-وَإِنّكُمْ مَهْمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِنْ شَيْءٍ فَإِنّ مَرَدّهُ إلَى اللّهِ عَزّ وَجَلّ وَإِلَى حَضْرَتْ مُحَمّدٍ صَلّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ
২৪. আর যখন তোমাদের মধ্যে কোন বিরোধ উপস্থিত হয়, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট তা পেশ করতে হবে।
-وَإِنّ الْيَهُودَ يُنْفِقُونَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ مَا دَامُوا مُحَارَبِينَ
২৫. আর নিশ্চয়ই ইয়াহুদীরা যতক্ষণ পর্যন্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাথে জিহাদে শরীক থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা জিহাদের খরচ বহন করবে।
-وَإِنّ يَهُودَ بَنِي عَوْفٍ أُمّةٌ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ لِلْيَهُودِ دِينُهُمْ وَلِلْمُسْلِمِينَ دِينُهُمْ مَوَالِيهمْ وَأَنْفُسُهُمْ إلّا مَنْ ظَلَمَ وَأَثِمَ فَإِنّهُ لَا يُوتِغُ إلّا نَفْسَهُ وَأَهْلَ بَيْتِهِ
২৬. বানূ আওফের ইয়াহুদীরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাথে একই দলরূপে গণ্য হবে। ইহুদীদের জন্যে তাদের ধর্ম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের জন্যে উনাদের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম, ইহা উনাদের গোলামদের এবং উনাদের নিজেদের ব্যাপারে একথা প্রযোজ্য হবে। তবে যে ব্যক্তি যুলুম ও অপরাধ করবে, সে তার নিজেকে ও নিজ পরিবারকে ছাড়া অন্য কাউকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
وَإِنّ لِيَهُودِ بَنِي النّجّارِ مِثْلَ مَا لِيَهُودِ بَنِي عَوْفٍ
২৭. এবং নিশ্চয়ই বানূ নাজ্জারের ইহুদীরাও বানূ আওফের ইহুদীদের মত অধিকার পাবে।
-وَإِنّ لِيَهُودِ بَنِي الْحَارِثِ مِثْلَ مَا لِيَهُودِ بَنِي عَوْفٍ
২৮. নিশ্চয়ই বানূ হারিছের ইহুদীরাও বানূ আওফের ইহুদীদের মত অধিকার লাভ করবে।
-وَإِنّ لِيَهُودِ بَنِي سَاعِدَةَ مِثْلَ مَا لِيَهُودِ بَنِي عَوْفٍ
২৯. বানূ সায়িদার ইহুদীরাও বানূ আওফের ইহুদীদের সমান অধিকার পাবে।
-وَإِنّ لِيَهُودِ بَنِي جُشَمٍ مِثْلَ مَا لِيَهُودِ بَنِي عَوْفٍ
৩০. বানূ জুশামের ইহুদীদের জন্যেও বানূ আওফের ইহুদীদের মত অধিকার থাকবে।
-وَإِنّ لِيَهُودِ بَنِي الْأَوْسِ مِثْلَ مَا لِيَهُودِ بَنِي عَوْفٍ
৩১. এবং বানূ আওসের ইহুদীদের জন্যেও বানূ আওফের ইহুদীদের মত অধিকার থাকবে।
-وَإِنّ لِيَهُودِ بَنِي ثَعْلَبَةَ مِثْلَ مَا لِيَهُودِ بَنِي عَوْفٍ إلّا مَنْ ظَلَمَ وَأَثِمَ فَإِنّهُ لَا يُوتِغُ إلّا نَفْسَهُ وَأَهْلَ بَيْتِهِ
৩২. বানূ ছা’লাবার ইহুদীদের জন্যে বানূ আওফের ইহুদীদের মত অধিকার থাকবে। তবে যে যুলুম বা অপরাধ করবে সে তার নিজেকে ও নিজ পরিবারকে ধ্বংস করবে।
-وَإِنّ جَفْنَةَ بَطْنٍ مِنْ ثَعْلَبَةَ كَأَنْفُسِهِمْ
৩৩. আর নি:সন্দেহে জাফনা গোত্রও ছা’লাবার শাখা গোত্র, সুতরাং তারাও তাদের অর্থাৎ ছা’লাবাদের মত অধিকার ভোগ করবে।
-وَإِنّ لِبَنِي الشّطَيْبَةِ مِثْلَ مَا لِيَهُودِ بَنِي عَوْفٍ وَإِنّ الْبِرّ دُونَ الْإِثْمِ
৩৪. আর বানূ শুত্বাইবার লোকজনের জন্যেও বানূ আওফের ইহুদীদের মত অধিকার থাকবে, কেবল সদ্ব্যবহার থাকবে, অন্যায় নয়।
-وَإِنّ مَوَالِيَ ثَعْلَبَةَ كَأَنْفُسِهِمْ
৩৫. আর ছা’লাবাদের দাস-দাসীরাও তাদের মূল গোত্রের লোকদের সমান অধিকার লাভ করবে।
-وَإِنّ بِطَانَةَ يَهُودَ كَأَنْفُسِهِمْ
৩৬. এবং ইহুদী শাখাগুলোও তাদের মূল গোত্রের লোকদের সমান অধিকার লাভ করবে।
-وَإِنّهُ لَا يَخْرُجُ مِنْهُمْ أَحَدٌ إلّا بِإِذْنِ حَضْرَتْ مُحَمّدٍ صَلّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ
৩৭. এবং নিশ্চয়ই তাদের মধ্যকার কেউই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুমতি মুবারক না নিয়ে জিহাদে বহির্গত হবে না।
-وَإِنّهُ لَا يَنْحَجِزُ عَلَى ثَأْرِ جُرْحٍ وَإِنّهُ مَنْ فَتَكَ فَبِنَفْسِهِ فَتَكَ وَأَهْلِ بَيْتِهِ إلّا مَنْ ظَلَمَ وَإِنّ اللّهَ تَعَالَى عَلَى أَبَرّ هَذَا،
৩৮. এবং কোন যখমের প্রতিশোধ গ্রহণের পথে কোন বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করা হবে না। যে ব্যক্তি রক্তপাত করবে, সে নিজের উপর ও নিজ পরিজনদের জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে। তবে যে অত্যাচারিত হয়েছে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার উপর খুশি থাকেন।
-وَإِنّ عَلَى الْيَهُودِ نَفَقَتَهُمْ وَعَلَى الْمُسْلِمِينَ نَفَقَتَهُمْ
৩৯. নিশ্চয়ই ইহুদীদের উপর উনাদের ব্যয়ভার বর্তাবে এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উপর তাদের ব্যায়ভার বর্তাবে।
-وَإِنّ بَيْنَهُمْ النّصْرَ عَلَى مَنْ حَارَبَ أَهْلَ هَذِهِ الصّحِيفَةِ وَإِنّ بَيْنَهُمْ النّصْحَ وَالنّصِيحَةَ وَالْبِرّ دُونَ الْإِثْمِ
৪০. যে কেউ এই চুক্তিনামা গ্রহণকারী উনাদের কোন পক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে, তার বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য করবেন এবং উনাদের মধ্যে পারস্পরিক সুধারনা রাখবেন ও মঙ্গল কামনার সম্পর্ক থাকবে। একপক্ষ অপরপক্ষকে সুপরামর্শ দিবেন। বিশ্বস্ততা রক্ষা করবেন, বিশ্বাস ভঙ্গ করবেন না।
-وَإِنّهُ لَمْ يَأْثَمْ امْرِئِ بِحَلِيفِهِ وَإِنّ النّصْرَ لِلْمَظْلُومِ
৪১. আর নিশ্চয়ই কোন পক্ষ তার মিত্র পক্ষের অপকর্মের জন্যে দায়ী হবেন না আর অত্যাচারিত সাহায্যের হক্বদার বলে গণ্য হবেন।
وَإِنّ الْيَهُودَ يُنْفِقُونَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ مَا دَامُوا مُحَارِبِينَ
৪২. আর ইহুদীরা যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের সাথে ও সহযোদ্ধারূপে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারাও যুদ্ধের ব্যয় নির্বাহ করবে।
-وَإِنّ يَثْرِبَ حَرَامٌ جَوْفُهَا لِأَهْلِ هَذِهِ الصّحِيفَةِ
৪৩. আর পবিত্র মদীনা শরীফ উনার উপত্যকা এই চুক্তিনামার সকল পক্ষের কাছে হারাম বা পবিত্র ভূমি বলে গণ্য হবে।
-وَإِنّ الْجَارَ كَالنّفْسِ غَيْرُ مُضَارٍ وَلَا آثِمٌ
৪৪. আর নিশ্চয়ই কোন পক্ষের আশ্রিত ব্যক্তি আশ্রয়দাতার সমান মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবেন কোন ক্ষতিসাধন করবে না এবং অপরাধ করবে না।
-وَإِنّهُ لَا يُجَارُ حُرْمَةٌ إلّا بِإِذْنِ أَهْلِهَا،
৪৫. আর কোন মহিলাকে তার পরিবারের লোকজনের অনুমতি ব্যতিরেকে আশ্রয় দেয়া যাবে না।
-وَإِنّهُ مَا كَانَ بَيْنَ أَهْلِ هَذِهِ الصّحِيفَةِ مِنْ حَدَثٍ أَوْ اشْتِجَارٍ يُخَافُ فَسَادُهُ فَإِنّ مَرَدّهُ عَزّ وَجَلّ وَإِلَى مُحَمّدٍ رَسُولِ اللّهِ صَلّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ وَإِنّ اللّهَ عَلَى أَتْقَى مَا فِي هَذِهِ الصّحِيفَةِ وَأَبَرّهِ
৪৬. নিশ্চয়ই এই চুক্তিনামা গ্রহণকারী পক্ষসমূহের মধ্যে যদি এমন কোন নতুন সমস্যার বা বিরোধের উদ্ভব হয় যা থেকে দাঙ্গা বেধে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয়, তাহলে তা মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করতে হবে। নিশ্চয়ই এ চুক্তিনামায় যা কিছু রয়েছে এর উপর সর্বাধিক নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে পছন্দনীয়। সুবহানাল্লাহ!
-وَإِنّهُ لَا تُجَارُ قُرَيْشٌ وَلَا مَنْ نَصَرَهَا ،
৪৭. কোন কুরাইশ কাফির মুশরিকদেরকে বা তাদের সাহায্যকারীকে আশ্রয় দেওয়া যাবে না।
-وَإِنّ بَيْنَهُمْ النّصْرَ عَلَى مَنْ دَهَمَ يَثْرِبَ ،
৪৮. নিশ্চয়ই আর চুক্তির সকল পক্ষ পবিত্র মদীনা শরীফের উপর আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য করবে। অর্থাৎ তাদের উপর সম্মানিত জিহাদ করবেন। সুবাহানাল্লাহ!
-وَإِذَا دُعُوا إلَى صُلْحٍ يُصَالِحُونَهُ وَيَلْبَسُونَهُ فَإِنّهُمْ يُصْلِحُونَهُ وَيَلْبَسُونَهُ وَإِنّهُمْ إذَا دُعُوا إلَى مِثْلِ ذَلِكَ فَإِنّهُ لَهُمْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إلّا مَنْ حَارَبَ فِي الدّينِ عَلَى كُلّ أُنَاسٍ حِصّتُهُمْ مِنْ جَانِبِهِمْ الّذِي قَبْلَهُمْ
৪৯. যখন তাদের সন্ধির জন্য আহবান জানানো হবে, তখন তারা সন্ধিবদ্ধ হবে। অনুরূপ যখন তারা সন্ধির জন্যে আহবান জানাবে তখন মু’মিন তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে সন্ধির আহবানে সাড়া দিতে হবে। তবে, যদি কেউ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, তবে তার ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য হবে না। প্রত্যেককে তার নিজেদের প্রতিরোধের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
-وَإِنّ يَهُودَ الْأَوْسِ ، مَوَالِيهمْ وَأَنْفُسُهُمْ عَلَى مِثْلِ مَا لِأَهْلِ هَذِهِ الصّحِيفَةِ مَعَ الْبِرّ الْمَحْضِ مِنْ أَهْلِ هَذِهِ الصّحِيفَةِ
৫০. আর নিশ্চয়ই আওস গোত্রের ইহুদীরা, তারা নিজেরা হোক বা তাদের দাস-দাসীরা হোক এই চুক্তিতে শরীক পক্ষসমূহের সমান অধিকার লাভ করবে।
قَالَ حَضْرَتْ ابْنُ هِشَامٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَيُقَالُ مَعَ الْبِرّ الْمُحَسّنِ مِنْ أَهْلِ هَذِهِ الصّحِيفَةِ .
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যেরূপ অত্র চুক্তিকারীদের উপর প্রযোজ্য হবে। আর তা হলো ¯্রফে সদাচরণ এই চুক্তিকারীদের পক্ষ থেকে।
قَالَ حَضْرَتْ ابْنُ إسْحَاقَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وإَنّ الْبِرّ دُونَ الْإِثْمِ لَا يَكْسِبُ كَاسِبٌ إلّا عَلَى نَفْسِهِ وَإِنّ اللّهَ عَلَى أَصْدَقِ مَا فِي هَذِهِ الصّحِيفَةِ وَأَبَرّهِ
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সদাচরণ সেটাই যাতে পাপ নেই। অর্জনকারী কেবল নিজের জন্যই তা অর্জন করে থাকে। এই চুক্তিনামায় যা আছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার উপর সর্বাধিক সত্যতা ও সন্তুষ্টিতে আছেন।
-وَإِنّهُ لَا يَحُولُ هَذَا الْكِتَابُ دُونَ ظَالِمٍ وَآثِمٍ وَإِنّهُ مَنْ خَرَجَ آمِنٌ وَمَنْ قَعَدَ آمِنٌ بِالْمَدِينَةِ إلّا مَنْ ظَلَمَ أَوْ أَثِمَ وَإِنّ اللّهَ جَارٌ لِمَنْ بَرّ وَاتّقَى، وَ حَضْرَتْ مُحَمّدٌ رَسُولُ اللّهِ صَلّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ
৫১. নিশ্চয়ই কোন অত্যাচারী ও পাপীর জন্য এ চুক্তিনামায় কোনরূপ সাহায়ক হবে না। যে ব্যক্তি এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যাবে, সে নিরাপদ থাকবে এবং যে ব্যক্তি বসে থাকবে, সেও পবিত্র মদীনা শরীফে নিরাপদে থাকবে। ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে যুলুম ও আন্যায় করে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির সাথে আছেন, যে সদাচরণ করে ও তাক্বওয়া অবলম্বন করে। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবীইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! (আল ইদারাতু ফি আছরির রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আর রওদ্বুল উনুফ ফি গারীবিস সীর, আস সীরাতুন নববী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম, মায়াল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়াছিক্বাতুল মাদীনাহ, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, মিনহাজু কিতাবাতু তারীকে ছদরিল ইসলাম, সীরাতুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
0 Comments:
Post a Comment