' গুলে মুবিনা, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন,ছিদ্দীকায়ে কুবরা ,
আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম, মাশুকায়ে ইলাহী ,
কায়মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ্, মুতহিরাহ,
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহামূল্যবান নসিহত
মুবারক থেকে সংগৃহীত
شاهد النبي صلى الله عليه وسلم
পর্ব-৪
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারা, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
| عن أنس رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن العبد إذا وضع في |
ع قبره وتولى عنه أصحابه أنه ليسمع قرع نعالهم أتاه ملكان فيقعدانه فيقولاي ماكنت تقول في د
هذا الرجل محمد صلى الله عليه وسلم قام المؤمن فيقول أشهد أنه عبد الله ورسوله فقال "
|
له أنظر إلى مقعدك من النار قد أبدلك الله به مقعدا من الجنة فيراهما جميعا وأما المنافق
والكافر فيقال له ماكنت تقول في هذا الرجل فيقول فيقول لا أدري كنت أقول ما يقول
من الناس فيقال له لا دريت ولا تليت ويضرب بمطارق من حديد ضية فيصيح صيحة يشمها *
(من يليه غير الثقلين. ( متفق عليه
অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন মৃত বান্দাকে কবরে রাখা হয় এবং তার সঙ্গী-সাথীরা
সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে তখন সে তাদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। ঠিক সেই
সময় দু'জন ফেরেশতা আসেন এবং তাকে উঠিয়ে বসান।
অতঃপর উনারা বলেন, তােমরা দুনিয়াতে অবস্থানকালীন সময়ে উনার সম্পর্কে
(শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি
* ধারণা পােষণ করতে? তখন মু'মিন বান্দা বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, উনি মহান আল্লাহ
পাক উনার বান্দা এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তখন উনাকে বলা
হবে, আপনি আপনার জাহান্নামের স্থানটি দেখে নিন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার
সেই স্থানকে জান্নাত উনার স্থান দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। শাহিদুন নবী, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, তখন সে উভয় স্থােই দেখতে পায় । কিন্তু যখন মুনাফিক এবং কাফির তাদের
প্রত্যেককে জিজ্ঞাস করা হবে, দুনিয়াতে তুমি উনার (শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যাপারে কি ধারণা পোষণ করতে?
তখন সে বলে, আমি কিছুই জানি না। তবে লােকজন উনার ব্যাপারে যে মন্তব্য করত
আমিও অনুরূপ করতাম। তখন তাকে বলা হবে, তুমি নিজে বুদ্ধি-বিবেক দিয়েও বুঝার
চেষ্টা করনি এবং মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব পাঠ করে তা জানার চেষ্টা করনি?
অত:পর তাকে লােহার হাতুড়ি দ্বারা কঠোরভাবে আঘাত করা হবে। যার ফলে সে
বিকট ভাবে চিৎকার করতে থাকবে। তার চিৎকার জিন-ইনসান ব্যতীত সকলেই শুনতে
পাবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
উপরােক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, প্রত্যেক কবরে শাহিদুন নবী, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখিয়ে সুওয়াল
করা হয়। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক
উনার থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি তা হলাে- পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে একই দিনে, একই
সময়ে একাধিক ব্যক্তিকে দাফন করা হয় এবং একই সময়ে একাধিক ব্যক্তির কবরে
শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
দেখানো হয়ে থাকে। উনি যদি শহিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাযির-নাযির
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন তাহলে একই সময়ে প্রত্যেকে কিভাবে উনাকে
দেখে থাকে? বিষয়টি ফিকির করলে সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব।
মহান আল্লাহ পাক উনাকে বান্দা দেখুক বা না দেখুক তিনি অবশ্যই সর্বত্র বিরাজমান
এবং সমস্ত কিছু দেখেন। তদ্রপ শহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক না
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উম্মত দেখুক বা না দেখুক অবশ্যই তিনি সর্বত্র
বিরাজমান তথা হাজির-নাযির। মহান আল্লাহ পাক এবং বান্দার মাঝে ৭০ হাজার পদাঁ
থাকার কারণে বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখতে পায় না। ঠিক তদ্রুপ শাহিদুন
নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে
এবং উম্মতের মাঝে ৭০ হাজার পদ থাকার কারণে উম্মত উনাকে দেখতে পায় না।
মেছাল স্বরূপ বলা যায় যে, আসমানে যখন চাঁদ উঠে তখন তা পৃথিবীর যে কোন স্থান )
থেকে যে কেউ দেখতে পায়। অথচ চাঁদ হল শাহিদুন নবী, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর।
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গােলাম । কেননা শাহিদুন নবী, নরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন চাঁদকে দ্বিখন্ডিত হওয়ার জন্য
সম্মানিত নরুশ শ্বক (আঙ্গুল মুবারক) দ্বারা ইশারা করলেন। তখন চাঁদ সাথে সাথে
. দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় । এখন কেউ যদি দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকে তাহলে সে
কখনো চাঁদ দেখতে পারবে না।
আর চাঁদ না দেখে সে যদি বলে, আকাশে চাঁদ উঠেনি তাহলে তার এই কথা কখনােই
" গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজেই দরজা-জানালা খোলা রাখার দ্বারা যেমন চাঁদ দেখা সম্ভব । "
তদ্রুপ শাহিদুন নবী, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার এবং উনার উম্মতের মাঝে যে পর্দা রয়েছে তা উন্মোচন করার মাধ্যমেই উনাকে
দেখা সম্ভব। সেই পদগুলো উন্মোচিত হয়ে যায় যিকির করার দ্বারা অন্তর পরিশুদ্ধ করত:
তাওয়াল্লুক নিসবত হাসিল করার মাধ্যমে। (সুবহানা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম)।
মূলতঃ শাহিদুন নবী, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে হাযির-নাযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে বিশ্বাস করাই হচ্ছে
বিশুদ্ধ আক্বীদা আর যারা এর খিলাফ আকীদা পােষণ করবে তারাই পথভ্রষ্ট।
সুতরাং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত উনাদের আক্বীদা হচ্ছে- শহিদুন নবী, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাহিদ তথা
হাজির-নাজির এবং এর বিপরীত আকীদা পোষণ করা কুফরী।
0 Comments:
Post a Comment