=================================================
বর্তমানে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী খেদমত মুবারক ও তাযীম তাকরীম মুবারক করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হচ্ছেন হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। যিনাদের খেদমত মুবারক, তা’যীম তাকরীম মুবারক ও সানাসিফত মুবারক উনার মাধ্যম দিয়ে হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু পালন করা সহয ও সম্ভব হবে।
যেমন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُل لَّا اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِى الْقُرْبٰـى
অর্থ : (হে আমার হাবীব হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের কাছে কোন বিনিময় চাচ্ছি না, (তোমরা কোন বিনিময় দিতেও পারবে না, কোন বিনিময় দেয়ার চিন্তা করাও কুফরী হবে) তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, আমার যাঁরা আহাল ও ইয়াল, আওলাদ যাঁরা রয়েছেন, আহলে বাইত যাঁরা রয়েছেন উনাদের প্রতি তোমরা মুহব্বত পোষন করবে ও সৎ ব্যবহার করবে, উনাদের খিদমত করবে, তা’যীম-তাকরীম করবে সবদিক থেকে। উনাদেরকে যেভাবে তোমাদের খিদমতের আঞ্জাম দেয়া দরকার, তা’যীম-তাকরীম করা দরকার, ছানা-ছিফত করা দরকার সেভাবে তোমরা করবে।
অর্থাৎ বর্তমানে হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের تُعَزِّرُوهُ ‘তুয়াযযিরূহু’ (খিদমত মুবারক করে), تُوَقِّرُوهُ ‘তুয়াক্বিরূহু’ (তা’যীম-তাকরীম মুবারক অর্থাৎ সম্মান মুবারক করে) এবং تُسَبِّحُوهُ ‘তুসাব্বিহূহু’ (উনার প্রশংসা মুবারক) করলে বা করতে পারলে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার হাক্বীক্বী খেদমত মুবারক, তা’যীম-তাকরীম মুবারক ও প্রশংসা, ছানা-ছিফত মুবারক এর হক আদায় হবে।
আবার নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَحِبُّوا اللهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ مِنْ نِعَمِهِ وَاَحِبُّوْنِـىْ بِـحُبِّ اللهِ وَاَحِبُّوا اَهْلَ بَيْتِى لِـحُبِّى.
অর্থ : “তোমরা যিনি খালিক্ব, যিনি মালিক, যিনি রব আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। কারণ তিনি তোমাদের খাওয়াচ্ছেন, পরাচ্ছেন, সমস্ত ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করতেছেন। কাজেই উনার নিয়ামতের কারণে উনার ইজ্জত-সম্মানের কারণে উনাকে তোমরা মুহব্বত করো। আর আমাকে অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত কর খালিক্ব, মালিক রব আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দী হাছিলের লক্ষ্যে। আর আমার হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো নূরে জাসমুসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামূল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে, উনার মুহব্বতের কারণে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করে উনাদের تُعَزِّرُوهُ ‘তুয়াযযিরূহু’ বা খিদমত মুবারক করার মাধ্যমে, تُوَقِّرُوهُ ‘তুয়াক্বিরূহু’ বা তা’যীম-তাকরীম মুবারক অর্থাৎ সম্মান মুবারক করার মাধ্যমে এবং تُسَبِّحُوهُ ‘তুসাব্বিহূহু’ বা উনাদের প্রশংসা মুবারক করার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার تُعَزِّرُوهُ ‘তুয়াযযিরূহু’ (খিদমত মুবারক), تُوَقِّرُوهُ ‘তুয়াক্বিরূহু’ (তা’যীম-তাকরীম মুবারক অর্থাৎ সম্মান মুবারক) এবং تُسَبِّحُوهُ ‘তুসাব্বিহূহু’ (উনার প্রশংসা মুবারক) করা সম্ভব।
আর তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাচ্ছুল খাছ আওলাদ, হযরত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যামানার ইমাম, মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল, মুজাদ্দিদে আ’যম, হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার খিদমত মুবারক, তা’যীম-তাকরীম মুবারক অর্থাৎ সম্মান মুবারক ও উনার প্রশংসা মুবারক করতে হবে। হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক, তা’যীম-তাকরীম মুবারক অর্থাৎ সম্মান মুবারক ও উনার প্রশংসা মুবারক করার লক্ষ্যে রাজারবাগ শরীফে জারী করেছেন অনন্তকাল ব্যাপী অর্থাৎ অনির্দিষ্ট কাল ব্যাপী সাইয়্যিদুল শরীফ তথা হুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলােইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশী তথা ঈদ পালন করে উনার সুমহান সম্মানার্থে মাহফিল। তাই দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের উচিত হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সংসর্গে আসা এবং দায়িমীভাবে ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশি প্রকাশ করার জন্য রাজারবাগ শরীফে আসা।
0 Comments:
Post a Comment