মহিলাদের চুল রাখার সুন্নতী পদ্ধতি-
৭ মাহে শাবান শরীফ, ১৪৪৩
মেয়েদের চুল মুন্ডন করা বা কেটে ছেলেদের মতো করে ফেলা নিষেধ। আবার এতো বড় রাখা উচিত নয় যে, গোছলের সময় পানি পৌঁছানো কষ্টকর হয়। বরং পিঠ বা কোমর পর্যন্ত রাখা ভালো। সেমতে কোমরের নিচের অংশ কেটে ফেলা জায়েয হবে। অবশ্য না কাটলেও কোনো সমস্যা নেই। (তিরমিজি শরিফ ১/১৮২, মুসলিম শরিফ ১/১৪৮)
নারীর মাথার চুল কাটার বিধান-
যদি এমন স্টাইলে চুল কাটা হয় যা অবিকল পুরুষদের মত বুঝা যায়। যদি কাফির-ফাসিক নারীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা উদ্দেশ্য হয়। যদি পর পুরুষের মাধ্যমে চুল কাটা হয় (যেমনটি বর্তমান যুগে কিছু কিছু সেলুনে ঘটে থাকে।) যদি স্বামীর অনুমতি ছাড়া তাহলে তা হারাম। হারাম হওয়ার কারণও স্পষ্ট।
কিন্তু যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীকে খুশি করার জন্য তার চুল কাটে এবং এতে তার স্বামী তাকে আরও বেশি ভালবাসে তাহলে তার জন্য চুল কাটা জায়েয হবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা এমনভাবে উনাদের মাথার চুল কাটতেন যে, তা কাঁধ থেকে একটু নিচে যেত বা কান বরাবর হত।” (মুসলিম শরীফ)
উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়- “এতে প্রমাণিত হয় যে, নারীদের চুল কেটে হালকা করা জায়েয।” (শরহে মুসলিম)
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা একথা সুস্পষ্ট যে, চুল রাখার মধ্যেও সম্মানিত সুন্নতী তর্জ তরীক্বা রয়েছে। আর এজন্য সকলেই যেন সম্মানিত সুন্নত মুবারক অনুযায়ী চুল রাখতে পারেন এবং কাটতে পারেন সেই লক্ষেই এই রেছালা পাঠ করে সেই মুতাবিক আমল করে হাক্বীক্বী আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য কোশেষ করতে হবে।
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার সাথে সাথে সমস্ত মহিলাকূলকে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত যাওজাতুল মুকাররমাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার থেকে তা’লীম নিয়ে ও মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করে সমস্ত পুরুষ মহিলা জিন ইনসানকে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে যিকির ফিকির করে অন্তর ইছলাহ করে ফায়িজ তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করার খাছ তাওয়ীক্ব নছীব করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment