট্য দলীলের ভিত্তিতে কাফির প্রমাণিত, তাদের মুসলমান ভাই বলাও কুফরী। কারণ শরীয়ত উনার বিধান হলো- বিনা দলীলে কোন মুসলমানক উনাকে কাফির বলা যেরূপ কুফরী, তদ্রূপ অকাট্যভাবে প্রমাণিত কোন কাফিরকে মুসলমান বলাও কুফরী। অতএব, কেউ যদি শিয়াদেরকে মুসলমান ভাই বলে, তবে সেও কাফির হবে। আর এরূপ ব্যক্তি পীর হওয়ার তো প্রশ্নই উঠেনা। এরূপ আক্বীদাসম্পন্ন পীরের নিকট বাইয়াত হওয়া সম্পূর্ণ হারাম। কেননা যেখানে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে,
سياتى قوم يسبون هم ويستنقصون هم فلا تجالسهم ولا تاكلوهم ولا تنا كحوهم ولا تصلوا معهم ولا تدعولهم.
অর্থ : অতি শীঘ্রই একদল বের হবে, যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে গালী দিবে ও অপূর্ণ বলবে, সুতরাং তোমরা তাদের নিকট বসবেনা, তাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করবেনা, তাদের নিকট মেয়ে বিয়ে দিবেনা, তাদের মেয়ে বিয়ে করবেনা, তাদের পিছনে নামায পড়বেনা ও তাদের জন্যে দোয়া করবেনা।
সেখানে যারা তাদের ইমামকে হযরত নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের চেয়ে মর্যদাসম্পন্ন মনে করে, কয়েকজন ব্যতীত সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে মুরতাদ/কাফির ফতওয়া দেয়, হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি অপবাদ দেয়, পবিত্র কুরআন শরীফ পরিবর্তীত হয়েছে বলে বিশ্বাস করে এবং বিশেষ করে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম উনাদের সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
حب ابى بكر وعمر رضى الله عنهما ايمان بغضهما كفر.
অর্থাৎ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ, আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।
উনাদের যারা দুঃশ্চরিত্র, ক্ষমতালোভী, মুনাফিক আখ্যা দেয়, তাদের কি করে মুসলমান ভাইবলে সম্বোধন করা যেতে পারে? মূলত সে ব্যক্তিই তাদেরকে মুসলমান ভাই বলতে পারে, যে তাদের উপরোক্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী অথবা যে একথা বলে শিয়াদেরকে সন্তুষ্ট করে দুনিয়াবী কিছু ফায়দা লাভ করতে চায়।
মোটকথা হলো- শিয়াদেরকে মুসলমান ভাই বলা, তাদের সাথে মিলমিশ রাখা, মুহব্বত করা, তাদের পিছনে নামায পড়া, তাদের জন্যে দোয়া করা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
يا ايها لذين امنوا لا تتخذوا اليهود والنصارى اولياء (مائده ৫১)
অর্থ : হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করোনা।(পবিত্র সূরা মায়েদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ, ৫১)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যেখানে ইহুদী-নাছারাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে মুসলমান নামধারী, পবিত্র ইসলাম উনার ছদ্মাবরণে ইসলাম ও মুসলমান উনাদের চরম শত্রু, মুনাফিক, শিয়া বা রাফেজীদেরকে কিভাবে ভাই হিসাবে গ্রহণ বা সম্বোধন করা যায়? মূলত যারা তাদেরকে ভাই বা বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবে, তাদের প্রসঙ্গেই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
الـمرء مع من احب
অর্থ : যে যাকে মুহব্বত করবে, সে পরকালে তার সাথেই থাকবে।
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে,         
من تشبه بقوم فهو منهم.
অর্থ : যার সাথে যার মিলমিশ বা তাশাব্বুহ্ থাকবে, তার হাশর-নশর ইত্যাদি তার সাথেই হবে। অর্থাৎ সে তাদেরই দলভূক্ত শিয়া বা রাফেজী।
অতএব, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ্ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, ইহুদী-খৃষ্টান, হিন্দু-বৌদ্ধ ইত্যাদি বিধর্মীদেরকে যেরূপ বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা হারাম, তদ্রূপ শিয়া-রাফেজীসহ ৭২টি বাতিল ফিরকার অনুসারীদেরকেও বন্ধু বা ভাই হিসাবে গ্রহণ বা সম্বোধন করা হারাম। বরং তাদেরকে ভাই হিসাবে সম্বোধন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের সম্পূর্ণ খিলাফ। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে বলেছেন,
انما الـمؤمنون اخوة .........
অর্থাৎ একমাত্র মুমিন বা মুসলমানই পরস্পর ভাই ভাই।
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
كل مسلـم اخوة.
অর্থাৎ  সকল মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, একমাত্র মুসলমান উনারাই পরস্পর ভাই ভাই। মুসলমান ব্যতীত অন্য কাউকে ভাই হিসাবে সম্বোধন করা প্রকাশ্য পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরুদ্ধে মত পেশ করা, যেটা স্পষ্ট কুফরী।
অতএব, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে যেহেতু শিয়া বা রাফেজী সম্প্রদায়সহ ৭২টি বাতিল ফিরকা অমুসলিম বা কাফির, সেহেতু তাদেরকে মুসলমান ভাই হিসাবে সম্বোধন করাও হারাম ও কুফরী। কেউ কেউ বলে থাকে যে, যারা কালেমাগো বা আহলে ক্বিবলাকিতাবে তাদেরকে কাফির বা অমুসলিম বলা যাবেনা।
আর তারা দলীল হিসাবে নিম্নোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা পেশ করে থাকে-
وعن انس انه قال- قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا واكل ذبيحتنا فذاللك الـمسلـم الذى له ذمة الله وذمة رسوله فلاتخفروا الله فى ذمته. (رواه البخارى)
অর্থ : হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি আমাদের ন্যায় নামায পড়ে, আমাদের ক্বিবলা ক্বাবা শরীফ উনাকে ক্বিবলা হিসাবে গ্রহণ করে এবং আমাদের জবেহ্ করা পশুর গোশত খায়, সে অবশ্যই মুসলমান। তার জন্যে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সুতরাং তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করোনা।(পবিত্র বুখারী শরীফ)
এর জবাব হলো- যে সকল কিতাবে সম্মানিত ও বুযুর্গ ইমাম, মুজতাহিদগণ আহলে ক্বিবলাদেরকেকাফির না বলার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন, তাঁরা আহলে ক্বিবলাশব্দ দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন, সর্বপ্রথম সেটাই আমাদেরকে বুঝতে বা অনুধাবন করতে হবে। কেননা আহলে ক্বিবলারলোগাতী বা আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- যারা মক্কা শরীফে অবস্থিত কাবা শরীফ উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর ও ক্বিবলা বলে স্বীকার করে। মূলত আভিধানিক অর্থে তারাই আহলে ক্বিবলা।
আর আহলে ক্বিবলা দ্বারা যদি এ আভিধানিক অর্থই গ্রহণ করা হয়, তবে আবূ জেহেল, আবূ লাহাব, ওৎবা, শায়বা তারাও কাফির নয়, কেননা তারাও আহলে ক্বিবলা ছিল। আরবের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, আরবের সকল মুশরিকরা পবিত্র কাবা শরীফ উনাকে বাইতুল্লাহ্ ও ক্বিবলা বলে স্বীকার করতো, তাওয়াফ করতো, নিজেদের নিয়মানুসারে হজ্ব ও উমরা পালন করতো। অতএব, আহলে ক্বিবলা বলতে যদি শুধুমাত্র আভিধানিক অর্থই ধরা হয়, তবে তৎকালীন আরবের মুশরিকদেরকেও কাফির বলার অবকাশ থাকেনা। তেমনিভাবে বর্তমান যামানায় প্রকাশিত ভয়ঙ্কর ফিৎনা কাদিয়ানী ফিৎনা”, এ কাদিয়ানী সম্প্রদায়কেও কাফির বলা যাবেনা, কারণ তারাও তো কালেমাগো ও আহলে ক্বিবলা।      তাছাড়া খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, আমীরুল মুমিনীন, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি যখন খলীফা নিযুক্ত হন, তখন কয়েকটি ফিৎনা দেখা দিয়েছিল। তন্মধ্যে মুসাইলামাতুল কাজ্জাবের মিথ্যা নবী হিসাবে আবির্ভূত হওয়া এবং কিছু লোকের যাকাত অস্বীকার করা। আমীরুল মুমিনীন, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উভয়ের বিরুদ্ধেই জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন।
এখানে ফিকিরের বিষয় হলো- প্রথমতঃ আমীরুল মুমিনীন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম মিথ্যা নবী মুসাইলামাতুল কাজ্জাবের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন এবং তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেন। অথচ মুসাইলামাতুল কাজ্জাব সে কালিমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিল এবং আহলে ক্বিবলা ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র খতমে নুবুওওয়াতকে অস্বীকার করে মিথ্যা নবী দাবী করার কারণে তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা হলো এবং তাকে হত্যা করা হলো।
দ্বিতীয়ত : যখন কিছু লোক যাকাত দিতে অস্বীকার করলো, তখন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনর কসম, যারা নামায ও যাকাত উনাদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করবে, আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে জিহাদে অবতীর্ণ হবো।
অর্থাৎ শুধুমাত্র যাকাত অস্বীকার করার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা হয়েছিল। অথচ তারা ছিল কালেমাগো আহলে ক্বিবলা।আর একথা সর্বজন সিদ্ধ যে, জিহাদ একমাত্র কাফিরদের বিরুদ্ধেই হয়ে থাকে।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, “কালেমাগো বা আহলে ক্বিবলাহওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র খতমে নুবুওওয়াত ও যাকাতকে অস্বীকার করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা হয়েছে।
অতএব, যদি কালেমাগো বা আহলে ক্বিবলাহলেই মুসলমান হওয়া যেত, তবে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম কালেমাগো বা আহলে ক্বিবলাহওয়া সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতেন না।
মূলত তারা কালিমাগো বা আহলে ক্বিবলাহওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র খতমে নুবুওওোত ও ফরয যাকাতকে অস্বীকার করার কারণে মুরতাদ বা কাফিরে পরিণত হয়ে যায়, আর তাই হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন এবং জিহাদ করেন।
বস্তুতঃ আহলে ক্বিবলামূলত একটি বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ইছতেলাহী বা দ্বীনি শব্দ। আক্বাইদ ও ফিক্বাহের কিতাবসমূহে পরিস্কার ও সুস্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে বলা হয়েছে যে, তারাই আহলে ক্বিবলা”, যারা ইসলাম উনাকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করেছে, তাওহীদ, রিসালত, ক্বিয়ামত ইত্যাদি ঈমান উনার মৌলিক বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে এবং এমন কোন দ্বীনি বিষয়কে অস্বীকার করেনা, যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত ও সর্বজন স্বীকৃত। আর তাই বিখ্যাত মুহাদ্দিছ, ইমাম হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব শরহে ফিক্বহুল আকবর” উনার মধ্যে আহলে ক্বিবলার ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন যে,
اعلـم ان الـمراد با هل القبلة الذين اتفقوا على ماهو من ضروريات الين. (شرح فقه الاكبر صفه ১৮৭)
অর্থ : জেনে রাখ! আহলে ক্বিবলা বলতে সেসব লোককে বুঝায়, যারা দ্বীন ইসলামের সকল মৌলিক বিষয়াদিতে ঐক্যমত পোষণ করে থাকে।(শরহে ফিক্বহুল আকবর পৃষ্ঠা-১৮৭)
আক্বাইদ ও ফিক্বাহের অন্যান্য কিতাবেও এ কথাই সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। তাই দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে, নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, আবূ জেহেল, আবূ লাহাব, তদ্রূপ কাদিয়ানী, বাহাই সম্প্রদায় আহলে ক্বিবলা হওয়া সত্ত্বেও যেরূপ কাফির, সেরূপ শিয়া বা রাফিজীসহ ৭২টি বাতিল ফিরকাও কালেমা গো ও আহলে ক্বিবলা হওয়া সত্ত্বেও তারা কাফির। কারণ, তারা অনেক ক্ষেত্রেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মৌলিক আক্বীদায় বিশ্বাসী নয় বরং কুফরী আক্বীদায় পরিপূর্ণ, যা ইতিপূর্বে শিয়াদের নির্ভরযোগ্য কিতাবের বক্তব্য দ্বারা অবগত হয়েছেন।
সুতরাং মোটকথা হলো- শিয়াদের সকল উপদলসহ ৭২টি বাতিল ফিরকার অনুসারীরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া মুতাবিক কাফির। তাদেরকে ভাই বলে সম্বোধন করা হারাম ও কুফরী। এরূপ ব্যক্তি পীর হওয়ার যোগ্য নয়, তার নিকট বাইয়াত হওয়াও হারাম।
আর যদি কেউ এরূপ কোন পীরের নিকট বাইয়াত হয়ে থাকে, তবে তার জন্যে উক্ত পীর ছেড়ে কোন হাক্কানী পীর ছাহিব উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয/ওয়াজিব উনার অন্তর্ভুক্ত।
[বিঃদ্রঃ - কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় এবং সময়ের সল্পতার কারণে সংক্ষিপ্তভাবে জাওয়াব দেয়া হলো। পরবর্তীতে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত ফতওয়া প্রকাশের আশা রাখি ইনশাআল্লাহ।]
আবা-৩৩

0 Comments: