হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ১০৬০-১২৭৯) (দ)


এদিকে হযরত উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে বের হয়ে আসছিলেন তখন থেকেই সাফওয়ান পবিত্র মক্কা শরীফবাসীকে বলে আসছিলো, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো অল্প দিনের মধ্যেই এমন একটা ঘটনা জানতে পারবে যা তোমাদের বদর যুদ্ধের ব্যথা বেদনা ভুলিয়ে দিবে। সে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে আগত প্রতিটি কাফিলার কাছেই হযরত উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছিল। অবশেষে এক কাফিলা এসে উনাকে হযরত উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দ্বীন ইসলাম গ্রহণের সংবাদটি দিলো। সাফওয়ান তখন শপথ নিলো যে, সে আর কখনও উনার সাথে কথা বলবে না এবং কোন প্রকার সাহায্য উনাকে দিবে না।” নাউযূবিল্লাহ!
 হযরত ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে এসে অবস্থান করেন এবং মানুষকে দ্বীন ইসলাম উনার দিকে আহবান করতে থাকেন। কেউ উনার বিরোধিতা করলে তাকে কঠোর শাস্তি দিতেন। ফলে উনার মাধ্যমে অনেকেই দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর, মা’রিফাতুছ ছাহাবা, আস সীরাতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)


 সম্মানিত বদর জিহাদে অংশগ্রহণকারী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম:
 সম্মানিত বদর জিহাদে হযরত মুহাজির ও আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে ৩১৩জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ, প্রসিদ্ধ তারিখ ও ইতিহাস গ্রন্থসমূহ উনাদের নাম মুবারকগুলো উল্লেখ রয়েছে। নি¤œ উনাদের নাম সমূহ উপস্থাপন করা হলো।
 সম্মানিত কুরাইশ বংশের বনূ হাশিম থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মুসলমান তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের মধ্য থেকে যারা সম্মানিত বদর জিহাদে উপস্থিত ছিলেন, উনারা হলেন। সম্মানিত বংশ কুরাইশ গোত্রের সর্বোত্তম শাখা গোত্র বনী হাশিম ইবনে আব্দে মানাফ ও বনী আব্দুল মুত্তালিব ইবনে আব্দে মানাফ ইবনে কুসাই ইবনে কিলাব ইবনে মুররা ইবনে কা’ব ইবনে লুআঈ ইবনে গালিব ইবনে ফিহর ইবনে মালিক ইবনে নযর ইবনে কিনানা থেকে যারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবীইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত বদর জিহাদে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
 ১. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত চাচা, সাইয়্যিদুশ শুহাদা সাইয়্যিদুনা হযরত হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম আলাইহিমুস সালাম। যিনি আসাদুল্লাহ ও আসাদু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সিংহ। সুবহানাল্লাহ!
 ২. আসাদুল্লাহিল গালিব, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আলী ইবনে আবী ত্বলিব ইবনে আব্দিল মুত্তালিব আলাইহিমুস সালাম।
৩. হযরত যায়িদ ইবনে আবূ ত্বালিব ইবনে শুরাহবীল ইবনে কা’ব ইবনে আব্দুল উযযা ইবনে ইমরিইল কায়স আল কালবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনারা বেমেছাল নিয়ামত মুবারক দানে ধন্য করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণনা মতে, হযরত যায়িদ ইবনে হারিছা ইবনে শুরাহবীল ইবনে কা’ব ইবনে আব্দুল উযযা ইবনে ইমরিইল কায়স ইবনে আমির ইবনে নু’মান ইবনে আমির ইবনে আব্দে উদ ইবনে আওফ ইবনে কিনানা ইবনে বকর ইবনে আওফ ইবনে উযরা ইবনে যায়দুল্লাহ ইবনে রুফাইদা ইবনে সাওর ইবনে কা’ব ইবনে ওয়াবারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত আনাসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৫. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযাদকৃত গোলাম আবূ কাবশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে, হযরত আনাসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হলেন হাবশী আর হযরত আবূ কাবশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হলেন, পারসিক।
৬. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবূ মারসাদ কাননায ইবনে হিসন ইবনে ইয়ারবু ইবনে আমর ইবনে ইয়ারবু ইবনে খারাশা ইবনে সা’দ ইবনে তারীফ ইবনে জিল্লান ইবনে গানম ইবনে গনী ইবনে ইয়াসূর ইবনে সা’দ ইবনে কায়স ইবনে আয়লান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে, হযরত কান্নায ইবনে হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৭. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রমহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনার ছেলে হযরত মারসাদ ইবনে আবূ মারসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হামযাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার মিত্র।
৮. হযরত উবাইদা ইবনে হারিস ইবনে মুত্তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৯. হযরত তুফাইল ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১০. হযরত হুসাইন হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। (উনারা ছিলেন তিন ভাই)
১১. হযরত মিসতা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনার নাম মুবারক হযরত আউফ ইবনে আছাছা ইবনে আব্বাদ ইবনে মুত্তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। (উনারা মোট ১২জন)
বানূ আব্দে শামস ইবনে আব্দে মানাফ থেকে:
বনূ আব্দে শামস ইবনে আব্দে মানাফ থেকে সম্মানিত বদর জিহাদে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। উনারা হলেন,
১. হযরত সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান যূন নুরাইন ইবনে আফফান ইবনে আবূল আছ ইবনে উমাইয়া ইবনে আব্দে শামস আলাইহিস সালাম। তিনি সম্মানিত বদর জিহাদের সময় উনার সম্মানিত যাওজাতুম মুকাররামাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুছ ছানিয়া আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারকের আঞ্জাম  দিচ্ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নুরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে মালে গণিমতের অংশ মুবারক দিয়ে উনাকে সম্মানিত বদরী ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেছিলেন,
أَجْرِي يَا رَسُولَ اللّهِ؟ قَالَ وَأَجْرُك
 ‘ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই গণিমতের অংশ কি আমার জন্য? ন্ূের মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন হ্যাঁ, ইহা আপনার জন্য।’
২. হযরত হুযাইফা ইবনে উতবা ইবনে রবী’য়া ইবনে আব্দে শামস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত আবূ হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত সালিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনার নাম মুবারক আবূ হুযাইফা মিহশাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত সালিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হলেন, হযরত সুবাইতা বিনতে ইয়ার ইবনে যায়িদ ইবনে উবাইদ ইবনে যায়িদ ইবনে মালিক ইবনে আউস ইবনে আমর ইবনে আউফ ইবনে মালিক ইবনে আওফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আযাদকৃত গোলাম। উনাকে এ শর্তে আযাদ করা হয়েছিলো যে, তিনি মনিবের উত্তরাধিকার হবেন না। তিনি নিঃস্ব অবস্থায় হযরত আবূ হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে আসলে তিনি উনাকে পোষ্যপুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন। কথিত আছে যে, হযরত সুবায়তা বিনতে ইয়ার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি হযরত আবূ হুযাইফা ইবনে উতবার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আহলিয়া ছিলেন। এজন্য হযরত সালিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উল্লিখিত শর্তে আযাদ করার পর, হযরত সালিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গোলাম বলা হতো।
৪. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবুল আস ইবনে উমাইয়া ইবনে আব্দে শামস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আযাকৃত গোলাম সুবাইহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিসহ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রওয়ানা হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পথিমধ্যে অসুস্থ মুবারক হয়ে পড়লে হযরত আবূ সালামা ইবনে আব্দে আসাদ ইবনে হিলাল ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে মাখযূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাকে নিজের উটে বহন করে নিয়ে যান। অতপর হযরত সুবাইহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সকল জিহাদ মুবারকে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বনূ আসাদ ইবনে খুযাইমা থেকে-
১. বানূ আব্দে শামসের মিত্রদের শাখা বানূ আসাদ ইবনে খুযায়মা থেকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহশ ইবনে রি’য়াব ইবনে ইয়া’মার ইবনে সবরা ইবনে মুররা ইবনে কাবীর ইবনে গানম ইবনে দূদান ইবনে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত উকাশা ইবনে মিহ্সান ইবনে হুরসান ইবনে কায়স ইবনে মুররা ইবনে কাবীর ইবনে গানম ইবনে দূদান ইবনে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. শুজা’ ইবনে ওয়াহব ইবনে রবী’য়া ইবনে আসাদ ইবনে সুহায়ব ইবনে মালিক ইবনে কাবীর ইবনে গানম ইবনে দূদান ইবনে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. হযরত শুজা’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই হযরত উকবা ইবনে ওয়াহব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৫. হযরত ইয়াযীদ ইবনে রুকায়শ ইবনে রিয়াব ইবনে ইয়া’মুর ইবনে সুবরা ইবনে মুররা ইবনে কাবীর ইবনে গানম ইবনে দূদান ইবনে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৬. হযরত আবূ সিনান ইবনে মিহসান ইবনে হুরছান ইবনে কায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। (তিনি হযরত উকাশাহ ইবনে মিহসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই)।
৭. উনার ছেলে হযরত সিনান ইবনে আবূ সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৮. হযরত মুহরিয ইবনে নাযলা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুররা ইবনে কাবীর ইবনে গানম ইবনে দূদান ইবনে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৯. হযরত রবী’য়া ইবনে আকছাম ইবনে সাখবারা ইবনে আমর ইবনে লুকায়য ইবনে আমির ইবনে গানম ইবনে দূদান ইবনে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
‘বনূ কাবীর ইবনে গানম ইবনে দূদান ইবনে আসাদ’ মিত্রদের থেকে:
, হযরত ছাকফ্ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. উনার ভাই হযরত মালিক ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত মুদলিজ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি, উনারা তিন ভাই ছিলেন।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত মিদলাজ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনারা হলেন বনূ হাজর-এর বনী শাখা সুলায়ম গোত্রের লোক। আর হযরত আবূ মাখশী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন উনাদের মিত্র। উনারা ছিলেন সর্বমোট ১৬ জন।
 হযরত ইবনে হিশাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হযরত আবূ মাখশী ছিলেন তায়ী বংশের লোক। উনার নাম ছিলো হযরত সুওয়াদ ইবনে মাখশী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 বনূ নাওফেল থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বনূ নাওফাল ইবনে আব্দে মানাফ থেকে দু’জন।
, হযরত উতবা ইবনে গাযওয়ান ইবনে জাবির ইবনে ওয়াহব ইবনে নুসায়ব ইবনে মালিক ইবনে হারিছ ইবনে মাযিন ইবনে মানসূর ইবনে ইকরামা ইবনে খাসাফা ইবনে কায়স ইবনে আয়লান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত উতবা ইবনে গাযওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত খাব্বাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বনূ আসাদ ইবনে খুযাইমা থেকে;
বানূ আসাদ ইবনে আব্দুল উয্যা ইবনে কুসাই থেকে:
১. হযরত যুবাইর ইবনে আউয়াম ইবনে খুয়াইলিদ ইবনে আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত হাতিব ইবনে আবূ বালতা’য়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত হযরত হাতিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, এই তিনজন।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত হাতিব ইবনে আবী বালতা’য়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পিতার নাম আবূ বালতা’য়া আমর লাখমী। তিনি লাখম গোত্রের লোক ছিলেন। আর হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন কালব গোত্রের।
বানূ আব্দুদ দার থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ আব্দুদ দার ইবনে কুসাই থেকে দু’জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা। উনারা হলেন,
১. হযরত মুসয়াব ইবনে উমাইর ইবনে হাশিম ইবনে আব্দে মানাফ ইবনে আব্দুদ দার ইবনে কুসাই রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত সুওয়াইবিত্ব ইবনে সা’দ ইবনে হারমালাহ ইবনে মালিক ইবনে উমাইলা ইবনে সাব্বাক ইবনে আব্দুদ দার ইবনে কুসাই রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ যূহরা থেকে:
 বানূ যূহরা ইবনে কিলাব থেকে আট জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু:
১. হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ ইবনে আব্দে আউফ ইবনে আবদ ইবনে হারিছ ইবনে যূহরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত সা’দ ইবনে আবূ ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। আর হযরত আবূ ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নাম হল মালিক ইবনে উহাইব ইবনে আব্দে মানাফ ইবনে যূহরা।
৩. হযরত উমাইর ইবনে আবূ ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। যিনি হযরত সা’দ ইবনে আবূ ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই।
৪. উনাদের মিত্রদের মধ্য থেকে হযরত মিকদাদ ইবনে আমর ইবনে সা’লাবা ইবনে মালিক ইবনে রবী’য়া ইবনে ছুমামা ইবনে মাত্বরূদ ইবনে আমর ইবনে সা’দ ইবনে যুহাইর ইবনে ছাওর ইবনে ছা’লাবা ইবনে মালিক ইবনে শারীদ ইবনে হাযল ইবনে কায়িস ইবনে দুরাইম ইবনে কাঈন ইবনে আহওয়াদ ইবনে বাহরা ইবনে আমর ইবনে হাফ ইবনে কুযা’য়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেন হযরত হাযল ইবনে ফাস ইবনে যর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত দাহির ইবনে ছাওর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৫. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ইবনে হারিছ ইবনে শামখ ইবনে মাখযূম ইবনে সাহিলা ইবনে কাহিল ইবনে হারিছ ইবনে তামীম ইবনে সা’দ ইবনে হুযায়ল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৬. হযরত মাসউদ ইবনে রবীয়া ইবনে আমর ইবনে সা’দ ইবনে আব্দুল উয্যা ইবনে হামালা ইবনে গালিব ইবনে মুহাল্লিম ইবনে আয়িযা ইবনে সুবাই’ ইবনে হুন ইবনে খুযাইমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি কারা লক্ববের অধিকারী ছিলেন।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কারা উনাদেরও লক্বব বা উপাধি ছিলো। উনাদের সম্পর্কেই বলা হয়েছিল,
كَانُوا رُمَاةً
 অর্থ: ‘উনারা তীর নিক্ষেপে পারদর্শী ছিলেন।’
৭. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত যুশ-শিমালাইন ইবনে আব্দে আমর ইবনে নাদ্বলা ইবনে গুবশান ইবনে সুলায়ম ইবনে মালকান ইবনে আফসা ইবনে হারিছা ইবনে আমর ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুতিনি ছিলেন, খুযা’য়া গোত্রের।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনাকে যূশ-শিমালাইন বলার কারণ হলো- তিনি বাঁ হাতে কাজ করতেন। উনার নাম ছিলো হযরত উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৮. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত খাব্বাব ইবনে আরাত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনারা ছিলেন ৮ জন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত খাব্বাব ইবনে আরাত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন তামীম গোত্রের। উনার সন্তান-সন্তুতিও ছিলেন। আর উনারা কূফায় বসবাস করতেন। অনেকের মতে হযরত খাব্বাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি খুযায়া গোত্রের ছিলেন।
 বানূ তায়ম ইবনে মুররা থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ তায়ম ইবনে মুররাম থেকে ছিলেন পাঁচজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১. সাইয়্যিদুনা হযরত হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম। আর উনার নাম আতীক ইবনে উছমান ইবনে আমির ইবনে আমর ইবনে কা’ব ইবনে সা’দ ইবনে তায়ম আলাইহিস সালাম।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক ছিলো আব্দুল্লাহ। আর আতীক ছিলো উনার লক্বব মুবারক। সৌন্দর্য ও আভিজাত্যের কারণে তিনি এ লক্বব মুবারক প্রসিদ্ধ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
২. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম উনার আযাদকৃত ব্যক্তি ছিলেন হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ছিলেন বানূ জুমাহ-এর ক্রীতদাস। হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পিতার নাম ছিলো রাবাহ। সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম তিনি হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উমাইয়া ইবনে খালফ থেকে মুক্ত করেছিলেন। আর উনার কোন সন্তান-সন্ততি ছিলেন না।
৩.হযরত আমির ইবনে ফুহায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমির ইবনে ফুহায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বনূ আসাদের নিকট পরাধীন ছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে তাদের হাত থেকে খরিদ করে মুক্ত করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
৪. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত সুহাইব ইবনে সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নামর ইবনে কাসিত্ব- এর বংশধর ছিলেন।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,  নামর হল ক্বাসিত ইবনে হানম ইবনে আফসা ইবনে জাদীলা ইবনে আসাদ ইবনে রবীয়া’ ইবনে নাযরের ছেলে। মতান্তরে আফসা ইবনে দু’মী ইবনে জাদীলা ইবনে আসাদ ইবনে রবী’আ ইবনে নাযর।
অনেক ঐতিহাসিক উনারা বলেন, হযরত সুহাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুদয়ান ইবনে আমর ইবনে কা’ব ইবনে সা’দ ইবনে তায়ম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আযাদকৃত গোলাম। কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন রোম দেশীয়। ভিন্ন মতে নিশ্চয়ই তিনি ছিলেন নামর ইবনে ক্বাসিত বংশীয়। তিনি রোমকদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন এবং তাদের কাছ থেকেই উনাকে খরিদ করা হয়েছিল। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حَضْرَتْ صُهَيْبٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ سَابِقُ الرّومِ
‘হযরত ছুহাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সকল রোমীয়দের মধ্যেই অগ্রগামী।’
 ৫. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ত্বলহা ইবনে উবায়দুল্লাহ ইবনে উছমান ইবনে আমর ইবনে কা’ব ইবনে সা’দ ইবনে তায়ম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু,  তিনি সিরিয়ায় অবস্থান করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ থেকে পবিত্র মদীনা শরীফে ফিরে আসার পর উনার দিদার মুবারক লাভ করেন। অতপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে গনীমতের অংশ মুবারক প্রদান করেন। তিনি আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার জন্য কি রয়েছে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি অবশ্যই আপনার প্রতিদান পাবেন।
 বানূ মাখযূম থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ মাখযূম ইবনে ইয়াকযা ইবনে মুররা থেকে পাঁচজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু:
১. হযরত আবূ সালামা ইবনে আব্দুল আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উরফে হযরত আবূ সালামা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল আসাদ ইবনে হিলাল ইবনে উমর ইবনে মাখযূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত শাম্মাস ইবনে উছমান ইবনে শারীদ ইবনে সুওয়াইদ ইবনে হারমী ইবনে আমির ইবনে মাখযূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
শাম্মাস নামকরণের কারণ:
  হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, শাম্মাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নাম মুবারক ছিলো উছমান। শাম্মাস নামকরণের কারণ হলো, জাহিলী যুগে শাম্মামীসাহ বংশীয় এক ব্যক্তি পবিত্র মক্কা শরীফে এসেছিল। সে দেখতে খুবই সুন্দর ছিলো। লোকেরা তার সৌন্দর্যে অভিভূত হল। শাম্মাসের মামা উতবা ইবনে রবীয়া’ বললেন, আমি আপনাদের কাছে এর চেয়েও সুন্দর একজন শাম্মাস নিয়ে এসেছি।  এই বলে তিনি তার ভাগ্নে হযরত উছমান ইবনে উছমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে নিয়ে এলেন। সেখান থেকেই উনার  নাম হল শাম্মাস।
৩. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আরকাম ইবনে আবুল আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, আবুল আরকামের নাম হল আব্দে মানাফ ইবনে আসাদ। আসাদের কুনিয়াত ছিলো আবূ জুন্দুব। তিনি  আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে মাখযূমের ছেলে।
৪. হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির আনাসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ছিলেন মাযহাজ গোত্রের।
৫. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত মুয়াত্তিব ইবনে আউফ ইবনে আমির ইবনে ফযল ইবনে আফীফ ইবনে কুলায়ব ইবনে হুবশিয়া ইবনে সালূল ইবনে কা’ব ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ছিলেন খুযায়া’ বংশীয়। উনাকেই আইহামা বলা হতো।
বানূ আদী ইবনে কা’ব থেকে:
বানূ আদী ইবনে কা’ব থেকে ছিলেন ১৪ জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম ইবনে খত্তাব ইবনে নূফাইল ইবনে আব্দুল উয্যা ইবনে রিয়াহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত্ব ইবনে রাযাহ ইবনে আদী আলাইহিস সালাম।
২. উনার ভাই হযরত যায়িদ ইবনে খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত মিহজা’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ছিলেন ইয়ামানবাসী। মুসলমান উনাদের প্রথম কাতারের শহীদ।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত মিহজা’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হলেন, আক্ ইবনে আদনান বংশীয়।
৪. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমর ইবনে সুরাকা ইবনে মু’তামির ইবনে আনাস ইবনে আযাত ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত্ব ইবনে রিয়াহ ইবনে রাযাহ ইবনে আদী ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৫. উনার ভাই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সুরাকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৬. হযরত ওয়াকিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দে মানাফ ইবনে উমর ইবনে সা’লাবা ইবনে ইয়ারবূ’ ইবনে হানযালা ইবনে মালিক ইবনে যায়িদ মানাত ইবনে তামীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ছিলেন উনাদের মিত্র।
৭. হযরত খাউলী ইবনে আবূ খাউলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৮. এবং হযরত মালিক ইবনে আবূ খাউলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনারা দু’জন উনাদের মিত্র ছিলেন।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবূ খাউলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, তিনি ছিলেন হযরত আজল ইবনে লুযায়ম ইবনে সা’ব ইবনে আলী ইবনে বকর ইবনে ওয়ায়ল বংশীয়।
৯. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমির ইবনে রবীয়া’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন খাত্তাব পরিবারের মিত্র এবং আনয ইবনে ওয়াইল বংশীয়।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আন্য ইবনে ওয়াইল ইবনে কাসিত্ব ইবনে হানব ইবনে আফসা ইবনে জাদীলা ইবনে আসাদ ইবনে রবীয়া’ ইবনে নাযার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। মতান্তরে হযরত আফসা ইবনে দু’মী ইবনে জাদীলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১০. হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমির ইবনে বুকাইর ইবনে আব্দে ইয়ালায়ল ইবনে নাশিব ইবনে গাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ছিলেন সা’দ ইবনে লায়স বংশীয়।
১১. হযরত আকীল ইবনে বুকাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১২. হযরত খালিদ ইবনে বুকাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১৩. হযরত ইয়াস ইবনে বুকাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনারা সকলে ছিলেন আদী ইবনে কা’ব গোত্রের মিত্র।
১৪. হযরত সায়ীদ ইবনে যায়িদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল ইবনে আব্দুল উয্যা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত্ব ইবনে রিয়াহ ইবনে আদী ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত বদর জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করে পবিত্র মদীনা শরীফে তাশরীফ মুবারক নিলেন তখন তিনি সিরিয়া থেকে আগমন করেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আরয করলে উনাকে তিনি জিহাদ মুবারকের গণীমতের অংশ প্রদান করেন। হযরত সায়ীদ ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন  ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার জন্য কি এর প্রতিদান রয়েছে? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই আপনার জন্য বেমেছাল প্রতিদান রয়েছে।
বানূ জুমাহ ও উনাদের মিত্রদের থেকে:
বানূ জুমাহ ইবনে আমর ইবনে হুসায়স ইবনে কা’ব থেকে ছিলেন ৫জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু:
, হযরত উছমান ইবনে মায’উন ইবনে হাবীব ইবনে ওয়াহব ইবনে হুযাফা ইবনে জুমাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. উনার ছেলে হযরত সায়িব ইবনে উছমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত কুদামাহ ইবনে মায’উন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও
৪. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মায’উন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনারা দু’জন হলেন হযরত উছমান ইবনে মায’উন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই।
৫. হযরত মা’মার ইবনে হারিস ইবনে মা’মার ইবনে হাবীব ইবনে ওয়াহব ইবনে হুযাফাহ ইবনে জুমাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ সাহম ইবনে আমর ইবনে হুসায়স ইবনে কা’ব ইবনে খুনায়স ইবনে হুযাফাহ ইবনে কায়স ইবনে আদী ইবনে সা’দ ইবনে সাহম গোত্রের একজন।
বানূ আমির থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ আমি ইবনে লুআঈ- এর শাখা বংশ বানূ মালিক ইবনে হিসল ইবনে আমির থেকে ছিলেন পাঁচজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম:
১. হযরত আবূ সাবরা ইবনে রুহস ইবনে আব্দুল উয্যা ইবনে আবূ কায়স ইবনে আবদ উদ্দ ইবনে নাসর ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাখরামা ইবনে আব্দুল উয্যা ইবনে আবূ কায়স ইবনে আবদ ওদ্দ ইবনে নাসর ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সুহায়ল ইবনে আমর ইবনে আব্দে শামস ইবনে আবদ উদ্দ ইবনে নাসর ইবনে মালিক ইবনে হিসল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি উনার পিতা হযরত সুহায়ল ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে বের হয়েছিলেন। এরপর সকলে যখন বদর প্রান্তরে সমবেত হলে, তখন তিনি চুপে চুপে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট চলে আসেন এবং উনার ছাহাবী হয়ে জিহাদ মুবারকে অংশ গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
৪. হযরত সুহায়ল ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত উমাইর ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৫. আর উনাদের মিত্র হযরত সা’দ ইবনে খাওলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৬. হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত সা’দ ইবনে খাওলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইয়ামানের অধিবাসী ছিলেন।
বানূ হারিস থেকে:
১. হযরত আবূ উবাইদা ইবনে জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ওরফে আমির ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জাররাহ ইবনে হিলাল ইবনে উহায়ব ইবনে যব্বাহ ইবনে হারিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত আমর ইবনে হারিস ইবনে যুহায়র ইবনে আবূ শাদ্দাদ ইবনে রবী’আ ইবনে হিলাল ইবনে উহায়ব ইবনে যব্বাহ ইবনে হারিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত সুহাইল ইবনে ওয়াহব ইবনে রবী’আ ইবনে হিলাল ইবনে আবূ উহায়ব ইবনে যব্বাহ ইবনে হারিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. উনার ভাই হযরত সাফওয়ান ইবনে ওয়াহব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা দু’জন ছিলেন বায়যা এর ছেলে।
৫. হযরত আমর ইবনে আবূ সারহ ইবনে রবী’আ ইবনে হিলাল ইবনে উহায়ব ইবনে যব্বাহ ইবনে হারিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
 মোটকথা, যে ক’জন হযরত মুহাজির ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম সম্মানিত বদর জিহাদেউপস্থিত হয়েছিলেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যাদেরকে গনিমতের মালের অংশ ও সন্তুষ্টি মুবারক প্রাপ্তির আশা দিয়েছিলেন, উনারা সংখ্যায় ছিলেন ৮৩ জন।
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ব্যতীত অন্যান্য অনেক আলিম সম্মানিত বদর জিহাদেঅংশগ্রহণকারী হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে বানূ আমির ইবনে লুআঈ-এর হযরত ওয়াহব ইবনে সা’দ ইবনে সারহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত হাতিব ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং বানূ হারিস ইবনে ফিহর- এর হযরত আইয়ায ইবনে যুহায়ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নামও উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

0 Comments: