যিরার ইবনে খাত্তাব ইবনে মিরদাস এর কবিতার জবাবে সালাম
গোত্রের হযরত কা’ব ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন:
عَجِبْت لِأَمْرِ اللّهِ وَاَللّهُ
قَادِرٌ ... عَلَى مَا أَرَادَ لَيْسَ لِلّهِ قَاهِرُ
আমি মহান আল্লাহ পাক উনার যাবতীয় ফয়সালায় সত্যি
শোকরগুজারী করছি। তিনি যা চান তাই হয়, মহান আল্লাহ পাক উনাকে
বাধ্য করার কেউ নেই (এরূপ চিন্তা করাও কুফরী)
قَضَى يَوْمَ بَدْرٍ أَنْ نُلَاقِيَ
مَعْشَرًا ... بَغَوْا وَسَبِيلُ الْبَغْيِ بِالنّاسِ جَائِرُ
সম্মানিত বদর জিহাদের দিন ফয়সালা ছিলো এই যে, আমরা
এমন এক বংশের সম্মুখীন হয়েছিলাম, যারা ছিলো ধর্মদ্রোহী,
আর ধর্মদ্রোহিতা মানুষকে বাঁকাপথে নিয়ে যায়।
وَقَدْ حَشَدُوا وَاسْتَنْفَرُوا
مَنْ يَلِيهِمْ ... مِنْ النّاسِ حَتّى جَمْعُهُمْ مُتَكَاثِرُ
সৈন্য-সামন্ত একত্র করেছিল এবং তাদের পাশে
বসবাসকারী লোকদেরকে যুদ্ধের জন্য বের হতে আহ্বান করেছিল, ফলে
তাদের দলের সৈন্য সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যায়।
وَسَارَتْ إلَيْنَا لَا نُحَاوِلُ غَيْرَنَا ... بِأَجْمَعِهَا كَعْبٌ جَمِيعًا وَعَامِرُ
তারা সকলে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে এবং আমরা ছাড়া
আর কেউ তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল না। বানূ কা’ব ও বানূ আমরের সকল সদস্য আমাদের
বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।
وَفِينَا رَسُولُ اللّهِ صَلَّىْ اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَالْأَوْسُ
حَوْلَهُ ... لَهُ مَعْقِلٌ مِنْهُمْ عَزِيزٌ وَنَاصِرُ
আমাদের মাঝে অবস্থান মুবারক করছিলেন সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন
নাবীইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি! আর উনার চারপাশে ছিলেন পরিবেষ্টিত
আওস গোত্র, আর উনারা ছিলেন বিজয়ী ও খিদমতকারী। সুবহানাল্লাহ!
وَجَمْعُ بَنِي النّجّارِ
تَحْتَ لِوَائِهِ ... يُمَشّونَ فِي الْمَاذِي وَالنّقْعُ ثَائِرُ
আর উনার পতাকা তলে রয়েছেন বানূ নাজ্জার গোত্র, উনারা
সাদা ও নরম বর্ম পরিধান করে বীর বিক্রমে , ধূলি উড়িয়ে
চলছিলেন।
فَلَمّا لَقِينَاهُمْ
وَكُلّ مُجَاهِدٌ ... لِأَصْحَابِهِ مُسْتَبْسِلُ النّفْسِ صَابِرُ
আমরা যখন তাদের মুকাবিলায় দাঁড়াই তখন আমাদের
প্রত্যেকেই নিজ সঙ্গিদের জন্য শক্তি সঞ্চয়ে
নিজকে উপস্থাপন ও উদ্বুদ্ধ করি এবং সকলে অবিচল থাকি।
شَهِدْنَا
بِأَنّ اللّهَ لَا رَبّ غَيْرَهُ ... وَأَنّ رَسُولَ اللّهِ صَلَّىْ اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ بِالْحَقّ
ظَاهِرُ
আমরা সাক্ষ্য দেই যে, মহান
আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া আর কোন রব নেই। আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হক্ব বা
সত্য, তিনি হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী ও হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম
উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই চির বিজয়ী।
وَقَدْ عُرّيَتْ بِيضٌ خِفَافٌ كَأَنّهَا
... مَقَايِيسُ يُزْهِيهَا لِعَيْنَيْك شَاهِرُ
আর সাদা চোখ ঝলসানো হালকা তরবারি খাপযুক্ত করা
হলো, মনে হচ্ছিল তা যেন অগ্নি শিখা, তরবারি
উত্তোলনকারী তা চোখের সামনে নাড়াচ্ছে।
بِهِنّ أَبَدْنَا
جَمْعَهُمْ فَتَبَدّدُوا ... وَكَانَ يُلَاقِي الْحَيْنَ مَنْ هُوَ فَاجِرُ
এই তরবারি দিয়ে আমরা তাদের দলকে ধ্বংস করে
দিয়েছি। ফলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে, আর তাদের মধ্যে কাট্ট
নাফরমানরা মারা গেছে।
فَكُبّ أَوْ جَهِلَ صَرِيعًا لِوَجْهِهِ
... وَعُتْبَةُ قَدْ غَادَرْنَهُ وَهُوَ عَائِرُ
পরিশেষে, আবূ জাহিল উপুড়
হয়ে পড়ে গেছে। আর উতবাকে তারা হোঁচট খাওয়া অবস্থায় ছেড়ে গেছে।
وَشَيْبَةُ
وَالتّيْمِيّ غَادَرْنَ فِي الْوَغَى ... مَا مِنْهُمْ إلّا بِذِي الْعَرْشِ كَافِرُ
আর তারা শায়বা ও তাইমীকে চীৎকার করা অবস্থায়
পরিত্যাগ করেছে। এরা উভয়ই আরশের মালিক মহান আল্লাহ পাক উনাকে অস্বীকার করেছিল।
فَأَمْسَوْا
وَقُودَ النّارِ فِي مُسْتَقَرّهَا ... وَكُلّ كَفُورٍ فِي جَهَنّمَ صَائِرُ
ফলে তারা অগ্নিস্থলে অগ্নির ইন্ধন হয়ে গেছে, আর
অস্বীকারকারীদের জায় ঠিকানা হলো জাহান্নাম ।
تَلَظّى عَلَيْهِمْ
وَهِيَ قَدْ شَبّ حَمْيُهَا ... بِزُبُرِ الْحَدِيدِ وَالْحِجَارَةِ سَاجِرُ
উষ্ণতার পূর্ণ যৌবন নিয়ে সেই অগ্নিশিখা তাদের
উপর বর্ধিত হচ্ছে, যা লোহার তক্তা ও পাথরে ভরপুর।
وَكَانَ رَسُولُ اللّهِ صَلَّىْ اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ قَدْ قَالَ أَقَبِلُوا
... فَوَلّوْا وَقَالُوا : إنّمَا أَنْتَ سَاحِرُ
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে বলেছিলেন, তোমরা
আমার দিকে আসো, কিন্তু তারা উনাকে যাদুকর বলে মুখ ফিরিয়ে
নিয়েছিল। নাউযূবিল্লাহ!
لِأَمْرِ أَرَادَ اللّهُ أَنْ يَهْلِكُوا
بِهِ ... وَلَيْسَ لِأَمْرِ حَمّهُ اللّهُ زَاجِرُ
আর মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছাই ছিল তারা ধ্বংস
হোক, আর মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা মুবারক উনার বিপরীদ করার মত
কেউ নেই।
বদর যুদ্ধে নিহতদের প্রতি কেঁদে কেঁদে আব্দুল্লাহ যাবা’রী
সাহমী বলে:
ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, অনেকের
মতে এ কাবিতাগুলো হলো আ’শা ইবনে যুরারা ইবনে নাববাশের। সে ছিল উসাইদ ইবনে আমর ইবনে
তামীম বংশীয় এবং নাওফাল ইবনে আব্দে মানাফের মিত্র। হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি বলেন, সে ছিল বানূ আব্দুদ্দারের মিত্র।
مَاذَا عَلَى بَدْرٍ وَمَاذَا حَوْلَهُ ... مِنْ فِتْيَةٍ بِيضِ الْوُجُوهِ
كِرَامِ
সম্মানিত বদর জিহাদে ও তার চারপাশের উপর কি বিপদ
আপতিত হয়েছে যে, সাদা চেহারাবিশিষ্ট ভদ্র যুবকেরা
تَرَكُوا نُبَيْهًا
خَلْفَهُمْ وَمُنَبّهًا ... وَابْنَيْ رَبِيعَةَ خَيْرِ خَصْمِ فِئَامِ
ছেড়ে গেল নুবাইহ, মুনাব্বিহ
আর রবীয়ার দুই ছেলে, যারা ছিল উনাদের ঘোর বিরোধী।
وَالْحَارِثَ
الْفَيّاضَ يَبْرُقُ وَجْهُهُ ... كَالْبَدْرِ جَلّى لَيْلَةَ الْإِظْلَامِ
আর ছেড়ে গেল দানবীর হারিছকে, যার
গোলাকার মুখ চাঁদের মত, যা অন্ধকার রাতকে আলোকিত করে দেয়।
وَالْعَاصِيَ
بْنَ مُنَبّهٍ ذَا مِرّةٍ ... رُمْحًا تَمِيمًا غَيْرَ ذِي أَوْصَامِ
আর ছেড়ে গেল মুনাব্বিহ- এর ছেলে আসীকে, যে
ছিল শক্তিশালী, লম্বা-সোজা বর্শার ন্যায় দোষক্রটিমুক্ত।
تَنْمِي بِهِ أَعْرَاقُهُ
وَجُدُودُهُ ... وَمَآثِرُ الْأَخْوَالِ وَالْأَعْمَامِ
আর এ আছী- এর কারণে মুনাব্বিহের আসল গুন, তার
যোগ্যতা, মাতৃকূল ও পিতৃৃকূলের যাবতীয় গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
وَإِذَا بَكَى بَاكٍ فَأَعْوَلَ
شَجْوَهُ ... فَعَلَى الرّئِيسِ الْمَاجِدِ ابْنِ هِشَامِ
যখন কোন ক্রন্দনকারী কাঁদে এবং উচ্চস্বরে নিজের
শোক প্রকাশ করে তখন বুঝে নিবা যে, ইয্যত ও মর্যাদার
অধিকারী ইবনে হিশামের জন্যই এ ক্রন্দন।
حَيّا الْإِلَهُ
أَبَا الْوَلِيدِ وَرَهْطَهُ ... رَبّ الْأَنَامِ وَخَصّهُمْ بِسَلَامِ
আবুল ওয়ালীদকে তার দলসহ মহান আল্লাহ পাক তিনি
বাঁচিয়ে রাখুন এবং প্রতিপালক বিশেষভাবে তাদেরকে শান্তিতে রাখুন।
আব্দুল্লাহ যাবা’রী
সাহমীর কবিতার জবাবে হযরত হাসসান ইবনে ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন:
ابْكِ بَكَتْ عَيْنَاك ثُمّ تَبَادَرَتْ
... بِدَمِ تُعَلّ غُرُوبُهَا سَجّامِ
তুমি কাঁদ, তোমার চোখ সর্বদাই
কাঁদতে থাকুক, এরপর তা থেকে প্রবাহিত হোক শোণিতধারা, আর চোখের কোণাকে তা বারবার হতাশা করুক।
مَاذَا بَكَيْت بِهِ الّذِينَ تَتَابَعُوا
... هَلّا ذَكَرْت مَكَارِمَ الْأَقْوَامِ
এ শোকগাঁথার দ্বারা
তুমি সেইসব লোকের জন্য কেঁদেছ, যারা একের পর এক ধ্বংস
হয়েছে। তুমি সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিলে প্রশংসনীয়।
وَذَكَرْت
مِنّا مَاجِدًا ذَا هِمّةٍ ... سَمْحَ الْخَلَائِقِ صَادِقَ الْإِقْدَامِ
আর তুমি আমাদের মধ্যে সম্মানিত, সাহসী,
উত্তম আখলাক্ব ও দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী ব্যক্তির নাম মুবারক উল্লেখ
করলে না কেন?
أَعْنِي النّبِيّ أَخَا الْمَكَارِمِ
وَالنّدَى ... وَأَبَرّ مَنْ يُولِي عَلَى الْإِقْسَامِ
আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যিনি
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, যিনি দাতা এবং উত্তম আখলাক্ব মুবারক উনার অধিকারী, আর
ক্বসমকারীদের মধ্যে তিনি সর্বাধিক ক্বসম পূরণকারী। সুবহানাল্লাহ!
فَلِمِثْلِهِ
وَلِمِثْلِ مَا يَدْعُو لَهُ ... كَانَ الْمُمَدّحَ ثَمّ غَيْرَ كَهَامِ
নিঃসন্দেহে উনার মত মহান ব্যক্তিত্ব আর কায়িনাতে
নেই, আর যে বিষয়ের প্রতি তিনি আহবান করছেন তা অবশ্যই সুমহান ও
সর্বাধিক প্রশংসার যোগ্য। দূর্বলতা মুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
হযরত হাসসান ইবনে ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু তিনি আরোও বলেন,
تَبَلَتْ فُؤَادَك فِي الْمَنَامِ
خَرِيدَةٌ ... تَشْفِي الضّجِيعَ بِبَارِدِ بَسّامِ
তোমরা হৃদয়কে নারী স্বপ্ন এমন রুগ্ন করে ফেলেছে
যে তার পাশে শয়নকারীকে মুচকি হাসির দ্বারা জেগে তোলে।
كَالْمِسْكِ
تَخْلِطُهُ بِمَاءِ سَحَابَةٍ ... أَوْ عَاتِقٍ كَدَمِ الذّبِيحِ مُدَامِ
যেমন যদি তুমি বৃষ্টির পানির সাথে মিশক মিশ্রিত
করলে তা দ্বারা শেফা হাসিল হয়, যবেহকৃত পশুর রক্তের মত
পুরাতন পানি দ্বারা আরোগ্য লাভ হয়।
হযরত হাসসান ইবনে
ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন:
تَرَكَ الْأَحِبّةَ
أَنْ يُقَاتِلَ دُونَهُمْ ... وَنَجَا بِرَأْسِ طِمِرّةٍ وَلِجَامِ
(হারিছ ইবনে হিশাম) সে আপন বন্ধুদের জন্য জীবনপণ
যুদ্ধ করার পরিবর্তে সে তাদের পরিত্যাগ করল এবং তেজস্বী ঘোড়ার মস্তকের কেশ ও বলগা
ধরে পালিয়ে গেল।
تَذَرُ الْعَنَاجِيحَ
الْجِيَادَ بِقَفْرَةِ ... مَرّ الدّمُوكِ بِمُحْصَدِ وَرِجَامِ
উত্তম ও দ্রুতগামী ঘোড়াসমূহ খালি ময়দানে
সাওয়ারীকে পিছনে ফেলে এমনিভাবে চলে যাচ্ছিল, যেমন পাথরে বাঁধা
শক্ত রশিকে দ্রুতগামী চরখা ছেড়ে চলে যায়।
مَلَأَتْ بِهِ الْفَرْجَيْنِ
فَارْمَدّتْ بِهِ ... وَثَوَى أَحِبّتُهُ بِشَرّ مَقَامِ
ঘোড়াগুলো দৌড়ে খুরের ফাঁকে ভরে নিল। এতে তাদের
মধ্যে কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল, অথচ তার বন্ধু জঘন্য
মন্দ জায়গায় পড়ছিলো।
وَبَنُو أَبِيهِ وَرَهْطُهُ
فِي مَعْرَكٍ ... نَصَرَ الْإِلَهُ بِهِ ذَوِي الْإِسْلَامِ
তার ভাই এবং তার দল
এমন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, যাতে প্রকৃত মা’বূদ মহান আল্লাহ পাক
তিনি মুসলমানদের বিজয়ী করেছিলেন।
طَحَنَتْهُمْ
وَاَللّهُ يُنْفِذُ أَمْرَهُ ... حَرْبٌ يُشَبّ سَعِيرُهَا بِضِرَامِ
এমন জিহাদ তাদের পিষে ফেলেছিল, যার
শিখাকে ইন্ধন দ্বারা প্রজ্বলিত করা হচ্ছিল। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নির্দেশ
মুবারক অবশ্যই বাস্তবায়িত করেন।
لَوْلَا الْإِلَهُ
وَجَرْيُهَا لَتَرَكْنَهُ ... جَزَرَ السّبَاعِ وَدُسْنَهُ بِحَوَامِي
যদি প্রকৃত মা’বূদ মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে
বাঁচানোর ইচ্ছা না করতেন, আর যদি সে ঘোড়াগুলো না দৌড়াত তবে হারিছ
ইবনে হিশামকে হিংস্র জন্তুর খোরাক বানিয়ে ছাড়ত অথবা খুর দ্বারা পিষে ফেলত।
مِنْ بَيْنِ مَأْسُورٍ
يُشَدّ وَثَاقُهُ ... صَقْرٍ إذَا لَاقَى الْأَسِنّةَ حَامِي
হয়ত সে বন্দী হত, যার
গিরাগুলো এমন বীরপুরুষ কষে বেঁধে দিতেন যারা বর্শার মোকাবিলায়ও সহযোগিতা করেন।
وَمُجَدّلٍ
لَا يَسْتَجِيبُ لِدَعْوَةِ ... حَتّى تَزُولَ شَوَامِخُ الْأَعْلَامِ
অথবা সে যমীনে পড়ে থাকত, আর
পাহাড় তার স্থানচ্যূত হলেও সে কারো ডাকে সাড়া দিত না।
بِالْعَارِ
وَالذّلّ الْمُبَيّنِ إذْ رَأَى ... بِيضَ السّيُوفِ تَسُوقُ كُلّ هُمَامِ
সে স্পষ্ট লাঞ্ছনা ও অপমানের মধ্যে পড়ে থাকত, তখন
যে দেখতে পেত শ্বেত-শুভ্র চমকানো তরবারি দৃঢ় সংকল্প বীরপুরুষগন হাঁকিয়ে নিয়ে
যাচ্ছেন।
بِيَدَيْ أَغَرّ إذَا انْتَمَى لَمْ يُخْزِهِ ... نَسَبُ الْقِصَارِ
سَمَيْدَعٍ مِقْدَامِ
সে (তরবারি মুবারক
গুলো) হত এমন উজ্জ্বল চেহারাবিশিষ্ট ব্যক্তি উনাদের হাত মুবারকে, যাদের
বংশ ভীরুতার কোন কালিমা নেই এবং তা এমন সম্মানিত ব্যক্তি উনাদের হাত মুবারকে থাকত
যে উনারা শত্রুকে পরোয়া না করে সামনে এগিয়ে যান।
بِيضٌ إذَا لَاقَتْ حَدِيدًا صَمّمَتْ ... كَالْبَرْقِ
تَحْتَ ظِلَالِ كُلّ غَمّامِ-
ঐ শ্বেত-শুভ্র (চোখ ঝলসানো) তরবারিগুলো এমন যখন
তা দিয়ে লোহার উপর আঘাত করা হয় তখন লোহা কেটে ঐ তরবারি নিচে পড়ে যায়। মনে হয়
একখন্ড মেঘের নীচে বিজলী চমকাচ্ছে।
হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু উনার কবিতা মুবারক উনার জবাবে হারিছ ইবনে হিশাম বলে:
اللّهُ أَعْلَمُ مَا تَرَكْت قِتَالَهُمْ
... حَتّى حَبَوْا مُهْرِي بِأَشْقَرَ مُزْبِدِ
মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন, আমি
ততক্ষণ উনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করিনি, যতক্ষণ না উনারা
আমার বক্ষদেশকে রক্তে রঞ্জিত করেছে।
وَعَرَفْت
أَنّي إنْ أُقَاتِلْ وَاحِدًا ... أُقْتَلْ وَلَا يَنْكِي عَدُوّي مَشْهَدِي
আমি বুঝেছিলাম যে, যদি
এ যুদ্ধ করি তবে আমি মরে যাব। আর যুদ্ধে আমার উপস্থিতি শত্রুর উপর কোন প্রভাব
বিস্তার করবে না।
فَصَدَدْت
عَنْهُمْ وَالْأَحِبّةُ فِيهُمُ ... طَمَعًا لَهُمْ بِعِقَابِ يَوْمٍ مُفْسِدِ
আমার বন্ধুরা মাটিতে পড়ে থাকা সত্ত্বেও আমি
তাদের ফেলে চলে আসি। এ আশায় যে, অন্য কোন যুদ্ধের দিন
তাদের প্রতিশোধ নেব। নাউযুবিল্লাহ!
হযরত হাসসান ইবনে
ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ক্বছীদা তথা কবিতা মুবারক:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
হাস্সান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
لَقَدْ عَلِمَتْ قُرَيْشٌ يَوْمَ بَدْرٍ ... غَدَاةَ الْأَسْرِ
وَالْقَتْلِ الشّدِيدِ
সম্মানিত বদর জিহাদেরে দিন কুরাইশ কাফির
মুশরিকরা জেনে গেছে যে, ইহা তাদের বন্দী ও ব্যাপকভাবে নিহত
হওয়ার দিন,
بِأَنّا حِينَ تَشْتَجِرُ
الْعَوَالِي ... حُمَاةُ الْحَرْبِ يَوْمَ أَبِي الْوَلِيدِ
যখন বর্শার অগ্রভাগ পরস্পর মিলিত হয়, তখন
আমরা জিহাদের সংরক্ষণকারী হই, বিশেষ করে আবুল ওয়ালীদের
হত্যার দিন।
قَتَلْنَا
ابْنَيْ رَبِيعَةَ يَوْمَ سَارَا ... إلَيْنَا فِي مُضَاعَفَةِ الْحَدِيدِ
সেই (সম্মানিত বদর জিহাদের) দিন রবীয়ার দু’ ছেলে
লৌহ বর্ম পরিধান করে আমাদের মুকাবিলায় এগিয়ে এল তখন আমরা তাদের হত্যা করলাম।
وَفَرّ بِهَا حَكِيمٌ يَوْمَ جَالَتْ ... بَنُو النّجّارِ
تَخْطِرُ كَالْأُسُودِ
আর যখন বানূ নাজ্জার সিংহের ন্যায় হুংকার ছাড়তে
লাগলেন, তখন হাকীম সেখান থেকে পালিয়ে গেল।
وَوَلّتْ عِنْدَ ذَاكَ جُمُوعُ فِهْرٍ ... وَأَسْلَمَهَا
الْحُوَيْرِثُ مِنْ بَعِيدِ
তখন গোটা ফিহর গোত্রও পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল, আর
হুয়াইরিছ সেতো দূর থেকে তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
لَقَدْ لَاقَيْتُمْ
ذُلّا وَقَتْلًا ... جَهِيزًا نَافِذًا تَحْتَ الْوَرِيدِ
অবশ্যই তোমরা এমন দ্রুত লাঞ্ছনা ও হত্যার
সম্মুখীন হলে, যা তোমাদের গলার শিরার মধ্যে ঢুকে গেল।
وَكُلّ الْقَوْمِ
وَلّوْا جَمِيعًا ... وَلَمْ يَلْوُوا عَلَى الْحَسَبِ التّلِيدِ
আর গোটা কাফির মুশরিক জাতিটাই পৃষ্ঠ প্রদর্শন
করল এবং বাপ দাদার মান সম্মানের দিকে ফিরেও তাকাল না।
يَا حَارّ قَدْ عَوّلْت غَيْرَ مُعَوّلٍ ... عِنْدَ الْهِيَاجِ
وَسَاعَةَ الْأَحْسَابِ
হে হারিছ! জিহাদ ও দুর্যোগের সময় তুমি এমন
লোকদের উপর নির্ভর করলে, যারা নির্ভরযোগ্য ছিল না।
إذْ تَمْتَطِي
سُرُحَ الْيَدَيْنِ نَجِيبَةً ... مَرْطَى الْجِرَاءِ طَوِيلَةَ الْأَقْرَابِ
যখন তুমি প্রশস্ত পা, অভিজাত,
দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং দীর্ঘ পিঠবিশিষ্ঠ ঘোড়ার উপর আরোহন করছিলে।
وَالْقَوْمُ
خَلْفَك قَدْ تَرَكْت قِتَالَهُمْ ... تَرْجُو النّجَاءَ وَلَيْسَ حِينَ ذَهَابِ
বেঁচে যাওয়ার আশায় তুমি লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করা থেকে বিরত ছিলে, অথচ লোকেরা তোমার পিছনেই ছিল, আর সে সময়টি তোমার পলায়ন করার সময় ছিল না।
أَلَا عَطَفْت عَلَى ابْنِ أُمّك إذْ ثَوَى ... قَعْصَ الْأَسِنّةِ
ضَائِعَ الْأَسْلَابِ
হায়! তুমি আপন মায়ের ছেলের দিকেও ফিরে তাকালে না
যখন সে বর্শার নিচে মাটির সাথে মিশে মৃত্যুমুখে ছিল। আর তার কাছে যা কিছু ছিল তাও
ধ্বংস হচ্ছিল।
عَجِلَ الْمَلِيكُ
لَهُ فَأَهْلَكَ جَمْعَهُ ... بِشَنَارِ مُخْزِيَةٍ وَسُوءِ عَذَابِ
রাজাধিরাজ মহান খলিক্ব মালিক আল্লাহ পাক তিনি
তাকে (আবূ জাহিলকে) আক্রান্ত করলেন লাঞ্ছনা ও গঞ্জনায় আর দ্রুত জঘন্য শাস্তিতে। আর
তার দলকে ধ্বংস করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, হযরত
ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- কেউ কেউ বলেছেন, ইহা
আব্দুল্লাহ ইবনে হারিছ সাহমীর কাবিতা,
مُسْتَشْعِرِي
حَلَقِ الْمَاذِيّ يَقْدُمُهُمْ ... جَلْدُ النّحِيزَةِ مَاضٍ غَيْرُ رِعْدِيدِ
উনাদের সামনে ছিলেন এমন এক সুমহান ব্যক্তি, যাঁর
বাহ্যিক আলামত ছিলো গায়ের সাথে লাগানো কমল কড়াবিশিষ্ট লৌহবর্ম পরিহিত, কঠোর দৃঢ় সংকল্প, কোমল হৃদয়ের, যিনি ভীতু ছিলেন না।
أَعْنِي رَسُولَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ إلَهِ الْخَلْقِ
فَضّلَهُ ... عَلَى الْبَرّيّةِ بِالتّقْوَى وَبِالْجُودِ
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রেরীত নবী ও রসূল
হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খতামুন নাবীইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনাকে মহান
আল্লাহ পাক তিনি এমন মহাসম্মানিত মক্বাম মুবারক হাদিয়া করেছেন যে, তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন, এছাড়া সমস্ত
মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার মালিক। তিনি সারা আলমের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ তথা মহান
আল্লাহ পাক তিনি যেমন স্রষ্টা হিসাবে একক অনুরূপ ভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির মাঝে একক। সুবহানাল্লাহ!
وَقَدْ زَعَمْتُمْ
بِأَنْ تَحْمُوا ذِمَاركُمْ ... وَمَاءُ بَدْرٍ زَعَمْتُمْ غَيْرَ مَوْرُودِ
তোমরা ভেবেছিলে যে, তোমাদের
কৌলীন্য-আভিজাত্যকে রক্ষা করতে পারবে এবং বদরের কুয়ার উপর অন্য কেউ কর্তৃত্ব
প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
ثُمّ وَرَدْنَا
وَلَمْ نَسْمَعْ لِقَوْلِكُمْ ... حَتّى شَرِبْنَا رُوَاءَ غَيْرَ تَصْرِيدِ
কিন্তু আমরা সেই পানির নালায় পৌঁছলাম এবং আমরা
তোমাদের কোন কথাই শুনলাম না এবং তৃপ্তি সহকারে পানি পান করলাম নির্বিবাদে।
مُسْتَعْصِمِينَ
بِحَبْلِ غَيْرِ مُنْجَدِمٍ ... مُسْتَحْكَمٍ مِنْ حِبَالِ اللّهِ مَمْدُودِ
আমরা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকলাম, মহান
আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ছেড়ে দেয়া মযবূত রশি নিয়ে। তা কোন ভাবে ছাড়লাম না।
فِينَا الرّسُولُ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَفِينَا الْحَقّ نَتْبَعُهُ ... حَتّى الْمَمَاتِ وَنَصْرٌ غَيْرُ مَحْدُودِ
কেননা আমাদের মাঝেই রয়েছেন মহান আল্লাহ পাক উনার
যিনি হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি। সুবহানাল্লাহ! আর আমাদের মাঝেই রয়েছে হক্ব বা সত্য, ইন্তেকাল
পর্যন্ত উনার অনুসরণ আমরা করতেই থাকবো। আর আমাদের সাথে রয়েছেন মহান আল্লাহ পাক
উনার মদদ। সুবহানাল্লাহ!
وَافٍ وَمَاضٍ شِهَابٌ يُسْتَضَاءُ
بِهِ ... بَدْرٌ أَنَارَ عَلَى كُلّ الْأَمَاجِيدِ
তিনি ওয়াদা পরিপূর্ণ ভাবে পূরণকারী, দায়িত্ব
পালনে তা’লীম দানকারী, দ্রুত উজ্জ্বল নক্ষত্র উনার থেকে আলো
গ্রহণ করে, তিনি জ্যোৎসনার চাঁদ, সকল
মর্যাদা-মর্তবাকে তিনি আলোকিত করে দিয়েছেন। সুহানাল্লাহ!
হযরত হাস্সান বিন
ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
خَابَتْ بَنُو أَسَدٍ وَآبَ غَزِيّهُمْ
... يَوْمَ الْقَلِيبِ بِسَوْءَةٍ وفُضُوحِ
গুহার দিন (তথা সম্মানিত বদর জিহাদের দিন) বানূ
আসাদ আর তাদের সন্ত্রাসী সৈন্য বিফল হয়ে জগন্য লাঞ্ছনার সাথে ফিরে গিয়েছে।
مِنْهُمْ أَبُو الْعَاصِي
تَجَدّلَ مُقْعَصًا ... عَنْ ظَهْرِ صَادِقَةِ النّجَاءِ سَبُوحِ
আবুল আসও তাদের মাঝে ছিল, যে
তেজস্বী ঘোড়ার পিঠ থেকে তড়িৎ মৃত্যুর জন্য ভূ-পৃষ্ঠে পড়ে গিয়েছিল।
حَيْنًا لَهُ مِنْ مَانِعٍ بِسِلَاحِهِ
... لَمّا ثَوَى بِمَقَامِهِ الْمَذْبُوحِ
যবেহ স্থলে যখন সে গিয়ে পড়েছিল, তখন
তাকে মারণাস্ত্রের আঘাত থেকে হিফাযতকারী শুধু তার মৃত্যুই ছিল।
وَالْمَرْءُ
زَمْعَةُ قَدْ تَرَكْنَ وَنَحْرَهُ ... يُدْمِي بِعَانِدِ مُغْبَطٍ مَسْفُوحِ
আর যাময়ার মত সুপুরুষকে তারা এমন অবস্থায় ছেড়ে
গিয়েছিল যে, তার গলা থেকে অনবরত টাটকা রক্ত ক্ষরণ
হচ্ছিল।
مُتَوَسّدًا
حُرّ الْجَبِينِ مُعَفّرًا ... قَدْ عُرّ مَارِنُ أَنْفِهِ بِقُبُوحِ
তার কোমল কপাল ধূলি ধূসরিত যমীনে পড়েছিল আর তার
নাকের ডগায় মাখা ছিল ময়লা-আবর্জনা।
وَنَجَا ابْنُ قَيْسٍ فِي بَقِيّةِ رَهْطِهِ ... بِشَفَا الرّمَاقِ
مُوَلّيًا بِجُرُوحِ
আর ইবনে কাইস অবশিষ্ট দল নিয়ে আহত অবস্থায়
জীবনের শেষ মুহূর্তে পশ্চাদপসরণ করে পালিয়ে গেল।
হযরত হাস্সান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু তিনি আরো বলেন,
أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَتَى أَهْلَ مَكّةَ ... إبَارَتُنَا
الْكُفّارَ فِي سَاعَةِ الْعُسْرِ
হায়! হায়! আমার কি হল যদি আমি জানতাম কঠিন
মুহূর্তে আমাদের কর্তৃক কাফিরদেরকে ধ্বংস করার সংবাদ পবিত্র মক্কাবাসীদের কাছে
পেীঁছে যেত।
قَتَلْنَا
سَرَاةَ الْقَوْمِ عِنْدَ مَجَالِنَا ... فَلَمْ يَرْجِعُوا إلّا بِقَاصِمَةِ الظّهْرِ
আমাদের আক্রমণে তাদের বীরপুরুষেরা ধরাশায়ী
হয়েছিল, ফলে তাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেল এবং তারা বিফল মনোরথ হয়ে
পালিয়ে গিয়েছিল।
قَتَلْنَا
أَبَا جَهْلٍ وَعُتْبَةَ قَبْلَهُ ... وَشَيْبَةُ يَكْبُو لِلْيَدَيْنِ وَلِلنّحْرِ
আমরা কাট্টা কাফির আবূ জাহিল, উতবা
ও শায়বাকেও হত্যা করেছি। তারা মাটিতে উপড় হয়ে পড়েছিল।
قَتَلْنَا
سُوَيْدًا ثُمّ عُتْبَةَ بَعْدَهُ ... وَطُعْمَةَ أَيْضًا عِنْدَ ثَائِرَةِ الْقَتْرِ
আর আমরা সুওয়াইদকে
তারপর উতবাকে, আর একই ভাবে ধূলি উড়ার মুহূর্তে তুমাহকেও
হত্যা করেছি।
فَكَمْ قَدْ قَتَلْنَا
مِنْ كَرِيمٍ مُرَزّإِ ... لَهُ حَسَبٌ فِي قَوْمِهِ نَابِهُ الذّكْرِ
মোটকথা কঠিন মুহুর্তে হিকমতের সাথে কত যে বড়
হোমরা-চোমরা কথিত বীরপুরুষকে আমরা হত্যা
করেছি, আপন সমাজে যাদের প্রতিপত্তি ছিল প্রচুর।
تَرَكْنَاهُمْ
لِلْعَاوِيَاتِ يَنُبْنَهُمْ ... وَيَصْلَوْنَ نَارًا بَعْدَ حَامِيَةِ الْقَمْرِ
আমরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছিলাম গর্জনকারী বাঘের
সামনে, যারা বার বার তাদের কাছে আসছিলেন। তারপর এই সমস্ত কাফির
মুশরিক প্রবেশ করবে এমন অগ্নিতে যার গভীরতায় রয়েছে তপ্ত অগ্নি বিপদ।
لَعُمْرك مَا حَامَتْ فَوَارِسُ
مَالِكٍ ... وَأَشْيَاعُهُمْ يَوْمَ الْتَقَيْنَا عَلَى بَدْرِ
তোমার জীবনের ক্বসম! সম্মানিত বদর জিহাদের দিন
আমাদের সাথে মুকাবিলার সময় না মালিকের আশ্বারোহীরা কোন সাহায্য করল, আর
না তার অন্য সাথীরা।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
হাস্সান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার এই পংক্তিটি আবূ যায়িদ আনছারী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমাকে শুনিয়েছেন।
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
হাস্সান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন,
نَجّى حَكِيمًا يَوْمَ بَدْرٍ شَدّهُ ... كَنَجَاءِ
مُهْرٍ مِنْ بَنَاتِ الْأَعْوَجِ
সম্মানিত বদর জিহাদের দিন হাকীমের দৌড় তাকে বাঁচিয়ে নিল যেমন বেঁচেছিল আল আওয়াজ নামের
ঘোড়াটির একটি বাচ্চা।
لَمّا رَأَى بَدْرًا تَسِيلُ جِلَاهُهُ
... بِكَتِيبَةِ خَضْرَاءَ مِنْ بَلْخَزْرَجِ
সম্মানিত বদর জিহাদের দিন যখন কাফির মুশরিকরা
দেখতে পেল যে, উপত্যকার কিনারা থেকে খাযরাজ বংশীয় হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা দৌড়ে এগিয়ে আসছেন তখন এই সমস্ত
কাফির মুশরিকরা পালিয়ে গেল।
لَا يَنْكُلُونَ
إذَا لَقُوا أَعْدَاءَهُمْ ... يَمْشُونَ عَائِدَةَ الطّرِيقِ الْمَنْهَجِ
বানূ খাযরাজ উনারা শত্রুর মুকাবিলার সময় কখনও
ভীত-সন্ত্রস্ত হন না এবং জিহাদের ময়দান ছেড়ে অন্য কোন পথ ধরেন না।
كَمْ فِيهُمُ مِنْ مَاجِدٍ ذِي مَنْعَةٍ ... بَطَلٍ بِمَهْلَكَةِ
الْجَبَانِ الْمُحْرَجِ
উনাদের মধ্যে রয়েছেন অনেকই সম্মান ইজ্জতের
অধিকারী, উনারা নিজেদের হিফাযত করতে সক্ষম, আর
উনার সকলে বীর পাহলোয়ান, উনারা কাফির মুশরিকদের ধ্বংসকারী।
وَمُسَوّدٍ
يُعْطِي الْجَزِيلَ بِكَفّهِ ... حَمّالِ أَثْقَالِ الدّيَاتِ مُتَوّجِ
আর উনাদের মধ্যে অনেকেই এমন সাইয়্যিদ তথা
ক্বওমের সরদার যারা স্বহস্তে প্রচুর দানকারী রক্তপণের দায়িত্বভার বহনকারী মর্যাদার
অধিকার।
زَيْنِ النّدِيّ مُعَاوِدٍ
يَوْمَ الْوَغَى ... ضَرْبَ الْكُمَاةِ بِكُلّ أَبْيَضَ سَلْجَجِ
মজলিসের সৌন্দর্য, জিহাদের
সময় বরাবর বীর সেনাদের উপর চকচকে সাদা ধারালো তরবারি দ্বারা উনারা আক্রমণকারী।
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
হাস্সান ইবনে ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আরও বলেছেন,
فَمَا نَخْشَى بِحَوْلِ اللّهِ قَوْمًا ... وَإِنْ كَثُرُوا وَأُجْمِعَتْ
الزّحُوفُ
মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া-ইহসান মুবারকে আমরা
কোন জাতিকে ভয় করি না। যদিও তারা সংখ্যায় অনেক বেশি হয় এবং অনেক দল একত্রিত হয়ে
যায়।
إذَا مَا أَلّبُوا جَمْعًا عَلَيْنَا
... كَفَانَا حَدّهُمْ رَبّ رَءُوفُ
যখন তারা কোন দলকে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের
লক্ষ্যে সমবেত করে, তখন দয়াময় মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের
শক্তির মুকাবিলায় আমাদের জন্য যথেষ্ট তথা আমাদের গায়িবী মদদ করে থাকেন।
সুবাহানাল্লাহ!
سَمَوْنَا
يَوْمَ بَدْرٍ بِالْعَوَالِي ... سِرَاعًا مَا تُضَعْضِعُنَا الْحُتُوفُ
সম্মানিত বদর জিহাদের দিন আমরা উঁচু উঁচু বর্শা
নিয়ে দ্রুত ধেয়ে গেলাম। ইন্তেকাল ও ভয়জরিত
কোন দুর্বলতা আমাদের মাঝে ছিল না। সুবহানাল্লাহ!
فَلَمْ تَرَ عُصْبَةً فِي النّاسِ أَنْكَى ... لِمَنْ عَادُوا إذَا لَقِحَتْ كُشُوفُ
তারপর যখন অনাগ্রহী উটনী অন্তঃসত্তা হয়ে
গেল (কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেল), তখন
তারা আমাদের কাছে এমন পরাস্ত হল যে, তাদের মত এমন পরাস্ত হতে
তুমি হয়ত কাউকেই দেখনি।
وَلَكِنّا
تَوَكّلْنَا وَقُلْنَا ... مَآثِرُنَا وَمَعْقِلُنَا السّيُوفُ
কিন্তু আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তায়াক্কুল
বা ভরসা করলাম এবং বললাম, আমাদের প্রশংসনীয় কাজ এবং আশ্রয়স্থল হল
তরবারী।
لَقِينَاهُمْ
بِهَا لَمّا سَمَوْنَا ... وَنَحْنُ عِصَابَةٌ وَهُمْ أُلُوفُ
আমরা তাদের দূর থেকে দেখে তাদের মুকাবিলা করলাম।
অথচ আমাদের সৈন্য সংখ্যা ছিল অনেক কম। আর তারা ছিল সংখ্যায় এক হাজার।
হযরত হাস্সান ইবনে ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু তিনি বানূ জুমাহর নিন্দায় এবং নিহতদের সম্পর্কে বলেছিলেন,
جَمَحَتْ بَنُو جُمَحٍ لِشِقْوَةِ
جَدّهِمْ ... إنّ الذّلِيلَ مُوَكّلُ بِذَلِيلِ
বানূ জুমাহ তাদের পূর্ব-পুরুষের দুর্ভাগ্যের
কারণে ভাগ্যাহত হয়। নিঃসন্দেহে লাঞ্ছিত ব্যক্তি নিজেকে লাঞ্ছনার হাতেই সপে দেয়।
قُتِلَتْ بَنُو جُمَحٍ بِبَدْرِ عِنْوَةً ... وَتَخَاذَلُوا
سَعْيًا بِكُلّ سَبِيلِ
বানূ জুমাহ সম্মানিত বদর জিহাদের দিন লাঞ্ছিত ও
পরাস্ত হয়েছিল, তারা একে অপরের সাহায্য ছেড়ে যার যার পথে
দ্রুত পালিয়ে গিয়েছিল।
جَحَدُوا الْكِتَابَ
وَكَذّبُوا بِمُحَمّدِ ... وَاَللّهُ يُظْهِرُ دِينَ كُلّ رَسُولِ
তারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে অস্বীকার করেছিল
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
অবিশ্বাস করেছিল আর মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম
উনাদের সম্মানিত দ্বীনকে জয়ী করে থাকেন।
لَعَنَ الْإِلَهُ
أَبَا خُزَيْمَةَ وَابْنَهُ ... وَالْخَالِدَيْنِ وَصَاعِدَ بْنَ عَقِيلِ
মহান আল্লাহ পাক তিনি পরাস্ত করলেন আবূ খুযাইমা
ও তার ছেলেকে। আর খালিদদ্বয় ও সাঈদ ইবনে আকীলকে লাঞ্ছিত করলেন।
হযরত উবাইদা ইবনে
হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কবিতা:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
উবাইদা ইবনে হারিছ ইবনে মুত্তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সম্মানিত বদর
জিহাদে উনার পা কেটে যাওয়া সম্পর্কে বলেন যে, ঐ সময় আমার
পায়ে আঘাত লেগেছিল, যখন সাইয়্যিদুশ শুহাদা আলাইহিস সালাম,
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম ও আমি
শত্রুর মুকাবিলায় বেরিয়েছিলেন।
হযরত উবাইদা ইবনে হারিছ ইবনে মুত্তালিব
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
سَتَبْلُغُ
عَنّا أَهْلَ مَكّةَ وَقْعَةٌ ... يَهُبّ لَهَا مَنْ كَانَ عَنْ ذَاكَ نَائِيَا
অচিরেই পবিত্র মক্কাবাসীদের কাছে আমাদের
সম্পর্কে একটি ঘটনার সংবাদ পৌঁছবে, যা শুনে এ স্থান থেকে
যারা দূরে রয়েছে, তারা বিচলিত হয়ে যাবে।
بِعُتْبَةَ
إذْ وَلّى وَشَيْبَةُ بَعْدَهُ ... وَمَا كَانَ فِيهَا بِكْرُ عُتْبَةَ رَاضِيَا
তিনি উতবা সম্পর্কে বলেন, যখন
সে পালচ্ছিল, তারপর শাইবাও পালাচ্ছিল। আর সে অবস্থা সম্পর্কে
(তাদের কাছে সংবাদ পেীঁছবে) যে অবস্থায় উতবার প্রথম ছেলেটি (ওয়ালীদ) থাকতে রাযী
হয়ে গেল।
فَإِنْ تَقْطَعُوا
رِجْلِي فَإِنّي مُسْلِمٌ ... أُرَجّي بِهَا عَيْشًا مِنْ اللّهِ دَانِيَا
ঐ দিন তারা আমার পা কেটে দেয় তবে তাতে আমার কিছু
আসে যায় না, কেননা আমি তো মুসলমান তথা হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অন্তর্ভূক্ত, তাছাড়া
মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে অচিরেই আমি এক মহান জীবনের আশাবাদী।
مَعَ الْحُورِ أَمْثَالِ
التّمَاثِيلِ أَخَلِصَتْ ... مَعَ الْجَنّةِ الْعُلْيَا لِمَنْ كَانَ عَالِيَا
আর সে জীবন হবে চোখের মণির মত হূরদের সাথে, উনারা
শুধু উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবেন, জান্নাতীদের মধ্যে উনারা
বেমেছাল মর্যাদার অধিকারী হবেন এবং উনাদের জন্য রয়েছেন এসব নাজ নিয়ামত।
সুবহানাল্লাহ!
وَبِعْت بِهَا عَيْشًا تَعَرّقْتُ
صَفْوَهُ ... وَعَالَجْته حَتّى فَقَدْت الْأَدَانِيَا
আমি তা পাওয়ার জন্য এমন এক জীবনকে বিক্রয় করে
দিয়েছি যার স্বচ্ছতা আমার জানা ছিল আর আমি তা পাওয়ার জন্য আশা করছি এবং নিকটতম
বিষয়গুলোকে পরিত্যাগ করেছি।
فَأَكْرَمَنِي
الرّحْمَنُ مِنْ فَضْلِ مَنّهِ ... بِثَوْبِ مِنْ الْإِسْلَامِ غَطّى الْمَسَاوِيَا
আর পরম দয়ালু মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার দয়ায়
আমাকে সম্মানিত দ্বীন ইসলামের পোশাক দান করে সম্মানিত করেছেন যা আমার সকল অন্যায়কে
ঢেকে দিয়েছে।
وَمَا كَانَ مَكْرُوهًا
إلَيّ قِتَالُهُمْ ... غَدَاةَ دَعَا الْأَكْفَاءَ مَنْ كَانَ دَاعِيَا
তাদের সাথে জিহাদ করা আমার অপছন্দ লাগেনি। যেদিন
(তথা সম্মানিত বদর জিহাদের দিন) আহবায়ক নিজ সমপর্যায়ীদেরকে (মুকাবিলার জন্য) আহবান
করেছে।
وَلَمْ يَبْغِ إذْ سَأَلُوا النّبِيّ سَوَاءَنَا
... ثَلَاثَتَنَا حَتّى حَضَرْنَا الْمُنَادِيَا
যখন তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে (মল্লযুদ্ধের) দাবি করল, তখন
তিনি আমাদের তিনজন ছাড়া আর কাউকে তলব করেননি। ফলে আমরা আহবায়কদের কাছে উপস্থিত
হলাম।
لَقِينَاهُمْ
كَالْأُسْدِ تَخْطِرُ بِالْقَنَا ... نُقَاتِلُ فِي الرّحْمَنِ مَنْ كَانَ عَاصِيَا
আমরা বর্শা নিয়ে সিংহের ন্যায় গর্জনের সাথে
তাদের সামনে উপস্থিত হলাম। আর তারা ছিল চরম নাফরমান তথা কাট্টা কাফির। পরম দয়ালু
মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকের জন্যে তাদের সাথে জিহাদ করতে লাগলাম।
فَمَا بَرِحَتْ أَقْدَامُنَا
مِنْ مَقَامِنَا ... ثَلَاثَتِنَا حَتّى أُزِيرُوا الْمَنَائِيَا
এরপর আমরা তিনজনই আপন স্থানেই অনড় থেকে তাদের
মৃত্যুর সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিলাম।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
ইবনে উবাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন পায়ে আঘাত পেলেন তখন বললেন,
أَمَا وَاَللّهِ
لَوْ أَدْرَكَ أَبُو طَالِبٍ هَذَا الْيَوْمَ لَعَلِمَ أَنّي أَحَقّ مِنْهُ بِمَا
শোন! মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আজ আবূ
ত্বালিব থাকলে তিনি ভালোভাবে জানতেন এ কথার আমিই অধিক হক্বদার যা তিনি কোন সময়
বলেছিলেন।
كَذَبْتُمْ
وَبَيْتِ اللّهِ يُبْزَى حَضْرَتْ مُحَمّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ ... وَلَمّا نُطَاعِنْ دُونَهُ وَنُنَاضِلْ
পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তথা পবিত্র কা’বা শরীফ
উনার ক্বসম! তোমরা মিথ্যা বলছো যে, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জোরপূর্বক নেয়া
হয়েছে। আর এখনোতো আমরা উনার হিফাযতের জন্য বর্শা ও তীর নিক্ষেপ করিনি।
وَنُسْلِمُهُ
حَتّى نُصْرَعَ حَوْلَهُ ... وَنَذْهَلُ عَنْ أَبْنَائِنَا وَالْحَلَائِلِ
এটাও মিথ্যা যে, তোমাদের
ধারনা আমরা উনাকে তোমাদের হাতে সপে দেব। নাউযূবিল্লাহ! তোমরা শুনে রাখ, আমরা উনার চারপাশে থেকে খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিব এমন কি আমাদের নিজ
পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতী সকলকে আপনার খিদমত মুবারকে কুরবান
করে দিব।
0 Comments:
Post a Comment