মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্পর্কে এক চরম জাহিল, গ-মূর্খ, মিথ্যাবাদী, মুনাফিক্ব, উলামায়ে সূ’, ধোঁকাবাজ এবং প্রতারকের জিহালতী, মূর্খতা, মিথ্যাচার, ধোঁকা, প্রতারণা ও অপব্যাখ্যার দলীলভিত্তিক দাঁতভাঙ্গা জবাব-১

মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্পর্কে এক চরম জাহিল, গ-মূর্খ,  মিথ্যাবাদী, মুনাফিক্ব, উলামায়ে সূ’, ধোঁকাবাজ এবং প্রতারকের জিহালতী, মূর্খতা, মিথ্যাচার, ধোঁকা, প্রতারণা ও অপব্যাখ্যার দলীলভিত্তিক দাঁতভাঙ্গা জবাব-১

পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1uz112vwrxdz3J288aRPSueGuRbLrXAna

আহমকের ময়লা লাগে তিন জাগায়। আর প্রতিবন্ধী মার্কা এক চরম জাহিল ও গ-মূর্খের ময়লা লাগলো সর্বজাগায়!
অবশেষে প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা প্রমাণ করলো- সে নিজেও জানে না যে, সে কতটা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ। না‘ঊযুবিল্লাহ! শুধু তাই নয়; তার সামান্যতম বিবেক-বুদ্ধিও যে নেই, সেটাও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো। আরো প্রমাণিত হলো যে- আসলেই সে জন্মগত টেরা বা প্রতিবন্ধী। যদি তা না হতো, তাহলে সে শুধু মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্বলিত ইবারত মুবারকখানা না পড়ে, আগে পরে কি আছে তা পড়তো। আর ফিকির করতো যে, অন্যান্য ইবারতগুলোতে তো এরূপ ই’রাব দেয়া হয়নি! যিনি তার একটি মাত্র ভিডিওতে এতোগুলো ভুল ধরেছেন এবং বিশেষ করে মাত্র ৭ লাইনে এক ডজন তথা ১২টি ভুলসহ আরো অন্যান্য ভুল ধরেছেন, তিনি মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্বলিত ইবারত মুবারক উনার মধ্যে যেভাবে ই’রাব দিয়েছেন, অবশ্যই এখানে ব্যাকরণগত কোনো না কোনো নিয়ম-কানুন রয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা তা ফিকির না করে নির্লজ্জ ও বেহায়ার মতো পুনরায় জনগণের সামনে এসে আবারও তার চরম জিহালতী এবং মূর্খতা নিজেই প্রকাশ করলো। সে যে কতোটা চরম জাহিল এবং গ-মূর্খ তা জিন-ইনসানের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। মূলত সে হচ্ছে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায়-
اُولٰـئِكَ كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ
 অর্থ: “তারা চুতষ্পদ জন্তুর (কুকুর, শূকর, শৃগালের) ন্যায়; বরং তাদের চেয়েও বেশি গুমরাহ ও  নির্বোধ। না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭৯) যার কারণে এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা পুনরায় তার চরম জিহালতী এবং মূর্খতা প্রকাশ করেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
মূলত হক্বের বিরোধিতা করলে, আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বিরোধিতা করলে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরোধীতা করলে যে ঈমান, আমল, আক্বীদা, আক্বল-সমঝ, বিবেক-বুদ্ধি সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়, তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা। না‘ঊযুবিল্লাহ!
শুরুতে সে হাস্যকর যে ভুলটা করেছে, সেটা হচ্ছে- সে লিখেছে এক্সলেমেটরী! অথচ শুদ্ধ হবে- ঊীপষধসধঃড়ৎু (এক্সক্ল্যাম্যাটরি)।
তার মতো প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খদের ব্যাপারে বাংলাভাষায় একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে- ‘দেশী কুত্তার বিলাতী ডাক।’ অর্থাৎ বাংলা পারে না, ইংরেজী নিয়ে টানাটানি করে।
কাক যতোই ময়ূর সাজার চেষ্টা করুক না কেন, কাক কখনোই ময়ূর হতে পারে না। তদ্রুপ এই চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা যতোই জ্ঞানী সাজার চেষ্টা করুক না কেন; সবসময় তার থেকে জিহালতী এবং মূর্খতাই প্রকাশ পাবে এটাই স্বাভাবিক। এখানেও তাই হয়েছে।
দেখুন, সে কত বড় চরম জাহিল ও গ-মূর্খ! সে লিখেছে, “নিম্নের আরবি এবারত খানা রাজারবাগী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার। (!) এক্সলেমেটরী বা (?) প্রশ্নবোধক চিহ্ন গুলো আমার দেয়া। তাদের পত্রিকায় এভাবেই হরকত দিয়ে এটি ছাপিয়েছে। এর মধ্যে হরকতের স্থলে জজম, কোন ক্ষেত্রে হামযা অছলের উপর হরকত দেয়া, কোথাও জমার শব্দ ইচ্ছেমত ব্যবহার করা, কোথাও শব্দ বিকৃত করা, আবার তরিকার নামটিও ইচ্ছামত ব্যবহার করা ইত্যাদি দূষে দূষিত।” লা’নাতুল্লাহি আলাইকা ইয়া আয়্যুহাল জাহিল! 
এর জবাবে বলতে হয় যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সারা পৃথিবী থেকে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষার এবং বিভিন্ন শ্রেণীর শত শত, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ লোক (জিন-ইনসান) বাইয়াত গ্রহণ করে থাকে। সকলে যেন সহজে এবং সুন্দরভাবে মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক উচ্চারণ করতে পারেন, সে কারণে মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অল্প অল্প করে, সহজ করে, ঘন ঘন ওয়াক্ফ করে বাইয়াত মুবারক করিয়ে থাকেন। এটা অবশ্যই জায়েয রয়েছে। এর দৃষ্টান্ত কিতাবাদিতে অনেক রয়েছে। এটা তো আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ না, যে নির্দিষ্ট জায়গায় ওয়াক্বফ করতে হবে।
আর মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেভাবে মহাসম্মানিত বাইয়াত মুবারক করিয়ে থাকেন, আমি হেকায়াতান এখানে সেভাবে ই’রাব দিয়েছি। এটা আরবী ব্যাকরণেরই একটি নিয়ম। জায়েয তো অবশ্যই, সেটা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। যারা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ তাদের এই নিয়মটি জানা নেই। 
এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্বলিত ইবারতখানা বুঝতে না পারার মূল কারণ হচ্ছে- প্রথমত সে কঠিন লা’নতগ্রস্ত। আর দ্বিতীয়ত সে একটা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ। মূলত মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্বলিত ইবারতে আমি ই’রাবে হিকায়ী অনুযায়ী ই’রাব দিয়েছি এবং লফ্য বা শব্দ মুবারকগুলোও হিকায়ী হিসেবে গ্রহণ করেছি। এরকম হিকায়ী ই’রাব প্রদান করা এবং হিকায়ী লফ্য গ্রহণ করার অনেক উদাহরণ কিতাবাদিতে রয়েছে। ইলমুল আরূযের কারণে যেমন ই’রাব এবং লফ্য পরিবর্তন হয়ে যায়, তেমনি হিকায়ী ই’রাব এবং লফ্য উল্লেখ করার কারণেও ই’রাব এবং লফ্য পরিবর্তন হয়ে যায়।
ই’রাবে হিকায়ী-এর উদাহরণ হচ্ছেন, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মু’মিনূন শরীফ (سُوْرَةُ الْـمُؤْمِنُوْنَ), সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মুনাফিকূন শরীফ (سُوْرَةُ الْـمُنٰفِقُوْنَ) এবং সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাফিরূন শরীফ (سُوْرَةُ الْكٰفِرُوْنَ)। এখানে سُوْرَةُ (সূরাতু) লফ্য মুবারকখানা মুদ্বাফ, আরاَلْمُؤْمِنُوْنَ  (আল মু’মিনূনা), اَلْـمُنٰفِقُوْنَ (আল মুনাফিকূনা) এবং اَلْكٰفِرُوْنَ (আল কাফিরূনা) লফ্য মুবারক তিনখানা মুদ্বাফ ইলাইহি। মুদ্বাফ ইলাইহি হিসেবে লফ্য মুবারক তিনখানা মাজরূর হওয়ার কারণেاَلْمُؤْمِنِيْـنَ  (আল মু’মিনীনা), اَلْـمُنٰفِقِيْـنَ (আল মুনাফিক্বীনা) এবং اَلْكٰفِرِيْنَ (আল কাফিরীনা) হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা না হয়েاَلْمُؤْمِنُوْنَ  (আল মু’মিনূনা), اَلْـمُنٰفِقُوْنَ (আল মুনাফিকূনা) এবং اَلْكٰفِرُوْنَ (আল কাফিরূনা) হয়েছে। কারণ হচ্ছে- এই সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শরীফ তিনখানা উনাদের নামকরণ করার ক্ষেত্রে উক্ত সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শরীফ তিনখানা উনাদের মধ্য থেকে হুবহু লফ্য মুবারক নিয়ে উক্ত সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শরীফ তিনখানা উনাদের নামকরণ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা এবং তার সমমনা জাহিলগুলো জীবনে কখনও হয়তো হিকায়ী ই’রাবের নামও শুনেনি। যদি শুনতো, তাহলে সে বলতো না- ‘প্রায় ২৮টি ছোট বড় ভুল রয়েছে এখানে। আরবি ভাষায় পারদর্শী বন্ধুরা  ইনবক্সে আসনু।’ অতঃপর এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা এবং তার সমমনা জাহিলগুলো সমস্বরে ভুল পেয়েছি বলে শিয়ালের ন্যায় হুক্কা হুয়া স্বরে চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করে দিতো না। আসলে জাহিলের বন্ধু যে জাহিলরাই হয়ে থাকে, তার প্রমাণ হচ্ছে সদরুশ শয়তান লা’নাতুল্লাহি আলাইহি এবং তার সমমনা ও সমগোত্রীয় লা’নাতুল্লাহি আলাইহিম আজমা‘ঈনগুলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! 
এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটার আরবী পারদর্শী বন্ধুদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সে যে কত বড় চরম জাহিল ও গ-মূর্খ তা ভাষায় প্রকাশ করা কখনও সম্ভব নয়। না‘ঊযুবিল্লাহ!
    সে লিখেছে, ‘কোথাও জমা শব্দের ইচ্ছামত ব্যবহার’। তারপর সে মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্বলিত ইবারত মুবারক উনার طَرِيْــقَاتٍ (ত্বরীক্বা̄তিন) এই শব্দ মুবারকখানা চিহ্নিত করেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
এর জবাবে বলতে হয় যে, অবশ্যই সে একটা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ এবং তার সমমনা যারা আছে তারাও চরম জাহিল ও গ-মূর্খ তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তারা কয়েকটা অভিধান দেখেছে, যেখানে طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচন طَرِيْــقَاتٌٌ (ত্বরীক্বা̄তুন) উল্লেখ করা হয়নি। যার কারণে এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা এবং তার সমমনা চরম জাহিল ও গ-মূর্খগুলো শিয়ালের মতো হুক্কা হুয়া ডাক দিয়ে চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে যে, ‘কোথাও জমা শব্দের ইচ্ছামত ব্যবহার’। এ কথা দ্বারা সে এবং তার সমমনা চরম জাহিল ও গ-মূর্খগুলো বুঝাতে চেয়েছে যে, طَرِيْــقَاتٍ (ত্বরীক্বা̄তিন) লেখাটা ভুল হয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! কুয়ার ব্যাঙ কুয়াকেই মহাসমুদ্র মনে করে থাকে। এসব চরম জাহিল ও গ-মূর্খদের অবস্থাও ঠিক তাই হয়েছে। ফলে তাদের জানা নেই যে, طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচন طَرِيْــقَاتٌٌ (ত্বরীক্বা̄তুন) ব্যবহার করা অবশ্যই জায়েয রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যাঁদের নাম শুনলে এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা এবং তার সমগোত্রীয় যারা রয়েছে, তারা দিনে হাজার বার নমো নমো করবে এবং গুরু গুরু বলতে বলতে মুখের ছাল-বাকলা তুলে ফেলবে, সেই জগৎবিখ্যাত হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাই উনাদের স্বীয় কিতাবে طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচন طَرِيْــقَاتٌٌ (ত্বরীক্বা̄তুন) ব্যবহার করা জায়েয বলেছেন এবং ব্যবহারও করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন-
(১) জগৎবিখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ আল্লামা হযরত ইমাম আবূ হাইয়্যান মুহম্মদ ইবনে ইঊসুফ ইবনে ‘আলী ইবনে ইঊসুফ ইবনে হাইয়্যান আছীরুদ্দীন আন্দালুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৭৪৫ হিজরী শরীফ) তিনি উনার সর্বজনমান্য ও বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরুল বাহ্রিল মুহীত্ব’ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ্- বইরূত লেবানন থেকে প্রকাশিত) উনার ২য় খ-ের ৩১৬-৩১৭ পৃষ্ঠায় বলেন, 
قَوْلُهٗ تَعَالـٰى {سَبْعَ طَرَآاِقَ} وَ{سَبْعَ لَيَالٍ} وَلَـمْ يَقُلْ طَرِيقَاتٌ وَلَا لَيْلَاتٌ وَإِنْ كَانَ جَائِزًا فِـىْ جَمْعِ طَرِيْقَةٍ وَلَيْلَةٍ.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক- ‘ سَبْعَ   طَرَائِقَ (সাব্‘আ ত্বরাইক্বা) সাত রাস্তা’ এবং ‘ سَبْعَ لَيَالٍ (সাব্‘আ লায়ালিন) সাত রাত্রি’। মহান আল্লাহ পাক তিনি طَرِيْقَاتٌ (ত্বরীক্বা̄তুন) এবং لَيْلَاتٌ  (লাইলা̄তুন) বলেননি। যদিও طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) এবং لَيْلَةٌ (লাইলাতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচনطَرِيْــقَاتٌ  (ত্বরীক্বা̄তুন) এবংلَيْلَاتٌ  (লাইলা̄তুন) ব্যবহার জায়েয রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরুল বাহরিল মুহীত্ব ২/৩১৬-৩১৭)
সুতরাং জগৎবিখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ আল্লামা হযরত ইমাম আবূ হাইয়্যান মুহম্মদ ইবনে ইঊসুফ ইবনে ‘আলী ইবনে ইঊসুফ ইবনে হাইয়্যান আছীরুদ্দীন আন্দালুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই বক্তব্য দ্বারা অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচনطَرِيْــقَاتٌ  (ত্বরীক্বা̄তুন) ব্যবহার করা অবশ্যই জায়েয রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
শুধু তাই নয়; আরো অন্যান্য জগৎবিখ্যাত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও উনাদের কিতাবসমূহে অনুরূপ বলেছেন।
(২) জগৎবিখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ আল্লামা হযরত ইমাম আবূ ত্বালিব মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে ‘আত্বীয়্যাহ্ হারিছী মাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৩৮৬ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘কূতুল কুলূব ফী মু‘আমিলাতিল মাহ্বূব’ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ্- বইরূত লেবানন থেকে প্রকাশিত) উনার ২য় খ-ের ৮৭ পৃষ্ঠায় طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচনطَرِيْــقَاتٌ  (ত্বরীক্বা̄তুন) ব্যবহার করেছেন। যেমন তিনি উল্লেখ করেছেন-
فَهٰذِهٖ طَرِيْقَاتُ الْـمُحِبِّيْنَ له عن كشوف اطلاعه لهم من عين اليقين.
(৩) জগৎবিখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ আল্লামা হযরত ইমাম ত্বীবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৭৪৩ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘ফুতূহুল গইব ফিল কাশফি ‘আন ক্বিনাইর রইব’ উনার ১৬তম খ-ের ৫৪২ পৃষ্ঠায় طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচনطَرِيْــقَاتٌ  (ত্বরীক্বা̄তুন) ব্যবহার করেছেন। যেমন তিনি উল্লেখ করেছেন-
قوله (خُذا بطن هَرشى) البيت هَرشى عقبة في طريق مكة قريبة من الجُحفة لَـهَا طَرِيْقَاتٌ يخاطب صاحبيه. 
(৪) জগৎবিখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ আল্লামা হযরত ইমাম শিহাবুদ্দীন আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে ‘ঈসা আল বারনাসী আল ফাসী আল মা’রূফ বির্যারূক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৮৯৯ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘শারহু র্যারূক্ব ‘আলা মাত্নির রিসালাহ্’ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ্- বইরূত লেবানন থেকে প্রকাশিত) উনার ১ম খ-ের ১১ পৃষ্ঠায় طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচনطَرِيْــقَاتٌ      (ত্বরীক্বা̄তুন) ব্যবহার করেছেন। যেমন তিনি উল্লেখ করেছেন-
وَرُبَـمَا ذُكِرَتْ طَرِيْقَاتٌ مِنْ اختصار الشيخ الصالح أبي محمد الشبيبي لشرح الشيخ تاج الدين بن الفاكهاني وذلك في الأوائل.
(৫) জগৎবিখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ আল্লামা হযরত ইমাম আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে ‘আরাফাহ্ আল ওয়ারগ¦মী আত্ তূনুসী মালিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৮০৩ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল মুখতাছারুল ফিক্বহী’ উনার ৩য় খ-ের ২৩ পৃষ্ঠায় طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচনطَرِيْــقَاتٌٌ  (ত্বরীক্বা̄তুন) ব্যবহার করেছেন। যেমন তিনি উল্লেখ করেছেন-
ابن رُشْد لا بأس أن يستعار منهم السلاح ولو استعين بهم ففي الإسهام لَـهُمْ طَرِيْقَاتٌ
এছাড়া বিশ্বখ্যাত আরো অনেক কিতাবে طَرِيْقَةٌ (ত্বরীক্বতুন) শব্দের জমা’ বা বহুবচনطَرِيْــقَاتٌٌ  (ত্বরীক্বা̄তুন) ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা এবং তার সমমনা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিম আজমা‘ঈনগুলো তাহ্ক্বীক্ব না করে, কয়েকটা বই পড়ে শিয়ালের মতো হুক্কা হুয়ার ডাক দিয়ে নিজেদের চরম জিহালতী ও মূর্খতা নিজেরই প্রকাশ করেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
আর আমি যে আমার আলোচনায় এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটার ভুল ধরেছিলাম, এ বিষয়ে সে লিখেছে, সে নাকি ঘুম চোখে (অচেতন অবস্থায়) ভিডিও করেছে, সেজন্য তার ভুল হয়েছে। আরো লিখেছে যে, ভিডিও তো সেজন্য সে এডিট করতে পারেনি। এক মিথ্যাকে ঢাকার জন্য হাজার মিথ্যার আশ্রয় নিলেও মিথ্যাটা মিথ্যাই থাকবে, মিথ্যাটা কখনোই সত্য হবে না। আচ্ছা, যা হোক; এখন তো চোখ খোলার কথা। তাহলে এখন কোন চোখে লিখেছে? এখন ভুল হলো কেন? এখন কি টেরা চোখে লিখেছে? না কি আবারোও ঘুম চোখে (মাতাল অবস্থায়) লিখেছে?  আচ্ছা; ধরে নিলাম যে, সে এবারও ঘুম চোখে (মাতাল অবস্থায়) বা টেরা চোখে এ্যাবরো-থ্যাবরো দেখে লিখেছে, যার কারণ তার আবারও ভুল হয়েছে। কিন্তু এবার তো তার এডিট করার সুযোগ ছিলো। এবার তো আর ভিডিও না। তাহলে ভুল করলো কেন? তাহলে স্পষ্টভাবেই বুঝা যাচ্ছে যে, এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা সবসময়ই ঘুম চোখে অচেতন (মাতাল)  অবস্থায় থাকে। যার কারণে সবসময় সে ভুল করে। যারা এরূপ সবসময়ই ঘুম চোখে অচেতন (মাতাল) অবস্থায় থাকে, তাদের ফতওয়া মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে আদৌ গ্রহণযোগ্য না। অবশ্য দাজ্জালের টেরা চোখের মাতলামী ফতওয়া, দাজ্জালের অনুসারীদের নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তাহলে এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা কি নিজেকে প্রমাণ করলো যে, সে একটা টেরা চোখা, প্রতিবন্ধী মার্কা মাতাল দাজ্জাল এবং তার সাথে যারা শিয়ালের ন্যায় হুক্কা হুয়া বলে চিৎকার, চেঁচামেচি করে উঠেছে, তারা হচ্ছে একটা টেরা চোখা, প্রতিবন্ধী মার্কা মাতাল দাজ্জালের চেলা? না‘ঊযুবিল্লাহ!
তার মতো নির্লজ্জ ও বেহায়াদের ব্যাপারে বাংলা ভাষায় একটি আঞ্চলিক প্রবাদ বাক্য রয়েছে, ‘বেহায়ারে মারে পিছা, বেহায়া কয় হাছা মিছা।’
তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ নির্লজ্জ ও বেহায়ার মতো- যাকে গাছের সাথে বেঁধে শত শত লোকের সামনে অসংখ্য জুতা পিটা করা হয়েছে। তারপরেও সে বলে, সমস্যা কি আমার তো মান-ইজ্জত যায়নি। গাছের সাথে বেঁধে সবার সামনে জুতা দিয়ে মাত্র কয়েকটি পিটা দিয়েছে। তাতে কি হয়েছে? আসলে এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটার মান-ইজ্জতই নেই। মান-ইজ্জত থাকলে তো যাবে। না থাকলে যাবে কি?
মহান আল্লাহ পাক তিনি এই শ্রেণীর চরম জাহিল ও গ-মূর্খ দাজ্জালে কায্যাবদের থেকে সবাইকে হিফাযত করুন। আমীন!
তারপর এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা লিখেছে, ‘কোথাও শব্দ বিকৃত করা’। এ কথা দ্বারা সে কি বুঝিয়েছে, তা অস্পষ্ট। কিন্তু আমি যখন তার ভুল ধরেছিলাম, তখন আমি স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছিলাম যে, কোন্টি ভুল হয়েছে, কি কারণে ভুল হয়েছে এবং এর শুদ্ধ কোন্টি। কিন্তু সে এরূপ করেনি। এর মাধ্যমেও অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, সে এবং তার সমগোত্রীয়রা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ। যদি এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটার ইলমের জোর থাকতো, তাহলে সে অবশ্যই আমার মতো প্রত্যেকটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতো। কিন্তু সে এটা করেনি। তার যদি হিম্মত থাকে, তাহলে সে প্রত্যেকটি বিষয় স্পষ্ট করুক। আমি তার প্রত্যেকটি বিষয়ের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবো। ইনশাআল্লাহ!
তারপর এই চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা লিখেছে, ‘তরিকার নামটিও ইচ্ছামতো ব্যবহার করা’। আর সে মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্বলিত ইবারত মুবারক উনার وَالْچِشْتِيَّةْ (ওয়াল চিশতিয়্যাহ্) উনার মধ্যে ‘چِ (চে)’ অক্ষরে চিহ্ন দিয়েছে। এর মাধ্যমে সে আবারো প্রমাণ করেছে যে, আসলেই সে একটা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ। ‘چِ (চে)’ অক্ষরে চিহ্ন দিয়ে প্রথমত সে বুঝিয়েছে যে, মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক উনার মধ্যে ‘چِ (চে)’ অক্ষর ব্যবহার করে وَالْچِشْتِيَّةْ (ওয়াল চিশতিয়্যাহ্) লেখা শুদ্ধ হয়নি। আর দ্বিতীয়ত সে আরো একটি বিষয় বুঝাতে চেয়েছে যে, আরবী বাক্যে ‘উর্দূ ও ফার্সী’ অক্ষরের ব্যবহার করা শুদ্ধ হয়নি। না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ আরবীতেও যে وَالْچِشْتِيَّةْ (ওয়াল চিশতিয়াহ্) লেখা বা বলা এবং আরবী বাক্যে ‘উর্দূ ও ফার্সী’ অক্ষর ব্যবহার করা অবশ্যই ছহীহ্-শুদ্ধ এ ধারণাটাই তার নেই। কতো বড় চরম জাহিল ও গ-মূর্খ সে!
আরবীতেও যে وَالْچِشْتِيَّةْ (ওয়াল চিশতিয়াহ্) লেখা বা বলা এবং আরবী বাক্যে ‘উদূ ও ফার্সী’ শব্দের ব্যবহার অবশ্যই ছহীহ্-শুদ্ধ এ বিষয়ে কিছু উদাহরণ পেশ করা হলো। যেমন-
(১) নক্বশাবন্দিয়া তরীক্বাহ্ উনার বিশিষ্ট বুযূর্গ (জাহিলটার বক্তব্য অনুযায়ী নক্বশাবন্দী তরীক্বার একজন ইমাম) আল্লামা হযরত কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত এবং সর্বজনমান্য তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে মাযহারী শরীফ’ উনার ৩য় খ-ের ৩৬২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, 
وَلَعَلَّ الصُّوْفِيَّةَ الْچِشْتِيَّةَ قَدَّسَ اللهُ تَعَالـٰى اَسْرَارَهُمْ
 (২) সাইয়্যিদ ‘আলী মীলানী উনার বিশ্বখ্যাত আরবী কিতাব ‘নাফ্হাতুল আয্হার’ উনার ১৯তম খ-ের ৩৯৮ নং পৃষ্ঠায় الچشتية (আল চিশতিয়্যাহ) শব্দটি উল্লেখ রয়েছে। যেমন- 
مِنَ الْچِشْتِيَّةِ بشعبها.
(৩) শু‘আইব আফেন্দী বিন ইদরীস আল বাক্কানী (ইন্তিকাল ১৩৩০ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত আরবী কিতাব ‘ত্ববাক্বাতুল খ¦ওয়াজাকানিন নাক্বশাবান্দিয়্যাহ্ ওয়া সাদাতিল মাশাইখিল খ¦ালিদিয়্যাতিল মাহ্মূদিয়্যাহ্’ উনার মধ্যে ১০ স্থানে الچشتية (আল চিশতিয়্যাহ) শব্দটি উল্লেখ করেছেন এবং ১ স্থানে الچشتي (আল চিশতী) শব্দটি উল্লেখ করেছেন । 
(৪) খ¦াতিমাতুল মুরশিদীনাল কামিলীন, ইমামুল ‘উলামাইল ‘আমিলীন, ক্বুদওয়াতুল আউলিয়াইল ওয়াছিলীন, শায়েখ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ নাক্বশাবান্দী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১২৭৯ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত আরবী কিতাব ‘কিতাবুল বাহ্জাতিস সুন্নিয়্যাহ্’ উনার ৪ স্থানে الچشتية (আল চিশতিয়্যাহ্) শব্দটি উল্লেখ করেছেন এবং ১ স্থানে الچشتي (আল চিশতী) শব্দটি উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
(৫) ‘নুয্হাতুল খ¦ওয়াত্বির ওয়া বাহ্জাতুল মাসামি’ ওয়ান নাওয়াযির’ কিতাবের ৪র্থ খ-ের ২৭০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
كَانَ مِنَ الْـمَشَايِخِ الْـمَشْهُوْرِيْنَ فِـى الطَّرِيْقَةِ الْچِشْتِيَّةِ.
(৬) ‘নুয্হাতুল খ¦ওয়াত্বির ওয়া বাহ্জাতুল মাসামি’ ওয়ান নাওয়াযির’ কিতাবের ৩য় খ-ের ১২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
اَلشَّيْخُ الصَّالِحُ الْفَقِيْهُ اَحْمَدُ بْنُ مَـحْمُوْد اَلْـحُسَيْنِـىُّ الْعَرِيْضِىُّ النَّهْرَوَالِـىُّ الْگُجْرَاتِىُّ اَحَدُ الْـمَشَايِخِ الْچِشْتِيَّةِ وُلِدَ وَنَشَاَ بِاَرْضِ گُجْرَات وَقَرَاَ الْعِلْمَ عَلـٰى عَمِّهِ الشَّيْخِ حُسَيْنِ بْنِ عُمَرَ الْعَرِيْضِىِّ الْغِيَاثْبُوْرِىِّ ثُـمَّ الْگُجْرَاتِـىِّ
বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, উপরোক্ত আরবী ইবারতে الچشتية (আল চিশতিয়্যাহ্) শব্দটি একবার উল্লেখ করাসহ দুই বার الگجراتى (আল গুজরাতী) এবং একবার گجرات (গুজরাত) শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে।
(৭) হিন্দুস্তানের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক এবং ১৪শত হিজরী শতকের বিশ্বখ্যাত লেখক আল্লামা সাইয়্যিদ আব্দুল হাই ইবনে ফখরুদ্দীন ইবনে আলী হাসানী তিনি উনার আরবী ভাষায় লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আছ ছাক্বাফাতুল ইসলামিয়্যাহ্ ফিল হিন্দ’ নামক কিতাবে الچشتية (আল চিশতিয়্যাহ্) শব্দটি ২৪ বার লিখেছেন, الچشتي (আল চিশতী) শব্দটি ১৭ বার লিখেছেন। এছাড়াও তিনি উনার উক্ত আরবী কিতাবে উর্দূ ও ফার্সী ভাষায় ব্যবহৃত پ (পে) অক্ষরটি প্রায় ৬৮৫ বার, چ (চে) অক্ষরটি প্রায় ১৬৯ বার এবং گ (গাফ) অক্ষরটি প্রায় ৭৬৮ বার ব্যবহার করেছেন। নি¤েœ কয়েকটি নমুনা দেয়া হলো-
پ (পে) অক্ষরের ব্যবহার: 
عيسى بن القاسم السندي البرهانپوري - عبد الله الغازيپوري - صادق محمد خان البهاولپوري - الزيدپوري - سكندر علي خان الخالصپوري - أبي الحسن بن القاضي عبد العزيز البيجاپوري - وسفينة البلاغة للشيخ محمد زمان الشاهجهانپوري 
گ (গাফ) অক্ষরের ব্যবহার:  
الشيخ وجيه الدين العلوي الگجراتي (১)
 (২)وشرح الإرشاد لأبي الخير بن المبارك الناگوري 
এছাড়াও বিশ্বখ্যাত আরবী কিতাব ‘ত্ববাক্বাতুল খ¦ওয়াজাকানিন নাক্বশাবান্দিয়্যাহ্ ওয়া সাদাতিল মাশাইখিল খ¦ালিদিয়্যাতিল মাহ্মূদিয়্যাহ্’ উনার মধ্যে উর্দূ ও ফার্সী ভাষায় ব্যবহৃত پ (পে) অক্ষরটি ৫৬ বার উল্লেখ রয়েছে। নি¤েœ উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি উল্লেখ করা হলো, 
پارسا - پير -كاسپان -الشيخ الكاسپاني - لما جئت إلى رمپور - الشيخ خليل پاشا - أقول جئت بثناء االله الپاني پتي.
এছাড়া আরবী ভাষায় লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘কিতাবুল বাহ্জাতিস সুন্নিয়্যাহ্ এবং আস সা‘আদাতুল আবাদিয়্যাহ্’ এই দুখানা কিতাবসহ আরো বহু কিতাবে আরবীতে ‘ফার্সী ও উর্দূ’ ভাষায় ব্যবহৃত گ (গাফ), پ (পে) ও چ (চে) অক্ষরগুলো অসংখ্য বার ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো কিতাবে ٹ (টে) অক্ষরও ব্যবহার করা হয়েছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় এখানেই শেষ করলাম।
সুতরাং মহাসম্মানিত আরবী বাইয়াত মুবারক সম্বলিত ইবারতে যে, وَالْچِشْتِيَّةْ (ওয়াল চিশতিয়্যাহ্) লেখা হয়েছে, এটা অবশ্যই জায়েয রয়েছে। আরবীতে এরূপ ব্যবহার হয়ে থাকে। কিতাবাদিতে এরূপ অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। অনুরূপভাবে মহাসম্মানিত আরবী বায়াত মুবারক উনার মধ্যে وَالْمُجَدِّدِ الْعَالِيَةْ (ওয়াল মুজাদ্দিদিল ‘আলিয়াহ্) সহ আরো যা কিছু উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যেকটিই লেখা অবশ্যই জায়েয ও শুদ্ধ। সুবহানাল্লাহ! কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় এখানেই ইতি টানলাম। জ্ঞানীদের জন্য ইশারা-ইঙ্গিতই যথেষ্ট।
সুতরাং এখান থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, এই প্রতিবন্ধী মার্কা লোকটা একটা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ। যার আরবী ভাষা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞানও নেই। সারা জীবন চাপাবাজী করে এবং ফাঁকিঝুকি দিয়ে সময় কাটিয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
 সে লিখেছিলো, “নিম্নের আরবি এবারত খানা রাজারবাগী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার। (!) এক্সলেমেটরী বা (?) প্রশ্নবোধক চিহ্ন গুলো আমার দেয়া। তাদের পত্রিকায় এভাবেই হরকত দিয়ে এটি ছাপিয়েছে। এর মধ্যে হরকতের স্থলে জজম, কোন ক্ষেত্রে হামযা অছলের উপর হরকত দেয়া, কোথাও জমার শব্দ ইচ্ছেমত ব্যবহার করা, কোথাও শব্দ বিকৃত করা, আবার তরিকার নামটিও ইচ্ছামত ব্যবহার করা ইত্যাদি দূষে দূষিত।” লা’নাতুল্লাহি আলাইকা ইয়া আয়্যুহাল জাহিল!
এর জবাবে বলতে হয় যে, এই প্রতারকটা তো কল্পনাতীত চরম জাহিল ও গ-মূর্খ। আরবী ক্বাওয়াইদ সম্পর্কে তো তার ইলমই নেই। আরবী ক্বাওয়াইদ বললে, এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটার ও তার সমগোত্রীয় বালহুম আদ্বল্লগুলোর ধারণ করার যোগ্যতাও নেই। তাই তার উপরোক্ত জিহালতীর জবাবে তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে ছাপানো একটি আরবী কিতাব থেকে নি¤েœাক্ত আরবী ইবারতখানা অবিকল তুলে ধরলাম। আশা করি- তার ও তার সমমনা টেরা চোখা, মাতাল দাজ্জালদের শিয়ালের ন্যায় হুক্কা হুয়া চিৎকার, চেঁচামেচি বন্ধ হবে- 
اِمَامِنَا وَ اِمَامِ الطَّرِيقَةِ وَ غَوْثِ الْخَلِيقَةِ وَ شَمْسِ فَلَكِ الْحَقِيقَةِ ذِي الْفَيْضِ ن الْجَارِي وَ النُّورِ السَّارِي اَلشَّيْخْ بَهَاءِ الْحَقِّ وَ الْحَقِيقَةِ وَ الدِّينِ اَلشَّيْخْ مُحَمَّدِ اْلاُوَيْسِيِّ الْبُخَارِي اَلْمَعْرُوفِ بِشَاهِ نَقْشِبَنْدْ قَدَّسَ اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزِيزْ وَ اِلَى رُوحِ سُلْطَانِ اْلاَوْلِيَاءِ بُرْهَانِ اْلاَصْفِيَاءِ نَجْلِ الْحَسَنَيْنِ نُورِ الْخَافِقَيْنِ اَبِي مُحَمَّدٍ مُحْييِ الدِّينِ اَلْغَوْثِ اْلاَعْظَمْ اَلشَّيْخْ عَبْدِ اْلقَادِرِ الْجَيْلاَنِي قَدَّسَ اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزيِزْ وَ اِلَى رُوحِ مَنْبَعِ الْمَعَارِفِ وَ الْكَمَالْ سَيِّدِ السَّادَاتِ اَلشَّيْخْ اَلسَّيِّدْ اَمِيرْ كُلاَلْ قُدِّسَ سِرُّهُ وَ اِلَى رُوحِ الْمُقْبِلِ عَلَيْكَ وَ لِمَا سِوَاكَ النَّاسِي اَلشَّيْخْ مُحَمَّدْ بَابَا السَّمَّاسِي قُدِّسَ سِرُّهُ وَ اِلَى رُوحِ الْوَالِهِ فِي مَحَبَّةِ مَوْلاَهُ الْغَنِي اَلْمَعْرُوفِ بِحَضْرَتِ عَزِيزَانْ اَلشَّيْخْ خَواجَه عَلِيٍّ الرَّامِيتَنِي قُدِّسَ سِرُّهُ وَ اِلَى رُوحِ الْمُعْرِضِ عَنِ الْمُرَادِ الدُّنْيَوِيِّ وَ اْلاُخْرَوِيِّ اَلشَّيْخْ مَحْمُودٍ اْلاِنْجِيرْ فَغْنَوِي قُدِّسَ سِرُّهُ وَ اِلَى رُوحِ الْمُتَسَلِّقِ عَنِ الْحِجَابِ الْبَشَرِي اَلشَّيْخْ عَارِفِ الرِّيوَگَرِي قُدِّسَ سِرُّهُ وَ اِلَى رُوحِ الْمَحْبُوبِ السُّبْحَانِي شَيْخِ الْمَشَايِخِ اَلشَّيْخْ عَبْدِ الْخَالِقِ الْغُجْدَوَانِي قُدِّسَ سِرُّهُ وَ اِلَى رُوحِ الْقُطْبِ الرَّبَّانِي اَلْغَوْثِ الصَّمَدَانِي اَلْهَيْكَلِ النُّورَانِي اَلشَّيْخْ اَحْمَدَ الْفَارُوقِي السَّرْهَنْدِي اَلْمَعْرُوفِ بِاْلاِمَامِ الرَّبَّانِي مُجَدِّدِ اْلاَلْفِ الثَّانِي قَدَّسَ اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزِيزْ وَ اِلَى رُوحِ قُطْبِ دَائِرَةِ اْلاِرْشَادِ غَوْثِ الثَّقَلَيْنِ عَلَى السَّدَادِ اَلسَّائِرِ فِي االلهِ الرَّاكِعِ السَّاجِدِ الْمُجَاهِدِ ذِي الْجَنَاحَيْنِ حَضْرَتِ ضِيَاءِ الدِّينِ مَوْلاَنَا اَلشَّيْخْ خَالِدْ قَدَّس اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزِيزْ وَ اِلَى رُوحِ مَنْبَعِ الْحِلْمِ وَ نُورِ الظَّلاَمِ اَلْهَادِي بَيْنَ الْعَشَائِرِ وَ اْلاَقْوَامِ حَضْرَتِ سِرَاجِ الدِّينِ مِنْ خَلَفِ سَيِّدِ اْلاَنَامِ اَلشَّيْخْ اَلسَّيِّدْ عَبْدِ االلهْ قَدَّسَ اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزِيزْ وَ اِلَى رُوحِ شَيْخِنَا الْغَيُّورِ الَّذِي بِهِ نَتَبَاهَى مَوْلاَناَ الْوَقُورْ قُطْبِ اْلاِرْشَادِ وَ الْمَدَارْ حَضْرَةِ شِهَابِ الدِّينْ اَلشَّيْخْ اَلسَّيِّدْ طَهَ قَدَّسَ اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزِيزْ وَ اِلَى رُوحِ كَهْفِ الْمُرِيدِينَ شَمْسِ الْوَاصِلِينَ مَلاَذِ الْغُرَبَاءِ وَ مَلْجَإِ الْمَسَاكِينِ ذِي الْفَيْضِ الطَّافِحْ وَ النُّورِ اللاَئِحْ اَلنَّاجِي الْفَائِزِ الْفَالِحْ مَوْلاَنَا اَلشَّيْخْ اَلسَّيِّدْ مُحَمَّدْ صَالِحْ قَدَّسَ اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزِيزْ وَ اِلَى رُوحِ شَيْخِنَا الْوَلِيِّ الْحَلِيمْ مَصْدَرِ الْحُضُورِ وَ النَّسْبَةِ وَ الْفَيْضِ الْعَمِيمِ مِثْلِ الصَّحَابَةِ فِي زَمَنِ جَدِّهِ النَّبِيِّ الرَّسُولِ الْكَرِيمِ مَوْلاَنَا اَلشَّيْخْ اَلسَّيِّدْ فَهِيمْ قَدَّسَ اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزِيزْ وَ اِلَى رُوحِ شَيْخِنَا الْمُهَاجِرِ الْغَرِيبْ اَلْمَظْلُومِ الشَّهِيدِ سُلْطَانِ الْعَاشِقِينَ دَلِيلِ الْوَاصِلِينَ مَلاَذِ الطَّالِبِينَ مَلْجَإِ السَّالِكِينَ خَاتِمَةِ سِلْسِلَةِ الْعَلِيَّةِ النَّقْشِبَنْدِيَّةِ اَلنَّاشِرِ لِلاَحْكَامِ اْلاِسْلاَمِيَةِ عِنْدَ شِدَّةِ اْلكُفْرِ وَ الضَّلاَلِ وَ اْلاِرْتِدَادْ كَأَنَّهُ بُنْيَانٌ مَرْصُوصٌ مَنْظُورِ نَظَرِ پِيرَانِ كِرَامْ مَوْلاَنَا وَ دَلِيلِنَا اِلَى االلهِ اَلطَّبِيبِ الشَّافِي لِلْقَلْبِ الْقَاسِي اَلشَّيْخْ اَلسَّيِّدْ عَبْدِ اْلحَكِيمِ اْلآرْوَاسِي قَدَّسَ اللهْ تَعَالَى اَسْرَارَهُ الْعَزيِزْ وَ اِلَى اَرْوَاحِ كُلٍّ مِنَ السَّادَاتِ وَ الْخُلَفَاءِ وَ الْمُرِيدِينَ وَ الْمَحْسُوبِينَ وَ الْمَنْسُوبِينَ مِنْ هَذِهِ الطَّرِيقَةِ الْعَلِيَّةِ وَسَائِرِ الطُّرُقْ.
উপরোক্ত ইবরাতখানা আরবী ভাষায় লিখিত নক্বশাবন্দিয়া ত্বরীক্বার একটি বিশ্বখ্যাত কিতাব থেকে নেয়া। যা ছাপানো হয়েছে- তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে। এখানে উক্ত কিতাবের ২৪৮ এবং ২৪৯ এই দুই পৃষ্ঠার ইবারত হুবহু উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ কিতাবে যেভাবে ই’রাব প্রদান করা হয়েছে, আমি সেভাবেই উল্লেখ করেছি। এর মধ্যে আমি কোনরূপ পরিবর্তন করিনি। আমি পাঠকদের সুবিধার্থে- উক্ত কিতাবের পিডিএফ লিংক উল্লেখ করলাম-
যঃঃঢ়ং://িি.িয়ঁৎধহরপঃযড়ঁমযঃ.পড়স/ঢ়ি-পড়হঃবহঃ/ঁঢ়ষড়ধফং/ঢ়ড়ংঃথধঃঃধপযসবহঃং/৫ফ৯০৯২৪ভ৮২ভ০৪.ঢ়ফভ
উপরোক্ত মাত্র ২ পৃষ্ঠায়-
(১) শব্দের শেষে ৫৫ স্থানে ই’রাব যাহির না করে সাকিন দিয়ে লেখা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
(২) ইয়ায়ে নিসবতীর স্থলে ই’রাব যাহির না করে প্রায় ১৬ স্থানে উহ্য সাকিন ব্যবহার করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
(৩) ৩৪ স্থানে হামযায়ে ওয়াছলের মধ্যে হরকত উল্লেখ রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
(৪) ২ স্থানে নামের সাথে ব্যবহৃত ‘মুহম্মদ’ শব্দের শেষে সাকিন উল্লেখ রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!  
(৫) ৬ স্থানে নামের শেষে সাকিন উল্লেখ রয়েছে। সুবহানাল্লাহ
(৬) ৩ স্থানে একাধারা ৩টি শব্দে সাকিন দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
(৭) ২ স্থানে একাধারা ৪টি শব্দে সাকিন দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
(৮) ৩ স্থানেحضرت  (হাদ্ব্রাত) শব্দটি ت (লম্বা তা) দ্বারা লিখা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
রহমত শব্দটি সাধারণত ة (গোল তা) দিয়ে লিখা হয়। কিন্তু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যেই স্পষ্টভাবে ৬ স্থানে ‘ رحمة(রহমত)’ শব্দ মুবারকখানা ة (গোল তা) এর পরিবর্তে ت (লম্বা তা) উল্লেখ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! 
(১) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারাহ্ শরীফ উনার ২১৮ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-
يَرْجُونَ رَحْمَتَ اللهِ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
(২) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ উনার ৫৬ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-
إِنَّ رَحْمَتَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ
(৩) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হূদ শরীফ উনার ৭৩ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-
قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ رَحْمَتُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ 
(৪) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ উনার ২ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-
ذِكْرُ رَحْمَتِ رَبِّكَ عَبْدَهُ زَكَرِيَّا
(৫) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা রূম শরীফ উনার ৫০ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-
فَانْظُرْ إِلَى آثَارِ رَحْمَتِ اللَّهِ
(৬) সম্মানিত ও পবিত্র সূরা যুখরুফ শরীফ উনার ৩২ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-
أَهُمْ يَقْسِمُونَ رَحْمَتَ رَبِّكَ نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَعِيشَتَهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا 
এরপরেও যদি এই প্রতিবন্ধী মার্কা চরম জাহিল ও গ-মূর্খ লোকটা এবং তার সমমনাদের শিয়ালের ন্যায় হুক্কা হুয়া ডাকের চিৎকার, চেঁচামেচি বন্ধ না হয়, তাহলে তাদের কি করা উচিত? বিজ্ঞ পাঠক মহল! আপনারাই বলুন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে এই প্রকার চরম জাহিল, গ-মূর্খ, মিথ্যাবাদী, মুনাফিক্ব, উলামায়ে সূ’, ধোঁকাবাজ এবং প্রতারকদের জিহালতী, মূর্খতা, মিথ্যাচার, ধোঁকা এবং প্রতারণা থেকে হিফাযত করুন। আমীন!

-মুফতী মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।

0 Comments: