ইয়াওমুল আরবিয়ায়ীল আখির (পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বা) শরীফ
১০ হিজরী শরীফ উনার যিলক্বদ শরীফ মাস, যিলহজ্ব শরীফ মাস, মুহররম শরীফ মাস এবং সফর শরীফ মাস পর পর ৪টি মাস ৩০ দিনে হয়।
মহাসম্মানীত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হজ্ব সম্পাদন এবং উম্মদেরকে তা’লীম দেয়ার জন্য ১০ হিজরীর যিলক্বদ শরীফ মাসের ২৫ তারিখ পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে পবিত্র মক্কা শরীফ রওয়ানা মুবারক করেন।
১০ দিনে তিনি (৫ ই যিলহ্জ শরীফ) পবিত্র মক্কা শরীফ পৌছেন। সেখানে ১০ দিন থাকেন অর্থাৎ ১৫ই যিলহজ্ব শরীফ পর্যন্ত পবিত্র হজ্ব সম্পাদন এবং উম্মত, হযরত সাহবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের হজ্ব পালনের যে তরতীব সেই তালীম, শিক্ষা দেন। ১৫ই যিলহ্জ্ব শরীফ তিনি রওয়ানা দেন এবং ২৫ ই যিলহজ্ব শরীফ তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ পৌছেন। সেই বৎসর যিলহ্জ শরীফ মাসও ৩০ দিনে হয়।
মুহররমুল হারাম শরীফ উনার ১৬ তারিখ উম্মুল মু’মীনিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম আলাইহিস সালাম তিনি বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১১ হিজরী মুহররমুল হারাম শরীফ উনার ৩য় সপ্তাহ ১৮-২০ এই তারিখের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ওহী মুবারক করেন, হে আমার হাবীব! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি দয়া করে যারা জান্নাতুল বাকী মুবারকে আছেন উনাদেরকে আপনার জিয়ারত মুবারক দান করুন। তিনি সম্মানীত জিয়ারত মুবারক দান করলেন। যখন পত্যাবর্তন মুবারক করতেছিলেন তখন মারীদ্বী শান মুবারক অর্থাৎ নুরুল হুদা মুবারকে ব্যাথা মুবারক অনুভব করেন। এর কিছু দিন পর তিনি সেহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
একইভাবে সফর শরীফ মাস উনার ৩য় সপ্তাহ ১৮-২০ এই তারিখের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি পূনরায় ওহী মুবারক করেন, হে আমার হাবীব! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি দয়া করে যারা জান্নাতুল বাকী মুবারকে আছেন উনাদেরকে আপনার জিয়ারত মুবারক দান করুন। তিনি এবারো ঠিক সেভাবে সম্মানীত জিয়ারত মুবারক দান করলেন। যখন পত্যাবর্তন মুবারক করতেছিলেন তখন মারীদ্বী শান মুবারক অর্থাৎ নুরুল হুদা মুবারকে ব্যাথা মুবারক অনুভব করেন।
১ম বার মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশের অল্প কিছুদিন পরেই সেহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। কিন্তু এবার দীর্ঘ সময়। মনে হচ্ছে গাঢ় হয়ে গেলো। বিষয়টিতে হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা চিন্তিত হলেন। হযতর উম্মাহাতুল মুমীনি আলাইহিহিন্নাস সালাম উনারও চিন্তিত হলেন। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা- মনে হচ্ছে বিষয়টি ব্যতীক্রম। অর্থাৎ সকলেই চিন্তিত হলেন। অনেক দিন থাকার পরে সফর শরীফ মাসের ৩০ তারিখে শেষ আরবিয়া সকাল বেলা তিনি সম্মানীত সেহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! ঘরে কোনো খাবার আছে কি?’ তিনি জবাব দিলেন, ‘জী-হ্যাঁ।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘আমার জন্য তা নিয়ে আসুন আর আমার হযরত আওলাদ শরীফ অর্থাৎ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকেসহ অন্যান্য আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে খবর দিন। আর হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকেও নিয়ে আসতে বলুন। উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি সকলকে সংবাদ দিলেন। অতঃপর হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিসহ অন্যান্য আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা এবং হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সবাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে এসে হাযির হলেন।
অতঃপর রুটি-গোশত ও সিরকা মুবারক তা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক-এ পরিবেশন করা হলো। তিনি সকলকে নিয়ে খাদ্য গ্রহণ করে খুশী প্রকাশ করলেন। সংবাদ শুনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও বাইরে এসে হাযির হন। কিছুক্ষণ পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাইরে এসে উনাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আমার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর আপনাদের অবস্থা কিরূপ হবে?’ এ কথা শুনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা ব্যাকুলচিত্তে কান্না শুরু করলেন। উনাদের এ অবস্থা দেখে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে সান্তনা দান করলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে ওয়াক্তিয়া নামায আদায় করলেন। সুবহানাল্লাহ!
সুন্নত: ফরয
১. গোসল করা,
২. ভালো খাওয়া এবং খাওয়ানো
৩. খুশী প্রকাশ করে সাধ্যমতো হাদিয়া পেশ করা,
৪. দান-ছদক্বা করা,
৫. অধিক পরিমাণে মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করা।
৬. আর বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিনটি পালনের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ মুবারক দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
খরচ: ১.আফদ্বালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ৭,০০০ দিনার,
২. হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ৫,০০০ দিনার,
৩. খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি ১০,০০০ দিনার,
৪. আসাদুল্লাহিল গালিব হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি ৩,০০০ দিনার
৫. মুবাশশারুল জান্নাহ হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া
এবং অন্যরা সাধ্য সামর্থ অনুযায়ী খরচ করেছেন।
অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ হিজরী শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ) চাশতের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যুহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে সকাল ১১:৩০-১২:০০ টার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিদার মুবারকে তাশরীফ মুবারক নেন। সুবহানাল্লাহ! দুনিয়াবী দৃষ্টিতে তখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন পূর্ণ ৬৩ বছর মুবারক। সুবহানাল্লাহ।
১০ হিজরী শরীফ উনার যিলক্বদ শরীফ মাস, যিলহজ্ব শরীফ মাস, মুহররম শরীফ মাস এবং সফর শরীফ মাস পর পর ৪টি মাস ৩০ দিনে হয়।
উদ্দেশ্য
রওয়ানা তারিখ
রওনার স্থান
পৌছাতে সময়
পৌছানোর স্থান
অবস্থান ও কার্যক্রম
পবিত্র হজ্ব সম্পাদন এবং উম্মদেরকে তা’লীম দেয়ার জন্য
১০ হিজরীর ২৫ যিলক্বদ শরীফ
পবিত্র মদীনা শরীফ
১০ দিন (৫ ই যিলহ্জ শরীফ)
পবিত্র মক্কা শরীফ
১০ দিন (১৫ই যিলহজ্ব শরীফ পর্যন্ত)
পবিত্র হজ্ব সম্পাদন এবং উম্মত, হযরত সাহবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের হজ্ব পালনের যে তরতীব সেই তালীম, শিক্ষা দেন।
পত্যাবর্তন
১৫ই যিলহ্জ্ব শরীফ
পবিত্র মক্কা শরীফ
২৫ ই যিলহজ্ব শরীফ
পবিত্র মদীনা শরীফ
মুহররমুল হারাম শরীফ উনার ১৬ তারিখ উম্মুল মু’মীনিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম আলাইহিস সালাম তিনি বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ওহী মুবারক করেন, হে আমার হাবীব! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি দয়া করে যারা জান্নাতুল বাকী মুবারকে আছেন উনাদেরকে আপনার জিয়ারত মুবারক দান করুন। তিনি সম্মানীত জিয়ারত মুবারক দান করলেন। যখন পত্যাবর্তন মুবারক করতেছিলেন তখন মারীদ্বী শান মুবারক অর্থাৎ নুরুল হুদা মুবারকে ব্যাথা মুবারক অনুভব করেন। এর কিছু দিন পর তিনি সেহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১১ হিজরী মুহররমুল হারাম শরীফ উনার ৩য় সপ্তাহ ১৮-২০ এই তারিখের মধ্যে
মহান আল্লাহ পাক তিনি পূনরায় ওহী মুবারক করেন, হে আমার হাবীব! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি দয়া করে যারা জান্নাতুল বাকী মুবারকে আছেন উনাদেরকে আপনার জিয়ারত মুবারক দান করুন। তিনি এবারো ঠিক সেভাবে সম্মানীত জিয়ারত মুবারক দান করলেন। যখন পত্যাবর্তন মুবারক করতেছিলেন তখন মারীদ্বী শান মুবারক অর্থাৎ নুরুল হুদা মুবারকে ব্যাথা মুবারক অনুভব করেন।
সফর শরীফ মাস উনার ৩য় সপ্তাহ ১৮-২০ এই তারিখের মধ্যে ১ম বার মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশের অল্প কিছুদিন পরেই সেহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। কিন্তু এবার দীর্ঘ সময়। মনে হচ্ছে গাঢ় হয়ে গেলো। বিষয়টিতে হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা চিন্তিত হলেন। হযতর উম্মাহাতুল মুমীনি আলাইহিহিন্নাস সালাম উনারও চিন্তিত হলেন। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা- মনে হচ্ছে বিষয়টি ব্যতীক্রম। অর্থাৎ সকলেই চিন্তিত হলেন। অনেক দিন থাকার পরে..
৩০ সফর শরীফ
আরবিয়া সকাল বেলা
তিনি সম্মানীত সেহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
0 Comments:
Post a Comment