সম্মানিত বদর জিহাদে অংশগ্রহণকারী হযরত আনসার ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম:
বানূ আব্দুল আশহাল থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত
আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে আওস ইবনে হারিছ
ইবনে ছা’লাবা ইবনে আমর ইবনে আমির গোত্রের শাখা এবং বানূ আব্দুল আশহাল ইবনে জুশাম
ইবনে হারিছ ইবনে খাযয়াজ ইবনে আমর ইবনে মালিক ইবনে আওস থেকে ১৫ জন হযরত ছাহাবী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। উনারা হলেন,
১. হযরত সা’দ ইবনে মু’য়ায ইবনে নু’মান ইমরিউল
কায়িস ইবনে যায়িদ ইবনে আব্দুল আশহাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত আমর ইবনে
মুয়ায ইবনে নু’মান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত হারিছ ইবনে
আওস ইবনে মু’য়ায ইবনে নু’মান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. হযরত হারিস ইবনে
আনাস ইবনে রাফি’ ইবনে ইমরাউল কায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ উবায়দা ইবনে
কা’ব এবং উনাদের মিত্র থেকে:
৫. উবায়দ ইবনে কা’ব
ইবনে আব্দুল আশহাল থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন হযরত সা’দ ইবনে যায়িদ ইবনে মালিক ইবনে
উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৬. হযরত সালমা ইবনে
সালামা ইবনে ওয়াকাশ ইবনে যাগাবা ইবনে যায়ূরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৭. হযরত আব্বাদ
ইবনে বিশর ইবনে ওয়াকাশ ইবনে যাগাবা ইবনে যায়ূরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৮. হযরত সালামা
ইবনে ছাবিত ইবনে ওয়াকাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৯. হযরত রাফি’ ইবনে
ইয়াযীদ ইবনে কুরয ইবনে সাকান ইবনে যায়ূরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১০. হযরত হারিছ
ইবনে খাযমা ইবনে আদী ইবনে উবাই ইবনে গানম ইবনে সালিম ইবনে আউফ ইবনে আমর ইবনে আউফ
ইবনে খাযরাজ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনারা বানূ আউফ ইবনে খাযরাজ থেকে বানূ
আশহালের মিত্র ছিলেন।
১১. বানূ হারিছাহ
ইবনে হারিসের মধ্যে থেকে উনাদের মিত্র হযরত মুহম্মদ ইবনে মাসলামা ইবনে খালিদ ইবনে
আদী ইবনে মাজদায়া হারিছা ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১২. বানূ হারিছাহ
ইবনে হারিছের থেকে উনাদের মিত্র হযরত সালামা ইবনে আসলাম ইবনে হারীশ ইবনে আদী ইবনে
মাজদায়া ইবনে হারিছা ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
আসলাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন হযরত হারীস ইবনে আদী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার ছেলে।
১৩. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবুল হায়ছাম ইবনে
তাইহান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১৪. হযরত উবাইদ
ইবনে তাইহান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, অন্য মতে হযরত আতীক ইবনে
তাইহান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১৫. ইবনে ইসহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে
সাহল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বানূ যায়ূরার লোক ছিলেন।
অন্য মতে তিনি গাসসানের লোক ছিলেন।
বানূ সাওয়াদ থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
বলেনে, বানূ যাফর- এর শাখা বংশ সাওয়াদ ইবনে কা’ব (কা’বের নামই হলো
যাফর) গোত্রের দু’জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা।
হযরত হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত যাফর
রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হলেন, খাযরাজ ইবনে আমর ইবনে
মালিক আওসের ছেলে।
১. হযরত কাতাদা
ইবনে নু’মান ইবনে যায়িদ ইবনে আমির ইবনে সাওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও
২. হযরত উবাইদ ইবনে
আওস ইবনে মালিক ইবনে সাওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
حَضْرَتْ عُبَيْدُ بْنُ أَوْسٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُالّذِي
يُقَالُ لَهُ مُقَرّنٌ لِأَنّهُ قَرَنَ أَرْبَعَةَ أَسْرَى فِي يَوْمِ بَدْرٍ . وَهُوَ الّذِي أَسَرَ عَقِيلَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَئِذٍ .
অর্থ: “হযরত উবাইদ ইবনে আওস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনাকে মুকাররিন বলা হত। কেননা উনার সম্পর্কে বলা হয় তিনি সম্মানিত বদর
জিহাদের দিন চারজন বন্দীকে একত্র করেছিলেন। আর তিনিই সেই দিন আক্বীল ইবনে আবূ
ত্বালিবকে গ্রেফতার করেছিলেন।”
হযরত ইবনে ইসহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ আব্দ ইবনে রিযাহ
ইবনে কা’ব- এর তিন জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১. হযরত নাছর ইবনে
হারিছ ইবনে আব্দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত মুয়াত্তিব
ইবনে আব্দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং
৩. উনাদের মিত্রদের
থেকে বালী বংশের হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ত্বারিক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ হারিছা থেকে:
বানূ হারিছা ইবনে হারিছ ইবনে খাযরাজ ইবনে আমর
ইবনে মালিক ইবনে আওস- এর তিন জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১, হযরত মাসউদ ইবনে সা’দ
ইবনে আমির ইবনে আদী ইবনে জুশাম ইবনে মাজদায়া ইবনে হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কেউ
কেউ বলেন, হযরত মাসউদ ইবনে আব্দে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
২. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবূ আব্স ইবনে
জাব্র ইবনে আমর ইবনে যায়িদ ইবনে জুশাম ইবনে মাজদায়া ইবনে হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
৩. উনাদের মিত্র
বালী বংশীয় আবূ বুরদা ইবনে নিয়ার ওরফে হানী ইবনে নিয়ার ইবনে আমর ইবনে উবাইদ ইবনে
কিলাব ইবনে দুহমান ইবনে গানম ইবনে যুবইয়ান ইবনে হুমায়ম ইবনে কাহিল ইবনে যুহল ইবনে
হুনাই ইবনে বালী ইবনে আমর ইবনে ইলহাফ ইবনে কুযায়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ আমর থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ
আমর ইবনে আউফ ইবনে মালিক ইবনে আউসের শাখা বংশ হযরত যুবাইয়াহ ইবনে যায়িদ ইবনে মালিক
ইবনে আউফ ইবনে আমর ইবনে আউফ থেকে পাঁচ জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১, হযরত
আসিম ইবনে সাবিত ইবনে কায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ওরফে হযরত আবূল আফলাহ ইবনে
ইসমাহ ইবনে মালিক ইবনে আমাতা ইবনে যুবাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত মুয়াত্তিব
ইবনে কুশাইর ইবনে মুলাইল ইবনে যায়িদ ইবনে আতত্বাফ ইবনে যুবাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
৩. হযরত আবূ মুলাইল
ইবনে আযয়ার ইবনে যায়িদ ইবনে আতত্বাফ ইবনে যুবাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. হযরত আমর ইবনে
মা’বাদ ইবনে আযূয়ার ইবনে যায়িদ ইবনে আতত্বাফ ইবনে যুবাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে হযরত উমাইর ইবনে মা’বাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৫. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রমহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত সাহল ইবনে হুনাইদ
ইবনে ওয়াহিব ইবনে হাকীম ইবনে ছা’লাবা ইবনে মাজদায়া ইবনে হারিছ ইবনে আমর
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ওরফে বাযাজ ইবনে হানাস ইবনে আউফ ইবেন আমর ইবেন আউফ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ উমাইয়া থেকে:
বানূ উমাইয়া ইবনে
যায়িদ ইবনে মালিক গোত্রের নয় জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১. হযরত মুবাশশির
ইবনে আব্দুল মুনযির ইবনে যামবার ইবনে যায়িদ ইবনে উমাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত রিফায়া
ইবনে আব্দুল মুনযির ইবনে যামবার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত সা’দ ইবনে
উবায়দ ইবনে নু’মান ইবনে কায়স ইবনে আমর ইবনে যায়িদ ইবনে উমাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
৪. হযরত উওয়াইম
ইবনে সায়িদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৫. হযরত রাফি’ ইবনে
উনজুদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে
হযরত উনজুদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি হযরত রাফি’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু উনার মা ছিলেন।
৬. হযরত উবাইদ ইবনে
আবূ উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৭. হযরত ছা’লাবা
ইবনে হাত্বিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৮. হযরত আবূ লুবাবা
ইবনে আব্দুল মুনযির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এবং
৯. হযরত হারিছ ইবনে
হাতিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বর্ণিত রয়েছে, শেষোক্ত
দু’জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ছফর মুবারকে বের হয়েছিলেন।
কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনাদেরকে পবিত্র মদীনা শরীফে ফেরত পাঠান। দু’জনের মধ্যে হযরত আবূ লুবাবা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে পবিত্র মদীনা শরীফের প্রতিনিধি করে পাঠান। আর
সম্মানিত বদরী হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাথে এ দু’জন হযরত
ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনাদেরকেও গণিমতের অংশ মুবারক প্রদান করেন।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনাদের
উভয়কে রাওহা নামক স্থান থেকে পবিত্র মদীনা শরীফে পাঠিয়েছিলেন।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
হাত্বিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন আমর ইবনে উবাইদ ইবনে উমাইয়া উনার
ছেলে। আর হযরত আবূ লুবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নাম মুবারক ছিলো হযরত
বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ উবাইদ ও
উনাদের মিত্রদের থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
উবাইদ ইবনে যায়িদ ইবনে মালিক বংশের সাতজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম।
১, হযরত
উনায়স ইবনে কাতাদা ইবনে রবীয়া ইবনে খালিদ ইবনে হারিছ ইবনে উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
২. উনাদের মিত্রদের
থেকে বালী বংশীয় হযরত মা’য়ান ইবনে আদী ইবনে জাদ্দ ইবনে আজলান ইবনে যুবাইয়া
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত সাবিত ইবনে
আকরাম ইবনে ছা’লাবা ইবনে আদী ইবনে আজলান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে সালামা ইবনে মালিক ইবনে হারিছ ইবনে আদী ইবনে আজলান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
৫. হযরত যায়িদ ইবনে
আসলাম ইবনে ছা’লাবা ইবনে আদী ইবনে আজলান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৬. হযরত রিবয়ী ইবনে
রাফি’ ইবনে যায়িদ ইবনে হারিছা ইবনে জাদ্দ ইবনে আজলান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
এবং
৭. হযরত আসিম ইবনে
আদী ইবনে জাদ্দ ইবনে আজলান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও বের হয়েছিলেন। কিন্তু
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকেও
পবিত্র মদীনা শরীফে ফিরে যেতে বলেন এবং সম্মানিত বদরী হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনাদেরও সাথে উনাকে গণীমতের হিসসা মুবারক প্রদান করেন।
বানূ ছা’লাবা থেকে:
বানূ ছা’লাবা ইবনে আমর ইবনে আউফ গোত্রের সাতজন
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১. হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে জুবাইর ইবনে নু’মান ইবনে উমাইয়া ইবনে বারক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ওরফে
হযরত ইমরাউল কাইস ইবনে ছা’লাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত আসিম ইবনে
কাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
আসিম ইবনে কাইস ইবনে ছাবিত ইবনে নু’মান ইবনে উমাইয়া ইবনে ইমরাউল কায়স ইবনে ছা’লাবা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবূ যাইয়্যাহ ইবনে
ছাবিত ইবনে নু’মান ইবনে উমাইয়া ইবনে ইমরাউল ইবনে কাইস ইবনে ছা’লাবা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
৪. হযরত আবূ হাইয়া
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি ছিলেন হযরত আবূ
যাইয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই। মতান্তরে উনাকে আবূ হাইয়ান বলা হতো।
উমরাউল কাইসকে বারক ইবনে ছা’লাবা বলা হতো।
৫. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত সালিম ইবনে উমাইর
ইবনে ছাবিত ইবনে নু’মান ইবনে উমাইয়া ইবনে ইমরাউল কাইস ইবনে ছা’লাবা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কেউ
কেউ বলেন, হযরত ছাবিত ইবনে আমর ইবনে ছা’লাবা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
৬. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত হারিছ ইবনে নু’মান
ইবনে উমাইয়া ইবনে ইমরাউল কায়স ইবনে ছা’লাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৭. হযরত খাওওয়াইত
ইবনে জুবাইর ইবনে নু’মান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনাকেও নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বদরী ছাহাবী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সঙ্গে গণিমতের হিসসা মুবারক দিয়েছেন।
সুবহানাল্লাহ!
বানূ জাহজাবাই ও
উনাদের মিত্রদের থেকে:
বানূ জাহজাবাই ইবনে কুলফা ইবনে আউফ ইবনে আমর
ইবনে আউফ গোত্রের দু’জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা।
১, হযরত
মুনযির ইবনে মুহম্মদ ইবনে উকবা ইবনে উহাইহা ইবনে জিল্লাহ ইবনে হারীশ ইবনে জাহজাবাই
ইবনে কুলফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, অনেকের
মতে তিনি হযরত হারীছ ইবনে জাহজাবাই রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনাদের মিত্র বানূ
উনাইফের আবূ উক্বাইল ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ছা’লাবা ইবনে বাইহান ইবনে আমির ইবনে
হারিছ ইবনে মালিক ইবনে আমির ইবনে উনাইফ ইবনে জুশাম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাইম ইবনে
ইরাশ ইবনে আমির ইবনে উমাইলা ইবনে কিসমীল ইবনে ফারান ইবনে বালী ইবনে আমর ইবনে ইলহাফ
ইবনে কুযায়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মতান্তরে হযরত তামীম
ইবনে ইরাশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত কিসমীল ইবনে ফারান রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
বানূ গানম থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ গানম ইবনে সালম
ইবনে ইমরাউল কাইস ইবনে মালিক ইবনে আউস গোত্রর পাঁচজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১, হযরত
সা’দ ইবনে খাইছামা ইবনে হারিছ ইবনে মালিক ইবনে কা’ব ইবনে নাহহাত্ব ইবনে কা’ব ইবনে
হারিছা ইবনে গানম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত মুনাযির
ইবনে কুদামা ইবনে আরফাজা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত মালিক ইবনে
কুদামা ইবনে আরফাজা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
আরফাজা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন হযরত কা’ব ইবনে নাহ্হাত্ব ইবনে কা’ব
ইবনে হারিছা ইবনে গানম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পুত্র।
৪. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত হারিছ ইবনে আরফাজা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং
৫. বানূ গানমের
নিকট পরাধীন থেকে স্বাধীন হন হযরত তামীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
তামীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন, সা’দ ইবনে
খায়সামা-এর নিকট পরাধীন থেকে স্বাধীন হন।
মুয়াবিয়া ইবনে মালিক ও উনাদের মিত্রদের থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ মুয়াবিয়া ইবনে
মালিক ইবনে আউফ ইবনে আমর ইবনে আউফ- এর তিন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুম।
১. হযরত জাবর ইবনে আতীক্ব ইবনে কায়স ইবনে হায়শা
ইবনে হারিছ ইবনে উমাইয়া ইবনে মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত মালিক ইবনে
নুমায়লা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ছিলেন মাযায়না বংশের এবং উনাদের মিত্র।
৩. উনাদের মিত্র
বালী থেকে হযরত নু’মান ইবনে আসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
মোটকথা, সম্মানিত বদর
জিহাদেনূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সঙ্গে আউস বংশের যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন,
উনাদেরকে তিনি গণিমতের অংশ মুবারক দিয়েছেন এবং উনার সন্তুষ্টি
মুবারকও দান করেছেন। আর উনারা সংখ্যায় ছিলেন
৬১জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। সুবহানাল্লাহ!
বানী ইমরাউল কাইস থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে
অংশগ্রহণ করেছিলেন হযরত আনসার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের
মধ্যে খাযরাজ ইবনে হারিছা ইবনে ছা’লাবা ইবনে আমর ইবনে আমির উনার শাখা বংশ বানূ
হারিছ ইবনে খাযরাজ- এর গোত্র ইমারউল কাইস ইবনে মালিক ইবনে ছা’লাবা ইবনে কা’ব ইবনে
খাযরাজ ইবনে হারিছ ইবনে খাযরাজ- এর চার জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম।
১. হযরত খারিজা
ইবনে যায়িদ ইবনে আবূ যুহাইর ইবনে মালিক ইবনে ইমরাউল কাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
২. হযরত সা’দ ইবনে
রবী’ ইবনে আমর ইবনে আবূ যুহাইর ইবনে মালিক ইবনে ইমরাউল কাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
৩. হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে রাওয়াহা ইবনে ছা’লাবা ইবনে ইমরাউল কাইস ইবনে আমর ইবনে ইমরাউল কাইস
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং
৪. হযরত খাল্লাদ
ইবনে সুওয়াইদ ইবনে ছা’লাবা ইবনে আমর ইবনে হারিছা ইবনে ইমরাউল কাইস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
বানূ যায়িদ থেকে:
বানূ যায়িদ ইবনে
মালিক ইবনে ছা’লাবা ইবনে কা’ব ইবনে খাযরাজ ইবনে হারিছ ইবনে খাযরাজ থেকে দু’জন হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা।
১. হযরত বশীর ইবনে
সা’দ ইবনে ছা’লাবা ইবনে খিলাস ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত বশীর
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভাই হযরত সিমাক ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
বানূ আদী থেকে:
বানূ আদী ইবনে কা’ব ইবনে খাযরাজ ইবনে হারিছ ইবনে
খাযরাজ- এর তিনজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১. হযরত সুবাঈ ইবনে
কাইস ইবনে আইশা ইবনে উমাইয়া ইবনে মালিক ইবনে আমির ইবনে আদী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
২. হযরত আব্বাদ
ইবনে কাইস ইবনে আইশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (হযরত সুবাঈ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু উনার ভাই)
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মতান্তরে
হযরত কাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন আবাসা ইবনে উমাইয়া উনার ছেলে।
৩. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে
আবস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ আহমার থেকে:
আহমার ইবনে হারিছা ইবনে ছা’লাবা ইবনে কা’ব ইবনে
খাযরাজ ইবনে হারিছ ইবনে খাযরাজ থেকে একজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
১. হযরত ইয়াযীদ ইবনে হারিছ ইবনে কাইস ইবনে মালিক
ইবনে আহমার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনাকে ইবনে ফুসহুমও বলা হতো।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ফুসহুম
ছিলেন উনার মা। তিনি ছিলেন কাইন ইবনে জুসর বংশের মহিলা।
বানূ জুশাম ও বানূ
যায়িদ থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ জুশাম ইবনে হারিছ
ইবনে খাযরাজ ও বানূ যায়িদ ইবনে হারিছ ইবনে খাযরাজ (উনারা দু’জন যমজ ভাই) -এর চার
জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১. হযরত খুবাইব
ইবনে ইসাফ ইবনে উতবা ইবনে আমর ইবনে খাদীজ ইবনে আমির ইবনে জুশাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
২. হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে যায়িদ ইবনে ছা’লাবা ইবনে আবদ
রাব্বিহী ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. উনার ভাই হযরত
হুরাইছ ইবনে যায়িদ ইবনে ছা’লাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. অনেকের মতে হযরত
সুফিয়ান ইবনে বিশর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বানূ জাদারা থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ জিদারা ইবনে আউফ
ইবনে হারিছ ইবনে খাযরাজ- এর চারজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুম।
১. হযরত তামীম ইবনে
ইয়ায়র ইবনে কাইস ইবনে আদী ইবনে উমাইয়া ইবনে জিদারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মতান্তরে
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমাইর ইবনে আদী ইবনে উমাইয়া ইবনে জাদারা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত যায়িদ ইবনে মুরায়ী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে
আরফুত্বা ইবনে আদী ইবনে উমাইয়া ইবনে জাদারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে রবী’ ইবনে কাইস ইবনে আমর ইবনে আবাদ ইবনে আরজার রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
বানূ আবজার থেকে:
বানূ আবজার- ওরফে
বানূ খুদরা ইবনে আউফ ইবনে হারিছ ইবনে খাযরাজ- এর একজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ আউফ থেকে:
বানূ আউফ ইবনে খাযরাজ- এর শাখা বংশ বানূ উবাইদ
ইবনে মালিক ইবনে মালিক ইবনে সালিম গানম আউফ ইবনে খাযরাজ ওরফে বানূ হুবলা-এর দু’জন
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হুবলার নাম হচ্ছে সালিম
ইবনে গানম ইবনে আউফ। উনার পেট বড় হওয়ার কারণে উনাকে হুবলা বলা হতো।
১. হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে মালিক ইবনে হারিছ ইবনে উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু ওরফে ইবনে সালূল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। আর সালূল ছিলো জনৈক মহিলা, আর
সে ছিলো উনার পরিবারের মা। উবায়- এর মা।
২. হযরত আওস ইবনে
খাওলা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হারিছ ইবনে উবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ জাযা ও উনাদের
মিত্রদের থেকে:
১. হযরত যায়িদ ইবনে
ওয়াদী’য়া ইবনে আমর ইবনে কাইস ইবনে জাযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত আব্দুল্লাহু
ইবনে গাতফান গোত্র থেকে উনাদের মিত্র হযরত উকবা ইবনে ওয়াহব ইবনে কালদা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত রিফায়া
ইবনে আমর ইবনে যায়িদ ইবনে আমর ইবনে ছা’লাবা ইবনে মালিক ইবনে সালিম ইবনে গানম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৪. উনাদের ইয়ামানী
মিত্র হযরত আমির ইবনে সালামা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, অনেকের মতে হযরত আমর
ইবনে সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
তিনি ছিলেন কুদ্বায়ার শাখা গোত্র বালী গোত্রের লোক।
৫. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবূ হুমাইদ্ব
মা’বাদ মা;বাদ ইবনে
আব্বাদ ইবনে কুশাইর ইবনে মুকাদ্দাম ইবনে সালিম ইবনে গানম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত
মা’বাদ ইবনে আব্বাদ ইবনে কুশাইর ইবনে মুকাদ্দাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু,
ভিন্নমতে হযরত উবাদা ইবনে কাইস ইবনে কুদাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
৬. হযরত ইবনে
ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমির ইবনে বুকাইর
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
আর হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
উনার নাম মুবারক উল্লেখ করেছেন, হযরত আমির ইবনে উকাইর
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ সালিম থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ
সালিম ইবনে আউফ ইবনে আমর ইবনে খাযরাজ- এর শাখা বংশ বানূ আজলান ইবনে যায়িদ ইবনে
গানম ইবনে সালিম- এর একজন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১. হযরত নাওফাল
ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নাদ্বলা ইবনে মালিক ইবনে আজলান ইবনে আজলান রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
বানূ আসরাম থেকে:
বানূ আসরাম ইবনে
ফিহর ইবনে ছা’লাবা ইবনে গানম ইবনে সালিম ইবনে আউফ- এর দুজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা।
১. হযরত উবাদা ইবনে
সামিত ইবনে কাইস ইবনে আসরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. উনার ভাই হযরত
আওস ইবনে সামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ দা’দ থেকে:
বানূ দা’দ ইবনে
ফিহর ইবনে ছা’লাবা ইবনে গানম- এর একজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
১. হযরত নু’মান
ইবনে মালিক ইবনে ছা’লাবা ইবনে দা’দ ওরফে কাওকাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ কুরয়ূশ থেকে:
বানূ কুরয়ূশ ইবনে গানম ইবনে উমাইয়া ইবনে লাউযান ইবনে সালিম-
এর এক জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১. হযরত ছাবিত ইবনে
হাযযাল ইবনে আমর ইবনে কুরয়ূশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে, হযরত কুরয়ূশ ইবনে গানম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ মারদ্বাখা
থেকে:
বানূ মারদ্বাখা ইবনে গানম ইবনে সালিম- এর এক জন
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
১. হযরত মালিক ইবনে
দুখশুম ইবনে মারযাখা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত মালিক ইবনে দুখশুম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
বানূ লাওযান ও
উনাদের মিত্রদের থেকে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ লাওযান ইবনে সালিম-
এর তিনজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
১. হযরত রবী’ ইবনে
ইয়াস ইবনে আমর ইবনে গানম ইবনে উমাইয়া ইবনে লাওযান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. উনার ভাই হযরত
ওয়ারাকা ইবনে ইয়াস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং
৩. উনাদের ইয়ামানী
মিত্র হযরত আমর ইবনে ইয়াস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ভিন্ন মতে হযরত আমর ইবনে
ইয়াস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রবী’ও ওয়ারাকার ভাই ছিলেন।
0 Comments:
Post a Comment