“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত
ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও
অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”- পেশ করতে
পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
সম্মানিত ও পবিত্র
মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত
ইস্তিক্বামত থাকা ফরয
পূর্ব প্রকাশিতের পর
‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত
অনুসরণ’ উনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ
التقليد الشرعى
আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ: পবিত্র কুরআন
মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস উনাদের দলীল-আদিল্লাহ মোতাবেক
সম্মানিত ইসলামী শরীয়াত উনার যাবতীয় হুকুম-আহকাম মেনে চলার জন্য কারো অনুসরণ করাকে
‘আত-তাকলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ বলে। উনাকে ‘তাকলীদুল ইসলাম’, ‘তাকলীদুদ্ দীন’ ও ‘তাকলীদুদ্
দালায়িলিল আরবায়াহ’ অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার চারখানা
দলীল উনাদের অনুসরণও বলা হয়ে থাকে।
এই পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ পবিত্র কুরআন মাজীদ
উনার পবিত্র সূরা শরীফ ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের তারতীব অনুসারে উল্লেখ করা হলো-
(২৮০)
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ
عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا. (سورة الـمائدة ۳ الاية)
অর্থ: আজ (পবিত্র বিদায় হজ্জে আরাফার দিন)
আমি তোমাদের জন্য তোমাদের পবিত্র দীন উনাকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি
আমার পবিত্র নিয়ামত সম্পুর্ণ করে দিলাম এবং সম্মানীত ইসলাম উনাকে তোমাদের পবিত্র দীন
(জীবন ব্যবস্থা) হিসেবে মনোনীত করে সন্তুষ্ট হলাম। (পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ:
পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৩)
(২৮১)
يَهْدِي بِهِ اللهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ
السَّلَامِ وَيُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِهِ
وَيَهْدِيهِمْ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ (سورة الـمائدة ۱۶ الاية)
অর্থ: উনার (সাইয়্যিদুল্ মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং উনার আনিত পবিত্র দীন ইসলাম) দ্বারা
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উনার সন্তুষ্টি তালাশকারীদেরকে শান্তির পথ প্রদর্শন করেন এবং
স্বীয় নির্দেশে তাঁদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন এবং সরল-সঠিক পথে
পরিচালনা করেন। (পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১৬)
(২৮২)
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ
الْكَافِرُونَ (سورة الـمائدة ۴۴ الاية)
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা (সম্মানীত
শরীয়াত) নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যাঁরা বিচার-ফায়ছালা করে না তারা কাফির। (পবিত্র
সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৪)
(২৮৩)
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ
الظَّالِمُونَ (سورة الـمائدة ۴۵ الاية)
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা (সম্মানীত
শরীয়াত) নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যাঁরা বিচার-ফায়ছালা করে না তারা যালিম বা অত্যাচারী।
(পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৫)
(২৮৪)
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ
الْفَاسِقُونَ (سورة الـمائدة ۴۷ الاية)
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা (সম্মানীত
শরীয়াত) নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যাঁরা বিচার-ফায়ছালা করে না তারা ফাসিক বা পাপী।
(পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৭)
(২৮৫)
أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ
قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرَى لِلْعَالَمِينَ
(سورة الانعام ۹۰ الاية)
অর্থ: উনারা এমন ছিলেন, যাঁদেরকে
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি পথ প্রদর্শন করেছিলেন। (উনারা হিদায়েতের জন্য কোন বিনিময় গ্রহন
করেননি) অতএব আপনিও বলে দিন, আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই
না। এটি সারা বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশ বাণী। (পবিত্র সূরাতুল্ আনয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ নং ৯০)
(২৮৬)
وَإِنْ أَحَدٌ
مِنَ الْمُشْرِكِينَ اسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّى يَسْمَعَ كَلَامَ اللهِ ثُمَّ
أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَعْلَمُونَ (سورة التوبة ۶ الاية)
অর্থ: মুশরিকদের কেউ যদি আপনার কাছে আশ্রয়
প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দিবেন, যাতে সে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার কালাম শুনতে পায়। অতপর তাকে
তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিবেন। এটি এজন্য যে এরা এমন সম্প্রদায় যারা জ্ঞান রাখে না।
(পবিত্র সূরাতুত্ তাওবাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৬)
(২৮৭)
وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ
وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ
وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ
خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ (سورة التوبة ۱۰۰ الاية)
অর্থাৎ: যাঁরা পূর্ববর্তী মুহাজিরীন (হিজরতকারী)
ও আনছার (হিজরতকারী উনাদেরকে সাহায্যকারী) হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের
মধ্যে অগ্রগামী এবং পরবর্তীতে উত্তমভাবে উনাদেরকে যাঁরা (ইমাম, মুজতাহিদ, উলামা-আউলিয়া
রহমাতুল্লাহি আলাইহিম) অনুসরণ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট
হয়েছেন, আর উনারাও উনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা উনাদের জন্য এমন জান্নাত
প্রস্তুত করে রেখেছেন যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত আছে, উনারা সেখানে
চিরকাল অবস্থান করবেন। এটাই হলো মহান সফলতা। (পবিত্র সূরাতুত্ তাওবাহ শরীফ: পবিত্র
আয়াত শরীফ নং ১০০)
(২৮৮)
يايها الذين امنوا اتقوا الله و كونوا مع الصادقين. مَا كَانَ
لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهُمْ مِنَ الْأَعْرَابِ أَنْ يَتَخَلَّفُوا
عَنْ رَسُولِ اللهِ وَلَا يَرْغَبُوا بِأَنْفُسِهِمْ عَنْ نَفْسه ذَلِكَ. (سورة
التوبة ۱۲۰-۱۱۹ الايتان)
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালা
উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও। মাদীনাবাসী ও পার্শ্ববর্তী পল্লীবাসীদের
উচিত নয় হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছুহবাত ছেড়ে পিছনে
থেকে যাওয়া এবং হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পুত:পবিত্র প্রাণ
মুবারক থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। (পবিত্র সূরাতুত্ তাওবাহ শরীফ: পবিত্র
আয়াত শরীফ নং ১১৯-১২০)
(২৮৯)
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلَا
نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ
وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
(سورة التوبة ۱۲۲ الاية)
অর্থ: সমস্ত মু’মিনগণের সমষ্টিগতভাবে অভিযানে (জিহাদে) বের হওয়া উচিত নয়। তাই, তাদের প্রত্যেক
দল হতে কেন কয়েকজন বের হয় না এই জন্য যে, উনারা দীন ইসলাম সম্বন্ধে ফক্বীহ হবেন এবং
স্বজাতির কাছে ফিরে এসে তাদেরকে (জাহান্নামের ভয়াবহতা ও জাহান্নামী আমল সম্পর্কে) ভীতি
প্রদর্শন করবেন, যাতে তারা (পাপ হতে) বিরত থাকে। (পবিত্র সূরাতুত্ তাওবাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ
নং ১২২)
(২৯০)
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِأُولِي الْأَلْبَابِ
مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ
كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (سورة يوسف عليه السلام ۱۱۱ الاية)
অর্থ: উনাদের ক্বিচ্ছা-কাহিনীতে আক্বলমানদের
জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষনীয় বিষয়। এটা কোন মনগড়া কথা নয়। কিন্তু যাঁরা বিশ্বাস স্থাপন
করে তাঁদের জন্য পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং (পবিত্র কুরআন মাজীদ উনাতে) প্রত্যেক
বিষয়ের বিবরণ, হিদায়াত ও রহমাত আছে। (পবিত্র সূরাতু ইউসুফ আলাইহিস্ সালাম: পবিত্র আয়াত শরীফ নং
১১১)
(২৯১)
وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُوحِي
إِلَيْهِمْ فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ (سورة
النحل ۴۳ الاية)
অর্থ: আপনার পূর্বেও আমি পবিত্র ওহী মুবারকসহ
মানবকেই তাঁদের প্রতি রসূল রূপে পাঠিয়েছিলাম। অতএব, তোমরা যদি না জান তাহলে আহলে যিক্র (ইমাম, মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ, ফক্বীহ, মুফতী) উনাদেরকে
জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও। (পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩)
(২৯২)
وَيَوْمَ نَبْعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا عَلَيْهِمْ
مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَى هَؤُلَاءِ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ
الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَى لِلْمُسْلِمِينَ
(سورة النحل ۸۹ الاية)
অর্থ: সেদিন প্রত্যেক উম্মাতের মধ্যে আমি
একজন স্বাক্ষী তাদের মধ্য থেকেই তাদের বিপক্ষে দাঁড় করাবো এবং তাঁদের বিষয়ে আপনাকে
স্বাক্ষীস্বরূপ উপস্থাপন করবো। আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা প্রত্যেক
বিষয়ের বর্ণনাকারী, হিদায়াত, রহমাত এবং মুসলমানদের জন্য সুসংবাদ। (পবিত্র
সূরাতুন্ নাহ্ল: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৮৯)
(২৯৩)
ثُمَّ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ أَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ
إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ (سورة النحل ۱۲۳ الاية)
অর্থ: আমি আপনার প্রতি পবিত্র ওহী প্রেরণ
করেছি যে, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার দীন অনুসরণ করুন, যিনি ছিলেন
একনিষ্ঠ। তিনি তো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। (পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল: পবিত্র
আয়াত শরীফ নং ১২৩)
(২৯৪)
يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ فَمَنْ أُوتِيَ
كِتَابَه بِيَمِينِهِ فَأُولَئِكَ يَقْرَءُونَ كِتَابَهُمْ وَلَا يُظْلَمُونَ
فَتِيلًا (سورة بنى اسرائيل ۷۱ الاية)
অর্থ: যেদিন আমি প্রত্যেক দলকে তাদের ইমামের
(যাকে অনুসরণ তারা করতো তাদের) নামে ডাকবো। অত:পর যাঁদেরকে ডান হাতে তাঁদের আমলনামা
দেয়া হবে, তাঁরা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে। আর তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও অবিচার করা হবে
না। (পবিত্র সূরাতু বানী ইসরাঈল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৭১)
(২৯৫)
قُلْ كُلٌّ يَعْمَلُ عَلَى شَاكِلَتِهِ فَرَبُّكُمْ أَعْلَمُ
بِمَنْ هُوَ أَهْدَى سَبِيلًا (سورة بنى اسرائيل ۸۴ الاية)
অর্থ: (হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম!) আপনি বলুন, প্রত্যেকেই (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) স্বীয়
হিদায়েত ও সমঝ অনুযায়ী আমল করেন। তবে, আপনাদের রব মহান আল্লাহ তায়ালা তিনিই ভালো
জানেন যে, কে সুপথে আর কে অধিক সুপথে রয়েছেন। (পবিত্র সূরাতু বানী ইসরাঈল শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ নং ৮৪)
(২৯৬)
مَنْ يَهْدِ اللهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ
تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُرْشِدًا (سورة الكهف ۱۷ الاية)
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যাঁকে হিদায়াত
করেন তিনিই হিদায়াত প্রাপ্ত হন। আর যে গোমরাহীতে দৃঢ় থাকে, আপনি তাদের
জন্য কোনো সঠিক পথপ্রদর্শক ওলী (অভিভাবক, মুরশিদ, শায়েখ, ওলীআল্লাহ) পাবেন না। (পবিত্র সূরাতুল্ কাহ্ফ
শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১৭)
(২৯৭)
وَمَا أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ إِلَّا رِجَالًا نُوحِي
إِلَيْهِمْ فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ (سورة
الانبياء ۷ الاية)
অর্থ: আপনার পূর্বেও আমি পবিত্র ওহী মুবারকসহ
মানবকেই তাঁদের প্রতি রসূল রূপে পাঠিয়েছিলাম। অতএব, তোমরা যদি না জান তাহলে আহলে যিক্র (ইমাম, মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ, ফক্বীহ, মুফতী) উনাদেরকে
জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও। (পবিত্র সূরাতুল্ আম্বিয়া আলাইহিমুছ্ ছলাতু ওয়াস সালাম: পবিত্র
আয়াত শরীফ নং ৭)
(২৯৮)
وَدَاوُودَ
وَسُلَيْمَانَ إِذْ يَحْكُمَانِ فِي الْحَرْثِ إِذْ نَفَشَتْ فِيهِ غَنَمُ
الْقَوْمِ وَكُنَّا لِحُكْمِهِمْ شَاهِدِينَ. فَفَهَّمْنَاهَا سُلَيْمَانَ
وَكُلًّا آتَيْنَا حُكْمًا وَعِلْمًا وَسَخَّرْنَا مَعَ دَاوُودَ الْجِبَالَ
يُسَبِّحْنَ وَالطَّيْرَ وَكُنَّا فَاعِلِينَ. (سورة الانبياء ۷۹-۷۸ الايتان)
অর্থ: হযরত দাঊদ আলাইহিস সালাম ও হযরত সুলাইমান
আলাইহিস সালাম উনাদের কথা স্মরণ করুন! যখন উনারা শস্য ক্ষেত নিয়ে হুকুম করছিলেন। যে
সময় তাতে একদল ছাগলের পাল রাতের বেলা ঢুকেছিলো। আমি উনাদের হুকুমের স্বাক্ষী ছিলাম।
অনন্তর আমি হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনাকে তা (উক্ত ব্যবস্থা) বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।
আমি প্রত্যেককে হিকমাত ও ইল্ম দান করেছিলাম। আমি পাহাড়-পর্বত ও পাখিদেরকে হযরত দাঊদ
আলাইহিস সালাম উনার অনুগত করে দিয়েছিলাম, তারা আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করতো।
এ সমস্ত আমিই করেছিলাম। (পবিত্র সূরাতুল্ আম্বিয়া
আলাইহিমুছ্ ছলাতু ওয়াস সালাম: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৭৮-৭৯)
(২৯৯)
الرَّحْمَنُ فَاسْأَلْ بِهِ خَبِيرًا (سورة الفرقان ۵۹ الاية)
অর্থ: তিনিই রহমান। উনার সম্পর্কে যিনি অবগত, উনাকেই জিজ্ঞাসা
করুন। (পবিত্র সূরাতুল ফুরক্বান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৫৯)
(৩০০)
وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ
أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ
إِمَامًا (سورة الفرقان ۷۴ الاية)
অর্থ: যাঁরা বলেন, হে আমাদের
রব তায়ালা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য
চোখের শীতলতা দান করুন এবং আমাদেরকে মুত্তাক্বী উনাদের ইমাম বানিয়ে দিন। (পবিত্র সূরাতুল
ফুরক্বান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৫৯)
(৩০১)
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا
وَإِنَّ اللهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ (سورة العنكبوت ۶۹ الاية)
অর্থ: যাঁরা আমার পথে (আমাকে পাওয়ার জন্য)
কোশেশে আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই উনাদেরকে আমাকে পাওয়ার পথ সমূহ প্রদর্শন করি। নিশ্চয়ই
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি মুহসিনীন তথা নেককার
উনাদের সাথে রয়েছেন। (পবিত্র সূরাতুল আনকাবূত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৬৯)
(৩০২)
وَمِنَ النَّاسِ وَالدَّوَابِّ وَالْأَنْعَامِ مُخْتَلِفٌ
أَلْوَانُهُ كَذَلِكَ إِنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ إِنَّ
اللَّهَ عَزِيزٌ غَفُورٌ. (سورة فاطر ۲۸ الاية)
অর্থ: অনুরূপভাবে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, জন্তু ও চতুষ্পদ
প্রাণী রয়েছে। তবে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার বান্দাদের মধ্যে আলিম উনারাই মহান
আল্লাহ তায়ালা উনাকে ভয় করে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল।
(পবিত্র সূরাতু ফাতির শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ২৮)
(৩০৩)
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ
أَقْفَالُهَا (سورة محمد صلى الله عليه و سلم ۲۴ الاية)
অর্থ: তারা কি পবিত্র কুরআন মাজীদ নিয়ে গভীর
চিন্তা করে না! নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? (পবিত্র সূরাতু মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ২৪)
(৩০৪)
فَاعْتَبِرُوا يَا أُولِي الْأَبْصَارِ (سورة الحشر ۲ الاية)
অর্থ: অতএব, হে চক্ষুস্মান
(জ্ঞানী) ব্যক্তিগণ আপনারা গবেষণা (ইজতিহাদ, ক্বিয়াস) করুন। (পবিত্র সূরাতুল্ হাশর শরীফ:
পবিত্র আয়াত শরীফ নং ২)
(৩০৫)
تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا
فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ. قَالُوا بَلَى قَدْ
جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللهُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ
أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ. وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ
نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ. (سورة الملك ۸-۱۰ الايات)
অর্থ: রাগে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই
তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তাদেরকে জাহান্নামের রক্ষক ফেরেশ্তারা
জিজ্ঞাসা করবেন, তোমাদের কাছে কি কোন ভীতি প্রদর্শনকারী আসেননি?
জাওয়াবে তারা বলবে: হ্যাঁ, আমাদের কাছে
ভীতি প্রদর্শনকারী এসেছিলেন। কিন্তু আমরা উনাদেরকে মিথ্যা মনে করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘মহান আল্লাহ
তায়ালা কোন কিছুই নাযিল করেননি, বরং আপনারা তো মহা গোমরাহীতে পড়ে রয়েছেন।’(নাঊযু বিল্লাহ)
তারা (জাহান্নামীরা) আরো বলবে: যদি আমরা
শুনতাম (মেনে চলতাম) অথবা আক্বল খাটাতাম, তবে আমরা
জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না। (পবিত্র সূরাতুল্ মুল্ক শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ
নং ৮-১০)
‘আত-তাক্বলীদু গাইরুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত বহির্ভুত
অনুসরণ’ সম্পর্কিত
পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ
التقليد غير الشرعى আত-তাকলীদু গাইরুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত বহির্ভুত অনুসরণ: পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ
শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস উনাদের দলীল-আদিল্লাহ উনাদের বিপরীতে
নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো শায়তান ও তাগূতী যাবতীয় বাতিল মত-পথ মেনে চলাকে ‘আত-তাকলীদু
গাইরুশ শারয়ী তথা শারীয়াত বহির্ভুত অনুসরণ’ বলে। একে ‘তাকলীদুন নাফ্স’ ও ‘তাকলীদুল হাওয়া’ তথা প্রবৃত্তির অনুসরণও বলা হয়ে থাকে।
নিম্নে ‘আত-তাক্বলীদু গাইরুশ শারয়ী তথা সম্মানিত শরীয়াত বহির্ভূত অনুসরণ’ সম্পর্কিত পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ উল্লেখ করা হলো-
(৩০৬)
غير المغضوب عليهم و لا الضالين. (سورة الفاتحة ۷ الاية)
অর্থ: আয় আল্লাহ তায়ালা! আমরা তাদের পথ চাই
না, যারা গযবপ্রাপ্ত ও পথভ্রষ্ট হয়েছে। (পবিত্র সূরাতুল ফাতিহাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ ৭)
(৩০৭)
واذا قيل لهم اتبعوا ما انزل الله قالوا بل نتبع ما الفينا
عليه اباءنا او لو كان اباؤهم لا يعقلون شيئا و لا يهتدون. (سورة البقرة ۱۷۰ الاية)
অর্থ: যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সে
বিধানোর আনুগত্য করা, যা মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি নাযিল করেছেন। তখন তারা বলে কখনো
না, বরং আমরা তো সে বিষয়ের অনুসরণ করব, যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে পেয়েছি।
যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই জানত না এবং হিদায়াতের উপর ছিল না। (সূরাতুল বাক্বারাহ
শরীফ- ১৭০)
(৩০৮)
يايها الذين امنوا ادخلوا فى السلم كافة ولا تتبعوا خطوات
الشيطان انه لكم عدو مبين. (سورة البقرة ۲۰۸ الاية)
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা সম্পুর্নরূপে
দীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশ কর। আর ইবলীস-শয়তানের পথকে অনুসরণ কর না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের
প্রকাশ্য দুশমন। (পবিত্র সূরাতুল বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২০৮)
(৩০৯)
واذا قيل لـهم
تعالوا الى ما انزل الله و الى الرسول قالوا حسبنا ما وجدنا عليه اباءنا او لوكان
اباؤهم لا يعلمون شيئا ولايهتدون. (سورة الـمائدة ۱۰۴ الاية)
অর্থ: যখন তাদেরকে (কাফিরদেরকে) বলা হয়, তোমরা মহান
আল্লাহ তায়ালা তিনি যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার দিকে আস, তখন তারা বলে- আমাদের জন্য তা-ই যথেষ্ট যার উপর আমরা আমাদের
বাপ-দাদাদেরকে পেয়েছি। যদিও তাদের বাপ-দাদারা না কিছুই জানতো আর না হিদায়াতের উপর ছিল।
(পবিত্র সূরাতুল মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৪)
(৩১০)
وان تطع اكثر من
فى الارض يضلوك عن سبيل الله ان يتبعون الا الظن وان هم الا يخرصون. (سورة الانعام
۱۱۶ الاية)
অর্থ: আর যদি আপনি (মূলত: আপনার উম্মাত)
পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে (মূলত: আপনার উম্মতদেরকে)
মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পথ থেকে বিপথগামী করে দিবে। তারা শুধু জল্পনা-কল্পনার অনুসরণ
করে এবং সম্পুর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথা-বার্তা বলে থাকে। (পবিত্র সূরাতুল আনয়াম শরীফ:
পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৬)
(৩১১)
اتخذوا احبارهم و رهبانهم اربابا من دون الله و المسيح ابن
مريم وما امروا الا ليعبدوا الها واحدا لا اله الا هو سبحنه عما يشركون. (سورة
التوبة ۳۱ الاية)
অর্থ: তারা (মুশরিক, ইহুদী ও নাছারারা)
মহান আল্লাহ তায়ালা উনাকে ছেড়ে তাদের বিদ্বান ও দরবেশ (সাধু)দেরকে এবং হযরত মাসীহ বিন
র্মাইয়াম হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে রব হিসেবে গ্রহণ করেছে। অথচ তারা
আদিষ্ট ছিলো একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ইবাদত করার জন্য। তিনি ছাড়া অন্য
কোন ইলাহ বা মা’বূদ নেই। তারা উনার সম্পর্কে যা শরীক সাব্যস্ত
করে, তার থেকে তিনি পূত:পবিত্র। (পবিত্র সূরাতুত তাওবাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
(৩১২)
فلا تك فى مرية مما يعبد هؤلاء ما يعبدون الا كما يعبد اباؤهم
من قبل وانا لموفوهم نصيبهم غير منقوص. (سورة هود عليه السلام ۱۰۹ الاية)
অর্থ: অতএব, তারা যেসবের
উপাসনা করে সেব্যাপারে তোমরা কোনরূপ ধোকায় পড়বে না। তাদের পূর্ববর্তী বাপ-দাদারা যেমন
পূজা-উপাসনা করতো,
এরাও তেমন করছে। আর নিশ্চয়ই আমি তাদের আযাবের ভাগ কিছুমাত্র
কম না করেই পুরোপুরি দান করব। (পবিত্র সূরাতু হূদ আলাইহিস সালাম: পবিত্র আয়াত শরীফ
১০৯)
(৩১৩)
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ
بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ
تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ
عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا. (سورة الكهف ۲۸ الاية)
অর্থ: ঐ সমস্ত লোক উনাদের ছুহবাত লাযিম করে
নিন, যাঁরা সকাল ও সন্ধা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার উদ্দেশ্যে যিক্র-আযকারে
মাশগূল থাকেন। আর আপনি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য্য কামনা করে উনাদের থেকে নিজের দৃষ্টি
ফিরিয়ে নিবেন না। ঐ সমস্ত লোক উনাদের ইতায়াত
(আনুগত্য) করবেন না, (যার বদআমলের দরুন) তার ক্বলবকে আমার যিক্্র থেকে গাফিল করে দিয়েছি।
(আর আমার যিক্র থেকে গাফিল হওয়ার কারণেই) সে নাফ্সের পায়রবী করে থাকে। যার কারণে তার
কাজগুলো শরীয়াত উনার খিলাফ হয়। (পবিত্র সূরাতুল্ কাহ্ফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ২৮)
(৩১৪)
ووصينا الانسان بوالديه حسنا وان جاهدك لتشرك بى ما ليس لك به
علم فلا تطعهما الى مرجعكم فانبئكم بما كنتم تعملون. (سورة العنكبوت ۸ الاية)
অর্থ: আমি মানুষদেরকে পিতা-মাতা উনাদের সাথে
উত্তম ব্যবহার করতে জোর নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু যদি তারা (পিতা-মাতা) তোমাকে আমার সাথে
এমন কিছু শরীক করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের
আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব, যা কিছু তোমরা
করতে। (পবিত্র সূরাতুল আনকাবূত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)