পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর
রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা
আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস
সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-
মুবারক শৈশব
ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত
মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ প্রতিষ্ঠিত পবিত্র মসজিদ, মাদরাসা, মক্তব, ইয়াতীমখানা, কোটি-কোটি টাকার কিতাব সম্বলিত সুবিশাল লাইব্রেরী, গবেষণাগার ইত্যাদি সমস্ত স্থাপনা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর
ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর
ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাদের সীমাহীন দয়া-দানের অনন্য উদাহরণ।
সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার প্রচার ও প্রসারে, অর্থাৎ মানুষকে হিদায়েতদান এবং ইলিম ও তা’লীম দানের সিলসিলা
ক্বিয়ামত অবধি জারি রাখার লক্ষ্যে উনাদের মুবারক অবদান শুধু পবিত্র রাজারবাগ শরীফ
উনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। উনাদের সীমাহীন দান এবং মক্ববুল দুআ’র বদৌলতে দেশের ও
বিদেশের কত যে মানুষ হাক্বীক্বী ইলিম ও তা’লীম হাছিলে সিরাতুল মুস্তাক্বীমে
অধিষ্ঠিত হয়েছে, তার হিসাব কে রাখে? সুবহানাল্লাহ!
নূরানীগঞ্জ জেলাধীন প্রভাকরদী শরীফস্থ নিজ মুবারক বাড়িতে
প্রতিষ্ঠিত মসজিদের খিদমতের সীমাহীন আঞ্জাম দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রভাকরদী শরীফ
বাজারে উনারা যে মুবারক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা
দীর্ঘকাল ধরে সম্মানিত দ্বীনী কাজে উনাদের প্রকৃষ্ট খিদমতদানের মুবারক সাক্ষ্য বহন
করে চলেছে। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং উনার হাবীব
মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসাসম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিলের সুমহান
লক্ষ্যে পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবধি ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর
ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে
রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা
শরয়ী পর্দা পালন ও সুন্নত অনুসরণ, হিদায়েত-নছীহত ও সীমাহীন দান-খয়রাত, মানুষকে তা’লীম দান এবং হালাল খাদ্য গ্রহণে নিরন্তর ব্যাপৃত
ছিলেন। এ কারণেই উনাদের পক্ষে উনাদের প্রিয়তম সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে
আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম
উনাকে কায়িনাতবাসীর সার্বিক কল্যাণে হাদিয়া করা সহজ ও সম্ভব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম
তিনি মুবারক বাল্যকাল থেকে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি শরয়ী পর্দা ও
সম্মানিত সুন্নত পালনের অনন্য নযীর স্থাপন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সে বাস্তবতায়
বর্তমানে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল
উলূম, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুন
নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা
কা’বা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে কায়িনাতবাসী হাক্বীক্বী পর্দা ও সুন্নত পালনের
শিক্ষালাভ করছে। সুবহানাল্লাহ!
আবা-২৬১
0 Comments:
Post a Comment