=================================================
এক শ্রেনীর বাতিল ফিরকার লোক পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অস্বীকার করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে একটা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে থাকে। তারা বলে থাকে, “নবীজী(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) উনার বিছাল (ইন্তিকাল) শরীফ দিবস হচ্ছে দুঃখের দিন,আর দুঃখের দিনে খুশি প্রকাশ করাটা নাকি অন্যায়।”নাউযুবিল্লাহ।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে বাতিল ফির্কাদের এই বক্তব্যটা সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ পবিত্র হাদীস শরীফ উনাদের খেলাফ হওয়ায় তা কুফরী মূলক হয়েছে। কেননা নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ, বিছাল শরীফ( ইন্তেকাল),পুনরুত্থান প্রত্যকটি রহমত,বরকত,ঈদ বা খুশি মুবারক প্রকাশের কারন। সুবহানাল্লাহ্।
যেমন, মহান আল্লাহ পাক হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বিষয়ে ইরশাদ মুবারক করেন ,
যেমন, মহান আল্লাহ পাক হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বিষয়ে ইরশাদ মুবারক করেন ,
وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَـمُوْتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا
অর্থ : উনার প্রতি সালাম ( শান্তি), যেদিন তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন !” (সূরা মারইয়াম শরীফ: আয়াত শরীফ ১৫)
অনুরুপ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বলা হয়েছে, যা তিনি নিজেই বলেন-
অর্থ : উনার প্রতি সালাম ( শান্তি), যেদিন তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন !” (সূরা মারইয়াম শরীফ: আয়াত শরীফ ১৫)
অনুরুপ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বলা হয়েছে, যা তিনি নিজেই বলেন-
وَالسَّلَامُ عَلَىَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا
অর্থ : আমার প্রতি সালাম বা শান্তি যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যেদিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করি , যেদিন পুনুরুত্থিত হবো!” (সূরা মারইয়াম শরীফ: আয়াত শরীফ ৩৩)
উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয় থেকে আমরা জানতে পারলাম, নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম গণ উনাদের বিছাল শরীফের(ইন্তেকাল) দিবসও শান্তির দিন।
অর্থ : আমার প্রতি সালাম বা শান্তি যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যেদিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করি , যেদিন পুনুরুত্থিত হবো!” (সূরা মারইয়াম শরীফ: আয়াত শরীফ ৩৩)
উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয় থেকে আমরা জানতে পারলাম, নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম গণ উনাদের বিছাল শরীফের(ইন্তেকাল) দিবসও শান্তির দিন।
আর পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন –
عن ابن مسود رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم حياتيخير لكم و مماتي خير لكم
অর্থ : আমার হায়াত-বিছাল (ইন্তেকাল) সব অবস্থাই তোমাদের জন্য কল্যাণ বা উত্তম বা খায়ের বরকতের কারন।” (দলীল- কানযুল উম্মাল শরীফ : হাদীস ৩১৯০৩, জামিউছ ছগীর ৩৭৭০, শিফা শরীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা) উক্ত হাদীস শরীফদ্বয়ের সনদ সহীহ। দেখা গেল উক্ত হাদীস শরীফ উনার মধ্যে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং ইরশাদ মুবারক করতেছেন, উনার বিছাল শরীফ এর দিনও কল্যাণময়।
এছাড়া পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে —
অর্থ : আমার হায়াত-বিছাল (ইন্তেকাল) সব অবস্থাই তোমাদের জন্য কল্যাণ বা উত্তম বা খায়ের বরকতের কারন।” (দলীল- কানযুল উম্মাল শরীফ : হাদীস ৩১৯০৩, জামিউছ ছগীর ৩৭৭০, শিফা শরীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা) উক্ত হাদীস শরীফদ্বয়ের সনদ সহীহ। দেখা গেল উক্ত হাদীস শরীফ উনার মধ্যে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং ইরশাদ মুবারক করতেছেন, উনার বিছাল শরীফ এর দিনও কল্যাণময়।
এছাড়া পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে —
ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض
অর্থ : তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে, জুমুয়ার দিন। এদিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনি সৃষ্টি হয়েছেন এবং এদিনেই তিনি বিছাল (ইন্তেকাল) শরীফ লাভ করেন !” (নাসায়ী শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ১৩৮৫, মুসলিম শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ৮৫৫,তিরমিযী :হাদীস ৪৯১, মুসনাদে আহমদ : ৮৯৫৪, হাদীস নম্বর ৮৯ ইবনে মাজাহ : হাদীস ১৭০৫, সুনানে আবু দাউদ – কিতাবুস সালাত: হাদীস ১০৪৭, ইবনে খুযায়মা: হাদীস ১৬৩২)
অতপর এই জুমুয়ার দিন ঈদের দিন ঘোষনা করে ইরশাদ মুবারক হয়েছে —
অর্থ : তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে, জুমুয়ার দিন। এদিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনি সৃষ্টি হয়েছেন এবং এদিনেই তিনি বিছাল (ইন্তেকাল) শরীফ লাভ করেন !” (নাসায়ী শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ১৩৮৫, মুসলিম শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ৮৫৫,তিরমিযী :হাদীস ৪৯১, মুসনাদে আহমদ : ৮৯৫৪, হাদীস নম্বর ৮৯ ইবনে মাজাহ : হাদীস ১৭০৫, সুনানে আবু দাউদ – কিতাবুস সালাত: হাদীস ১০৪৭, ইবনে খুযায়মা: হাদীস ১৬৩২)
অতপর এই জুমুয়ার দিন ঈদের দিন ঘোষনা করে ইরশাদ মুবারক হয়েছে —
انهذايوم جعله اللهعيدا
অর্থ : এ জুমুয়ার দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যেদিনকে মহান আল্লাহ পাক ঈদের দিন হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।” (ইবনে মাজাহ : হাদীস নম্বর ১১৯৮,মুয়াত্তা মালিক- কিতাবুত ত্বহারাত: হাদীস নম্বর ১৪৪, বায়হাক্বী : হাদীস ১৩০৩, মা’য়ারিফুল সুনান ওয়াল আছার বায়হাক্বী: হাদীস ১৮০২, মুসনাদে শাফেয়ী: হাদীস ২৬৮, মুজামুল আওসাত তাবরানী ৩৪৩৩, মিশকাত শরীফ)
উক্ত পবিত্র হাদীস শরীফ থেকে প্রমানিত হলো জুমুয়ার দিন আল্লাহ পাক এর নবী এবং রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ এর দিন হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সে দিনটিকে খুশির দিন হিসাবে নিদৃষ্ট করে দিয়েছেন। এবং স্বয়ং নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে জুমুয়ার দিনকে ঈদের দিন বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
অর্থ : এ জুমুয়ার দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যেদিনকে মহান আল্লাহ পাক ঈদের দিন হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।” (ইবনে মাজাহ : হাদীস নম্বর ১১৯৮,মুয়াত্তা মালিক- কিতাবুত ত্বহারাত: হাদীস নম্বর ১৪৪, বায়হাক্বী : হাদীস ১৩০৩, মা’য়ারিফুল সুনান ওয়াল আছার বায়হাক্বী: হাদীস ১৮০২, মুসনাদে শাফেয়ী: হাদীস ২৬৮, মুজামুল আওসাত তাবরানী ৩৪৩৩, মিশকাত শরীফ)
উক্ত পবিত্র হাদীস শরীফ থেকে প্রমানিত হলো জুমুয়ার দিন আল্লাহ পাক এর নবী এবং রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ এর দিন হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সে দিনটিকে খুশির দিন হিসাবে নিদৃষ্ট করে দিয়েছেন। এবং স্বয়ং নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে জুমুয়ার দিনকে ঈদের দিন বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
এখন বাতিলপন্থী ওহাবী/ দেওবন্দীরা কি বলবে যে, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিছাল শরীফ উনার দিন ঈদ পালন করতে বলে অন্যায় করেছেন ?? নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক। তারা কখনোই হা বলতে পারবে না , কারন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমন এবং বিছাল শরীফ উভয়ই খুশি বা ঈদের দিন ! যারা শোকের বা কষ্টের দিন বলবে তারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
এছাড়াও সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়সালা হচ্ছে কারো ইন্তেকালের পর তিন দিনের বেশি শোক প্রকাশ করা যাবে না। যে বিষয়ে পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمّ عَطِيَّةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا قَالَتْ كُنَّا نُنْهٰى اَنْ نُـحِدَّ عَلٰى مَيّتٍ فَوْقَ ثَلَاثٍ اِلَّا عَلٰى زَوْجٍ اَرْبَعَةَ اَشْهُرٍ وَّعَشْرًا.
অর্থ : “হযরত উম্মু আতিয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কারো ইন্তিকালে তিন দিনের পর আর শোক প্রকাশ করতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে স্বামীর জন্য আহলিয়া চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে।” (মুয়াত্তা মালিক শরীফ, বুখারী শরীফ : কিতাবুত তালাক : হাদীছ শরীফ নং ৫৩৪১, মুসলিম শরীফ : কিতাবুত তালাক : হাদীছ শরীফ নং ১৪৯৩, আবূ দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
সূতরাং দেখা গেলো ইন্তেকালের ৩ দিন পর আর শোক পালন করা যাবে না। যদি কেউ কারো ইন্তেকালের ৩ দিন পরও শোক পালন করে সেটা সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাপ হবে। হাদীস শরীফ উনার বিরোধীতা হবে। আর সবচাইতে বড় কথা হলো হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি হচ্ছেন হায়াতুন্নবী। উনি পবিত্র রওজা শরীফ উনার মধ্যে জীবীত রয়েছেন। উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে শোক প্রকাশ স্পষ্ট গোমরাহী ও হায়াতুন্নবী অস্বীকার করার নামান্তর।
পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اَلاَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ اَحْيَاءُ فِيْ قُبُوْرِهِمْ يُصَلُّوْنَ
অর্থ : “হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের রওযা শরীফ উনাদের মধ্যে জীবিত, উনারা নামায আদায় করেন।’’ (আবূ ইয়ালা শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ৩৪২৫, হায়াতুল আম্বিয়া লিল বাইহাকী ১ম খ- ৭৩ পৃষ্ঠা)
“শহীদগণ যেহেতু দলীলের ভিত্তিতে জীবীত প্রমাণিত, কোরআন শরীফ উনার মধ্যে তার সুষ্পষ্ট র্বণনা আছে, সুতরাং নবীগণ জীবিত থাকবেন। কারণ উনারা শহীদগণ হতে উত্তম।’’ (ফাতহুল বারী-৬/২৮৮)।
অর্থ : “হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের রওযা শরীফ উনাদের মধ্যে জীবিত, উনারা নামায আদায় করেন।’’ (আবূ ইয়ালা শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ৩৪২৫, হায়াতুল আম্বিয়া লিল বাইহাকী ১ম খ- ৭৩ পৃষ্ঠা)
“শহীদগণ যেহেতু দলীলের ভিত্তিতে জীবীত প্রমাণিত, কোরআন শরীফ উনার মধ্যে তার সুষ্পষ্ট র্বণনা আছে, সুতরাং নবীগণ জীবিত থাকবেন। কারণ উনারা শহীদগণ হতে উত্তম।’’ (ফাতহুল বারী-৬/২৮৮)।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে –
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ اَنَّ اللهَ تَعَالٰى حَرَّمَ عَلَى الْاَرْضِ اَنْ تَأْكُلَ اَجْسَادَ الْاَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ فَنَبِىُّ اللهِ حَىٌّ يُرْزَقُ
অর্থ : হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জিসিম মুবারক যমীনের উপর ভক্ষণ করা হারাম করেছেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা জীবিত ও রিযিকপ্রাপ্ত। (ইবনে মাজাহ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ১৬৩৬, সুনানে দারীমী : হাদীছ শরীফ নং ১৫৭২, মিশকাত শরীফ, জালাউল আফহাম ৬৩ পৃষ্ঠা, তাযকিরাতুল হুফফাজ : হাদীছ শরীফ নং ১০৮৫)
কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে –
অর্থ : হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জিসিম মুবারক যমীনের উপর ভক্ষণ করা হারাম করেছেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা জীবিত ও রিযিকপ্রাপ্ত। (ইবনে মাজাহ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ১৬৩৬, সুনানে দারীমী : হাদীছ শরীফ নং ১৫৭২, মিশকাত শরীফ, জালাউল আফহাম ৬৩ পৃষ্ঠা, তাযকিরাতুল হুফফাজ : হাদীছ শরীফ নং ১০৮৫)
কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে –
اِنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـىْ قَبْرِه حَىٌّ
অর্থ : “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রওযা মুবারকে জীবিত অবস্থায়ই আছেন।” (মিরকাত শরীফ ২য় খন্ড ২২৩ পৃষ্ঠা)
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন –
لَيْسَ هُنَا مَوْتٌ وَلَاَفَوْتٌ بَلْ هُوَ اِنْتِقَالٌ مّنْ حَالٍ اِلٰى حَالٍ وَاِرْتِـحَالٌ مّنْ دَارٍ اِلٰى دَارٍ وَاِنَّ الْـمُعْتَقَدَ الْـمُحَقَّقَ اِنَّه حَىٌّ يُرْزَقُ
অর্থ : “এখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য মৃত্যুও নেই, নিঃশেষ হওয়াও নেই। বরং এক শান মুবারক হতে অন্য শান মুবারক উনার দিকে স্থানান্তরিত হওয়া এবং এক মুবারক ঘর হতে অন্য মুবারক ঘরে হিজরত করা। নিশ্চিত বিশ্বাস এই যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াত মুবারক-এ (জীবিত) আছেন এবং সম্মানিত রিযিকপ্রাপ্ত হচ্ছেন।” (শরহুশ শিফা শরীফ ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৫২, মিরকাত শরীফ)
অর্থ : “এখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য মৃত্যুও নেই, নিঃশেষ হওয়াও নেই। বরং এক শান মুবারক হতে অন্য শান মুবারক উনার দিকে স্থানান্তরিত হওয়া এবং এক মুবারক ঘর হতে অন্য মুবারক ঘরে হিজরত করা। নিশ্চিত বিশ্বাস এই যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াত মুবারক-এ (জীবিত) আছেন এবং সম্মানিত রিযিকপ্রাপ্ত হচ্ছেন।” (শরহুশ শিফা শরীফ ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৫২, মিরকাত শরীফ)
শুধু তাই নয়, দেওবন্দীদের মুরুব্বী মাসিক মদীনার সম্পাদক মাহিউদ্দীন লিখেছে,
হযরত আবুল মাওয়াহেব শাযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন- একবার স্বপ্নযোগে হুযুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎলাভ করলাম। তিনি নিজের সম্পর্কে বললেন- আমি মৃত নই। আমার পরলোক গমনের বিষয়টা এরূপ যে, যারা আল্লাহ প্রদত্ত রূহানী জ্ঞান থেকে বঞ্চিত,আমি তাদের দৃষ্টির আড়ালে পরলোকবাসী। কিন্তু যারা আল্লাহর দেওয়া রূহানী জ্ঞান রাখে, তাদের মধ্যে আমি জীবিতই রয়েছি। আমি যেমন তাদের দেখতে পাই তারাও আমার সাক্ষাৎলাভ করে। [তবক্কাতুল কোবরা] (দলীল- স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৮ পৃষ্ঠা, মদীনা পাবলিকেশান্স)
হযরত আবুল মাওয়াহেব শাযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন- একবার স্বপ্নযোগে হুযুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎলাভ করলাম। তিনি নিজের সম্পর্কে বললেন- আমি মৃত নই। আমার পরলোক গমনের বিষয়টা এরূপ যে, যারা আল্লাহ প্রদত্ত রূহানী জ্ঞান থেকে বঞ্চিত,আমি তাদের দৃষ্টির আড়ালে পরলোকবাসী। কিন্তু যারা আল্লাহর দেওয়া রূহানী জ্ঞান রাখে, তাদের মধ্যে আমি জীবিতই রয়েছি। আমি যেমন তাদের দেখতে পাই তারাও আমার সাক্ষাৎলাভ করে। [তবক্কাতুল কোবরা] (দলীল- স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৮ পৃষ্ঠা, মদীনা পাবলিকেশান্স)
উক্ত হাদীস শরীফ উনার আলোকে প্রমাণ হলো সকল নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগন উনারা পবিত্র রওজা শরীফ উনার মধ্যে জীবীত। সকল নবীদের নবী রসূলদের রসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওজা শরীফ উনার মাঝে জীবীত। তাহলে কি করে বলা যেতে পারে যে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ শোকের দিন। নাউযুবিল্লাহ!! যিনি হায়াতুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য কি করে শোক দিবস পালন করা যেতে পারে? যারা হায়াতুন্নবী মানে না,সহীহ হাদীস শরীফ উনাকে অস্বীকারকারী, তারাই বলে থাকে ১২ ই রবিউল শরীফ শোকের দিন।
অতএব, সম্মানিত শরীয়ত উনার অকাট্য দলীল আদীল্লার দ্বারা প্রমান হলো, কারো পক্ষে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ এর দিন ১২ই রবীউল আওয়াল শরীফ উনাকে শোকের দিন হিসাবে সাব্যস্ত করা সম্ভব নয় !!
যারা শোকের কথা বলবে তারা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীস শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ এবং পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ অস্বীকার করে ঈমানহারা হবে !
তাই আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনাকে নিয়ামত মনে করে উক্ত দিনকে ঈদ হিসেবে পালন করতে হবে !
যারা শোকের কথা বলবে তারা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীস শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ এবং পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ অস্বীকার করে ঈমানহারা হবে !
তাই আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনাকে নিয়ামত মনে করে উক্ত দিনকে ঈদ হিসেবে পালন করতে হবে !
0 Comments:
Post a Comment